ঢাকা ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
English

ভারতের লোকসভা নির্বাচন : যা জানা জরুরি

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৯ এএম
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১০ এএম
ভারতের লোকসভা নির্বাচন : যা জানা জরুরি
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। 

লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

১. ভারতের লোকসভা হিসেবে পরিচিত নিম্নকক্ষে মোট আসন ৫৪৩টি। যদি কোনো দল বা জোটকে সরকার গঠন করতে হয়- তবে অবশ্যই তাদের কমপক্ষে ২৭২টি আসনে বিজয়ী হতে হবে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ৩০৩টি আসনে জয় লাভ করেছিল। বিপরীতে দেশটির প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস জয় পায় ৫২টি আসনে। 

২. এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি ২৮৪টি আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৪৪টি আসনে জয়। অথচ ২০০৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ২০৭টি আসনে জয়লাভ করে জোট সরকার গঠন করেছিল, সে সময় বিজেপি ১১৬টি আসনে জয়লাভ করে। ২০০৪-এর নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। সে সময় বিজেপি পেয়েছিল ১৩৮টি আসনে এবং কংগ্রেস জয় পেয়েছিল ১৪৬টি আসনে। পরে কংগ্রেস জোট সরকার গঠন করে। 

৩. রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও এবারের নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবেন তার ডেপুটি ও বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিরোধীদের মধ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তবে এবার কংগ্রেস দলের মূল কারিগর হিসেবে পরিচিত রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।

৪. নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরুর আগের মাসেই আবগারিসংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নির্বাচনের আগে তার জামিন পাওয়ার কথা থাকলেও শেষে আর তা হয়নি। তার দল আম আদমি পার্টি আশা করছে, দ্বিতীয় ধাপে ভোট গ্রহণের আগেই তিনি জামিনে মুক্তি পাবেন। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, তার গ্রেপ্তারের কারণে মোদিবিরোধী ইন্ডিয়া জোট নির্বাচনের আগে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থেকে কেজরিওয়াল জাতীয় নেতায় পরিণত হয়েছেন।  

৫. দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, এবারের নির্বাচনে ২ হাজার ৬০০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল অংশ নিতে যাচ্ছে। তবে গণমাধ্যমে আলোচনায় থাকবে বিজেপি, কংগ্রেস, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুসারে বিজেপির জয়লাভের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। দলটি এককভাবে ৩৭০টি আসনে এবং জোটগতভাবে ৪০০টিরও বেশি আসনে জয়লাভের আশা করছে। 

৬. বিজেপি নির্বাচনে জিতলেই তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদি। মেয়াদপূর্ণ করতে পারলে তিনি হবেন ১৫ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি। এর আগে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ১৬ বছর ৯ মাস প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তার কন্যা ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ১৫ বছর ১১ মাস।      

৭. ভারতের নির্বাচনে অংশ নিতে গেলে একজন প্রার্থীর ন্যূনতম বয়স হতে হয় ২৫ বছর। ১৮ বছরের বেশি হলেই একজন ব্যক্তি তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। দেশটির মোট ভোটার ৯৬ কোটি ৮০ লাখ। এর মধ্যে ৪৯ কোটি ৭০ লাখ পুরুষ ভোটার এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ৪৭ কোটি ১০ লাখ। ইউরোপের সব দেশ মিলে যে জনসংখ্যা, ভারতের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা এর থেকে বেশি। এ ছাড়া এবারের লোকসভা নির্বাচনে নতুন ভোটার হয়েছেন ১৮ কোটি ভারতীয়। যা যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশের ইতিহাসে রেকর্ড। 

বুদ্ধি চুরি করতে মানুষের মগজ খেতেন সিরিয়াল কিলার রাম নিরঞ্জন

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
আপডেট: ২৪ মে ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
বুদ্ধি চুরি করতে মানুষের মগজ খেতেন সিরিয়াল কিলার রাম নিরঞ্জন
ছবি: সংগৃহীত

বুদ্ধি চুরি করার উদ্দেশে মানুষের মগজ খাওয়া ভারতের উত্তরপ্রদেশের রাম নিরঞ্জন ওরফে রাজা কোলান্ডার নামে এক সিরিয়াল কিলারকে দ্বিতীয়বার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া রাজার শ্যালক ভক্ষরাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তাদের দুজনকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ মে) লখনৌর একটি আদালত ২৫ বছর পুরোনো একটি জোড়া খুনের মামলায় তাকে দ্বিতীয় বারের মতো যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন।

মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত উত্তরপ্রদেশের পুলিশ কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানায়, নিরঞ্জন মানুষ হত্যা করে খুলি সংরক্ষণ করে রাখতেন এবং মগজ খেতেন। তার বিশ্বাস ছিল এর ফলে তার শক্তি এবং বুদ্ধি বাড়বে।

জানা গেছে, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত রাজার শ্যালক ভক্ষরাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। ২০০০ সালের জানুয়ারিতে রায়বেরেলির মনোজ কুমার সিং (২২) ও তার গাড়িচালক রবি শ্রীবাস্তবকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় এ সপ্তাহের শুরুতে দুজনকেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

২০০০ সালে প্রয়াগরাজে সাংবাদিক ধীরেন্দ্র সিংয়ের মাথা কাটা দেহ উদ্ধারের পর প্রথম শিরোনামে আসেন ইতোমধ্যেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাম নিরঞ্জন। সে সময় তদন্তে হত্যা, মানুষের মাংস খাওয়া এবং অঙ্গচ্ছেদের এক ভয়াবহ ধারা উন্মোচিত হয়। তদন্তকারী দল এবং আদালত উভয়েই হত্যাকাণ্ডটিকে উত্তরপ্রদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস অপরাধ হিসাবে বর্ণনা করেছে।

যদিও ২০০১ সালে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল কিন্তু ২০১৩ সাল পর্যন্ত এর বিচার শুরু হয়নি। সাংবাদিক ধীরেন্দ্র সিং হত্যার তদন্ত করার সময় তদন্তকারীরা উল্লেখযোগ্য সূত্র খুঁজে পান।

২০০০ সালের ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে ধীরেন্দ্র সিংয়ের মাথাবিহীন দেহ পাওয়া গেলে নিরঞ্জনের ওপর সন্দেহের সৃস্টি হয়।

পিপরিতে নিরঞ্জনের খামারবাড়িতে অভিযানের সময় পুলিশ পাত্রে সংরক্ষিত মানুষের খুলি, কমপক্ষে ১৪টি খুনের বিবরণসহ একটি ডায়েরি এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র দেখতে পায়।

পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিরঞ্জন স্বীকার করে নেন যে, তিনি স্ত্রীকে ব্যবহার করে শিকারদের জালে ফেলে খামারবাড়িতে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করতেন। তার স্ত্রী একজন জেলা পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। সেই দৌলতে স্থানীয় রাজনীতিতেও প্রভাব খাটাতেন তিনি।

জিজ্ঞাসাবাদে নিরঞ্জন আরও জানান, তিনি তার সহকর্মী কালীপ্রসাদ শ্রীবাস্তবকে হত্যা করে মগজ খেয়ে ফেলেছিলেন। তার বিশ্বাস ছিল যে কায়স্থের বুদ্ধি তীক্ষ্ণ। সেই ঘিলু খেয়ে তাদের বুদ্ধি নিজের করে নিতে পারবেন। এ ছাড়া কীভাবে সে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করেছিলেন এবং বিভিন্ন স্থানে দেহাবশেষ ফেলে রেখেছিলেন এই বর্ণনাও দেন।

মেহেদী/

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ১৩ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম
আপডেট: ২৪ মে ২০২৫, ০৯:১২ পিএম
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ১৩ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

আবাসিক, শ্রম এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে এক সপ্তাহে ১৩ হাজার ১১৬ জন অবৈধ প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরবের পুলিশ।

শনিবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি।

এদের মধ্যে ৮১৫০ জনকে আবাসিক আইন লঙ্ঘন, ৩৩৪৪ জনকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টায় এবং ১৬২৪ জনকে শ্রম সম্পর্কিত আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, অবৈধভাবে প্রবেশ করা কোনো ব্যক্তিকে যদি কেউ আশ্রয় কিংবা যানবাহন সুবিধা দেয় তবে তাকে অন্তত ১৫ বছরের কারাদণ্ডসহ ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা, পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি এবং যানবাহন বাজেয়াপ্ত করা হবে।

এ ছাড়া আইন ভঙ্গকারী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মক্কা ও রিয়াদ অঞ্চল থেকে অভিযোগ জানাতে টোল ফ্রি  নম্বর  ৯১১ এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে অভিযোগ জানাতে ৯৯৯ অথবা ৯৯৬ নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে। সূত্র: আরব নিউজ

মেহেদী/

মায়ানমার উপকূলে নৌকাডুবিতে ৩০০ রোহিঙ্গার মৃত্যুর আশঙ্কা

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম
মায়ানমার উপকূলে নৌকাডুবিতে ৩০০ রোহিঙ্গার মৃত্যুর আশঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত

মায়ানমার উপকূলে রোহিঙ্গা যাত্রী নিয়ে রওনা হওয়ার পর দুটি নৌকা ডুবে গিয়ে অন্তত ৪২৭ রোহিঙ্গা নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনায় ৮৭ জন বেঁচে ফিরতে পারলেও বাকিদের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৩ মে) জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর)  বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত ৯ ও ১০ মে মায়ানমার উপকূলে রোহিঙ্গা যাত্রী নিয়ে রওনা হওয়ার পর নৌকা দুটি ডুবে যায়। 

বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর জানায়, এ মাসের শুরুতে মায়ানমার উপকূলে দুটি নৌকা দুর্ঘটনার খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। নৌকাডুবির সঠিক কারণ নিশ্চিত করার জন্য এখনও কাজ চলছে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে ৯ মে ২৬৭ জন যাত্রী নিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর একটি নৌকা ডুবে যায়। তাদের মধ্যে ৬৬ জন বেঁচে ফিরে আসতে সক্ষম হন। এর পর ১০ মে ২৪৭ জন রোহিঙ্গা নিয়ে দ্বিতীয় নৌকাটি ডুবে যায়। তাদের মধ্যে মাত্র ২১ জন বেঁচে ফিরে আসতে সক্ষম হন।

বিবৃতিতে বলা হয়, নৌকায় থাকা রোহিঙ্গারা হয়ত বাংলাদেশের কক্সবাজার শরণার্থী শিবির ছেড়ে যাচ্ছিল অথবা মায়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল।

ইউএনএইচসিআরের মতে, দুর্ঘটনায় সম্ভাব্য অধিকাংশ রোহিঙ্গাদের মৃত্যু এ বছরে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ‘সমুদ্রে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্র্যাজেডির’ ঘটনা। এর আগে ২০২৪ সালে এ অঞ্চলের জলসীমায় প্রায় ৬৫৭ জন রোহিঙ্গা মারা গেছেন।

২০১৭ সালে মায়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক হামলা শুরু করলে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সূত্র: আল জাজিরা

মেহেদী/

জার্মানিতে ছুরি হামলায় ১৮ জন আহত, গ্রেপ্তার ১ নারী

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
জার্মানিতে ছুরি হামলায় ১৮ জন আহত, গ্রেপ্তার ১ নারী
ছবি: সংগৃহীত

জার্মানির প্রধান বন্দর শহর হামবুর্গে ছুরি হামলায় ১৮ জনকে আহত করার অভিযোগে এক নারীকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।

শুক্রবার (২৩ মে) শহরের সেন্ট্রাল রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে ।

হামবুর্গ পুলিশ সংবাদমাধমকে জানায়, 'ওই নারী শুক্রবার সকালে হামবুর্গ সেন্ট্রাল স্টেশনে ঢুকে সামনে যাকেই পেয়েছেন তাকেই ছুরিকাঘাত করেন। পরে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি এবং এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। আপাতত আমাদের হাতে এর বেশি তথ্য নেই। তদন্তের পর এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানাতে পারব। আমাদের ধারণা ওই নারী একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সম্ভাব্য কোনও উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।'

হামবুর্গের পুলিশের মুখপাত্র ফ্লোরিয়ান অ্যাবেনসথ বলেন, ওই নারী নিজেকে প্রতিরোধ ছাড়াই গ্রেপ্তার করার অনুমতি দিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত আমাদের কোনও প্রমাণ নেই যে মহিলার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বরং আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, যার ভিত্তিতে আমরা এখন তদন্ত করতে চাই, তিনি সম্ভবত কোনও মানসিক জরুরি অবস্থা অনুভব করছেন কিনা।'

হামবুর্গের দমকল বিভাগের মুখপাত্র জানান, আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা প্রাণঘাতী, ছয়জনের অবস্থা গুরুতর এবং আরও সাতজন সামান্য আহত হয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা

মেহেদী/

যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি না হলে সব স্মার্টফোনে ২৫ শতাংশ শুল্কের হুমকি

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
আপডেট: ২৪ মে ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি না হলে সব স্মার্টফোনে ২৫ শতাংশ শুল্কের হুমকি
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য তৈরি না করলে অ্যাপলসহ সব স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার (২৩ মে) ট্রাম্প এ হুমকি দিয়েছেন বলে জানায় এএফপি।

এর আগে, প্রথমে ট্রাম্প শুধুমাত্র অ্যাপলের জন্য এই শুল্ক প্রযোজ্য হবে বলে জানান। যা একটি নির্দিষ্ট কোম্পানিকে লক্ষ্য করে অস্বাভাবিক বাণিজ্যনীতি হিসেবে ধরা হয়। পরে তিনি এই হুমকি সব স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য বলে জানান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটা স্যামসাং বা অন্য যেকোনো কোম্পানির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, যারা এই পণ্য তৈরি করে। তা না হলে এটা ন্যায্য হবে না।

তিনি আরও জানান, এই নতুন শুল্ক জুন মাসের শেষ নাগাদ কার্যকর হবে।

অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য ডিজাইন করলেও, আইফোনের বেশির ভাগ অ্যাসেম্বলি (সংযোজন) কাজ হয় চীনে। যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে।

অ্যাপল তাদের কিছু উৎপাদন ভারতসহ অন্যান্য দেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথা বলেছে। কিন্তু ট্রাম্প জানিয়েছেন, এটি তার চাহিদা পূরণ করে না।

ট্রুথ সোশ্যাল-এ পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, আমি অ্যাপলের টিম কুককে অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছি। আমি চাই যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া আইফোনগুলো যেন যুক্তরাষ্ট্রেই তৈরি হয়। ভারত বা অন্য কোথাও নয়।

তিনি আরও লেখেন, যদি সেটা না হয়, তাহলে অ্যাপলকে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।

ট্রাম্প গত সপ্তাহে কাতার সফরে এসেও একই মন্তব্য করেন। 

গত ১৫ মে তিনি বলেন, আমার টিম কুকের সঙ্গে একটু সমস্যা হয়েছিল। আমি তাকে বলেছি, ‘আমরা তোমাদেরকে ভারতে তৈরি করতে দিতে চাই না। আমরা চাই তোমরা এখানে তৈরি করো। তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বাড়াচ্ছে।

অ্যাপলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংয়ের বেশির ভাগ উৎপাদন চীন, ভারত ও ভিয়েতনামে। অ্যাপল ও স্যামসাং মিলে যুক্তরাষ্ট্রে মোট স্মার্টফোন বিক্রির প্রায় ৮০ শতাংশ দখল করে আছে। গুগল, শাওমি ও মটোরোলাসহ অন্যান্য কোম্পানির ফোনও প্রধানত বিদেশে তৈরি হয়।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, অ্যাপলের আইফোন উৎপাদন পুরোপুরি যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করা বাস্তবসম্মত নয়। এর জন্য কোম্পানির গোটা ব্যবসার ধরণ পাল্টাতে হবে। যদি আদৌ এটা সম্ভব হয়, তা হলেও অনেক বছর সময় নেবে।

ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের তথ্যে জানা গেছে, অ্যাপলের প্রায় ৯০ শতাংশ আইফোন এখনও চীনেই তৈরি ও সংযোজন করা হয়।

ওয়েডবুশের বিশ্লেষক ড্যান আইভস এক গবেষণা নোটে বলেন, ‘আইফোন উৎপাদনকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসা একেবারেই অসম্ভব। এটি রূপকথার মতো।

হোয়াইট হাউসের চাপের কারণে অ্যাপলের শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে পড়ে গেছে। জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কোম্পানির শেয়ার ২০ শতাংশের বেশি কমেছে।

শুক্রবার নিউ ইয়র্কে অ্যাপলের শেয়ার ৩ শতাংশ কমে গছে।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে অ্যাপল কিছু বাণিজ্য শুল্ক থেকে ছাড় পেলেও এবার তিনি বারবার অ্যাপলকে লক্ষ্যবস্তু করছেন।

গত মাসে টিম কুক সতর্ক করেছিলেন, চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের হুমকি অ্যাপলের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে। কিছু প্রযুক্তিপণ্যের ওপর সাময়িক ছাড় থাকলেও শুল্ক এক সময়ে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত ওঠে আসবে।

কুক জানান, বর্তমান ত্রৈমাসিকে এই শুল্কের কারণে অ্যাপলের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৯০ কোটি ডলার।

হারগ্রিভস ল্যান্সডাউনের বিশ্লেষক সুজানাহ স্ট্রিটার বলেন, ‘যদি এই হুমকি বাস্তব নীতিতে পরিণত হয়, তাহলে ফোনের দাম বাড়বে। বিশেষ করে আইফোনের দাম।

তিনি যোগ করেন, অ্যাপলের ভক্তরা যত দামই হোক কিনবে কিন্তু মধ্যবিত্তদের জন্য এটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে, যাদের ইতোমধ্যেই নাইকির জুতো থেকে শুরু করে ওয়ালমার্টের খেলনা পর্যন্ত সবকিছুর দাম বেড়েছে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ৯০ দিনের জন্য একে অপরের পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক স্থগিত করতে সম্মত হয়েছে। যার ফলে সাময়িকভাবে বাণিজ্য উত্তেজনা কমেছে। সূত্র: এএফপি

অমিয়/