![অগ্নিদগ্ধ চিকিৎসককে দেখতে হাসপাতালে গেলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী](uploads/2024/02/27/1709048654.Shamonto_Lal.jpg)
সাবেক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা আক্তারকে দেখতে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় চিকিৎসকরা তাকে জানান, লতা আক্তারের শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এমন ঘটনায় আসলে কেউই লাভবান হয় না। শুধু নিজেদেরই ক্ষতি। ডা. লতাকে সুস্থ করতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সব ধরনের চেষ্টাই অব্যাহত রাখতে হবে। আমি চাই, সে দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর আহমেদুল কবীর, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক রায়হানা আউয়ালসহ অন্য চিকিৎসরা।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ব্রাহ্মণের টেক গ্রামে সাবেক স্বামী খলিলুর রহমান পেট্রল ঢেলে লতা আক্তারের গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন। এরপর খলিলুর রহমান নিজের গায়েও আগুন দেন। সন্ধ্যার দিকে লতা আক্তারকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ও খলিলুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন (সোমবার) চিকিৎসাধীন অবস্থায় খলিলুর রহমান মারা যান।
লতা আক্তার ব্রাহ্মণের টেক গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। খলিলুর রহমানের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকায়।