তরুণীদের পছন্দ বাহারি স্লিভলেস । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

তরুণীদের পছন্দ বাহারি স্লিভলেস

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
তরুণীদের পছন্দ বাহারি স্লিভলেস
মডেল: লাবণ্য, স্বর্ণা, মেকআপ: শোভন মেকওভার, পোশাক: রঙ বাংলাদেশ, ছবি: শরিফ মাহমুদ

গরমের এই সময় পোশাক হওয়া চাই পাতলা এবং আরামদায়ক। অনেকেই গরমের অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে স্লিভলেস পোশাক পরেন। স্বাচ্ছন্দ্য আর মানানসই, দুটো জায়গায়ই স্লিভলেস সবসময়ই এগিয়ে। বর্তমানে স্লিভলেস পোশাক ফ্যাশনেবল হওয়ার পাশাপাশি গরমেও স্বস্তি এনে দেয়। স্লিভলেস পোশাক নিয়ে লিখেছেন শাহিনুর আলম কলি

গরমে থ্রি-কোয়ার্টার কিংবা ফুলহাতার পোশাকে স্বস্তি তেমন পাওয়া যায় না। যতটা স্লিভলেসে পাওয়া যায়। স্লিভলেস মূলত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণীদের মধ্যেই বেশি জনপ্রিয়। সঙ্গে আড্ডা অথবা কোনো পার্টিতে স্লিভলেস পোশাক সহজেই পরা যায়। পরতে আরামদায়ক এবং ফ্যাশনেবল হওয়ার কারণে জিন্স, লেগিংস বা পালাজ্জোর সঙ্গে মানিয়ে যায়।

ফ্যাশনসচেতন মানুষের কথা মাথায় রেখে ফ্যাশন ডিজাইনাররা বিভিন্ন ডিজাইনের স্লিভলেস সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, ফতুয়া, টপস, শার্ট নকশা করেন। এই পোশাকে কাপড় হিসেবে সুতিকে প্রাধান্য দেওয়া হলেও লিনেন, বেক্সিভয়েল, জয়সিল্কের মতো কাপড় ব্যবহার করা হয়। শিফন, ভিসকস, ধুপিয়ান ক্রেপ, জর্জেট, সিল্ক, ভালো মানের নেটের আরাম পাওয়া যায় এমন কাপড় বেছে নেওয়া হয়। গরমে কোনোভাবেই ভারী ও সিনথেটিক কাপড়ের পোশাক পরা উচিত নয়। অন্যদিকে সুতি কাপড় সব থেকে আরামের হলেও এটি সব জায়গার জন্য মানানসই হয় না। এক্ষেত্রে শিফনের কাপড় বেছে নেন। শিফনের কাপড় সবকিছুতেই আভিজাত্য নিয়ে আসে।

নকশা হিসেবে কাপড়ের ওপর ব্লক, স্প্রে-বাটিক, স্ক্রিন প্রিন্ট, টাই-ডাই, অ্যাপলিকের কাজ করা হয়। কখনো আবার দেখা যায় এমব্রয়ডারি বা হাতের কাজের ব্যবহার। তা ছাড়া পোশাকের কাট আর প্যাটার্নে থাকে আধুনিকতার ছোঁয়া। পোশাকে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে বিভিন্ন ডিজাইনের লেস অথবা রঙিন রিবন ব্যবহার করা হয়। গলার ডিজাইনের জন্য গোল গলা, ত্রিভুজাকার গলা, হাইনেক বা পাঞ্জাবি কলারে ডিজাইন করা হয়। এ ছাড়া হাইনেক, রাউন্ড ও ভি-গলার পোশাকও পাওয়া যায়।

এই গরমে হালকা রঙের পোশাক বেছে নেওয়া সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। হালকা রঙের পোশাক পরলে আরাম পাওয়া যায়, সেই সঙ্গে চোখকেও প্রশান্তি দেয়। এর ভেতর সাদা রঙের পোশাক গরমের জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক। কারণ, এর তাপ শোষণের ক্ষমতা খুব কম। কালো বা গাঢ় রঙের পোশাক অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে। তাই এ রঙের কাপড় না পরাই ভালো। সাদার পাশাপাশি হলুদ, ধূসর ও লাল রঙের কাপড় শরীর ঠাণ্ডা রাখে। তাই গরমের জন্য গোলাপি, জলপাই সবুজ, আকাশি, হালকা ম্যাজেন্টা, হালকা নীল, ফিরোজা, হালকা সবুজ, পেস্ট ধরনের উজ্জ্বল কিন্তু হালকা রঙগুলো বেছে নেয়া যেতে পারে।

গরমের পোশাক সম্পর্কে দেশীয় ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস জানান, গরমের সময়টাতে পোশাকে স্বস্তির জন্য স্লিভলেসকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। আর ফ্যাব্রিক হিসেবে সুতি, লিনেন, বিভিন্ন প্রিন্টকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেমি লং ও ফ্রক আকৃতির কামিজের ট্রেন্ড চলছে এখন। কলিদার এই কামিজগুলো তৈরি করা হয়েছে নানা ছাঁটে। প্রতিটি কলিতে ভিন্ন রং ও নকশার ব্লকপ্রিন্টের ব্যবহার এনেছে অভিনবত্ব।

এ ছাড়া হালকা কাজের ওপর একরঙা স্লিভলেস কুর্তির গলায় হালকা কাজও রয়েছে। গলার নিচে কামিজের বডির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরপর দু-তিনটি ভিন্ন রঙের কাপড় ব্যবহার করে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। কেউ চাইলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে স্লিভলেস পোশাক পরতে পারেন। আর যারা স্লিভলেসে অভ্যস্ত নন তারাও চাইলে ছোট গলার সঙ্গে খানিকটা চওড়া ঘাড়ের স্লিভলেস পোশাক পরতে পারেন।

কোথায় পাবেন
বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে নানা ডিজাইনের নারীদের স্লিভলেস পোশাক পাওয়া যায়। ওয়েস্টার্ন আউটফিটের হাউস যেমন- ক্যাটস আই, ইয়োলো, লা রিভ এ বিভিন্ন কাটিংয়ের স্লিভলেস পোশাক পাওয়া যায়। দেশীয় ফ্যাশন হাউজ অঞ্জন’স রঙ বাংলাদেশ, বিশ্বরঙেও খুঁজে পাবেন আপনার পছন্দের স্লিভলেস পোশাকটি। এ ছাড়া বসুন্ধরা শপিং মল,যমুনা ফিউচার পার্ক, মৌচাক মার্কেট, চাঁদনি চক, গাউছিয়া ও নিউমার্কেটে পাওয়া যাবে স্লিভলেস পোশাক। চাইলে গজ কাপড় কিনেও বানিয়ে নিতে পারেন মনের মতো স্লিভলেস পোশাকটি।

কলি

অন্দরের সজ্জায় মোমের স্নিগ্ধতা

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
অন্দরের সজ্জায় মোমের স্নিগ্ধতা

আপনার ঘরের অন্দরমহলকে আরেকটু ভিন্নরূপে সাজাতে বেছে নিতে পারেন মোম। অন্ধকার ঘরে আলোর প্রয়োজনে, ঘরকে সজ্জিত করতে কিংবা ঘরের শোভা বাড়িয়ে তুলতে মোমবাতির জুড়ি নেই। শৌখিন মানুষ ঘর সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে খুব পছন্দ করেন। তাদের জন্য মোম হতে পারে ঘর সাজিয়ে রাখার চমৎকার একটি উপকরণ। এ সম্পর্কে লিখেছেন তামিম হাসান

শুধু সাজাতে নয়, ঘরকে সুবাসিত করতে নানা রঙের সুগন্ধি মোমবাতি রয়েছে। একসময় শুধু সাদা রঙের লম্বা মোমবাতিই দেখা যেত বাজারে। ব্যবহার করা হতো শুধু অন্ধকার দূর করতে। তবে সময়ের সঙ্গে মোমবাতির নকশায় এসেছে নতুনত্ব। একসময়ের প্রয়োজনীয় এই মোমবাতি এখন হয়ে উঠেছে ঘর সাজানোর শৌখিন অনুষঙ্গ। ঘরে স্নিগ্ধ ও নরম আলো দেওয়ার পাশাপাশি ঘরের বাতাস মিষ্টি ঘ্রাণে ভরিয়ে তোলে এই সুগন্ধি মোমবাতি।

খুবই অল্প খরচে আপনার ঘরে আনতে পারেন শৈল্পিকতার ছোঁয়া। আজকাল বাজারে নানা রকম শৌখিন মোম পাওয়া যায়। ক্রেতাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন আকৃতির মোম তৈরি করা হয় বিভিন্ন নান্দনিক দোকানগুলোয়। এসব মোম দিয়ে অনায়াসে আপনার ঘর সাজিয়ে ফেলতে পারেন। বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে মোম জ্বালিয়ে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে পারেন আপনার বাড়ির ইন্টেরিয়রকে। বাজারে বিভিন্ন আকার ও বাহারি রঙের মোমবাতি বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে, তবে এসব ব্যবহার করতে হয় যত্নসহকারে।

সাধারণত এক রঙা লম্বা মোমের নকশায় এসেছে ভিন্নতা। বর্তমানে এক রঙা মোমের পাশাপাশি লম্বা মোমে বিভিন্ন রং ব্যবহার করে বাড়তি নকশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া গোলাপ, সূর্যমুখীসহ নানা রকম ফুলের আকৃতির মোমের পাশাপাশি স্টার, ফলের আকৃতি, হার্ট এবং রাউন্ড শেপসহ বিভিন্ন নকশাদার মোম তৈরি করা হচ্ছে, যা শুধু অন্ধকার দূর করার জন্য নয়, বরং ঘর সাজানোর উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হয়। তাছাড়া গোলাকার, চারকোনা, পিলারাকৃতি, তারকাকৃতি, পিরামিডাকৃতিসহ পেয়ে যাবেন নানা ফুল-ফলের আকৃতির নকশাদার মোম। আবার বাজারে দেখা যায় গ্লাস-জার মোম নামের একপ্রকার মোম, যেখানে কাচের জারের ভেতরে থাকে বাহারি রঙের সব মোমবাতি।

কী উদ্দেশ্যে মোমবাতি ব্যবহার করবেন, তা আগে ঠিক করে নিন। খাবার টেবিলে যে মোমবাতি রাখবেন, সেই মোমবাতি দিয়ে ঘর সাজালে দেখতে ভালো লাগবে না। ঘর সাজানোর জন্য সুগন্ধি মোমবাতির ব্যবহার অত্যধিক। এসব মোমবাতি ব্যবহারের সময় বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার। সুন্দর আবহ তৈরিতে ল্যাভেন্ডার বা হানিসেন্টেড অ্যারোমা থেরাপি ক্যান্ডেল (মোমবাতি) আদর্শ। বসার ঘরে কিংবা অন্দরে শোবার ঘরে এটি ব্যবহার করতে পারেন। মোমবাতির আকারের ওপর নির্ভর করে কোন উৎসবে কোন মোমবাতি ব্যবহারের উপযুক্ত। ঘরের কর্নার এবং সেন্টার টেবিলে ফুলের পানিতেও সাজাতে পারেন মোমবাতি দিয়ে। এক্ষেত্রে ছোট ছোট মোম নির্বাচন করাই ভালো। বাসায় অতিথি এলেই জ্বালিয়ে নিতে পারেন।

মোমবাতি সজ্জার সঙ্গে অ্যারোমাথেরাপি
অ্যারোমাথেরাপি মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে। আর অ্যারোমাথেরাপির অন্যতম উপাদান হচ্ছে সুগন্ধি মোম, সুগন্ধি তেল, প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া বিভিন্ন গাছের নির্যাস। অ্যারোমাথেরাপিতে মোমবাতি ব্যবহার করে, আপনি থেরাপিউটিক সুবিধা যেমন মানসিক প্রশান্তি এবং ভালো ঘুমের জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করতে পারবেন।

বেডরুমে মোমবাতি কোথায় রাখবেন
আপনার বেডসাইড টেবিলে, একটি অলংকৃত প্লেটের ওপরে বা বাটিতে বেশ কয়েকটি মোমবাতি রাখুন। তাছাড়া আপনার ড্রেসিং টেবিলের ওপরে মোমবাতি রাখতে পারেন। আপনার আনুষঙ্গিক এবং অন্য আইটেমগুলোর মধ্যে একটি আয়নার ট্রের ওপরে কয়েকটি মোমবাতি রাখতে পারেন।

দৃষ্টিনন্দন মোমদানি
মোমবাতির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে একই সঙ্গে কিনে নিতে পারেন দৃষ্টিনন্দন মোমদানি। বাজারে পাওয়া যাবে কাঠ, মাটি এবং বিভিন্ন ধাতবের তৈরি মোমদানি। এই মোমদানিগুলোতেও রয়েছে নানারকম বৈচিত্র্য।

মোম সজ্জায় সতর্কতা
মোমবাতিগুলোকে তীব্র বায়ু প্রবাহ, সংকুচিত এলাকা, পোষা প্রাণী এবং শিশুদের থেকে দূরে রাখুন। এ ছাড়া পর্দার কাছে, তাক বা ক্যাবিনেটের নিচে বা মেঝেতে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা এড়িয়ে চলুন। মোমবাতি ঘরের স্থিতিশীল, তাপ প্রতিরোধী স্থানে স্থাপন করা উচিত।

কলি

গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখবে যে খাবারগুলো

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখবে যে খাবারগুলো

প্রচণ্ড গরমে পানিশূন্যতা ও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। গরমের সঙ্গে লড়তে হলে দরকার প্রচুর শক্তি। না হলে সারা দিন পরিশ্রান্ত ও দুর্বল লাগে। তাই এ সময় সুস্থ থাকতে চাইলে খেতে হবে এমন কিছু খাবার, যা শরীর ঠাণ্ডা রাখবে। তীব্র তাপপ্রবাহে আরাম দেবে কোন কোন খাবার, সেই সম্পর্কে জানাচ্ছেন সানজিদা রিমু 

পান্তা ভাত
পান্তা ভাতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এ ছাড়া রয়েছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট। ফ্যাটি অ্যাসিড এবং কার্বোহাইড্রেটের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি বৈশিষ্ট্য আমাদের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। সারা রাত পানিতে ভেজানোর ফলে ভিটামিন-বি টুয়েলভের মাত্রা বেড়ে যায়। যে কারণে দূর হয় ক্লান্তি ও অনিদ্রা।

পুদিনা পাতা 
এই গরমে পুদিনার চাটনি, পুদিনার শরবত কিংবা পুদিনা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। সালাদের সঙ্গেও মেশাতে পারেন পুদিনা পাতা। আবার পুদিনা পাতা গুঁড়া করে ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। চায়ের সঙ্গেও খেতে পারেন পুদিনা পাতা।

শাকসবজি
বাজারে এখন ঝিঙ্গা, চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, শজনে ডাঁটা, শাকের ডাঁটা ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। চাইলে এগুলোকে পাতলা ঝোল করে রান্না করে খেতে পারেন। এ ছাড়া লাউ খেতে পারেন। লাউ ওজন কমায় ও হজমে সহায়তা করে। তাই লাউ সেদ্ধ করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। লাউ স্যুপ করে খেতে পারেন। এই খাবারগুলো একদিকে যেমন আপনার পুষ্টির চাহিদা জোগাবে, অন্যদিকে শরীরে গরম অনুভব করাবে না। সবুজ তাজা শাকসবজিও গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখে। যেমন- পালংশাক, পুঁইশাক, লেটুস, পুদিনা, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি। এ সময় দুপুরে বা রাতের খাবারে সালাদ হিসেবে রাখতে পারেন।

ফলমূল
গরমে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করার জন্য ফলমূল খাওয়া উচিত। স্ট্রবেরি, শসা, জাম ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। তবে বাংলাদেশের বাজারে এই সময় তরমুজে ভরপুর থাকে। তাই গরমের ফল হিসেবে তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। কারণ, তরমুজে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পানি থাকে। তাছাড়া এই ফলে ক্যালরিও খুব কম। যারা ওজন কমাতে চান, তারা খাবার তালিকায় তরমুজ রাখতে পারেন। তরমুজ উচ্চ লাইকোপেনসমৃদ্ধ, যা ক্যানসারের কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে। এর আঁশ হজমে সহায়তা করে এবং ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে সহায়তা করে।

নিরাপদ পানি
গরমে নিরাপদ পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। কারণ গরমের সময় ঘাম ও প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে সোডিয়াম, পটাশিয়াম বের হয়ে যায়। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার বা ১২ থেকে ১৩ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
কাঁচা আমের শরবত
কাঁচা আমের মধ্যে ভিটামিন-সি থাকে। কাঁচা আমের সঙ্গে মরিচ যুক্ত না করে যদি এটিকে শরবত হিসেবে খাওয়া যায়, তাহলে গরম কম অনুভব হতে পারে।

টক দই
গরমকালে খুবই উপকারী খাবার হচ্ছে টক দই। কারণ, এতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরকে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাকস্থলীকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন টক দই খাওয়া যেতে পারে। টক দই খালিও খাওয়া যায়, আবার টক দইকে পানি দিয়ে গুলিয়েও খাওয়া যায়। অথবা টক দইয়ের সঙ্গে শসাও খাওয়া যেতে পারে।

ডিটক্স ওয়াটার
গরমের সময় ভারী খাওয়ার পর ডিটক্স খাবার খাওয়া যেতে পারে। ডিটক্স ওয়াটার হলো- পানি, লেবুর রস, শসা, গাজর, পুদিনা ইত্যাদির রসের সমন্বয়ে তৈরি একধরনের পানীয়।

ডাবের পানি
ডাবের পানিতে রয়েছে প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটস। সেই সঙ্গে এনার্জি বাড়াতেও সহায়তা করে এটি। তাই গরমে স্বস্তি পেতে নিয়মিত ডাবের পানি পান করুন।

তোকমা দানা
এটি প্রাকৃতিকভাবেই গরম দূর করে। দেহের তাপমাত্রা সঠিক পর্যায়ে ধরে রাখে। তীব্র গরমেও তাপমাত্রা অসহনীয় হবে না। দুধের সঙ্গে মিলিয়ে তোকমা দানা খাওয়া যায়। এ ছাড়া লেবুর রসের সঙ্গে পিংক সল্ট মিশিয়ে শরবত করে খাওয়া যায়।

লেবুর শরবত
লেবুর শরবত গরমে আপনাকে প্রশান্তি দেবে। লেবুর রস, আখের গুড় অথবা চিনি এবং তার সঙ্গে সামান্য বিট লবণ মিশিয়ে তৈরি করা যায় লেবুর শরবত। তবে বাইরে থেকে ফিরেই ঠাণ্ডা বা বরফ দেওয়া শরবত খাবেন না যেন। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। লেবু খাবারের সঙ্গে, লেবু পানি হিসেবে, লেমোনেড করে বা সালাদের মধ্যে দিয়ে খেতে পারেন। লেবুর ভিটামিন-সি এই গরমে ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

তরমুজ, বাঙ্গিজাতীয় ফলের প্রায় ৭০ শতাংশই পানি। এগুলো খেলে পানির সঙ্গে পাবেন পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন-বি। গরমে আমও খুব ভালো ফল। আম খেলে পানিশূন্যতা যেমন দূর হয়, তেমনি এটি শক্তি ও ক্যালরি জোগায়। লেবু শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। লেবু খাবারের সঙ্গে, লেবু পানি হিসেবে, লেমোনেড করে বা সালাদের মধ্যে দিয়ে খেতে পারেন। লেবুর ভিটামিন-সি এই গরমে ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

কলি

 

গরমে ব্যাগে যা রাখবেন

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০২:৫২ পিএম
গরমে ব্যাগে যা রাখবেন
মডেল: নিশা, ছবি: শরিফ মাহমুদ

গ্রীষ্মের তীব্র খরতাপে জীবন অতিষ্ঠ। বিরূপ এ আবহাওয়ায় নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজন সতর্কতা ও যত্নের। এই গরমেও যাদের নিয়মিত বাইরে যেতে হয়, তাদের ব্যাগের দিকে নজর দেওয়া উচিত। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে তাই বাইরে বের হওয়ার আগে ব্যাগে গুছিয়ে নিন প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস। তা নিয়ে লিখেছেন হাসিবা আক্তার 

পানির বোতল
গরমের অন্যতম সমস্যা প্রচুর ঘাম হওয়া। ঘামের কারণে শরীর থেকে পানি বের হয়, ফলে শরীরে দেখা দেয় পানিশূন্যতা। আবার প্রচুর ধুলোবালি ও ঘামের কারণে অস্বস্তি তৈরি হয়। তাই অফিস ব্যাগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হিসেবে অবশ্যই একটা পানির বোতল রাখবেন, অস্বস্তি ভাবের উদ্রেক হলেই মুখে পানি দিতে পারেন কিংবা নিজেকে হাইড্রেট রাখার জন্য কিছুক্ষণ পরপরই পানি পান করতে পারেন। যদি সুযোগ থাকে তাহলে পানির মধ্যে লবণ-চিনি বা গ্লুকোজ মেশান এতে উপকার পাবেন। সম্ভব হলে সঙ্গে প্যাকেট স্যালাইন রাখুন। পানির সঙ্গে শসার কুচি, আদারি কুচি, পুদিনা পাতা, লেবু মিশিয়ে ডিটক্স ওয়াটার বানাতে পারেন। এটিও শরীর হাইড্রেট রাখতে চমৎকার কাজ করবে। তবে কোনোভাবেই ঠাণ্ডা পানি পান করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না, তাই এটিকে এড়িয়ে চলতে হবে। 

সানস্ক্রিন
ত্বকের জন্য রোদ বেশ ক্ষতিকর। তাই রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে হলে ব্যবহার করতে হবে এসপিএফযুক্ত (সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর) সানস্ক্রিন। গরমে ভেতরে বা বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন এই সানস্ক্রিন দেওয়াটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বাইরে বের হওয়ার ২০-৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এবং ঘড়ি ধরে দুই ঘণ্টা পরপর তা রিঅ্যাপ্লাই করাও জরুরি, তা না হলে ত্বকের পরিপূর্ণ সুরক্ষা সম্ভব নয়। মনে করে অবশ্যই বাইরে বের হওয়ার সময় ব্যাগে নিন সানস্ক্রিন। কার্যকারিতা বজায় রাখতে অবশ্যই সানস্ক্রিন নতুন করে ব্যবহার করতে হবে।

ছাতা কিংবা সাদা স্কার্ফ
প্রখর রোদ আর হঠাৎ করে আসা বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ছাতার প্রয়োজনীয়তা অনেক। রোদে ছাতা ব্যবহার করলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পাওয়া যায়। এতে করে কালচে দাগ পড়ার ভয়টা কম থাকে। মনে করে ব্যাগে ছাতা রাখুন যদি ছাতাকে অতিরিক্ত ঝামেলা মনে হয়, তবে বাইরে বের হওয়ার সময়টুকুতে অন্তত মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার করুন।

রোদচশমা
রোদ থেকে চোখকে রক্ষা করতে চাই রোদচশমা। এ ছাড়া ধুলোবালি থেকে চোখকে বাঁচাবে এটি। তাই বের হওয়ার আগে অবশ্যই ব্যাগে রাখতে হবে রোদচশমা।

টিস্যু পেপার
গরমে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা ভোগে বেশি। কেননা ঘাম হয় বেশি এবং তাতে মুখ তেলতেলে হয়ে এক ধরনের অস্বস্তি হয়, ফলে চেহারার অবস্থা বাজে হয়ে যায়। টিস্যুর ব্যবহার হতে পারে ভালো সমাধান। তাই ব্যাগে সব সময় টিস্যু রাখুন। গরমের সময় এটি ঘাম মোছার কাজে সাহায্য করবে। এ ছাড়া বাজারে নানা ধরনের ভেজা টিস্যু পেপার পাওয়া যায়। সেগুলো থেকে পছন্দমতো টিস্যু সঙ্গে রাখতে পারেন।

পারফিউম
ঘাম থেকে সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধ, অফিসে থাকাকালীন এ ধরনের দুর্গন্ধ হতে পারে নিজের বা অন্যদের অস্বস্তির কারণ। তাই সঙ্গে রাখা প্রয়োজন পারফিউম বা বডি স্প্রে। দীর্ঘসময় বাইরে থাকলে একটু স্প্রে করে নিলে সতেজ অনুভূত হবে।

 কলি 

অফিস থেকে পার্টিতে

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
অফিস থেকে পার্টিতে
মডেল: জেসিয়া, পোশাক ও ছবি: লা রিভ

অফিস শেষে দাওয়াত, পার্টি বা বন্ধুদের আড্ডা থাকতেই পারে। ব্যস্ততার কারণে কখনো হয়তো অফিস শেষে এসব দাওয়াত এড়িয়ে যেতে হয়। আবার অনেক সময় অফিসের পোশাক পরেই অনুষ্ঠানে চলে যাওয়া যায় না। এ ছাড়া পার্টির জন্য আলাদা পোশাক বয়ে বেড়ানোও অনেক সময় সম্ভব হয় না। তাই অফিসের পোশাকে কিছুটা পরিবর্তন করে অনায়াসে পাওয়া যেতে পারে নিজের পছন্দসই পার্টি লুক। আর এমন পোশাক অফিসের গাম্ভীর্যও ধরে রাখবে। এই নিয়ে লিখেছেন শাহিনুর আলম কলি

আমাদের দেশে করপোরেট অফিসগুলোতে পশ্চিমা পোশাকের ব্যবহার আগের চেয়ে এখন অনেক বেড়েছে। স্কার্ট, ফরমাল শার্ট, ফতুয়া, টপ, বিভিন্ন প্যান্ট, পালাজ্জো, ব্লেজার ইত্যাদি পরতে হয়। ফরমাল প্যান্ট-স্যুট পরার চল রয়েছে।

তাই প্রথমে অফিসের পরিবেশের সঙ্গে যায় এমন ওয়েস্টার্ন পোশাক বেছে নিন, যেটা পরেই পার্টিতে যেতে পারেন। যদি অফিসের প্যান্ট বা স্কার্ট একটু গাঢ় রঙের হয়, তবে হালকা পেস্ট, স্কাই গোলাপি রঙের শার্ট বা টপস পরতে পারেন। এ ছাড়া প্যান্টের সঙ্গে বিভিন্ন ডিজাইনের মানানসই টপসও বেছে নিতে পারেন। শার্ট বা টপস পরলে ফরমাল স্যুট বেছে নিতে পারেন। লং কামিজের সঙ্গে লেগিংস বেছে নিতে পারেন। রঙের ক্ষেত্রে মেরুন, সবুজ, হলুদ, সাদার পাশাপাশি কমলা, বাদামির মতো উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরতে পারেন। এ ছাড়া প্লেন ওড়না বা স্কার্ফ বদলে একটু জমকালো ওড়না বা স্কার্ফ পরে নিতে পারেন। অফিসে যদি শাড়ি পরতে হয় তাহলে ব্লাউজের ডিজাইনে কিছুটা বৈচিত্র্য আনতে পারেন।

খেয়াল রাখতে হবে যেন কাপড়ে বেশি ভাঁজ না পড়ে। বেশি ফরমাল বা ক্যাজুয়াল না থেকে সেমি ক্যাজুয়াল লুকেও থাকতে পারেন, সঙ্গে গহনা পরতে পারেন যা আপনার পোশাকের সঙ্গে মানানসই। সুতি, জর্জেট, লিনেন, সিল্ক কিংবা হাফ সিল্ক প্রায় সবধরনের কাপড়ের তৈরি  পোশাক যার প্যাটার্ন বা কাটে বিভিন্নতা থাকবে তেমন পোশাক বেছে নিন। বাহারি রঙ, ডিজাইন আর কাটিংয়ে বৈচিত্র্য আপনার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে পারে।

এ ছাড়া জুতা ও ব্যাগের ক্ষেত্রেও কিছুটা ভিন্নতা এনে পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে আপনার লুকটা সাজাতে পারেন। খুব কড়া ধাঁচের কিছু পরা ঠিক নয় অফিসে। কিন্তু অফিস থেকে বের হয়ে নিজের লুকে কিছুটা ভিন্নতা আনতে পারেন।

প্রতিবছরই মেয়েদের জন্য ডিজাইনাররা নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করেন। যা পার্টি বা অফিসের জন্য বেশ মানানসই। এই ধারায় দেশের অন্যতম ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড লা রিভ নতুন ডিজাইনের পোশাক লঞ্চ করেছে নাইন-টু-নাইন বা অফিস-টু-পার্টিওয়্যারের বিশেষ কালেকশন হিসেবে।

নারী ও পুরুষদের জন্য ডিজাইন করা এই কালেকশনে থাকছে অফ হোয়াইট, প্যাস্টেল ও সি গ্রিন, গোলাপি, সাদা, হলুদ, কমলা, কালো ও নীলের নিউট্রাল এবং ডিপ শেডের কম্বিনেশন। ফেব্রিক হিসেবে ব্লেন্ডেড ও প্রিমিয়াম কোয়ালিটির মার্সেরাইজড কটন, জর্জেট, ক্রেপ, ভিসকস-ব্লেন্ড, প্রিমিয়াম ফেইলির মতো অ্যান্টি-রিঙ্কেল কাপড়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এতে করে এই পোশাকগুলো অফিসের ব্যস্ততার পরেও কুঁচকে যাবে না। মিনিমাল প্রিন্ট ও রুচিশীল কারুকাজে বিশেষ নজর রেখেছে তারা।

নাইন টু নাইনের এই কালেকশনে পাওয়া যাবে নারীদের টপস, শার্ট, মিড-লেংথ টিউনিক, কামিজ, সালোয়ার-কামিজসহ ম্যাচিং পালাজ্জো ও প্যান্টস স্টাইল। পুরুষের জন্য থাকছে ফরমাল ও বিজনেস ক্যাজুয়াল শার্ট, পোলো ও টিশার্ট, জিন্স ও চিনোস প্যান্ট। পোশাক ছাড়াও ম্যাচিং ব্যাগ, স্যান্ডেল, লোফার, লেদার বেল্ট, ওয়ালেট ও ইউনিসেক্স ল্যাপটপ ব্যাগের আয়োজনও রাখা হয়েছে।

কলি 

কাঁচা আমের আচার

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০২:৩২ পিএম
কাঁচা আমের আচার

আমের সময় এখন। গরমের মধ্যে কাঁচা আমের স্বাদের কোনো তুলনা হয় না। এ সময় আমের আচার বিভিন্ন উপায়ে তৈরি করে, সংগ্রহ করা হয়। বাড়িতে সহজেই বানাতে পারেন আমের আচার। এবার কাঁচা আমের আচারের কয়েকটি রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী সুতপা দে 

কাঁচা আমের কাশ্মীরি আচার 

উপকরণ

কাঁচা আম ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, আদা (চিকন করে ফালি করা) ২ টেবিল চামচ, লাল শুকনা মরিচ ৯-১০টি (ভেতরের বিচিগুলো ফেলে কুচি করে কেটে নিতে হবে), চুন (পান খাওয়ার) ২ টেবিল চামচ, পানি ১ লিটার, ভিনেগার আধা কাপ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী। 

প্রণালি

প্রথমে আমগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে খোসা ছাড়িয়ে, ফালি করে কেটে নিন। এবার আমগুলোকে ৪-৫ ঘণ্টা চুনের পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ভালোভাবে কচলিয়ে পরিষ্কার করে, পানি ঝরিয়ে নিন। এবার চুলায় ১টি প্যান বসান। প্যানে চিনি আর ২ কাপ পানি দিয়ে নাড়ুন। এরপর ভিনেগার ও লবণ দিন। পানি ফুটে উঠলে আদা ফালি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে আমগুলো দিয়ে দিন। আধা সেদ্ধ হলে শুকনা মরিচগুলো দিয়ে দিন। এবার যতক্ষণ পর্যন্ত আমগুলো সিদ্ধ হয়ে সোনালি রং না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমগুলো কম আঁচে জ্বাল দিন। হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। নরমাল ফ্রিজে রেখে ৬ মাস খেতে পারবেন। রোদে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

কাঁচা আমের ঝুরি আচার 

উপকরণ
কাঁচা আম ২৫০ গ্রাম, বোঁটা ছাড়া শুকনা মরিচ ৭-৮টি, রসুনের কোয়া ৬টি, সরিষা ২ টেবিল চামচ, সাদা ভিনেগার ৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি দেড় কাপ, হলুদ গুঁড়া ১চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ৩ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ। 

প্রণালি
ব্লেন্ডারে শুকনা মরিচ গুঁড়া সরিষা ও রসুনের কোয়া, সাদা ভিনেগার দিয়ে ব্লেন্ড করুন। পেঁয়াজ একদম মিহি করে কুচি করে কাটুন। আমের খোসা ছাড়িয়ে ঝুরি করে কাটুন। ঝুরি আম দুই হাতে চেপে চেপে ভেতরে থাকা পানি বের করুন। এবার আমের সঙ্গে মিহি করে কুচি করা পেঁয়াজ, হলুদের গুঁড়া, লবণ, চিনি, মরিচের গুঁড়া দিয়ে তৈরি মসলা ও তেল দিয়ে সব মিশ্রণ আলতো হাতে মাখিয়ে নিন। মিশ্রণটি ছড়ানো প্লেটে ছড়িয়ে দিয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে নিন। শুকানো হয়ে গেলে পরিষ্কার কাচের বয়ামে রেখে দিন। একটি কড়াইতে ২ কাপ সরিষার তেল হালকা গরম করে, বয়ামে ঢেলে নিন। তেল ঠাণ্ডা হলে বয়ামের মুখ বন্ধ করে দিন। দেড় বছর পর্যন্ত ভালো থাকবে এই আচার। মাঝে মাঝে বয়াম রোদে দেবেন।

আমের টক-ঝাল-মিষ্টি আচারি

উপকরণ

আম ১ কেজি, গুড় ২৫০ গ্রাম, চিনি ৪ টেবিল চামচ,রসুনের কোয়া ১০-১৫টি, সরিষার তেল ১ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা চামচ, সিরকা ৩ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ১ চা চামচ, শুকনা মরিচ ৪টি, মৌরি, জিরা, শুকনা মরিচ ও পাঁচফোড়ন সমান অনুপাতে নিয়ে একসঙ্গে করা গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ।

প্রণালি
আম খোসাসহ টুকরা করে কেটে নিয়ে পানিতে ঘণ্টাখানেক ভিজিয়ে রাখুন। যাতে আমের কষ বের হয়ে যায়। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে পাঁচফোড়ন, শুকনা মরিচ ও রসুনের কোয়া দিয়ে নাড়াচাড়া করে আম দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রান্না করার পর আদাবাটা, সরিষা বাটা, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, সিরকা ও লবণ দিয়ে দিন। এরপর গুড় ও চিনি দিয়ে আবার কিছুক্ষণ রান্না করুন। রান্না করার পর চুলার আঁচ কমিয়ে দিয়ে এতে আগে থেকে করে রাখা মসলা মিশ্রণের গুঁড়া দিয়ে মৃদু আঁচে ১০ মিনিট রেখে নামিয়ে নিন। এবার শুকনা ও জীবাণুমুক্ত বয়ামে ঢেলে রেখে দিন।

কলি