![উত্তর গাজায় তীব্র লড়াই, হাসপাতালে নেই পানি](uploads/2024/05/21/water-crisis-in-gaza-1716261320.jpg)
উত্তর গাজায় তীব্র লড়াই চলছে। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও সাঁজোয়া যান জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে। ডক্টরস উইদআউট বর্ডারসের দেওয়া তথ্যানুসারে, গাজার আল-আওদা হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতালটিতে এখন আর পান করার মতো কোনো পানি নেই।
গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে নতুন করে অন্তত তিনজন মারা গেছেন। রাফার কাছে এক আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলার জেরে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে স্থলভাগে অবস্থানরত সূত্র।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি যুদ্ধপরাধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলি আক্রমণে শুধু নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ৩১ জন মারা গেছেন বলে উল্লেখ করেছে আল জাজিরা। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিভাগের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ বলেছেন, রাফা ও কারেম আবু সালেম সীমান্ত পারাপার বন্ধ থাকায় গাজায় সহায়তা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিষয়টির কারণে ‘বিধ্বংসী’ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বলেও জানিয়েছেন গ্রিফিথ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় অন্তত ৩৫ হাজার ৪৫৬ জন মারা গেছেন, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক। আহত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। অন্যদিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল ১ হাজার ১৩৯ জন। এখনো হামাসের হাতে জিম্মি আছেন অনেকে।
হোয়াইট হাউসের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভানকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন, তারা রাফায় অভিযানের পরিসর বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমরা হামাসকে নিষ্ক্রিয় করা ও জিম্মিদের উদ্ধারের অভিযান রাফায় সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ দুই সপ্তাহ আগে রাফায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সে সময় থেকে ওই স্থানে আশ্রয় নেওয়া ৮ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি গাজার অন্যত্র সরে গেছে। অথচ ইসরায়েলি হামলায় পুরো গাজা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। তাদের নিরাপদ আশ্রয় বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। বিষয়টি নিয়ে বরাবরই ইসরায়েলকে সতর্ক করে আসছে আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু এতে কান দিচ্ছে না ইসরায়েল। সূত্র: আল জাজিরা