ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

জেন্ডার সংবেদনশীল প্রতিবেদন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার পেলেন ৫ সাংবাদিক

প্রকাশ: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫২ এএম
আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫২ এএম
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার পেলেন ৫ সাংবাদিক
ছবি : সংগৃহীত

জেন্ডার সংবেদনশীল সেরা রাজনৈতিক প্রতিবেদনের জন্য সংবাদপত্র, অনলাইন ও টেলিভিশনের পাঁচজন সাংবাদিককে পুরস্কার দিয়েছে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, কামরুন নাহার সুমি (নিউ এজ), ফারহানা তাহের তিথি (দৈনিক খবরের কাগজ), ইসমাইল হোসেন রাসেল (জাগোনিউজ২৪ডটকম), আব্দুল হালিম আদিত্য রিমন (ঢাকাপোস্টডটকম) ও আতোয়ার হোসেন (নাগরিক টিভি)। 

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেল ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যশনাল আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ডেপুটি চিফ (প্রোগ্রামস) আমিনুল এহসান, ডেপুটি চিফ অব পার্টি লেসলি রিচার্ডস, সিনিয়র ডিরেক্টর লিপিকা বিশ্বাস এবং সিনিয়র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট রীতা দাস।

ইউএসএআইডি অর্থায়নে স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) প্রকল্পের আওতায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ঢাকার বিভিন্ন মিডিয়ার ২৩ জন সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে জেন্ডার সংবেদনশীল রাজনৈতিক প্রতিবেদন তৈরির উপর দুই ধাপে আবাসিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। ২০২৩ এর নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অংশগ্রহণকারীদের প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রতিবেদন মূল্যায়ন করে এই স্বীকৃতি দিলো ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল। 

রাজনীতিতে নারীর প্রতিনিধিত্বের গুরুত্ব এবং নারীদের মিডিয়া চিত্রায়নের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলার উপায় নিয়ে মিডিয়া কর্মীদের সংবেদনশীল করার জন্য সাংবাদিকদের জন্য ‘জেন্ডার সংবেদনশীল রাজনৈতিক প্রতিবেদন’ বিষয়ে দু'টি ব্যাচে প্রশিক্ষণের আয়োজন করে সংগঠনটি। প্রশিক্ষণে প্রধান তিন দলের রাজনীতিকসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন। যাতে বিদ্যমান লিঙ্গ বৈষম্য, সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া, নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণে বৈষম্য, গণমাধ্যমে নারী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থাপন, সংবেদনশীল ভাষার ব্যবহার, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের আইনি কাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়বস্তুর উপর বিশদ আলোচনা হয়। 

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সমাপনী প্রশিক্ষণে সেরা প্রতিবেদনের পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এসপিএল প্রকল্পের চিফ অব পার্টি ডানা এল. ওল্ডস। এসময় তিনি গণমাধ্যমে রাজনৈতিক ইস্যুতে নারীদের যথাযথ উপস্থাপনের মাধ্যমে তুলে ধরতে এবং ইতিবাচক মনোভাব তৈরির জন্য চতুর্থ এস্টেট হিসাবে গণমাধ্যমের শক্তির উপর জোর দেন।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের জেন্ডার-সংবেদনশীল রাজনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে আশা প্রকাশ করা হয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মাধ্যমে গণতন্ত্র ও অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে তারা তাদের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রাখবেন।

তিথি/এমএ/ 

সাংবাদিক সাঈদকে গ্রেপ্তারের নিন্দা বিএফইউজে-ডিইউজের

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
সাংবাদিক সাঈদকে গ্রেপ্তারের নিন্দা বিএফইউজে-ডিইউজের
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দ্য মিরর এশিয়ার ঢাকা প্রতিনিধি সাঈদ খান। ছবি: খবরের কাগজ

সাংবাদিক সাঈদ খানকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে সাংবাদিকদের দুই সংগঠন। শুক্রবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের শীর্ষ নেতারা এ নিন্দা জানান। 

সাংবাদিক নেতাদের অভিযোগ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দ্য মিরর এশিয়ার ঢাকা প্রতিনিধি সাঈদ খানকে গত বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে তার মগবাজারের বাসা থেকে ডিবির একটি দল তুলে নিয়ে গেছে। তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয় এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে অবশেষে কাফরুল থানায় মেট্রো রেলস্টেশন পোড়ানো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

সাংবাদিক সাঈদ খানকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘এ গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে সরকার মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করতে আরও একটি ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।’

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘সরকারি বাহিনীর হাতে মাত্র এক সপ্তাহে চার সাংবাদিক নিহত এবং দুই শতাধিক সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনার বিচার না করে প্রতিবাদী সাংবাদিক নেতা সাঈদ খানকে গ্রেপ্তার সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের একটি কু-নজির।’ 

সাংবাদিক নির্যাতন ও গণহত্যা বন্ধের দাবি বিএফইউজে-ডিইউজের

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
সাংবাদিক নির্যাতন ও গণহত্যা বন্ধের দাবি বিএফইউজে-ডিইউজের
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনে গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতারা। সেই সঙ্গে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সাংবাদিক  ও গণহত্যার  আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি জানিয়েছেন তারা।

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এই দাবি জানান। 

বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে এবং ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, কবি আবদুল হাই শিকদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমদ, সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, আবু সালেহ আকন, সদরুল হাসান, কাজিম রেজা প্রমুখ। সমাবেশ থেকে ১৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। 

সমাবেশে রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘দেশের মানুষ অত্যন্ত দুঃসময় অতিক্রম করছে। আজ মানুষের জানমাল-ইজ্জতের কোনো নিরাপত্তা নেই। গত এক সপ্তাহে ৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। শত শত ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে দেশের মানুষ এমন অসহায়বোধ করেনি। এসব হামলার দায় সরকার এড়াতে পারে না। এই দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে যেভাবে গণহত্যা শুরু হয়েছে তা ১৯৭১ সালকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ১৯৭১ সালে ভিনদেশিরা আমাদের হত্যা করেছিল। আর আজ দেশের জাতীয় দুশমনরা মানুষ হত্যার উৎসবে মেতে উঠেছে। আজ অনেক সাংবাদিক ও ছাত্ররা গুলিবিদ্ধ। তারা হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’ গত কদিন ধরে সংঘটিত গণহত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও খুনিদের চিহ্নিত করতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান তিনি।  

এম এ আজিজ বলেন, ‘সরকার আজ আমাদের সমাবেশে মাইক লাগাতে দেয়নি। সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তার মানে সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এই সরকার জনগণের কণ্ঠরোধ করে, হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। অবিলম্বে এই সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।’

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সহসভাপতি একেএম মহসিন, কোষাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের দফতর সম্পাদক আবু বকর, ডিইউজের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক রফিক লিটন, দফতর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য অর্পনা রায়, আবু হানিফ, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য নিজাম উদ্দিন দরবেশ, এম মোশাররফ হোসেন, তালুকদার রুমি, গাজী আনোয়ারুল হক, আব্দুল্লাহ মজুমদার, ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

১৭ দফাগুলো হলো- সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন বন্ধ করা;  সম্প্রতি ৪ জনসহ গত ১৬ বছরে ৬৬ জন সাংবাদিক খুনের বিচার; কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা; সাংবাদিক সুরক্ষা আইন; বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়া;  সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিল; গণমাধ্যমের ওপর থেকে সব ধরনের চাপ তুলে নিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া; সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা তুলে নিতে হবে; ভুয়া সার্কুলেশন দেখিয়ে বিজ্ঞাপনের টাকা লুট বন্ধ করা; অবিলম্বে শিক্ষাঙ্গন খুলে দেওয়া; আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর বল প্রয়োগ বন্ধ করা; গণহত্যা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে এবং আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার আওতায় আনা; নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. ইউনূসের ওপর বিচারিক হয়রানি বন্ধ করা প্রভৃতি।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ বিএফইউজে-ডিইউজের

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ১১:২৮ পিএম
আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪, ১১:২৮ পিএম
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ বিএফইউজে-ডিইউজের

কোটা সংস্কার আন্দোলনে মাঠপর্যায়ে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা, জখমের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম এক যুক্ত বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক হামলা-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে বলা হয়, সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচির খবর সংগ্রহ এবং তা জনগণের সামনে উপস্থাপন করেন। এ দায়িত্ব পালনে তাদের ওপর আক্রমণ বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া খুবই উদ্বেগের। 

বিবৃতিতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতার পুনঃআহ্বান জানিয়ে বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হাতে শাহবাগসহ বিভিন্নস্থানে সাংবাদিকরা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই সাংবাদিকরা যখন তথ্য-উপাত্তসহ সত্য প্রকাশে কলম ধরেছেন তখনই তাদের রক্তাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত মাঠপর্যায়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সংবাদিকরা পুলিশ ও সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনেও তারা পুলিশ ও ছাত্রলীগের গুণ্ডাবাহিনীর টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন। 

অবিলম্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতন বন্ধ না হলে বিএফইউজে ও ডিইউজে বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে উল্লেখ করেন নেতারা।

বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ সমাবেশ 

কোটা সংস্কার আন্দোলনে মাঠপর্যায়ে সংবাদ সংগ্রহের সময় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজ) আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। 

মিজানুর রহমান/সালমান/

খুলনা টিভি রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি বাবুল, সম্পাদক অভিজিৎ

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৩২ এএম
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০১:০২ পিএম
খুলনা টিভি রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি বাবুল, সম্পাদক অভিজিৎ
কেটিআরইউর নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এশিয়ান টিভির খুলনা বিভাগীয় প্রধান বাবুল আকতার এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক অভিজিৎ পাল। ছবি: খবরের কাগজ

খুলনা টিভি রিপোর্টার ইউনিটির (কেটিআরইউ) বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে এশিয়ান টিভির খুলনা বিভাগীয় প্রধান বাবুল আকতার ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক অভিজিৎ পাল নির্বাচিত হয়েছেন।

শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান উৎসব টেলিভিশনের ব্যুরোপ্রধান সুনীল দাস তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

নির্বাচনে নির্বাহী কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন- সহসভাপতি বাংলাদেশ টেলিভিশন শিল্পাঞ্চল প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আনন্দ টিভির খুলনা ব্যুরোর প্রধান আমজাদ আলী লিটন, কোষাধ্যক্ষ বাংলা টিভির খুলনা ব্যুরোর প্রধান তরিকুল ইসলাম ডালিম ও নির্বাহী সদস্য এটিএন বাংলার খুলনা ব্যুরোপ্রধান এস এম হাবিব, মোহনা টিভির খুলনা ব্যুরোপ্রধান মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, ডিবিসি টিভির খুলনা ব্যুরোপ্রধান মো. আমিরুল ইসলাম ও বৈশাখী টিভির খুলনা ব্যুরোপ্রধান শেখ হেদায়েতুল্লাহ। 

২৮ জুন খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির ৯টি পদে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৫ জুলাই মনোনয়নপত্র দাখিল ও যাচাই-বাছাই করা হয়।

মাকসুদ রহমান/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি সবুজ, সম্পাদক কাওসার

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি সবুজ, সম্পাদক কাওসার
রফিকুল ইসলাম সবুজ ও কাওসার আজম

দৈনিক সময়ের আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সবুজকে সভাপতি এবং দৈনিক নয়া দিগন্তের নিজস্ব প্রতিবেদক কাওসার আজমকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএআরএফ) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (১০ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি রেস্টুরেন্টে বিএআরএফের ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়।

দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র রিপোর্টার মুন্না রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যরা হলেন সহসভাপতি চপল মাহমুদ (দৈনিক আমাদের সময়), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান (এটিএন নিউজ), অর্থ সম্পাদক আয়নাল হোসেন (আজকের পত্রিকা), সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুসাইন (জাগো নিউজ), দপ্তর সম্পাদক ফারুক আহমাদ আরিফ (প্রতিদিনের বাংলাদেশ), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাফিউল আল ইমরান (দৈনিক সংবাদ) এবং প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক শওকত আলী পলাশ (বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)।

নির্বাহী সদস্যরা হলেন মুন্না রায়হান (দৈনিক ইত্তেফাক), জাহিদুর রহমান (দৈনিক সমকাল), হরলাল রায় সাগর (ভোরের কাগজ), ইউসুফ আরেফিন (দৈনিক কালবেলা), ও ইয়াসিন রহমান (দৈনিক যুগান্তর)।

মারুফ/সালমান/