ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ইরানে নির্বাচন: আবারও প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
আপডেট: ২৮ মে ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
ইরানে নির্বাচন: আবারও প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ
সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী ২৮ জুন ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ান নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর এই প্রক্রিয়া শুরু হলো।

গত রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদ একটি ডিক্রি জারি করেছেন যাতে তিনি বিভিন্ন প্রদেশের গভর্নরকে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিন দিনের মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। ইরানের সংবিধানের ১৩১ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হলে অথবা তিনি দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম হলে ৫০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন প্রেসিডেন্ট জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন।

এদিকে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আহমাদিনেজাদ সমর্থকদের দ্বারা পরিচালিত ‘দোলাত বাহার’ টেলিগ্রাম চ্যানেল গত শনিবার তার ভক্তদের উদ্দেশে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। তাতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য পরিবর্তন হচ্ছে বলে আহমাদিনেজাদ আত্মবিশ্বাসী।

আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘শুধু ইরানে নয়, গোটা বিশ্বেই দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে এবং আমি আশাবাদী যে আমরা শিগগিরই একটি দারুণ পরিবর্তন দেখতে পাব।’

সংসদে আহমাদিনেজাদ সমর্থকরা ইতোমধ্যেই তার সম্ভাব্য প্রার্থিতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, ‘আহমাদিনেজাদই ইরানের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব’। ইরানের পার্লামেন্টে তাবরিজ অঞ্চলের এমপি আহমাদ আলীরেজা বেইগি বলেছেন, যদি মাহমুদ আহমাদিনেজাদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে আমরা জয় পাবই। পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আহমাদিনেজাদকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতার অনুমোদন দেবে। কারণ তিনি যদি প্রার্থী হন এবং এই প্রার্থিতাও যদি বাতিল হয়ে যায়, তবে এটি খুব বাজে পরিণতি নিয়ে আসবে।

মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরপর দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এর আগে তিনি রাজধানী তেহরানের মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

গত ১৯ মে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকতা নিহত হন। এর পরদিনই ইরান সরকার জরুরি বৈঠকে বসে এবং আগামী ২৮ জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঠিক করে। গতকাল নির্বাচনি সদর দপ্তর ৩০ মে থেকে ৩ জুনের মধ্যে প্রার্থীদের নাম রেজিস্ট্রেশন করার সময়সীমা ঠিক করেছে।

ভোট গ্রহণের দুই সপ্তাহ আগে ইরানের অভিভাবক পরিষদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে। আগামী ১২ জুন নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হবে এবং ২৭ জুন পর্যন্ত তা চলবে।  সূত্র: আল-জাজিরা, পার্সটুডে। 

গাজা নিয়ে সুর পাল্টেছেন কমলা হ্যারিস

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:২২ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:২২ পিএম
গাজা নিয়ে সুর পাল্টেছেন কমলা হ্যারিস
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাটিক মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাটিক মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস বলেছেন, গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধে তিনি ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের মুখে চুপ থাকবেন না।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর গাজায় ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার উপর জোর দেন তিনি।

তবে, তিনি ইসরায়েলের জন্য অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার পর হ্যারিস একটি টেলিভিশনে দেওয়া বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতি তার ‘অকুণ্ঠ সমর্থন’ পুনব্যাক্ত করেন।

বিবৃতিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বর্ণনা করে ইসরায়েলের নাম না নিয়ে সেখানে মানবিক সংকটের জন্য দায়ী দল হিসেবে উল্লেখ করেন।

সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থনের নীতি থেকে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন না করে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করায় কমলা হ্যারিসকে ভোটযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দৃষ্টিভঙ্গির ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ভোটারদের ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে না।

এ প্রসঙ্গে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী ইমান আবদেলহাদি বলেন, ‘গাজার শিশুদের হত্যা বন্ধ করার প্রকৃত প্রতিশ্রুতি ছাড়া, আমি তাদের প্রতি তার সহানুভূতি নিয়ে চিন্তা করি না।’

তিনি জোর দিয়েছিলেন যে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘দায়ী’।

‘আপনি মাথায় গুলি করছেন এমন কারও প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ঠিক প্রশংসনীয় নয়। আমাদের এই লোকদের থেকে সহানুভূতির দরকার নেই। আমাদের তাদের অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ বন্ধ করতে হবে যা সক্রিয়ভাবে লোকেদের হত্যা করছে যা তারা অনুমিতভাবে সহানুভূতিশীল’, বলেন আবদেলহাদি।

কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গাজায় অনেক নিরপরাধ বেসামরিক লোকের মৃত্যুসহ মানবিক দুর্ভোগ নিয়ে আমার উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।’

হ্যারিস যুদ্ধকে ‘বিধ্বংসী’ অভিহিত করে বলেছেন, ‘মৃত শিশু এবং মরিয়া, ক্ষুধার্ত মানুষদের সুরক্ষার জন্য পালিয়ে যাওয়ার চিত্র - কখনও কখনও দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থবারের জন্য বাস্তুচ্যুত - আমরা এই ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হতে পারি না। আমরা নিজেদেরকে তাদের কষ্টের কাছে অসাড় হতে দিতে পারি না এবং আমি চুপ থাকব না।’

তিনি গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির লক্ষ্যে বাইডেনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পক্ষেও সমর্থন জানিয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা

অমিয়/

ম্যানিলা উপসাগরে তেল ছড়িয়ে পড়ে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:০১ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
ম্যানিলা উপসাগরে তেল ছড়িয়ে পড়ে বিপর্যয়ের আশঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত

ম্যানিলা উপসাগরে ডুবে যাওয়া ট্যাঙ্কার থেকে শুক্রবার (২৬ জুলাই) ১৪ লাখ লিটার শিল্প জ্বালানি তেল আনলোড করা হয়। 

এ সময় তেল ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পরিবেশগত বিপর্যয় এড়াতে জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফিলিপাইনের কোস্টগার্ড।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোরে এমটি টেরা নোভা নামের ট্যাঙ্কারটি বাতান প্রদেশের লিমা থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে ম্যানিলা উপসাগরে ডুবে যায়। এতে এর একজন ক্রু মারা যান। 

ট্যাঙ্কারটি ডুবে যাওয়ার পর সাগরের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে তেলের আস্তরণ শনাক্ত করা হয়। 

ফিলিপাইনের হাজার হাজার জেলে ও পর্যটন অপারেটর জীবিকার জন্য ওই তেলের ওপর নির্ভরশীল।

দেশটির কোস্টগার্ডের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল আরমান্দো বালিলো শুক্রবার বলেন, ‘সামান্য’ তেল ছড়িয়ে পড়েছে, যা ডিজেল বলে মনে করা হচ্ছে।

বালিলো আরও বলেন, ট্যাঙ্ক থেকে কোনো তেল লিক হচ্ছে না, তবে পরিবেশগত বিপর্যয় এড়াতে তেল নিঃসরণের জন্য সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়াচ্ছি।

উপকূলরক্ষীরা তেল আনলোড করতে সাত দিনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। 

তবে বালিলো সতর্ক করেছেন, ট্যাঙ্কারটি যদি ফুটো হয়ে যায়, তবে ফিলিপাইনের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। সূত্র: এএফপি

ইসরাত চৈতী/অমিয়/

বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য দিল্লির কড়া বার্তা পেয়ে জবাব দিলেন ক্ষুব্ধ মমতা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৮ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১০ এএম
দিল্লির কড়া বার্তা পেয়ে জবাব দিলেন ক্ষুব্ধ মমতা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য নিয়ে ঢাকা থেকে ভারত সরকারের কাছে আপত্তি জানানো হয়। সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এরপরই বাংলাদেশের বিষয়টি একটি সার্বভৌম দেশের বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। রাজ্য সরকারের ওই প্রসঙ্গে কথা বলার কোনো এখতিয়ার নেই বলেও জানান জয়সওয়াল। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দিল্লি যাওয়ার পথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারকে পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, ‘আমাকে কিছু শেখাবেন না।’

দিল্লিতে বাংলাদেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আমি খুব ভালো জানি। আমি সাত বারের এমপি, দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। বিদেশনীতি অন্য কারও চেয়ে ভালো জানি। তাদের আমাকে শেখানো উচিত নয়। বরং তাদের পরিবর্তিত ব্যবস্থা থেকে শেখা উচিত।’

গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের ধর্মতলায় রাজনৈতিক সমাবেশে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে মমতা জানিয়েছিলেন, পড়শি দেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। তবে সেই সঙ্গে তিনি জানান, এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ, বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকার বলবে। সেই মন্তব্যের পরই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মমতার বিরুদ্ধে সরব হয়। ক্ষমতাসীন বিজেপির দাবি, মমতার এমন কথা বলার কোনো এখতিয়ার নেই।

মমতার মন্তব্যে আপত্তি জানায় ঢাকাও। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার ওই বক্তব্যের জেরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।’ পাশাপাশি তিনি এও জানান, এ ব্যাপারে ভারত সরকারকে ‘নোট’ দেওয়া হয়েছে।

পরে গত বৃহস্পতিবার জয়সওয়াল বাংলাদেশের কাছ থেকে পাওয়া ‘আপত্তিবার্তা’র কথা স্বীকার করেন। অন্যদিকে মমতাকেও কার্যত সংবিধানের পাঠ দিয়ে জানানো হয়েছে, অন্য কোনো দেশ বা বৈদেশিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার রাজ্য সরকারের নেই। সংবিধান সেই অধিকার দেয়নি রাজ্যকে। এ নিয়ে বলার এখতিয়ার শুধু ভারত সরকারেরই আছে। সেই প্রসঙ্গেই মমতা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আক্রমণ করেন।

‘সময় হয়েছে যুদ্ধ শেষ হওয়ার’

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০১ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০১ এএম
‘সময় হয়েছে যুদ্ধ শেষ হওয়ার’
ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তার এ অবস্থানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রাজনৈতিক অবস্থানের মিল রয়েছে।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে হ্যারিস বলেন, এ যুদ্ধ শেষ হওয়ার সময় হয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জো বাইডেন। তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা রয়েছে কমলা হ্যারিসের। আগামী মাসেই ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়ন পেতে পারেন হ্যারিস। 

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বিবৃতিতে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমরা দুর্ভোগের কারণে অসাড় হয়ে যেতে পারি না এবং আমি নীরব থাকব না।’ 

হ্যারিসের মন্তব্য তীক্ষ্ণভাবে করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। নভেম্বরের ৫ তারিখ তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এ রকম কড়া মনোভাব দেখাবেন কি না, সে বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে তেমন বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না।   

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েল। তারা ঘোষণা দিয়েছে হামাসকে নির্মূল করার। মূলত ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও প্রায় ১২০০ মানুষের কারণেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। 

কিন্তু যুদ্ধে ইসরায়েল নির্বিচার হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ৩৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে। যাদের বেশির ভাগই নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ।

আন্তর্জাতিক মহল থেকে এ নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তোলা হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ। উল্টো নেতানিয়াহু বরাবরই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, যুদ্ধ জিইয়ে রেখে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার অক্ষুণ্ন রাখতে চাইছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতির দায়ে নিজ দেশে তার যে বিচার হওয়ার কথা, সেটি এড়ানোর চেষ্টা করছেন।

এরই মধ্যে একাধিকবার ইসরায়েলি মিত্র যুক্তরাষ্ট্র গাজার যুদ্ধ নিয়ে তাদের সতর্ক করেছে। শুরু থেকে তারা ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসলেও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গোটা বিষয়টির সমাধান চাইছে। 

এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল দুই পক্ষকে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে কয়েক মাস ধরেই আলাপ করে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তারা মনে করছেন দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি খুব কাছে রয়েছে।

উল্টো গাজায় হামলার মাত্রা বেড়েছে। বিগত দিনগুলোতে প্রচুর আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার খান ইউনিস থেকে মানুষকে সরে যেতে বলে। তারা দাবি করে, ওই এলাকা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। 

এরপর যথেষ্ট সময় না দিয়েই শুরু করা হয় আক্রমণ। মানুষ ভয়ে পালাতে শুরু করে এবং অন্তত ৭০ জন প্রাণ হারায়। খান ইউনিসে এটি ইসরায়েলের দ্বিতীয় অভিযান। এর আগে চলতি বছরের শুরুতেও খান ইউনিসে হামলা চালিয়েছিল তারা। 

বাইডেন এর আগে নেতানিয়াহুকে বলেছিলেন, তার (নেতানিয়াহু) যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় শূণ্যস্থান পূরণে ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে কাজ শুরু করা উচিত।

নেতানিয়াহু কমলা হ্যারিসের রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করবেন। তবে হ্যারিস কী চাইছেন, তা পুরোপুরি স্পষ্ট। নিজ বক্তব্যে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা কীভাবে, সে বিষয়টি আমলে নিতে হবে।’ সূত্র: রয়টার্স

জাপানে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধস

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
জাপানে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধস
ছবি: সংগৃহীত

জাপানের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। শত শত বাসিন্দাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দেখা দেওয়া ওই বন্যা ও ভূমিধসে অঞ্চলটির পরিবহনব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এরই মধ্যে জাপানের ইয়ামাগাতা ও আকিতা অঞ্চলের কয়েকটি পৌরসভায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ অবস্থানে সরে যাওয়ার ও কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ তথ্যের ওপর মনোযোগ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর বলছে, বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে নৌকায় করে ১১ জনকে সরিয়ে নিয়েছেন শহরের উদ্ধারকর্মীরা। ইয়ামাগাতা প্রদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউজা ও সাকাতা শহর। বৃহস্পতিবার শহর দুটিতে এক ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটারের (৪ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

ওই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাকে উঁচু ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে কতজন সে পরামর্শ মেনেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এদিকে, আকিতা প্রদেশের ইউজাওয়া শহরে একটি সড়ক নির্মাণ সাইটে ভূমিধস হয়ে একজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। সূত্র: এপি