ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৯ এএম
ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে
ইসরায়েলের জুলিস সামরিক ঘাঁটিতে একটি ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাশে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একজন সদস্য দাঁড়িয়ে আছে। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ চালানোর কারণে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলকে সংঘাত আরও বড় করা থেকে ফিরিয়ে রাখতে চাইছে তারা। 

গত শনিবার ইরানের চালানো হামলায় ইসরায়েলে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে সামান্য। তবে এ থেকে ইরান ও ইসরায়েলের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ইরানের তিন শরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের সামরিক প্রধান হার্জি হালেভি। দেশের ভেতরও চাপের মুখে রয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। 

ইসরায়েলকে বড় মাপের এই জবাব দেওয়া থেকে ফিরিয়ে আনতে ইরানের বিরুদ্ধে আর্থিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। আসন্ন দিনগুলোতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি আশা করছে, তার মিত্ররাও একই পথ অনুসরণ করে তেহরানকে নিষেধাজ্ঞার চাপের মুখে ফেলবে। গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। 

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন জানান, তিনি মিত্রদের সঙ্গে কাজ করবেন। ইরানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থের জোগান বন্ধ করতে ওয়াশিংটন সব বিকল্প খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি। শিগগিরই যে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে যাচ্ছে, সেটিরও ইঙ্গিত দেন ইয়েলেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি-প্রধান জোসেফ বরেল ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি ভিডিও কনফারেন্স শেষে জানান, কিছু সদস্যদেশ ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পরিসর বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে। জোটের কূটনৈতিক সেবাকে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করারও আহ্বান জানিয়েছে ওই সদস্য দেশগুলো। 

গত মঙ্গলবারই ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানান, তিনি কূটনৈতিক আক্রমণের লক্ষ্যে কাজ করছেন। ৩২টি দেশকে তিনি চিঠি লিখে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে ও দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড কোরকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা দিতে বলেছেন। 

সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলার জবাব দিতে পাল্টা আক্রমণ করেছিল তেহরান। দেশটির পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, তারা এখন এ বিষয়টি মিটে গেছে বলেই মনে করছে। তবে ইসরায়েল যদি আবারও হামলা চালায়, তাহলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ‘যন্ত্রণাদায়ক’ জবাব দেওয়া হবে।

জো বাইডেন ইরানের হামলার পর পরই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে জানিয়েছেন যে তারা পাল্টা আক্রমণে কোনো সহায়তা করবেন না। গত মঙ্গলবার ফোনালাপে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক নেতানিয়াহুকে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়া কারও স্বার্থের জন্য মঙ্গলজনক নয় এবং এটি শুধু ওই অঞ্চলে অনিরাপত্তাকেই আরও বৃদ্ধি করবে। তিনি ‘মাথা ঠাণ্ডা’ রাখার পরামর্শও দেন। 

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া ইসরায়েলকে সংযত আচরণ করার জন্য দৃঢ়ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের সঙ্গে মঙ্গলবার আলাপ করেন তিনি।

অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইসরায়েল এবং ইরান-সমর্থিত দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষ হতে দেখা গেছে। ওই দলগুলো সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও ইরাকের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে। 

মঙ্গলবার দিনগত রাতে লেবাননের ভেতর আহত হয়েছে চার ইসরায়েলি সেনা। গাজা যুদ্ধের পর এবারই প্রথম স্থলভাগে ইসরায়েলি সেনারা লেবাননে প্রবেশ করেছে বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। গাজায় হতাহত থেমে নেই। সেখানেও নিজেদের তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ইসরায়েলি আক্রমণে গাজায় প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আক্রমণ করে হামাস। সে হামলায় মারা যায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি, হামাস সঙ্গে করে ২৫৩ জন জিম্মি গাজায়ও নিয়ে আসে। পরে হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্য নিয়ে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে সে অভিযানে তাদের নির্বিচার হামলায় বেসামরিক মানুষই প্রাণ হারিয়েছে বেশি। গাজার জনগোষ্ঠী গিয়ে পৌঁছেছে মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে। সূত্র: রয়টার্স

বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য দিল্লির কড়া বার্তা পেয়ে জবাব দিলেন ক্ষুব্ধ মমতা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৮ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১০ এএম
দিল্লির কড়া বার্তা পেয়ে জবাব দিলেন ক্ষুব্ধ মমতা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য নিয়ে ঢাকা থেকে ভারত সরকারের কাছে আপত্তি জানানো হয়। সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এরপরই বাংলাদেশের বিষয়টি একটি সার্বভৌম দেশের বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। রাজ্য সরকারের ওই প্রসঙ্গে কথা বলার কোনো এখতিয়ার নেই বলেও জানান জয়সওয়াল। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দিল্লি যাওয়ার পথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারকে পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, ‘আমাকে কিছু শেখাবেন না।’

দিল্লিতে বাংলাদেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আমি খুব ভালো জানি। আমি সাত বারের এমপি, দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। বিদেশনীতি অন্য কারও চেয়ে ভালো জানি। তাদের আমাকে শেখানো উচিত নয়। বরং তাদের পরিবর্তিত ব্যবস্থা থেকে শেখা উচিত।’

গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের ধর্মতলায় রাজনৈতিক সমাবেশে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে মমতা জানিয়েছিলেন, পড়শি দেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। তবে সেই সঙ্গে তিনি জানান, এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ, বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকার বলবে। সেই মন্তব্যের পরই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মমতার বিরুদ্ধে সরব হয়। ক্ষমতাসীন বিজেপির দাবি, মমতার এমন কথা বলার কোনো এখতিয়ার নেই।

মমতার মন্তব্যে আপত্তি জানায় ঢাকাও। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার ওই বক্তব্যের জেরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।’ পাশাপাশি তিনি এও জানান, এ ব্যাপারে ভারত সরকারকে ‘নোট’ দেওয়া হয়েছে।

পরে গত বৃহস্পতিবার জয়সওয়াল বাংলাদেশের কাছ থেকে পাওয়া ‘আপত্তিবার্তা’র কথা স্বীকার করেন। অন্যদিকে মমতাকেও কার্যত সংবিধানের পাঠ দিয়ে জানানো হয়েছে, অন্য কোনো দেশ বা বৈদেশিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার রাজ্য সরকারের নেই। সংবিধান সেই অধিকার দেয়নি রাজ্যকে। এ নিয়ে বলার এখতিয়ার শুধু ভারত সরকারেরই আছে। সেই প্রসঙ্গেই মমতা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আক্রমণ করেন।

‘সময় হয়েছে যুদ্ধ শেষ হওয়ার’

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০১ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০১ এএম
‘সময় হয়েছে যুদ্ধ শেষ হওয়ার’
ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তার এ অবস্থানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রাজনৈতিক অবস্থানের মিল রয়েছে।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে হ্যারিস বলেন, এ যুদ্ধ শেষ হওয়ার সময় হয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জো বাইডেন। তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা রয়েছে কমলা হ্যারিসের। আগামী মাসেই ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়ন পেতে পারেন হ্যারিস। 

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বিবৃতিতে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমরা দুর্ভোগের কারণে অসাড় হয়ে যেতে পারি না এবং আমি নীরব থাকব না।’ 

হ্যারিসের মন্তব্য তীক্ষ্ণভাবে করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। নভেম্বরের ৫ তারিখ তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এ রকম কড়া মনোভাব দেখাবেন কি না, সে বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে তেমন বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না।   

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েল। তারা ঘোষণা দিয়েছে হামাসকে নির্মূল করার। মূলত ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও প্রায় ১২০০ মানুষের কারণেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। 

কিন্তু যুদ্ধে ইসরায়েল নির্বিচার হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ৩৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে। যাদের বেশির ভাগই নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ।

আন্তর্জাতিক মহল থেকে এ নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তোলা হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ। উল্টো নেতানিয়াহু বরাবরই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, যুদ্ধ জিইয়ে রেখে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার অক্ষুণ্ন রাখতে চাইছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতির দায়ে নিজ দেশে তার যে বিচার হওয়ার কথা, সেটি এড়ানোর চেষ্টা করছেন।

এরই মধ্যে একাধিকবার ইসরায়েলি মিত্র যুক্তরাষ্ট্র গাজার যুদ্ধ নিয়ে তাদের সতর্ক করেছে। শুরু থেকে তারা ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসলেও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গোটা বিষয়টির সমাধান চাইছে। 

এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল দুই পক্ষকে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে কয়েক মাস ধরেই আলাপ করে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তারা মনে করছেন দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি খুব কাছে রয়েছে।

উল্টো গাজায় হামলার মাত্রা বেড়েছে। বিগত দিনগুলোতে প্রচুর আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার খান ইউনিস থেকে মানুষকে সরে যেতে বলে। তারা দাবি করে, ওই এলাকা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। 

এরপর যথেষ্ট সময় না দিয়েই শুরু করা হয় আক্রমণ। মানুষ ভয়ে পালাতে শুরু করে এবং অন্তত ৭০ জন প্রাণ হারায়। খান ইউনিসে এটি ইসরায়েলের দ্বিতীয় অভিযান। এর আগে চলতি বছরের শুরুতেও খান ইউনিসে হামলা চালিয়েছিল তারা। 

বাইডেন এর আগে নেতানিয়াহুকে বলেছিলেন, তার (নেতানিয়াহু) যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় শূণ্যস্থান পূরণে ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে কাজ শুরু করা উচিত।

নেতানিয়াহু কমলা হ্যারিসের রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করবেন। তবে হ্যারিস কী চাইছেন, তা পুরোপুরি স্পষ্ট। নিজ বক্তব্যে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা কীভাবে, সে বিষয়টি আমলে নিতে হবে।’ সূত্র: রয়টার্স

জাপানে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধস

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
জাপানে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধস
ছবি: সংগৃহীত

জাপানের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। শত শত বাসিন্দাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দেখা দেওয়া ওই বন্যা ও ভূমিধসে অঞ্চলটির পরিবহনব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এরই মধ্যে জাপানের ইয়ামাগাতা ও আকিতা অঞ্চলের কয়েকটি পৌরসভায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ অবস্থানে সরে যাওয়ার ও কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ তথ্যের ওপর মনোযোগ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর বলছে, বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে নৌকায় করে ১১ জনকে সরিয়ে নিয়েছেন শহরের উদ্ধারকর্মীরা। ইয়ামাগাতা প্রদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউজা ও সাকাতা শহর। বৃহস্পতিবার শহর দুটিতে এক ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটারের (৪ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

ওই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাকে উঁচু ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে কতজন সে পরামর্শ মেনেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এদিকে, আকিতা প্রদেশের ইউজাওয়া শহরে একটি সড়ক নির্মাণ সাইটে ভূমিধস হয়ে একজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। সূত্র: এপি 

পাকিস্তান 'সন্ত্রাস' দিয়ে আলোচনায় থাকতে চায়

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
পাকিস্তান 'সন্ত্রাস' দিয়ে আলোচনায় থাকতে চায়
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

পাকিস্তান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও প্রক্সি যুদ্ধের মাধ্যমে আলোচনায় থাকার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আরও বলেছেন, তাদের সেই ‘অপবিত্র পরিকল্পনা’ কখনো সফল হবে না।

পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েক দশক ধরেই ভালো সম্পর্ক নেই ভারতের। কাশ্মীরে ইসলামি উগ্রপন্থিদের তহবিল জোগান দেয় পাকিস্তান– এমন অভিযোগ তারা বহু আগে থেকেই করে আসছে। তবে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। তাদের কথা হলো– পাকিস্তান শুধু কাশ্মীরিদের কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়েছে।

কারগিল সংঘাতের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তান সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেন মোদি। হিমালয় অঞ্চল কারগিলে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সংঘাতে জড়িয়েছিল পাকিস্তান ও ভারত। এ ছাড়া দুই দেশ মোট তিনটি যুদ্ধে জড়িয়েছে বিভিন্ন সময়। তার মধ্যে দুটি কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে। চলতি বছরেও জম্মু ও কাশ্মীরে উগ্রবাদী হামলা হয়েছে। সে হামলায় প্রায় এক ডজন ভারতীয় সেনা মারা গেছে।

মোদি দাবি করেন, পাকিস্তান যখনই নিজ পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চেয়েছে, তখনই বিব্রত হয়েছে। দেশটি নিজ ইতিহাস থেকে কোনোকিছু শেখেনি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেওয়া হয়নি। 

২০১৯ সালের আগস্ট থেকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। এখনো সে অবস্থাই রয়েছে। কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার জেরে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল সেবার। 

কাশ্মীরে ভারতীয় সামরিক বহরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। সেটির সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক উগ্রবাদীদের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। পরে এর জেরে বিমান হামলাও চালায় ভারত।  

চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তান দাবি করে, তাদের হাতে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে ভারতীয় গুপ্তচররা পাকিস্তানের মাটিতে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। তবে ভারত সে দাবি অস্বীকার করে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানায়াম জয়শঙ্কর গত মাসে জানান, ভারত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের সমাধান খুঁজছে। এটি ভালো প্রতিবেশীর লক্ষণ হতে পারে না। সূত্র: বিবিসি 

ওবামা দম্পতির সমর্থন পেলেন কমলা হ্যারিস

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম
ওবামা দম্পতির সমর্থন পেলেন কমলা হ্যারিস
কমলা হ্যারিস ও বারাক ওবামা

কমলা হ্যারিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। শুক্রবার (২৬ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে তাকে ওই সমর্থন জানান তারা।

ওই বিবৃতিতে বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা জানান, কমলা হ্যারিসের ‘নিজস্ব দর্শন, স্বকীয়তা এবং শক্তি’ রয়েছে যা সংকটময় মুহূর্তে একজন প্রেসিডেন্টের থাকাটা খুব জরুরি।

কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এরই মধ্যে বেশির ভাগ ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধির সমর্থন পেয়েছেন। আগস্টে দলীয় সম্মেলনে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের মনোনয়ন দেওয়া হবে।

বাইডেন শুরুতেই সমর্থন দিয়েছেন কমলাকে। তবে এতদিন ওবামা কোনো সমর্থন দেননি। বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন ছিল। এর মধ্যে এমন কথাও শোনা গেছে যে কমলা অন্যদের সমর্থন পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ওবামা। কারণ তিনি মনে করছিলেন, কমলা হ্যারিস জিততে পারবেন না।

তবে সেসবের অবসান ঘটিয়েই এলো সমর্থনের খবর। সেখানে ওবামা দম্পতি জানিয়েছেন, কমলাকে জয়ী করতে ‘সম্ভাব্য সবকিছু’ করবেন তারা। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে একমত। তিনি কমলাকে বেছে নিয়ে সেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ সূত্র: বিবিসি