![তরুণ-তরুণীকে সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করল জান্তা](uploads/2024/02/11/1707664671.mayanmar.jpg)
মায়ানমারের প্রাপ্তবয়স্ক সব তরুণ-তরুণীকে সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করেছে জান্তা সরকার। ১৮ বছরের বেশি সবাইকে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে অন্তত দুই বছর কাজ করতে হবে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে শনিবার এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০১০ সালে পাস হওয়া এই আইনে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সব পুরুষ ও ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী সব নারীকে অবশ্যই দুই বছর সামরিক পরিষেবা দেওয়ার বিধান রয়েছে। ডাক্তারদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৪৫ বছর এবং তাদেরকে তিন বছর সশস্ত্র বাহিনীর হয়ে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া চলমান জরুরি অবস্থার কারণে পরিষেবার সময়সীমা পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
জান্তা বাহিনীর মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জাতিকে রক্ষা করার দায়িত্ব সেনাদের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদেরও। আমি সবাইকে সামরিক পরিষেবা আইন অনুসরণের আহ্বান জানাই।’
আইন না মানলে জেল
দেশের সামরিক বাহিনীতে নাগরিকদের বাধ্যতামূলক যোগদানের বিধান রেখে ২০১০ সালে মিয়ানমারে আইন পাস হলেও এতদিন সেটি কার্যকর করা হয়নি। আইনটিতে দুই বছরের জন্য নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে চাকরি করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে আইনে এটাও বলা হয়েছে যে, জরুরি অবস্থায় সামরিক বাহিনীতে চাকরির এই মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। নাগরিকদের কেউ এই আইন না মেনে চাইলে একই মেয়াদে জেল খাটতে পারে বলেও আইনে বলা হয়েছে।
২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। এর পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন স্থানে লড়াই চলছে। জান্তা সরকার এমন সময় সামরিক পরিষেবা আইন প্রয়োগের পদক্ষেপ নিল, যখন দেশটির প্রায় অর্ধেক এলাকারই নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেছে। বিদ্রোহীরা বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনিক কাঠামোও স্থাপন করেছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি।