প্রবীণ সাংবাদিক, বিশিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নিস্ট, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জিয়াউল হক আর নেই।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৫টায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সোমবার রাতে বাদ এশা মিরপুর সাংবাদিক আবাসিক এলাকায় মসজিদুল ফারুকে নামাজে জানাজা শেষে কালশী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
জিয়াউল হক দীর্ঘদিন স্পোর্টস সাংবাদিকতা করেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে সিনিয়র সহকারি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। কাজ করেছেন দৈনিক পূর্বদেশসহ আরও কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায়। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিয়েছেন। গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আজীবন সোচ্চার ছিলেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম সাংবাদিক জিয়াউল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, খাঁটি দেশপ্রেমিক এই সাংবাদিক নেতার মৃত্যুতে সাংবাদিকতায় যে ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়। মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে, সাংবাদিক জিয়াউল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর (পাভেল) ও সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ মিডিয়া সেল সদস্যরা।
শোক বানীতে তারা বলেন, জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসী এই সাংবাদিক নেতার মৃত্যুতে সাংবাদিকতায় যে ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়।