ঢাকা ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫
English

হুমকি না দিতে চীনের প্রতি তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্টের আহ্বান

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪, ০৯:০৭ এএম
হুমকি না দিতে চীনের প্রতি তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্টের আহ্বান
তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই

তাইওয়ানকে হুমকি না দেওয়ার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বশাসিত ভূখণ্ডটির নতুন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই। পাশাপাশি চীনকে তাইওয়ানের গণতন্ত্রের অস্তিত্ব স্বীকার করে নিতে বলেছেন তিনি।  

বেইজিংকে সংঘাতে বদলে সংলাপের রাস্তা বেছে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন লাই। গতকাল সোমবার শপথ নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই এ বক্তব্য রাখেন তিনি। চীনের ভয়ভীতিতে তাইওয়ান কখনো পিছু হটবে না বলেও উল্লেখ করেন নতুন এই প্রেসিডেন্ট। 

চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। লাইকে বেইজিং দেখে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে। তাইওয়ানের ওপর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চাপও বহু গুণে বাড়িয়েছে চীন।  

স্বশাসিত ভূখণ্ডটির জলসীমা ও আকাসীমা বিগত বছরগুলোতে চীনের সামরিক বাহিনীকে মহড়া দিতে দেখা গেছে। এতে সম্মুখ সংঘাতের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। লাই গোটা বিষয়টিকে বর্ণনা করেছেন, ‘বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিরতার সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে। 

তবে ৬৪ বছর বয়সী লাই সরাসরি চীনের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়াবেন না। ধারণা করা হচ্ছে, তিনিও তার পূর্বসূরী সাই ইঙ-ওয়েনের পথেই হাঁটবেন। বেইজিংয়ের ব্যাপারে তিনি সতর্ক থাকবেন, কিন্তু ধীরস্থিরভাবে গোটা বিষয়টিকে সামাল দেবেন। সূত্র: রয়টার্স

কানাডায় লেকে ডুবে বাংলাদেশি পাইলট ও ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৫, ০২:০৬ পিএম
কানাডায় লেকে ডুবে বাংলাদেশি পাইলট ও ব্যবসায়ীর মৃত্যু
পাইলট সাইফুজ্জামান গুড্ডু (বায়ে) ও টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লা হিল রাকিব (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার অন্টারিওর কাওয়ার্থা হ্রদ অঞ্চলে নৌকা ডুবে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার (৮ জুন) দুপুরের পরে ঘটনাটি ঘটেছে স্টারজন লেকে, যা টরন্টো থেকে প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।

কানাডার সংবাদমাধ্যম সিটিভি নিউজ নৌকা ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে। তবে তাদের পরিচয়  সম্পর্কে কিছু জানায়নি।

বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তারা হলেন, বাংলাদেশ বিমানের ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামান গুড্ডু, যিনি বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৮৭-এর ক্যাপ্টেন ছিলেন। অন্যজন বিজিএমইএ’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লা হিল রাকিব।

সিটিভি নিউজ জানায়, তিনজন পুরুষ বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়ার পর বিকেল ৩টার কিছু পরেই জরুরি উদ্ধারকারীদের ওই এলাকায় ডাকা হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশের (ওপিপি) কাওয়ার্থা লেকস ডিটাচমেন্ট জানায়, নৌকাটি ডুবে যাওয়ার পর একজন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন, তবে অন্য দুজন ডুবে মারা গেছেন।

ওপিপি আরও জানায়, নৌকায় কোনো লাইফ জ্যাকেট ছিল না।

জানা গেছে, সাইফুজ্জামান গুড্ডু তার স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় সময় শনিবার (৭ জুন) ঢাকা থেকে টরন্টো আসেন। সেখান থেকে রবিবার তারা লিনজি শহরে একটি কটেজে ওঠেন। পরে দুপুরের দিকে সাইফুজ্জামান, তার বন্ধু আব্দুল্লা হিল রাকিব ও রাকিবের ছেলে একটি ছোট নৌকা নিয়ে হ্রদে নামেন। এ সময় হ্রদের তীরে দাঁড়িয়ে সাইফুজ্জামানের স্ত্রী ও ছোট মেয়ে মোবাইলে ভিডিও করছিলেন। হঠাৎ করে নৌকাটি উল্টে যায়। এ সময় রাকিবের ছেলে সাঁতরে উঠে আসলেও সাইফুজ্জামান ও রাকিব পানিতে তলিয়ে যান। পরে উদ্ধারকারীরা তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

রাকিব ও সাইফুজ্জামান কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশি অভিনেতা টনি ডায়েসের বাল্যবন্ধু ছিলেন। তিনি তার ফেসবুকে দুজনের সঙ্গে তোলা নিজের ছবিজুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘এখনো এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। আজ সন্ধ্যায় টরন্টোর কাওয়ার্থা লেকে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমার দুই বাল্যবন্ধু আব্দুল্লাহ হিল রাকিব ও সাইফুজ্জামানকে হারিয়েছি। গত বছর টরেন্টোতে আমরা তিনজন একসঙ্গে ছিলাম। অনেক স্মৃতি...অনেক হাসি...। দয়া করে তাদের আপনার প্রার্থনায় রাখুন। শান্তিতে ঘুমাও ভাইয়েরা আমার।’

অমিয়/

মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাস, নিহত ১৫

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৫, ১১:১০ এএম
আপডেট: ০৯ জুন ২০২৫, ১১:২৪ এএম
মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাস, নিহত ১৫
ছবি: মালয় মেইল

মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাস, নিহত ১৫

মালয়েশিয়ায় সুলতান ইদ্রিস এডুকেশন ইউনিভার্সিটির (ইউপিএসআই) শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাসের সঙ্গে পেরোদুয়া আলজা মাল্টি-পারপাস গাড়ির সঙ্গে অন্তত ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪৮ জন। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানায় দেশটির পুলিশ।

দেশটির সংবাদমাধ্যম মালয় মেইল জানায়, রবিবার (৮ জুন) স্থানীয় সময় রাত ১টা ১০ মিনিটে তাসিক বান্দিংয়ের কাছে পূর্ব-পশ্চিম মহাসড়কে সুলতান ইদ্রিস এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউপিএসআই) একটি বাস এবং পেরোদুয়া আলজার মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

বাসটি তেরংগানুর জেরেহ থেকে পেরাকের তানজুং মালিমে ইউপিএসআই-এর প্রধান ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাচ্ছিল। রাত ১টার দিকে তাসিক ব্যান্ডিংয়ের কাছে একটি পেরোডুয়া আলজার সাথে সংঘর্ষের পর এটি উল্টে খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার কারণ এখনও তদন্তাধীন।

দেশটির সিভিল ডিফেন্স ফোর্স নিশ্চিত করেছে যে, ঘটনাস্থলেই ১৩ জন এবং পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজন মারা গেছেন। আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, ২০ জনের অবস্থা আংশিক সংকটাপন্ন এবং ছয়জনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।

বাসটিতে মোট ৪৮ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই তেরেঙ্গানুর বেসুত এবং সেতিউয়ের শিক্ষার্থী বলে মনে করা হচ্ছে।

রাত ১টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে দেশটির জরুরি পরিষেবাগুলো রাত ২টা ১১ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাদের সহায়তা করছেন পুলিশ এবং সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, আটকেপড়া যাত্রীদের উদ্ধার করতে বাসের পিছনের অংশ কেটে ফেলতে হয়।

এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, তিনি এবং তার স্ত্রী দাতুক সেরি ড. ওয়ান আজিজাহ ওয়ান ইসমাইল এই ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত।

সুলতান ইদ্রিস এডুকেশন ইউনিভার্সিটি (ইউপিএসআই) নিশ্চিত করেছে যে তাদের ৪২ জন শিক্ষার্থী বাসে ছিল। তারা বলছেন, ৪৪ জন শিক্ষার্থীর বাসে ওঠার কথা ছিল, কিন্তু তাদের মধ্যে দুজন বাসে ওঠেননি।

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কর্তৃপক্ষ এখনও নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।

অমিয়/

পাকিস্তানে সন্দেহভাজন বেলুচদের ৯০ দিন আটকের কালো আইন পাশ

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
আপডেট: ০৮ জুন ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
পাকিস্তানে সন্দেহভাজন বেলুচদের ৯০ দিন আটকের কালো আইন পাশ
ছবি: সংগৃহীত

এখন থেকে সন্দেহভাজন বেলুচদের ৯০ দিন আটকে রাখতে পারবে পাক সেনা ও আইএসআই। কোনও বেলুচ নাগরিকদের অপরাধ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি  নির্দোষ নয়, বরং সন্দেহ হলেই দোষী বলে ধরে নেওয়া হবে। 

বুধবার (০৪ জুন) পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদে এ-সংক্রান্ত একটি আইন পাস হয়েছে। ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী (বেলুচিস্তান সংশোধনী) আইন-২০২৫’ নামের এই আইনে বলা হয়, বেলুচিস্তানের কোনো নাগরিককে ‘যুক্তিসংগত সন্দেহের’ ভিত্তিতেই আটক করা যাবে এবং তদন্তের স্বার্থে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়াই আটক রাখা যাবে তিন মাস পর্যন্ত।

শুক্রবার (০৬ জুন) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। একই বার্তা দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বরাও।

এই বিতর্কিত আইন কোনো বিরোধিতা ছাড়াই প্রাদেশিক পরিষদে পাস হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রদেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্ব বেলুচিস্তানের দীর্ঘদিনের সহিংস সংকট মোকাবিলায় কার্যকর কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছে না। তাই এই ধরনের কঠোর আইনকেই হাতিয়ার হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠছে, এই আইনের মাধ্যমে কি আদৌ সমস্যার সমাধান সম্ভব, না কি আগুনে ঘি ঢালা হবে?

এই সংশোধনী আইন কার্যত রাষ্ট্রীয় নির্যাতনকে বৈধতা দেয় বলেই মনে করছেন মানবাধিকারকর্মীরা। আইনে যেভাবে ‘যুক্তিসংগত সন্দেহের’ ভিত্তিতে কাউকে আটক করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া কিংবা আটক ব্যক্তির অধিকার রক্ষার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

এ ছাড়া, এই আইনে সামরিক বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে (সেনা ও আইএসআই) স্থানীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আটকাদেশ জারি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। 

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এতে আইনের শাসনের মূল ভিত্তি—বিচার বিভাগের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বেসামরিকদের পুলিশি কাজে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। আর বেলুচিস্তানে রাজনৈতিক কারণে মানুষকে আগেও টার্গেট করা হয়েছে। 

এসব কারণে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এই আইনটির অপব্যবহার হবেই। এর ফলে যে রাগ ও অসন্তোষ বাড়বে, তা বেলুচিস্তানের সমস্যাগুলোকে আরও জটিল করে তুলবে।

পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি) আইনটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, তিন মাস পর্যন্ত বিনা অভিযোগে আটক রাখার বিধান মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। এটি ব্যক্তির স্বাধীনতা, বিচার প্রক্রিয়ার ন্যায্যতা এবং মর্জিমাফিক গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষার অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে।

কমিশন আরও জানায়, যৌথ তদন্তের ক্ষেত্রে সেনা কর্মকর্তাদের রাখা এবং সন্দেহভাজনের মতাদর্শ ও মানসিক অবস্থা মূল্যায়নের দায়িত্ব তাদেরই দেওয়া হয়েছে। এটি মারাত্মক উদ্বেগের বিষয়। এতে আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগের পরিবর্তে দমনমূলক আচরণের ঝুঁকি বাড়বে।

দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি রাষ্ট্র এই ধরনের আইন বাস্তবেই প্রয়োগ করতে চায়, তাহলে অন্তত বেলুচ জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ছিল। যেমন—প্রত্যেক আটকাদেশের লিখিত নথি থাকা জরুরি, বিচারিক ও বেসামরিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা, আটক ব্যক্তির পরিবারকে তার অবস্থান ও আইনি অবস্থা জানানো। এসব পদক্ষেপ অন্তত আইনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতো।

এইচআরসিপি প্রাদেশিক সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, তারা যেন এই আইনটি আবার ভেবে দেখে এবং নিশ্চিত করে, এটি পাকিস্তানের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তির (আইসিসিপিআর) অধীনে পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

সুলতানা দিনা/

ট্রাম্পকে টেক্কা দিতে মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
আপডেট: ০৮ জুন ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
ট্রাম্পকে টেক্কা দিতে মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’
ছবি: সংগৃহীত

ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধের মধ্যে টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) নিজের এক্স-একাউন্টে এই মার্কিন ধনকুবের একটি পোল পোস্ট করে তার ২২ কোটি অনুসারীকে জিজ্ঞাসা করেন তারা কি মনে করেন যে, ‘আমেরিকাতে এমন একটি নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করার সময় এসেছে যা আসলে মধ্যবর্তী ৮০%-এর প্রতিনিধিত্ব করে।’

এর একদিন পর শুক্রবার (০৭ জুন), মাস্ক জানান, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশ মানুষ এই ধারণাটিকে সমর্থন করেছেন। এরপর তিনি আবার পোস্ট করেন, ‘এটাই ভাগ্য!’ 

এরপর মাস্ক একজন তার এক অনুসারীর পরামর্শে দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’ রাখার পরামর্শ দেন। নামটি আমেরিকা প্যাকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাস্ক এই রাজনৈতিক অ্যাকশন কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ২০২৪ সালে ট্রাম্প এবং অন্যান্য রিপাবলিকান প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে ২৩৯ মিলিয়ন ডলার নির্বাচনী তহবিল প্রদান করে।

নতুন রাজনৈতিক দল শুরু করা বলা যতটা সহজ, করা ততটাই সহজ হবে। তবে ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান দল এবং কিছু বৃহৎ তৃতীয় পক্ষের ইতিমধ্যেই প্রায় প্রতিটি রাজ্যে ব্যালট পেপার ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।  তাই প্রতিযোগিতার ময়দানে আসতে হলে একটি নতুন দলকে তার প্রার্থীদের ব্যালটে আনার জন্য রাজ্য-ভিত্তিক নিয়মের শর্ত পূরণ করেই আসতে হবে। 

সেক্ষেত্রে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মাস্ক -আইনত আমেরিকা পিএসিতে সীমাহীন অর্থ ঢালতে পারবেন কারণ এটি একটি স্বাধীন পিএসি হিসাবে সংগঠিত। ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের ২০২৫-২০২৬ সালের ফেডারেল নির্বাচনের জন্য অবদানের সীমা অনুসারে, আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক দলগুলোতে অনুদানের পরিমাণ ১ মিলিয়ন ডলারেরও কম। যা ইলন মাস্কের হাতের ময়লা!

এদিকে, নতুন রাজনৈতিক দল শুরু করার বিষয়ে মাস্কের চিন্তাভাবনা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তিনি রাজনীতিতে জড়িত থাকার পরিকল্পনা করছেন এবং ট্রাম্পের প্রভাবকে টেক্কা দিতে চান। 

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাস্ক নিজের এক্স একাউন্টে এক পোস্টে কংগ্রেসের রিপাবলিকানদের উদ্দেশ্যে রীতিমতো স্পষ্ট প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘যারা এখনও নিশ্চিত নন যে তিনি তার পক্ষে থাকবেন নাকি রাষ্ট্রপতির পক্ষে থাকবেন, তারা সিদ্ধান্ত নিন। ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৩.৫ বছর বাকি আছে, কিন্তু আমি ৪০ বছর ধরে থাকব।’ 

গত বছর ট্রাম্পকে জোরালোভাবে সমর্থন করলেও এবার মাস্ক তার অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। গত মার্কিন নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পপন্থী একটি রাজনৈতিক গ্রুপ গঠন ও তাতে ২৬০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছিলেন। এমনকি চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প তাকে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’ (ডোজ) এর সহ-প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। বিশেষ এই বিভাগের কাজ ছিল, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অকার্যকর ব্যয় কমানো এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটানো।

কিন্তু ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিবাদে জড়িয়ে এই সবকিছু থেকে সরে এসেছেন ইলন মাস্ক। এই পরিস্থিতির মধ্যেই মাস্ক তার এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ২২ কোটি অনুসারীর মধ্যে একটি জরিপ চালান। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন—‘আমেরিকায় কি এমন একটি নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করার সময় এসেছে যা আসলে মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা ৮০ ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে?’

এই জরিপে ৫৬ লাখের বেশি সাড়া পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই মাস্কের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন।

এদিকে মাস্ক- ট্রাম্পের বিরোধ এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবচেয়ে বেশি চর্চার বিষয়। মাস্ক সেখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জেফরি অ্যাপস্টেইনের কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনেন এবং তার অভিশংসনের দাবিও জানান। 

এই বিরোধ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ বলেন, ‘এই দুটি বিশাল ইগো একসঙ্গে থাকার জন্য জন্মায়নি। এই বিচ্ছেদ বহু আগেই হওয়া উচিত ছিল।’

সুলতানা দিনা/

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও বর্তমান সিনেটর গুলিবিদ্ধ

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও বর্তমান সিনেটর গুলিবিদ্ধ
ছবি:সংগৃহীত

কলম্বিয়ার আগামী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) রাজধানী বোগোতায় এক নির্বাচনি প্রচারসভায় তার ওপর এই হামলা হয়। 

রবিবার (০৮ জুন) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানায়।

হামলার শিকার সিনেটর উরিবে বিরোধীদল কনজারভেটিভ ডেমোক্র্যাটিক সেন্টার পার্টির সদস্য। তার দল এক বিবৃতিতে জানায়, রাজধানীর ফন্তিবন এলাকায় একটি পার্কে প্রচারণাকালে তাকে পেছন থেকে গুলি করা হয়। দলটি এটিকে একটি গুরুতর হামলা বলে বর্ণনা করলেও তার শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত জানায়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে উরিবেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে এবং লোকজনকে তাকে সাহায্য করতে দেখা যায়।

শনিবার এই হামলার পর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী এবং সরকারি ও দলীয় কর্মকর্তারা।

কলম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় জানায়, ১৫ বছরের কম বয়সী এক কিশোরকে একটি ৯মিমি গ্লক পিস্তলসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলার পেছনে কারা আছে তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

উরিবের স্ত্রী মারিয়া ক্লাউদিয়া তার স্বামীর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে জানান, তিনি জীবনের জন্য লড়াই করছেন।

এই ঘটনার পর রাজধানীর সান্তা ফে ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভিড় করেন সমর্থকরা। কেউ কেউ মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনায় অংশ নেন। কেউ কলম্বিয়ার পতাকা হাতে একাত্মতা জানান।

সুলতানা দিনা/