বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী । খবরের কাগজ
ঢাকা ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, রোববার, ১৯ মে ২০২৪

বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:২৯ এএম
বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ নির্বাচনি ইশতেহারে ১১টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম বলেছেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।

রবিবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএস সম্মেলন কক্ষে ‘আনপ্যাকিং দ্য ইকোনমিক মেনিফেস্টো অব দ্য আওয়ামী লীগ: ট্রেন্ডস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস ফর টুমরোস বাংলাদেশ’ শীষর্ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত দুই পর্বের এই সেমিনারে বিভিন্ন প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষকরা। 

বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়েক সেনের সঞ্চালনায় প্রথম পর্বের সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। দ্বিতীয় পর্বের সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। 

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নির্বাচনি ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর্থিক খাত সংস্কারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এসডিজি অর্জনেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সর্বজনীন পেনশন সুবিধার কথাও বলা হয়েছে। 

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) অনেকে বলেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। তাদের নেতা অন্ধকারে থেকে যা করছেন, তা মোটেই কাম্য নয়। আমরাও চাই তাদের নেতা লন্ডনে না থেকে দেশে আসুক। গত সংসদে অফশোর ব্যাংকিং আইন হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুরু হয়ে গেছে। তাতে সাড়া-শব্দ পাচ্ছি। পাচার করা অর্থ ফিরে আসবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অল্প সময়ে যা করতে পেরেছি তাতে ভালো অবস্থানে উঠে এসেছি। দেশে নতুন করে ইনভেস্টমেন্ট হচ্ছে। জার্মান, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরবসহ অনেকে এগিয়ে আসছে। কাজেই ওটা নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। এখন বাংলাদেশ সামনের দিকে নজর দিচ্ছে।’ সুদ মওকুফে জনগণের উপকার হচ্ছে কি না, তা দেখা দরকার

ড. মশিউর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার চিন্তার প্রতিফলন ঘটেছে। অর্থনীতির বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ট্যাক্স আদায়ের সিস্টেম যে পর্যায়ে এসেছে তাতে সমস্যা রয়ে গেছে। তা সংস্কার করতে হবে। কারণ যারা ট্যাক্স দেয় তারা বলে ট্যাক্স রেট বেশি। আবার এটা জিডিপির অনুপাতে কম। তা বাড়াতে হবে। সুদ মওকুফে জনগণের উপকার হচ্ছে কি না, তা দেখা দরকার। শিল্প ও রপ্তানি খাত আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, তা দেখা দরকার।

ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীলতায় অনেক কিছু জড়িত। যুদ্ধের নামে ডাকাতরা অতিরিক্ত ১৪ বিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে। এটা না গেলে কেউ বড় কথা বলার সুযোগ পেত না। জিও-পলিটিক্সের কারণে জনগণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার যা বলেছিল তার চেয়ে বেশি কিছু করেছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করা দরকার মায়েদের স্বাস্থ্যে। কারণ বাচ্চারা সুস্থ হলে সম্পদে পরিণত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার কার্যকর হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য মনিটরিং সেল গঠন করা দরকার। 

ড. বিনায়েক সেন তার প্রবন্ধে বলেন, নানা উৎস থেকে নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন করা হয়েছে। এটা শুধু নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি নয়, অর্থনীতির স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি বিষয় জড়িত। অর্থনীতির চালচিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনাকালে ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৩ শতাংশে নেমে যায়। বাকি সময়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। মূল্যস্ফীতি ভালো করলেও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে তা বেড়ে গেছে। স্ট্রাকচারাল ট্রান্সফরমেশন হয়েছে। রপ্তানি বাড়লেও তা আশানুরূপ হয় না। ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত কম। সিঙ্গেল ডিজিটে রয়েছে। তা ১৫-১৭ শতাংশে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১০ বছরে ৫ শতাংশ আনা সম্ভব হবে। 

সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত বাড়াতে পারছি না। সমস্যা কোথায় রয়ে গেছে। তাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর আদায় করতে হবে। আর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের মাধ্যমে নীতি প্রণয়ন করতে হবে। 

ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য শেখর দত্ত বলেন, রাজনীতি ও অর্থনীতি যমজ ভাইয়ের মতো। একটার সমস্যা হলে অন্যটায়ও ফাটল দেখা দেয়। এখন অর্থনীতিতে অনেক দূর এগিয়েছি। কিন্তু রাজনীতিতে পিছিয়ে আছি। আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন করা হয়েছে রাজনীতির গতিধারায়। এখানে যা তুলে ধরা হয়েছে এর বাইরে কেউ কিছু বলতে পারে না।

বিচারের আগে মিডিয়া ট্রায়াল অমানবিক: আইজিপি

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
বিচারের আগে মিডিয়া ট্রায়াল অমানবিক: আইজিপি
ছবি : খবরের কাগজ

বিচারের আগে মিডিয়া ট্রায়ালকে অমানবিক বলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার) পিপিএম।

তিনি বলেন, বিচারের আগে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ আইনত বন্ধ থাকার কথা থাকলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তবে এখন আগের চেয়ে অনেক কম হচ্ছে। বিচারের আগে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ অমানবিক। তারপরও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আটক বা অভিযানের বিষয়গুলো এখনো ছড়িয়ে পড়ে। বিচারের আগে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ পুরোপুরি বন্ধ করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

রবিবার (১৯ মে) সকালে সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এ সব কথা বলেন। 

এর আগে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার ও কনফারেন্স রুম উদ্বোধন করেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে পুলিশ সাফল্যজনক ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে দেশে সব ধরনের জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের অনেক অক্লান্ত পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। এখন কোনো কিছু ঘটার আগেই পুলিশ তথ্য জেনে যায় এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

শাকিলা ববি/জোবাইদা/অমিয়/

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকদের বিক্ষোভে বাস ভাঙচুর!

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৩:৪৩ পিএম
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকদের বিক্ষোভে বাস ভাঙচুর!
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা মহানগরীতে অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর আগারগাঁও ও মিরপুর-১০ নম্বরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন চালকরা। এ সময় মিরপুর ১০ নম্বরে বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

রবিবার (১৯ মে) দুপুর আড়াইটার পর এই ঘটনা ঘটে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগারগাঁও ও মিরপুর-১০ নম্বরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ তারা। 

পরে মিরপুর-১ নম্বরের সনি সিনেমা হলের সামনে অবস্থান নেন। 

এর আগে ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান এবং রঙচটা, জরাজীর্ণ, লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চালানো বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। 

বিআরটিএ জানায়, ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার ঢাকা মহানগরীতে চলাচলের কারণে সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার এবং ফিটনেসের অনুপযোগী, রঙচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এ অবস্থায় ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার এবং ফিটনেসের অনুপযোগী, রঙচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চলাচল বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি সাব্বির আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, অটোরিকশাচালকরা বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা ও ভাঙচুর করে। করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য রয়েছে। আমরা এখনো মাঠে আছি, যেকোনো প্রস্তুতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।

এদিকে অটোরিকশাচালকদের রাস্তা অবরোধ করার কারণে এসব এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লম্বা যানজটের সৃষ্টি হয়।

খাজা/অমিয়/

জরাজীর্ণ বাসের মালিকদের ডেকেও লাভ হচ্ছে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম
জরাজীর্ণ বাসের মালিকদের ডেকেও লাভ হচ্ছে না: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

রাজধানীর সড়কে চলাচল করা জরাজীর্ণ বাসের মালিকদের ডেকেও লাভ হচ্ছে না জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, রাজধানীর সড়ক থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ, জরাজীর্ণ ও রঙচটা বাসগুলো তুলে নিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও পরিবহন মালিকদের অসহযোগিতায় তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। ধাপে ধাপে এই জরাজীর্ণ বাস তুলে নিতে বিআরটিএ সম্প্রতি পরিবহন মালিকদের বারবার সময় বেঁধে দিলেও তাতে তারা কর্ণপাত করছেন না।

রবিবার (১৯ মে) সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আয়োজিত ঢাকা মেট্রোরেলের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। 
 
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা শহরে যে বাসগুলো চলে তার কী গরিব গরিব চেহারা! ঢাকা শহরে যে বাস চলে তার চেয়ে আফ্রিকার ছোট শহরের বাস সুন্দর। কেন এত জরাজীর্ণ চেহারা! বিআরটিএতে বারবার মিটিং ডেকেও তো বিষয়টি সমাধান করা যাচ্ছে না।’

ঈদুল ফিতরের আগে গত ২ এপ্রিল বিআরটিএ পরিবহন মালিকদের সঙ্গে যৌথ সভার আয়োজন করেছিল। ওই সভায় ঢাকার সড়ক থেকে জরাজীর্ণ বাস সরিয়ে নিতে ৩১ মে পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন পরিবহন মালিকরা। কিন্তু ওই সভার পরে পরিবহন মালিকরা এ ব্যাপারে জোরালো পদক্ষেপ নেননি বলে জানা গেছে। 

রঙচটা কিছু বাস নতুনভাবে রঙ করে সড়কে নামানো হয়েছে। কিছু পরিবহন কোম্পানির আনফিট বাস নতুন করে বিআরটিএর ফিটনেস টেস্ট উতরে গেছে। তবে তাতে জরাজীর্ণ বাসের সংকট সমাধান হয়ে যায় না বলে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের।

রবিবারের অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের ঢাকার দুই মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও মো. আতিকুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘উত্তরের মেয়র, দক্ষিণের মেয়র- তাদের বলব এই ব্যাপারটা দেখা দরকার। আপনাদের কর্মপ্রয়াসের সঙ্গে এটি সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বাংলাদেশকে স্মার্ট করতে হলে ঢাকাকে স্মার্ট করতে হবে। লিপ সার্ভিস দিয়ে তো লাভ নেই। জীর্ণশীর্ণ বাসগুলো দেখতে কেমন! আমরা লজ্জা পাচ্ছি, আমাদের মালিক সাহেবরা কী লজ্জা পান না, বিদেশে যান না!’

মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে ৫ স্টেশন

মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬৷ বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষে যাত্রী চলাচল করছে। এই রুটটি বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাজ সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। 

তিনি বলেন, ‘এ রুটের কাজ শেষ হলে মেট্রোরেল অতিরিক্ত ৫ লাখ যাত্রী বহন করতে পারবে। উত্তরা-উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এ রুটের দৈর্ঘ্য হবে ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এ রুটে হবে নতুন ৫ স্টেশন- দিয়াবাড়ী বাজার, সোনারগাঁও জনপদ রোড পূর্ব ও পশ্চিম, টঙ্গী বাজার, টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন। 

এম এ এন ছিদ্দিক জানান, দিয়াবাড়ি থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মেট্রোরেল বর্ধিত করতে সমীক্ষা চলমান। মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে সংযুক্ত করতে পারলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এ পথ চালু হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রাপথ হবে ৪৮ মিনিটের। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

মেট্রোরেলের এমডি বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেওয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ 

জয়ন্ত সাহা/ইসরাত চৈতী/অমিয় 

হুঁশিয়ারির পরও বেড়েছে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন: টিআইবি

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০২:২০ পিএম
হুঁশিয়ারির পরও বেড়েছে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন: টিআইবি
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির পক্ষ থেকে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় হুঁশিয়ারির পরও মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের অংশগ্রহণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

রবিবার (১৯ মে) সকালে ধানমন্ডির নিজ কার্যালয়ে দ্বিতীয় ধাপে ভোট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির পক্ষ থেকে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

টিআইবি জানায়, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের হুমকি-ধমকি সত্ত্বেও উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপেও কমেনি মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতা। এ ধাপেও ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মন্ত্রী-এমপিদের ১৭ জন স্বজন। এর আগে প্রথম ধাপের ভোটে ছিল ১৩ জন। 

দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পেয়েছে টিআইবি।

দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট প্রার্থী এক হাজার ৮১১ জন। তার মধ্যে ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত, যা প্রতি চারজন প্রার্থীর একজন ঋণগ্রস্ত। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ জন। ভাইস চেয়ারম্যান ১৬৭ জন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৬০ জন।

এ ধাপের নির্বাচনে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ। ১১৬ প্রার্থীর সম্পদ এক কোটি টাকা বা তার বেশি, শতকরা হারে যা ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মোট প্রার্থীর মধ্যে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রার্থী বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

টিআইবি জানায়, নির্বাচনে বিগত ৫ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ১১ হাজার, স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ।

পেশাগত বিশ্লেষণে প্রথম ধাপের মতে এ ধাপে প্রার্থীদের মধ্যেও রয়েছে ব্যবসায়ীদের আধিক্য। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ ব্যবসায়ী। এর আগে প্রথম ধাপেও পেশা হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৭০ শতাংশই ছিলেন ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৭ শতাংশ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের ২৪ শতাংশ ব্যবসায়ী। 

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামসহ সংস্থাটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এলিস/ইসরাত চৈতী/অমিয়/ 

বর্জ্যব্যবস্থাপনা মেনেই শিল্প-কারখানা করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০১:৪৭ পিএম
বর্জ্যব্যবস্থাপনা মেনেই শিল্প-কারখানা করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য (এসএমই) মেলা-২০২৪ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনা মেনেই শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘শিল্প আমাদের গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনা অবশ্যই সবাইকে করতে হবে এবং সেটা মেনে নিতে হবে। সামান্য একটু কেমিক্যাল ব্যবহারের ওই পয়সাটা বাঁচাতে গিয়ে দেশের সর্বনাশ, সঙ্গে সঙ্গে নিজের সর্বনাশটা কেউ করবেন না- সেটা আমার অনুরোধ থাকল।’

রবিবার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপণ্য (এসএমই) মেলা-২০২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে এবং শিল্পায়নকে পরিবেশবান্ধব করতে শিল্প-কারখানা নির্মাণে সঠিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা যেখানেই কোনো শিল্প গড়ে তুলবেন সেখানে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন আপনার এই শিল্পের বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে, আমাদের পানি যেন কোনোভাবে দূষণ না হয়, মাটিতে দূষণ যেন না হয়। সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আমি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

আমাদের দেশ ‘ভৌগলিক সীমারোখায় ছোট এবং জনসংখ্যার দিক দিয়ে বড়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের দেশের পরিবেশ ও সবকিছু অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হওয়া উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া উচিত। সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ুর অভিঘাতে যেন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত না হই সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা আমাদের শিল্প খাতকে আরও পরিবেশবান্ধব করতে চাই। কারণ শিল্প খাত একান্তভাবে পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত।’

এসএমই পণ্য মেলায় উদ্যোক্তাদের ৬০ শতাংশই নারী দেখে প্রধানমন্ত্রী তাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সমাজের একটা অংশকে বাইরে রেখে সেই সমাজ কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। আমাদের দেশের নারী-পুরুষ সবাইকে যদি আমরা উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারি তাহলে সমানভাবে দেশটা দ্রুত উন্নত হবে। এজন্য নারী উদ্যোক্তা আমাদের দরকার। 

যেহেতু শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে পুরুষরা ঘরের নারীদের (স্ত্রী-কন্যা-বোন) নামে, তাদের সঙ্গে নিয়ে এখানে যুক্ত হতে পারেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেননা অন্যত্র তো আর ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যাবে না। কাজেই পুরুষরা বিশেষ করে আমাদের যুবসমাজ এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন। কারণ আমরা চাই আমাদের শিল্প খাতে আরও উদ্যোক্তার সৃষ্টি হোক।’

পরে প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩’ বিজয়ী সাতজন মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। 

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। 

স্বাগত বক্তৃতা করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. মো. মাসুদুর রহমান। 

২০২৩ সালের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী এসএমই উদ্যোক্তাদের পক্ষে ‘রংপুর ক্রাফটস’-এর স্বত্বাধিকারী স্বপ্না রানী সেন অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

এবারের মেলায় অংশ নেওয়া সাড়ে তিন শ-এর বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ক্লাবসহ আরও প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

আগামী ২৫ মে শনিবার পর্যন্ত চলমান এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সূত্র: বাসস

অমিয়/