এই গরমে আরাম টি-শার্টে । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

এই গরমে আরাম টি-শার্টে

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
এই গরমে আরাম টি-শার্টে
মডেল: মোর্শেদ ও পারভেজ,ছবি: শরিফ মাহমুদ

এই গরমে জীবনের প্রয়োজনে বাইরে বের হতেই হচ্ছে। ছেলেদের যেহেতু বাইরে একটু বেশিই দৌড়াতে হয়, তাই এমন পোশাক বেছে নিতে হবে যাতে ফ্যাশনটাও ঠিক থাকে, আবার আরামদায়কও হয়। সে ক্ষেত্রে টি-শার্ট হতে পারে এই গরমে আদর্শ পোশাক। বর্তমানে ফ্যাশনেবল ও আরামদায়ক পোশাক হিসেবে টি-শার্ট সব বয়সী মানুষের কাছেই বেশ জনপ্রিয়। একঘেয়ে ফরমাল পোশাক থেকে বের হয়ে একটু আরামদায়ক পোশাক পরতে চাইলে টি-শার্টের জুড়ি নেই। দিন দিন টি-শার্টের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। শুধু কলেজ-ভার্সিটি পড়ুয়া নন, অফিসগামীরাও বেছে নিচ্ছেন এই গরমে টি-শার্ট। গরমের টি-শার্ট সম্পর্কে জানাচ্ছেন ফাতেমা ইয়াসমিন

প্রকারভেদ
বর্তমানে দেশে এখন দুই ধরনের টি-শার্ট আছে। একটি হলো বাইরের দেশ থেকে আমদানি করা, অন্যটি দেশে তৈরি। সাধারণত ফরমাল টি-শার্টে কোনো কলার বা বোতাম থাকে না। সাধারণত গোল ও ভি আকৃতির গলা হয়ে থোকে। হাতার লেন্থ ছোট-বড় হতে পারে। টি-শার্টে কটন, ভিসকস ও নিট ফেব্রিকস কাপড় ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া সুতি, পলিয়েস্টারসহ বিভিন্ন কাপড়ের টি-শার্টও পাওয়া যায়। অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় গরমে টি-শার্টের চাহিদা বেশি থাকে।

সুতি কাপড়ের টি-শার্ট সব থেকে বেশি আরামদায়ক। টি-শার্টে এমন কাপড় বেছে নিন যা হালকা-পাতলা, সেই সঙ্গে বাতাস চলাচলে উপযোগী। যেমন গোল গলা বা ভি গলা হলে ভালো হয়। নজর দিন রঙের দিকে, গরমে যখন টি-শার্ট বেছে নেবেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এর রঙের দিকে। অতি উজ্জ্বল রং আপনাকে আরও গরম অনুভূতি দেবে। তাই গরমে হালকা রঙের টি-শার্ট বেছে নেওয়াই উত্তম। এ সময় পরার উপযোগী রং হিসেবে হালকা নীল, সবুজ, জলপাই, অ্যাশ, সাদা, ফিরোজা ইত্যাদি বেছে নেওয়া হয়। কালো রং এড়িয়ে যাওয়াই ভালো কারণ কালো রং তাপ শোষণ করে বেশি।

ডিজাইন কেমন হতে পারে
টি-শার্ট মূলত একরঙা ও চেকের হয়। প্রিয় কোনো ব্যক্তিত্ব, কবিতার লাইন, বিখ্যাত কোনো চলচ্চিত্রের ছবি, সুন্দর কোনো দৃশ্য ও লোগো নকশার টি-শার্টও বেশ চলে। ছেলেদের টি-শার্টে পকেট একটু বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া টি-শার্টের গলা ও কাঁধে বাড়তি স্ক্রিন প্রিন্টের নকশা দেখা যায়। একই নকশা পলো টি-শার্টেও আছে। স্ট্রাইপ পলো টি-শার্ট এবং পুরো বডিতে ছোট ছোট মোটিফের ছাপও চোখে পড়ে। টি-শার্টের নকশায় ট্রেন্ডকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। বর্তমানে মজাদার সব মেসেজ আর প্রাঙ্ক কার্টুনের তৈরি টি-শার্টই এখন খুব চলছে। হ্যান্ড পেইন্টের টি-শার্টের চাহিদাও অনেক। এ ছাড়া প্রকৃতি, দেশ, বিখ্যাত ব্যক্তির প্রতিকৃতি, উক্তিও ডিজাইনে স্থান পেয়েছে।

কোথায় কী দামে পাবেন
বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, নিউ মার্কেট, ফরচুন শপিং মল, কর্ণফুলী মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, যমুনা ফিউচার পার্কসহ নিউ এলিফ্যান্ট রোডের বিভিন্ন দোকানে টি-শার্ট পাবেন। তবে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে বিশেষ ডিজাইন, লোগো ও বাটিক প্রিন্টের টি-শার্টের রয়েছে বিশাল সংগ্রহ। টি-শার্টের দাম মূলত নির্ভর করে রং, ফেব্রিক্স ও ডিজাইনের ওপর।

আজিজ মার্কেটের টি-শার্টগুলো ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। যারা একটু ব্র্যান্ডের টি-শার্ট চাচ্ছেন তারা এ ছাড়া ফ্যাশন হাউস লা-রিভ, ক্যাটস আই, মেনজক্লাব, ওয়েস্টিন, টেক্সমার্ট, জেন্টেল পার্ক, ইস্টওয়ে, ইনফিনিটিসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে ঘুরে দেখতে পারেন। ৫০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। যারা আরও কম দামে কিনতে চাইছেন তার যেতে পারেন নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা কলেজের সামনে, নিউমার্কেট এলাকায়, বায়তুল মোকাররম মার্কেটের সামনে, ফার্মগেট, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী অনেক দোকানে। সেখানে নানা রং ও নকশার টি-শার্ট পাবেন ১২০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে।

কলি 

গরমে ঢিলেঢালা পোশাক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
গরমে ঢিলেঢালা পোশাক


গরমের এই সময়টা আরাম দেয় ঢিলেঢালা পোশাক। একটা সময় ফিটিং জামা-কাপড় পরলেও গত কয়েক বছরে ঢিলেঢালা পোশাক তরুণীদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর্তমানে ঢিলেঢালা পোশাকই ট্রেন্ডি, ফ্যাশনেবল এবং আরামদায়ক। কামিজ, কুর্তা বা ওয়েস্টার্ন পোশাকের ক্ষেত্রে নারীরা পছন্দ করছেন এই পোশাক। এবারের পোশাক নিয়ে লিখেছেন তামান্না মুন 

গরমের সময় কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, টপস সব পোশাকই ঢিলেঢালা পরাই শ্রেয়। এ ধরনের পোশাক শরীরে বাতাস চলাচল করতে সাহায্য করে। পোশাক বেশি আঁটসাঁট হলে গরমে দম ফেলানো বেশ কষ্টকর হয়ে যায়। টি-শার্ট, ফতুয়া, কুর্তি, সালোয়ার, কামিজ কিংবা শাড়ি যা-ই পরুন না কেন টাইট ফিটিং না পরে একটু ঢিলেঢালা পোশাক পরলে আরাম পাওয়া যায় ও গরম কম লাগে।

পোশাকের কাটিং সঙ্গে ফেব্রিক হতে হবে আরামদায়ক। এ সময় শিফন, সুতি, ক্রেপড জর্জেট, সিল্ক, লিনেন, ভালো মানের নেটের তৈরি পোশাকগুলোয় স্বস্তি মেলে। তবে গরমে এগিয়ে আছে সুতি। এই কাপড়ে নতুন অধ্যায়ে এসেছে ভিসকসের মাধ্যমে। সুতির সঙ্গে ভিসকসের মিশ্রণের ফলে পোশাক হয় নরম ও আরামদায়ক। এ ছাড়া ফ্লপ কটনও পরতে পারেন। ফ্লপ কটন অনেকটা জর্জেট কাপড়ের মতো। তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। পশ্চিমা পোশাকে অনেক প্যাটার্ন খুব ভালোভাবে ফুটে এই কাপড়ে। অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিতে পারেন শিফনের পোশাক। এই কাপড় পরতেও যেমন আরামের, তেমনি দিনে বা রাতের অনুষ্ঠানে মানিয়ে যায়। কাপড়টি নরম হলেও চকচকে ভাব থাকে। 

অবশ্যই পোশাকে যাতে খুব বেশি ভারী কাজ না করা থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হালকা বা ফুলের প্রিন্ট, ছাপা নকশা পোশাকে বেশি স্বস্তি দেয়। কারণ এগুলো কাপড়কে অনেকটাই হালকা রাখে। জ্যামিতিক ডিজাইনের পোশাক কিছু বছর ধরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যদি কেউ ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ সার্কেল, পিরামিড এ ধরনের ডিজাইন পছন্দ করেন তাহলে অনায়াসে বেছে নিতে পারেন জ্যামিতিক ডিজাইনের পোশাক।

আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বিবেচনায় রেখে গরমে পরার জন্য ফ্যাশন ব্র্যান্ড সারা লাইফস্টাইল এনেছে ঢিলেঢালা পোশাক। গরমে চোখের আরামের জন্য কাপড়ের রং বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও প্রাধান্য দিয়েছেন তারা।

ফ্যাশন ব্র্যান্ড সারা লাইফস্টাইলের হেড অব ডিজাইন শামীম রহমান বলেন, নারীদের জন্য রয়েছে হালকা রঙের ঢিলেঢালা কামিজ ও টপস কাফতান। আমরা সবার জন্য ঢিলেঢালার মধ্যে পোশাক নকশা করার চেষ্টা করেছি। গরমের জন্য নীল, অফ হোয়াইট ও লেমন রংকে এবার প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।’

গরমের দিনে পোশাকের রং এমন হওয়া উচিত যেটা রোদের তাপ কম শোষণ করে বাইরের তাপমাত্রা থেকে শরীরকে রক্ষা করবে। তাই গাঢ় রং যেমন- কালো, লাল, হলুদ এ ধরনের রঙের পরিবর্তে হালকা রঙের কাপড় গরমের জন্য সবচেয়ে ভালো। এতে দেখতে যেমন প্রশান্তি লাগে তেমনি গরম কমাতেও বেশ কার্যকর। সাদা, ধূসর, বাদামি, সবুজ, ফিরোজা এ ধরনের হালকা রঙের পোশাক বেছে নিতে পারেন। হালকা রং গরম আটকে রাখে না দীর্ঘসময়। তাই গরম অনুভব হয় কম। যারা ওয়েস্টার্ন পরেন তাদেরও রঙের বিষয়টি সমানভাবে মাথায় রাখতে হবে। ফুল হাতা পোশাক না পরে স্লিভলেস কিংবা হাফহাতা পোশাক পরলে আরাম পাবেন।

পোশাকের ব্র্যান্ড বিশ্বরঙ, কে ক্র্যাফট, অঞ্জন’স, দেশাল, বিবিয়ানা, নিপুণ, রঙ বাংলাদেশ, হরীতকী, সরলা, কারভিকিউসহ বিভিন্ন অফলাইন ও অনলাইন ব্র্যান্ডে পাওয়া যাচ্ছে গরমে স্বস্তি দেবে এমন ঢিলেঢালা পোশাক। এ ছাড়া পছন্দমতো কাপড় দিয়ে পোশাক বানাতে চাইলে কাপড় কিনতে যেতে পারেন চাঁদনী চক, গাউছিয়া, নিউমার্কেট, গুলিস্তান, বসুন্ধরা সিটিতেও। এসব মার্কেট ছাড়াও সুতি কাপড় ছোট-বড় অনেক মার্কেটেই পাওয়া যায়। ফ্যাশনের জন্য সুতি কাপড় কিনে নিজের পছন্দমতো ডিজাইন, লেস, বোতাম, ইয়োক দিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায় গরমের পোশাক। লেস, বোতাম, ইয়োক ব্যবহারে করে পোশাক আনতে পারেন নান্দনিকতার ছোঁয়া। 

কলি

কানের আলোকিত যত লুক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
কানের আলোকিত যত লুক

ফ্রান্সের কান শহরে বসেছে চলচ্চিত্র বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক আয়োজন ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। গত মঙ্গলবার কান উৎসবের ৭৭তম আসরের পর্দা উঠেছে । সম্মানিত অতিথি হিসেবে এই আয়োজন উদ্বোধন করেন তিনবার অস্কারজয়ী আমেরিকান অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ। শোবিজ দুনিয়ার অন্যতম বড় চলচ্চিত্র উৎসব এটি। ১২ দিনব্যাপী আনন্দঘন পরিবেশে তারকাদের এ মিলনমেলা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। বরাবরের মতো এবারও লাল গালিচায় আলো ছড়াবেন হলিউড-বলিউডসহ বিশ্বের নামিদামি তারকারা। আজকের বিশ্ব ফ্যাশন নিয়ে লিখেছেন শাহিনুর আলম কলি

আশনা হাবিব ভাবনা
প্রথমবারের মতো এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। কারুকাজ করা নেভি ব্লু গাউনে অভিনেত্রীকে বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে। নজরকাড়া পোশাক ও চোখধাঁধানো অভিনব লুকে নজর কেড়েছে সবার। পুরো সাজে ছিল স্নিগ্ধ আমেজ। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে লালগালিচায় তিনি পরেছিলেন অভিনব কাক মোটিফের একটি পোশাক। বেইজ ও কালো এই দুই রঙের সমন্বয়ে তৈরি টু পিস পোশাকে ছিল থাই হাই স্লিট ফ্লেয়ার্ড স্কার্ট ও সুইটহার্ট নেকলাইনের করসেট টপ। দারুণ ফিটিংয়ের টপের ওপর উড়ে যাওয়ার ভঙ্গিমায় বসে আছে একটি কাক! সঙ্গে ছিল কালো অপেরা গ্লাভস। গ্লাভসের সঙ্গে পেছনে আলাদা কাপড় যোগ করে জ্যাকেটের ভাইব দেওয়া হয়েছিল। ভাবনাকে সুন্দর পোশাকটি বানিয়ে দিয়েছে দেশি এক্সক্লুসিভ ডিজাইনার ওয়্যার ব্র্যান্ড তানাশ।

গ্রেটা গারউইগ
বিভাগের বিচারকদের প্রধান ‘বার্বি’র পরিচালক গ্রেটা গারউইগ। প্রথম দিন ফরাসি লাক্সারি ফ্যাশন ব্র্যান্ড স্যঁ লরার লাল সিকুইন গাউন পরে হাজির হয়েছিলেন। ডিপ ভি-নেকলাইন ও মিডল হাই স্লিটের ডিজাইনের গাউনটিতে তাকে বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে। গাউনের সঙ্গে বেছে নিয়েছিলেন সেন্ট লরেন্ট লির জুতা এবং চোপার্ড ব্র্যান্ডের জুয়েলারি। দ্বিতীয় দিন ম্যাড ম্যাক্স সাগা প্রিমিয়ারে লাল রঙের গাউনে ধরা দেন গ্রেটা। এখানেও তিনি চোপার্ডের হাউটের হীরার নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি বেছে নিয়েছিলেন।

মেরিল স্ট্রিপ
সম্মানিত অতিথি হিসেবে এই আয়োজন উদ্বোধন করেন তিনবার অস্কারজয়ী আমেরিকান অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ। অনুষ্ঠানে তাকে দেওয়া হয়েছে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম। সবার চোখ ছিল মেরিল স্ট্রিপের দিকেই। উৎসবটিতে এ নিয়ে মাত্র দুবার দেখা দিলেন তিনি। ১৯৮৯ সালে কানের ৪২তম আসরে ‘এভিল অ্যাঞ্জেলস’ চলচ্চিত্রের সুবাদে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে ফটোকলে মাইকেল করস ব্র্যান্ডের সাদা ব্লেজার ও ট্রাউজার পরে হাজির হন মেরিল। হাতে ছিল সাদা ক্লাচ। চোখে কালো ফ্রেমের চশমা।

লিলি গ্ল্যাডস্টোন
আমেরিকান অভিনেত্রী লিলি গ্ল্যাডস্টোন উৎসবের প্রথম দিন গুচি ব্র্যান্ডের লম্বা সাদা শার্ট পরেছিলেন। এই পোশাকের সঙ্গে কোমরে বেল্ট ছিল। পায়ে পরেছিলেন মেরুন রঙা হিল। চুলগুলো মাঝ দিয়ে সিঁথি করে রেখেছিলেন। লিপস্টিকে ভেজা ঠোঁট। কানে গোলাকার রঙিন দুল। এমন ছিমছাম সাজেই দারুণ স্নিগ্ধ লাগল তাকে। রাতে রেড কার্পেটে তিনি গুচি ব্র্যান্ডের কালো সিকুইনের গাউন পরেছিলেন। পুরো পোশাকে ছিল নিখুঁত সিকুইনের কাজ। ডিপনেক সিকুইনের পোশাকটি নজর কাড়ে সবার। 

হেইডি ক্লুম
গ্ল্যামারাস স্টাইলে জার্মান হাইরি ক্লুমের লাল গাউন পরে লালগালিচায় হাঁটেন। মডেল হাইরি ক্লুমের গ্ল্যামারাস অফ দ্য শোল্ডার গাউনটি ডিজাইনার সাইদ কোবেইসি ডিজাইন করেছেন। রেড কার্পেটে হাঁটার পর, হেইডি ক্লুম অফিসিয়াল গালা ডিনারের জন্য পোশাক পরিবর্তন করেছিলেন। এখানে তিনি কালো রঙের অফ শোল্ডার গাউন বেছে নেন। গাউনে কোমরের কাট-আউট ছিল।

কলি 

অন্দরের সজ্জায় মোমের স্নিগ্ধতা

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
অন্দরের সজ্জায় মোমের স্নিগ্ধতা

আপনার ঘরের অন্দরমহলকে আরেকটু ভিন্নরূপে সাজাতে বেছে নিতে পারেন মোম। অন্ধকার ঘরে আলোর প্রয়োজনে, ঘরকে সজ্জিত করতে কিংবা ঘরের শোভা বাড়িয়ে তুলতে মোমবাতির জুড়ি নেই। শৌখিন মানুষ ঘর সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে খুব পছন্দ করেন। তাদের জন্য মোম হতে পারে ঘর সাজিয়ে রাখার চমৎকার একটি উপকরণ। এ সম্পর্কে লিখেছেন তামিম হাসান

শুধু সাজাতে নয়, ঘরকে সুবাসিত করতে নানা রঙের সুগন্ধি মোমবাতি রয়েছে। একসময় শুধু সাদা রঙের লম্বা মোমবাতিই দেখা যেত বাজারে। ব্যবহার করা হতো শুধু অন্ধকার দূর করতে। তবে সময়ের সঙ্গে মোমবাতির নকশায় এসেছে নতুনত্ব। একসময়ের প্রয়োজনীয় এই মোমবাতি এখন হয়ে উঠেছে ঘর সাজানোর শৌখিন অনুষঙ্গ। ঘরে স্নিগ্ধ ও নরম আলো দেওয়ার পাশাপাশি ঘরের বাতাস মিষ্টি ঘ্রাণে ভরিয়ে তোলে এই সুগন্ধি মোমবাতি।

খুবই অল্প খরচে আপনার ঘরে আনতে পারেন শৈল্পিকতার ছোঁয়া। আজকাল বাজারে নানা রকম শৌখিন মোম পাওয়া যায়। ক্রেতাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন আকৃতির মোম তৈরি করা হয় বিভিন্ন নান্দনিক দোকানগুলোয়। এসব মোম দিয়ে অনায়াসে আপনার ঘর সাজিয়ে ফেলতে পারেন। বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে মোম জ্বালিয়ে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে পারেন আপনার বাড়ির ইন্টেরিয়রকে। বাজারে বিভিন্ন আকার ও বাহারি রঙের মোমবাতি বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে, তবে এসব ব্যবহার করতে হয় যত্নসহকারে।

সাধারণত এক রঙা লম্বা মোমের নকশায় এসেছে ভিন্নতা। বর্তমানে এক রঙা মোমের পাশাপাশি লম্বা মোমে বিভিন্ন রং ব্যবহার করে বাড়তি নকশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া গোলাপ, সূর্যমুখীসহ নানা রকম ফুলের আকৃতির মোমের পাশাপাশি স্টার, ফলের আকৃতি, হার্ট এবং রাউন্ড শেপসহ বিভিন্ন নকশাদার মোম তৈরি করা হচ্ছে, যা শুধু অন্ধকার দূর করার জন্য নয়, বরং ঘর সাজানোর উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হয়। তাছাড়া গোলাকার, চারকোনা, পিলারাকৃতি, তারকাকৃতি, পিরামিডাকৃতিসহ পেয়ে যাবেন নানা ফুল-ফলের আকৃতির নকশাদার মোম। আবার বাজারে দেখা যায় গ্লাস-জার মোম নামের একপ্রকার মোম, যেখানে কাচের জারের ভেতরে থাকে বাহারি রঙের সব মোমবাতি।

কী উদ্দেশ্যে মোমবাতি ব্যবহার করবেন, তা আগে ঠিক করে নিন। খাবার টেবিলে যে মোমবাতি রাখবেন, সেই মোমবাতি দিয়ে ঘর সাজালে দেখতে ভালো লাগবে না। ঘর সাজানোর জন্য সুগন্ধি মোমবাতির ব্যবহার অত্যধিক। এসব মোমবাতি ব্যবহারের সময় বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার। সুন্দর আবহ তৈরিতে ল্যাভেন্ডার বা হানিসেন্টেড অ্যারোমা থেরাপি ক্যান্ডেল (মোমবাতি) আদর্শ। বসার ঘরে কিংবা অন্দরে শোবার ঘরে এটি ব্যবহার করতে পারেন। মোমবাতির আকারের ওপর নির্ভর করে কোন উৎসবে কোন মোমবাতি ব্যবহারের উপযুক্ত। ঘরের কর্নার এবং সেন্টার টেবিলে ফুলের পানিতেও সাজাতে পারেন মোমবাতি দিয়ে। এক্ষেত্রে ছোট ছোট মোম নির্বাচন করাই ভালো। বাসায় অতিথি এলেই জ্বালিয়ে নিতে পারেন।

মোমবাতি সজ্জার সঙ্গে অ্যারোমাথেরাপি
অ্যারোমাথেরাপি মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে। আর অ্যারোমাথেরাপির অন্যতম উপাদান হচ্ছে সুগন্ধি মোম, সুগন্ধি তেল, প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া বিভিন্ন গাছের নির্যাস। অ্যারোমাথেরাপিতে মোমবাতি ব্যবহার করে, আপনি থেরাপিউটিক সুবিধা যেমন মানসিক প্রশান্তি এবং ভালো ঘুমের জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করতে পারবেন।

বেডরুমে মোমবাতি কোথায় রাখবেন
আপনার বেডসাইড টেবিলে, একটি অলংকৃত প্লেটের ওপরে বা বাটিতে বেশ কয়েকটি মোমবাতি রাখুন। তাছাড়া আপনার ড্রেসিং টেবিলের ওপরে মোমবাতি রাখতে পারেন। আপনার আনুষঙ্গিক এবং অন্য আইটেমগুলোর মধ্যে একটি আয়নার ট্রের ওপরে কয়েকটি মোমবাতি রাখতে পারেন।

দৃষ্টিনন্দন মোমদানি
মোমবাতির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে একই সঙ্গে কিনে নিতে পারেন দৃষ্টিনন্দন মোমদানি। বাজারে পাওয়া যাবে কাঠ, মাটি এবং বিভিন্ন ধাতবের তৈরি মোমদানি। এই মোমদানিগুলোতেও রয়েছে নানারকম বৈচিত্র্য।

মোম সজ্জায় সতর্কতা
মোমবাতিগুলোকে তীব্র বায়ু প্রবাহ, সংকুচিত এলাকা, পোষা প্রাণী এবং শিশুদের থেকে দূরে রাখুন। এ ছাড়া পর্দার কাছে, তাক বা ক্যাবিনেটের নিচে বা মেঝেতে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা এড়িয়ে চলুন। মোমবাতি ঘরের স্থিতিশীল, তাপ প্রতিরোধী স্থানে স্থাপন করা উচিত।

কলি

গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখবে যে খাবারগুলো

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখবে যে খাবারগুলো

প্রচণ্ড গরমে পানিশূন্যতা ও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। গরমের সঙ্গে লড়তে হলে দরকার প্রচুর শক্তি। না হলে সারা দিন পরিশ্রান্ত ও দুর্বল লাগে। তাই এ সময় সুস্থ থাকতে চাইলে খেতে হবে এমন কিছু খাবার, যা শরীর ঠাণ্ডা রাখবে। তীব্র তাপপ্রবাহে আরাম দেবে কোন কোন খাবার, সেই সম্পর্কে জানাচ্ছেন সানজিদা রিমু 

পান্তা ভাত
পান্তা ভাতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এ ছাড়া রয়েছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট। ফ্যাটি অ্যাসিড এবং কার্বোহাইড্রেটের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি বৈশিষ্ট্য আমাদের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। সারা রাত পানিতে ভেজানোর ফলে ভিটামিন-বি টুয়েলভের মাত্রা বেড়ে যায়। যে কারণে দূর হয় ক্লান্তি ও অনিদ্রা।

পুদিনা পাতা 
এই গরমে পুদিনার চাটনি, পুদিনার শরবত কিংবা পুদিনা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। সালাদের সঙ্গেও মেশাতে পারেন পুদিনা পাতা। আবার পুদিনা পাতা গুঁড়া করে ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। চায়ের সঙ্গেও খেতে পারেন পুদিনা পাতা।

শাকসবজি
বাজারে এখন ঝিঙ্গা, চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, শজনে ডাঁটা, শাকের ডাঁটা ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। চাইলে এগুলোকে পাতলা ঝোল করে রান্না করে খেতে পারেন। এ ছাড়া লাউ খেতে পারেন। লাউ ওজন কমায় ও হজমে সহায়তা করে। তাই লাউ সেদ্ধ করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। লাউ স্যুপ করে খেতে পারেন। এই খাবারগুলো একদিকে যেমন আপনার পুষ্টির চাহিদা জোগাবে, অন্যদিকে শরীরে গরম অনুভব করাবে না। সবুজ তাজা শাকসবজিও গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখে। যেমন- পালংশাক, পুঁইশাক, লেটুস, পুদিনা, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি। এ সময় দুপুরে বা রাতের খাবারে সালাদ হিসেবে রাখতে পারেন।

ফলমূল
গরমে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করার জন্য ফলমূল খাওয়া উচিত। স্ট্রবেরি, শসা, জাম ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। তবে বাংলাদেশের বাজারে এই সময় তরমুজে ভরপুর থাকে। তাই গরমের ফল হিসেবে তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। কারণ, তরমুজে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পানি থাকে। তাছাড়া এই ফলে ক্যালরিও খুব কম। যারা ওজন কমাতে চান, তারা খাবার তালিকায় তরমুজ রাখতে পারেন। তরমুজ উচ্চ লাইকোপেনসমৃদ্ধ, যা ক্যানসারের কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে। এর আঁশ হজমে সহায়তা করে এবং ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে সহায়তা করে।

নিরাপদ পানি
গরমে নিরাপদ পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। কারণ গরমের সময় ঘাম ও প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে সোডিয়াম, পটাশিয়াম বের হয়ে যায়। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার বা ১২ থেকে ১৩ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
কাঁচা আমের শরবত
কাঁচা আমের মধ্যে ভিটামিন-সি থাকে। কাঁচা আমের সঙ্গে মরিচ যুক্ত না করে যদি এটিকে শরবত হিসেবে খাওয়া যায়, তাহলে গরম কম অনুভব হতে পারে।

টক দই
গরমকালে খুবই উপকারী খাবার হচ্ছে টক দই। কারণ, এতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরকে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাকস্থলীকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন টক দই খাওয়া যেতে পারে। টক দই খালিও খাওয়া যায়, আবার টক দইকে পানি দিয়ে গুলিয়েও খাওয়া যায়। অথবা টক দইয়ের সঙ্গে শসাও খাওয়া যেতে পারে।

ডিটক্স ওয়াটার
গরমের সময় ভারী খাওয়ার পর ডিটক্স খাবার খাওয়া যেতে পারে। ডিটক্স ওয়াটার হলো- পানি, লেবুর রস, শসা, গাজর, পুদিনা ইত্যাদির রসের সমন্বয়ে তৈরি একধরনের পানীয়।

ডাবের পানি
ডাবের পানিতে রয়েছে প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটস। সেই সঙ্গে এনার্জি বাড়াতেও সহায়তা করে এটি। তাই গরমে স্বস্তি পেতে নিয়মিত ডাবের পানি পান করুন।

তোকমা দানা
এটি প্রাকৃতিকভাবেই গরম দূর করে। দেহের তাপমাত্রা সঠিক পর্যায়ে ধরে রাখে। তীব্র গরমেও তাপমাত্রা অসহনীয় হবে না। দুধের সঙ্গে মিলিয়ে তোকমা দানা খাওয়া যায়। এ ছাড়া লেবুর রসের সঙ্গে পিংক সল্ট মিশিয়ে শরবত করে খাওয়া যায়।

লেবুর শরবত
লেবুর শরবত গরমে আপনাকে প্রশান্তি দেবে। লেবুর রস, আখের গুড় অথবা চিনি এবং তার সঙ্গে সামান্য বিট লবণ মিশিয়ে তৈরি করা যায় লেবুর শরবত। তবে বাইরে থেকে ফিরেই ঠাণ্ডা বা বরফ দেওয়া শরবত খাবেন না যেন। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। লেবু খাবারের সঙ্গে, লেবু পানি হিসেবে, লেমোনেড করে বা সালাদের মধ্যে দিয়ে খেতে পারেন। লেবুর ভিটামিন-সি এই গরমে ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

তরমুজ, বাঙ্গিজাতীয় ফলের প্রায় ৭০ শতাংশই পানি। এগুলো খেলে পানির সঙ্গে পাবেন পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন-বি। গরমে আমও খুব ভালো ফল। আম খেলে পানিশূন্যতা যেমন দূর হয়, তেমনি এটি শক্তি ও ক্যালরি জোগায়। লেবু শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। লেবু খাবারের সঙ্গে, লেবু পানি হিসেবে, লেমোনেড করে বা সালাদের মধ্যে দিয়ে খেতে পারেন। লেবুর ভিটামিন-সি এই গরমে ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

কলি

 

গরমে ব্যাগে যা রাখবেন

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০২:৫২ পিএম
গরমে ব্যাগে যা রাখবেন
মডেল: নিশা, ছবি: শরিফ মাহমুদ

গ্রীষ্মের তীব্র খরতাপে জীবন অতিষ্ঠ। বিরূপ এ আবহাওয়ায় নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজন সতর্কতা ও যত্নের। এই গরমেও যাদের নিয়মিত বাইরে যেতে হয়, তাদের ব্যাগের দিকে নজর দেওয়া উচিত। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে তাই বাইরে বের হওয়ার আগে ব্যাগে গুছিয়ে নিন প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস। তা নিয়ে লিখেছেন হাসিবা আক্তার 

পানির বোতল
গরমের অন্যতম সমস্যা প্রচুর ঘাম হওয়া। ঘামের কারণে শরীর থেকে পানি বের হয়, ফলে শরীরে দেখা দেয় পানিশূন্যতা। আবার প্রচুর ধুলোবালি ও ঘামের কারণে অস্বস্তি তৈরি হয়। তাই অফিস ব্যাগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হিসেবে অবশ্যই একটা পানির বোতল রাখবেন, অস্বস্তি ভাবের উদ্রেক হলেই মুখে পানি দিতে পারেন কিংবা নিজেকে হাইড্রেট রাখার জন্য কিছুক্ষণ পরপরই পানি পান করতে পারেন। যদি সুযোগ থাকে তাহলে পানির মধ্যে লবণ-চিনি বা গ্লুকোজ মেশান এতে উপকার পাবেন। সম্ভব হলে সঙ্গে প্যাকেট স্যালাইন রাখুন। পানির সঙ্গে শসার কুচি, আদারি কুচি, পুদিনা পাতা, লেবু মিশিয়ে ডিটক্স ওয়াটার বানাতে পারেন। এটিও শরীর হাইড্রেট রাখতে চমৎকার কাজ করবে। তবে কোনোভাবেই ঠাণ্ডা পানি পান করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না, তাই এটিকে এড়িয়ে চলতে হবে। 

সানস্ক্রিন
ত্বকের জন্য রোদ বেশ ক্ষতিকর। তাই রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে হলে ব্যবহার করতে হবে এসপিএফযুক্ত (সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর) সানস্ক্রিন। গরমে ভেতরে বা বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন এই সানস্ক্রিন দেওয়াটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বাইরে বের হওয়ার ২০-৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এবং ঘড়ি ধরে দুই ঘণ্টা পরপর তা রিঅ্যাপ্লাই করাও জরুরি, তা না হলে ত্বকের পরিপূর্ণ সুরক্ষা সম্ভব নয়। মনে করে অবশ্যই বাইরে বের হওয়ার সময় ব্যাগে নিন সানস্ক্রিন। কার্যকারিতা বজায় রাখতে অবশ্যই সানস্ক্রিন নতুন করে ব্যবহার করতে হবে।

ছাতা কিংবা সাদা স্কার্ফ
প্রখর রোদ আর হঠাৎ করে আসা বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ছাতার প্রয়োজনীয়তা অনেক। রোদে ছাতা ব্যবহার করলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পাওয়া যায়। এতে করে কালচে দাগ পড়ার ভয়টা কম থাকে। মনে করে ব্যাগে ছাতা রাখুন যদি ছাতাকে অতিরিক্ত ঝামেলা মনে হয়, তবে বাইরে বের হওয়ার সময়টুকুতে অন্তত মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার করুন।

রোদচশমা
রোদ থেকে চোখকে রক্ষা করতে চাই রোদচশমা। এ ছাড়া ধুলোবালি থেকে চোখকে বাঁচাবে এটি। তাই বের হওয়ার আগে অবশ্যই ব্যাগে রাখতে হবে রোদচশমা।

টিস্যু পেপার
গরমে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা ভোগে বেশি। কেননা ঘাম হয় বেশি এবং তাতে মুখ তেলতেলে হয়ে এক ধরনের অস্বস্তি হয়, ফলে চেহারার অবস্থা বাজে হয়ে যায়। টিস্যুর ব্যবহার হতে পারে ভালো সমাধান। তাই ব্যাগে সব সময় টিস্যু রাখুন। গরমের সময় এটি ঘাম মোছার কাজে সাহায্য করবে। এ ছাড়া বাজারে নানা ধরনের ভেজা টিস্যু পেপার পাওয়া যায়। সেগুলো থেকে পছন্দমতো টিস্যু সঙ্গে রাখতে পারেন।

পারফিউম
ঘাম থেকে সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধ, অফিসে থাকাকালীন এ ধরনের দুর্গন্ধ হতে পারে নিজের বা অন্যদের অস্বস্তির কারণ। তাই সঙ্গে রাখা প্রয়োজন পারফিউম বা বডি স্প্রে। দীর্ঘসময় বাইরে থাকলে একটু স্প্রে করে নিলে সতেজ অনুভূত হবে।

 কলি