![যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ফের হামলায় ১৮০ জন নিহত](uploads/2023/12/02/1701497095.Gaza.jpg)
এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি বাহিনীর পুনরায় বোমাবর্ষণে গাজা উপত্যকায় ১৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং আরও কয়েকশ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ভোরে যুদ্ধবিরতি শেষ হলে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু হয়।
রয়টার্স জানায়, বোমাবর্ষণের ফলে এলাকার বাসিন্দারা গাড়িতে করে জিনিসপত্র নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন এবং পশ্চিমে আশ্রয়ের সন্ধান করছেন।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানায়, পুনরায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮৪ জন নিহত হয়েছে, এতে অন্তত ৫৮৯ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সারা দিন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা শহর এবং ছিটমহলের দক্ষিণ অংশে লিফলেট ফেলেছে। উপকূলীয় ছিটমহল থেকে গাজায় রকেট নিক্ষেপ করার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে। এ সময় তারা যুদ্ধ থেকে বাঁচতে বেসামরিকদের পালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়। তবে মানবাধিকার রক্ষাকারী সংস্থাগুলো বারবার সতর্ক করেছে যে, গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান নেই।
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবিক দপ্তরের মুখপাত্র জেনস লার্কে বলেন, ‘গাজায় পৃথিবীর নরক ফিরে এসেছে।’
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট (পিআরসিএস) এক্স-এ এক পোস্টে জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী সীমান্তে কাজ করা সব সংস্থাকে জানিয়েছে, গাজায় ট্রাক প্রবেশ আজ থেকে নিষিদ্ধ এবং তা পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত চলবে। এই সিদ্ধান্ত নাগরিকদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলবে। বাস্তুচ্যুতদের কষ্ট কমাতে মানবিক ও ত্রাণ সংস্থাগুলোকে আরও কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলবে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস আরব ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে হাজার হাজার আহত মানুষকে বাঁচাতে জরুরিভাবে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে।
এ সময় অফিসের মুখপাত্র সালামা মারুফ বলেন, ‘প্রতিদিন অন্তত এক মিলিয়ন লিটার জ্বালানিসহ একটি বড় সংখ্যক সাহায্যের ট্রাক জরুরিভাবে প্রয়োজন।’
২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিরতি দুবার বাড়ানো হয়। ইসরায়েল জানিয়েছিল যতদিন হামাস প্রতিদিন ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে পারে ততদিন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে। সূত্র : আলজাজিরা
ইসরাত/অমিয়/