![চিকিৎসা খরচ জোগাতে দরিদ্র হয়ে পড়ে ২৪.৬০ শতাংশ মানুষ](uploads/2024/04/04/1712216190.health-news.jpg)
দেশে উপজেলা পর্যায়ে ৭৬ শতাংশ ও জেলায় ৩৬ শতাংশ চিকিৎসকের পদ শূন্য। এ ছাড়া উপজেলায় ১৫ শতাংশ ও জেলায় ১১ শতাংশ স্টাফ নার্স, উপজেলায় ৮ শতাংশ ও জেলায় ১১ শতাংশ ফামার্সিস্টের পদ শূন্য পড়ে আছে। এদিকে নার্স ও মিডওয়াইভদের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুসারে প্রতি এক হাজার জনসংখ্যার জন্য ৪ দশমিক ৪৫ জন থাকার কথা থাকলেও দেশে আছে মাত্র ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। ফলে সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে বাস্তবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রমের জন্য জাতীয় কর্মশালায় এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ স্মার্ট ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ নেটওয়ার্ক (বাসান) এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় চিকিৎসা ব্যয়ের প্রসঙ্গে জানানো হয়, দেশে সর্বশেষ হিসাব অনুসারে মোট চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৮ দশমিক ৫০ শতাংশ যায় ব্যক্তি বা পরিবারের পক্ষ থেকে। চিকিৎসা ব্যয় করাতে গিয়ে ২৪ দশমিক ৬০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়েন। অন্যদিকে দেশের স্বাস্থ্য বাজেটের ২২ শতাংশই অব্যয়িত থেকে যায়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত আরও কার্যকর করতে সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, চিকিৎসক থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মকর্তারা যদি আন্তরিকভাবে কাজ করেন তবে চিকিৎসার প্রতি অবশ্যই মানুষের আস্থা বাড়বে।
কর্মশালার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশ স্মার্ট ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. এ এফ এম রুহুল হক এমপি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের অবকাঠামো, কমিনিউটি ক্লিনিক সমগ্র বিশ্বে অতুলনীয়। আমাদের ব্যবস্থাপনায় আরও জোর দিতে হবে। রোগ প্রতিরোধে নজর বাড়াতে হবে। কমিউনিটি পর্যায় থেকে উপজেলা, উপজেলা পর্যায় থেকে জেলা, জেলা থেকে বিভাগে এবং পর্যায়ক্রমে রাজধানীতে রেফারেল সিস্টেম কার্যকর করা জরুরি।’
কর্মশালায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক, সাবেক স্বাস্থ্যসচিব এম এম রেজা, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খোরশিদ আলম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপের সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দীন, বিএমএর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব, বিএমডিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ স্মার্ট ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী ও বেসরকারি সংস্থা এমিনেন্সের নির্বাহী পরিচালক ডা. শামীম হায়দার তালুকদার।