ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ভারতের লোকসভা নির্বাচন ‘ইলেকশন কিং’ কে পদ্মরাজন

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৪ এএম
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৪ এএম
‘ইলেকশন কিং’ কে পদ্মরাজন
কে পদ্মরাজন

নির্বাচনে জয়ী হতে কে না চায়? কেউ কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হলে আমরা ধরেই নিই- ওই ব্যক্তি জেতার জন্যই অংশ নেন। এদিক থেকে ব্যতিক্রম ৬৫ বছর বয়সী কে পদ্মরাজন। তিনি শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একজন প্রার্থী। কিন্তু জেতার জন্য নয়, হারার জন্যই তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।

এর আগে একটি-দুটি নয়, গুনে গুনে ভারতের স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নির্বাচনে ২৩৮ বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন পদ্মরাজন। প্রতিবারই হেরেছেন। তবে তাতে একটুও দমে যাননি। নির্বাচনে অংশ নিয়েই যাচ্ছেন। মজার বিষয় হচ্ছে- তিনি নিজেই জানিয়েছেন, ‘সব প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হতে চান। আমি নই।’ সব নির্বাচনে পরাজিত এই প্রার্থী মনে করেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটাই বিজয়। যখন পরাজয় অনিবার্য বলে বুঝতে পারেন, তখন খুশি মনেই তা মেনে নেন।

পদ্মরাজন তামিলনাড়ু রাজ্যের মেত্তুর শহরের বাসিন্দা। টায়ার মেরামতের একটি দোকান আছে তার। ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি ভারতের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আসছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরুর পর লোকজন পদ্মরাজনকে নিয়ে উপহাস করতেন। তবে তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষও যে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, তা তিনি প্রমাণ করতে পেরেছেন। 

আজ থেকে ভারতে জাতীয় নির্বাচনের (লোকসভা নির্বাচন) ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে। ওই নির্বাচনে তামিলনাড়ু রাজ্যের ধর্মপুরি জেলা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পদ্মরাজন। নির্বাচনে এতবার অংশগ্রহণের কারণে অনেকে তাকে ‘ইলেকশন কিং’ নামে ডাকেন। স্থানীয়, লোকসভাসহ ভারতের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা গেছে। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী, মনমোহন সিং ও কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধী— সবার কাছেই হেরেছেন তিনি। পদ্মরাজন বলেন, ‘জয়ী হওয়াটা বড় বিষয় নয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কে, তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই।’

তিন দশকের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন ফি বাবদ তাকে লাখ লাখ রুপি গুনতে হয়েছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিতে ২৫ হাজার রুপি মনোনয়ন ফি দিয়েছেন তিনি। নির্বাচনে ১৬ শতাংশের বেশি ভোট যদি না পান এ জামানত তিনি ফেরত পাবেন না। 

এতবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যর্থতার মধ্যে পদ্মরাজনের অর্জন একটাই। সেটা হচ্ছে লিমকা বুক অব রেকর্ডস, এশিয়া অব রেকর্ডস ও দিল্লি বুক অব রেকর্ডসে ভারতের সবচেয়ে অসফল প্রার্থী হিসেবে তার নাম উঠেছে।

পদ্মরাজনের বড় সাফল্যটি এসেছে ২০১১ সালে। তখন তিনি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৬ হাজার ২৭৩ ভোট পান। ওই নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী পেয়েছিলেন ৭৫ হাজারের বেশি ভোট। টায়ার মেরামতের দোকান চালানোর পাশাপাশি পদ্মরাজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করে থাকেন। 

তবে পদ্মরাজন বলেন, তিনি তার সব কাজের মধ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। যেসব মানুষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইতস্তত বোধ করেন, তাদের অনুকরণীয় আদর্শ হতে চান পদ্মরাজন। সচেতনতা তৈরি করতে চান। জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত নির্বাচনে লড়াই চালিয়ে যেতে চান তিনি। তবে তার ধারণা, যদি কখনো জিতেও যান, তবে তা তিনি সইতে পারবেন না। হাসতে হাসতে এই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি কখনো জিতে গেলে আনন্দে আমার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।’

প্রসঙ্গত, ভারতের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো জায়গা থেকে ভোটে লড়তে পারেন। এর জন্য তাকে হলফনামা দাখিল করতে হয়। কেন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাধ হলো- এ বিষয়ে পদ্মরাজন বলেন, ‘সাইকেলের দোকানে বসে হঠাৎই এক দিন আমার ভোটে লড়াই করার ইচ্ছা হলো। সেটা ১৯৮৮ সালের কথা। তারপর আমার পুরো জীবনই বদলে যায়।’

তবে সবচেয়ে বেশি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম দেখতে চান তিনি। এই রেকর্ড রয়েছে অন্য এক ভারতীয়র ঝুলিতে। কে পদ্মরাজনের আগে কাকা যোগিন্দর সিং ধরতিও ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।

‘ধরতি পাকাড়’ নামে পরিচিত কাকা যোগিন্দর সিং ১৯৬২ সাল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করেন। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে যখন তার মৃত্যু হয় ততদিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ফেলেছিলেন প্রায় ৩০০টি নির্বাচনে। তিনি স্থানীয় পর্যায় থেকে রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত বিভিন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

তিনিও ভোটে হারার উদ্দেশ্যেই লড়তেন। যদিও অংশগ্রহণ করতেন নির্বাচনি প্রচারে। তার প্রচার ছিল অন্যরকম। নির্বাচনি এলাকায় গিয়ে যোগিন্দর সিং তাকে ভোট না দেওয়ার জন্য জনগণের কাছে আবেদন করতেন। সূত্র: বিবিসি, হিন্দুস্তান টাইমস ও ইন্ডিয়া টুডে

‘সময় হয়েছে যুদ্ধ শেষ হওয়ার’

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০১ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০১ এএম
‘সময় হয়েছে যুদ্ধ শেষ হওয়ার’
ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তার এ অবস্থানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রাজনৈতিক অবস্থানের মিল রয়েছে।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে হ্যারিস বলেন, এ যুদ্ধ শেষ হওয়ার সময় হয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জো বাইডেন। তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা রয়েছে কমলা হ্যারিসের। আগামী মাসেই ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়ন পেতে পারেন হ্যারিস। 

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বিবৃতিতে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমরা দুর্ভোগের কারণে অসাড় হয়ে যেতে পারি না এবং আমি নীরব থাকব না।’ 

হ্যারিসের মন্তব্য তীক্ষ্ণভাবে করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। নভেম্বরের ৫ তারিখ তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এ রকম কড়া মনোভাব দেখাবেন কি না, সে বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে তেমন বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না।   

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েল। তারা ঘোষণা দিয়েছে হামাসকে নির্মূল করার। মূলত ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও প্রায় ১২০০ মানুষের কারণেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। 

কিন্তু যুদ্ধে ইসরায়েল নির্বিচার হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ৩৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে। যাদের বেশির ভাগই নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ।

আন্তর্জাতিক মহল থেকে এ নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তোলা হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ। উল্টো নেতানিয়াহু বরাবরই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, যুদ্ধ জিইয়ে রেখে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার অক্ষুণ্ন রাখতে চাইছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতির দায়ে নিজ দেশে তার যে বিচার হওয়ার কথা, সেটি এড়ানোর চেষ্টা করছেন।

এরই মধ্যে একাধিকবার ইসরায়েলি মিত্র যুক্তরাষ্ট্র গাজার যুদ্ধ নিয়ে তাদের সতর্ক করেছে। শুরু থেকে তারা ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসলেও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গোটা বিষয়টির সমাধান চাইছে। 

এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল দুই পক্ষকে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে কয়েক মাস ধরেই আলাপ করে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তারা মনে করছেন দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি খুব কাছে রয়েছে।

উল্টো গাজায় হামলার মাত্রা বেড়েছে। বিগত দিনগুলোতে প্রচুর আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার খান ইউনিস থেকে মানুষকে সরে যেতে বলে। তারা দাবি করে, ওই এলাকা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। 

এরপর যথেষ্ট সময় না দিয়েই শুরু করা হয় আক্রমণ। মানুষ ভয়ে পালাতে শুরু করে এবং অন্তত ৭০ জন প্রাণ হারায়। খান ইউনিসে এটি ইসরায়েলের দ্বিতীয় অভিযান। এর আগে চলতি বছরের শুরুতেও খান ইউনিসে হামলা চালিয়েছিল তারা। 

বাইডেন এর আগে নেতানিয়াহুকে বলেছিলেন, তার (নেতানিয়াহু) যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় শূণ্যস্থান পূরণে ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে কাজ শুরু করা উচিত।

নেতানিয়াহু কমলা হ্যারিসের রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করবেন। তবে হ্যারিস কী চাইছেন, তা পুরোপুরি স্পষ্ট। নিজ বক্তব্যে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা কীভাবে, সে বিষয়টি আমলে নিতে হবে।’ সূত্র: রয়টার্স

জাপানে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধস

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
জাপানে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধস
ছবি: সংগৃহীত

জাপানের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। শত শত বাসিন্দাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দেখা দেওয়া ওই বন্যা ও ভূমিধসে অঞ্চলটির পরিবহনব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এরই মধ্যে জাপানের ইয়ামাগাতা ও আকিতা অঞ্চলের কয়েকটি পৌরসভায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ অবস্থানে সরে যাওয়ার ও কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ তথ্যের ওপর মনোযোগ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর বলছে, বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে নৌকায় করে ১১ জনকে সরিয়ে নিয়েছেন শহরের উদ্ধারকর্মীরা। ইয়ামাগাতা প্রদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউজা ও সাকাতা শহর। বৃহস্পতিবার শহর দুটিতে এক ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটারের (৪ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

ওই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাকে উঁচু ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে কতজন সে পরামর্শ মেনেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এদিকে, আকিতা প্রদেশের ইউজাওয়া শহরে একটি সড়ক নির্মাণ সাইটে ভূমিধস হয়ে একজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। সূত্র: এপি 

পাকিস্তান 'সন্ত্রাস' দিয়ে আলোচনায় থাকতে চায়

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
পাকিস্তান 'সন্ত্রাস' দিয়ে আলোচনায় থাকতে চায়
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

পাকিস্তান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও প্রক্সি যুদ্ধের মাধ্যমে আলোচনায় থাকার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আরও বলেছেন, তাদের সেই ‘অপবিত্র পরিকল্পনা’ কখনো সফল হবে না।

পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েক দশক ধরেই ভালো সম্পর্ক নেই ভারতের। কাশ্মীরে ইসলামি উগ্রপন্থিদের তহবিল জোগান দেয় পাকিস্তান– এমন অভিযোগ তারা বহু আগে থেকেই করে আসছে। তবে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। তাদের কথা হলো– পাকিস্তান শুধু কাশ্মীরিদের কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়েছে।

কারগিল সংঘাতের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তান সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেন মোদি। হিমালয় অঞ্চল কারগিলে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সংঘাতে জড়িয়েছিল পাকিস্তান ও ভারত। এ ছাড়া দুই দেশ মোট তিনটি যুদ্ধে জড়িয়েছে বিভিন্ন সময়। তার মধ্যে দুটি কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে। চলতি বছরেও জম্মু ও কাশ্মীরে উগ্রবাদী হামলা হয়েছে। সে হামলায় প্রায় এক ডজন ভারতীয় সেনা মারা গেছে।

মোদি দাবি করেন, পাকিস্তান যখনই নিজ পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চেয়েছে, তখনই বিব্রত হয়েছে। দেশটি নিজ ইতিহাস থেকে কোনোকিছু শেখেনি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেওয়া হয়নি। 

২০১৯ সালের আগস্ট থেকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। এখনো সে অবস্থাই রয়েছে। কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার জেরে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল সেবার। 

কাশ্মীরে ভারতীয় সামরিক বহরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। সেটির সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক উগ্রবাদীদের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। পরে এর জেরে বিমান হামলাও চালায় ভারত।  

চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তান দাবি করে, তাদের হাতে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে ভারতীয় গুপ্তচররা পাকিস্তানের মাটিতে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। তবে ভারত সে দাবি অস্বীকার করে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানায়াম জয়শঙ্কর গত মাসে জানান, ভারত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের সমাধান খুঁজছে। এটি ভালো প্রতিবেশীর লক্ষণ হতে পারে না। সূত্র: বিবিসি 

ওবামা দম্পতির সমর্থন পেলেন কমলা হ্যারিস

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম
ওবামা দম্পতির সমর্থন পেলেন কমলা হ্যারিস
কমলা হ্যারিস ও বারাক ওবামা

কমলা হ্যারিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। শুক্রবার (২৬ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে তাকে ওই সমর্থন জানান তারা।

ওই বিবৃতিতে বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা জানান, কমলা হ্যারিসের ‘নিজস্ব দর্শন, স্বকীয়তা এবং শক্তি’ রয়েছে যা সংকটময় মুহূর্তে একজন প্রেসিডেন্টের থাকাটা খুব জরুরি।

কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এরই মধ্যে বেশির ভাগ ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধির সমর্থন পেয়েছেন। আগস্টে দলীয় সম্মেলনে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের মনোনয়ন দেওয়া হবে।

বাইডেন শুরুতেই সমর্থন দিয়েছেন কমলাকে। তবে এতদিন ওবামা কোনো সমর্থন দেননি। বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন ছিল। এর মধ্যে এমন কথাও শোনা গেছে যে কমলা অন্যদের সমর্থন পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ওবামা। কারণ তিনি মনে করছিলেন, কমলা হ্যারিস জিততে পারবেন না।

তবে সেসবের অবসান ঘটিয়েই এলো সমর্থনের খবর। সেখানে ওবামা দম্পতি জানিয়েছেন, কমলাকে জয়ী করতে ‘সম্ভাব্য সবকিছু’ করবেন তারা। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে একমত। তিনি কমলাকে বেছে নিয়ে সেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ সূত্র: বিবিসি

অলিম্পিক উদ্বোধনের আগে ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্কে হামলা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২১ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২২ এএম
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগে ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্কে হামলা
ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্কে (টিজিভি) অগ্নিসংযোগসহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা এসএনসিএফের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রাতে রেল নেটওয়ার্কে কয়েকবার হামলা চালানো হয়। এতে আটলান্টিক অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চলের লাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
রাজধানীতে অলিম্পিকের উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টা আগে এ ঘটনা ঘটল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান।

হামলার পর বেশ কয়েকটি রুটে রেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। প্যারিস-লন্ডন রুটে চলাচলকারী ইউরোস্টার ট্রেনগুলোর যাতায়াত বিঘ্নিত হচ্ছে। কিছু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে এবং কিছু ট্রেনের সূচি পেছানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রেলব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে অন্তত পুরো সপ্তাহ লেগে যাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এতে অলিম্পিকের সময় আগত পর্যটকদের যাতায়াতসেবা নিশ্চিতে সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে প্রশাসন। দ্রুতগামী ট্রেনগুলোর মাধ্যমে দৈনিক ৮০ হাজার যাত্রীকে সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের। ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা এসএনসিএফ বলছে, টিজিভি নেটওয়ার্ক অচল করে দিতেই বড় ধরনের এ হামলা চালানো হয়েছে।

এসএনসিএফ জানিয়েছে, হামলার ফলে অনেকগুলো লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওইসব লাইনের ট্রেনগুলোকে অন্য পথ দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ চলাচল বন্ধই রাখছেন তারা। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এ ধরনের আক্রমণের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সেখানকার লাইনগুলো অক্ষত আছে বলে জানিয়েছে ফরাসি গণমাধ্যমগুলো।

ফ্রান্সের পরিবহনমন্ত্রী প্যাট্রিস ভার্গ্রেইত সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। দ্রুত রেল যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রাখায় এসএনসিএফকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী এমিলি অঁদি ক্যাস্তেরা অলিম্পিকের সময় সংঘটিত এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন ‘এটি পুরোপুরি একটি ভয়ংকর ব্যাপার।’ 

এ পরিস্থিতিতে যাত্রীদের ওইসব পথে নির্ধারিত যাত্রা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে এসএনসিএফ। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের রেলস্টেশনে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান