![এক বন্ধুকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন যেন না হই : সেনাপ্রধান](uploads/2024/04/18/1713452737.SM_Shofiuddin.jpg)
সেনাবাহিনীর প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এক বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের যাতে বিরাগভাজন হতে না হয়, এমন বাস্তবতা বিবেচনায় রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত প্রতিরক্ষা কূটনীতিবিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীতে বিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে তিনি বলেন, ‘মায়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু দেশটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ অবস্থায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার মতো। কারণ সব দেশই আমাদের বন্ধু। একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না।’
এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে সরকারের সব সংস্থাই দেশের স্বার্থে কাজ করে- এমন অভিমত দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘সুযোগ খুঁজে বের করা এবং সহায়ক পরিবেশে কাজ করা হচ্ছে সবচেয়ে ভালো বিষয়। একা একা সফলতা অর্জন করা অসম্ভব। কীভাবে সবার সঙ্গে সহযোগিতা করা যায়, সেটি হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।’
সরকারি কাজ সমন্বয়ের জন্য একটি সংস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান বলেন, ‘অনেক বিষয় আছে, যেটি আমরা শুরু করেছিলাম কিন্তু শেষ করতে পারিনি। কারণ পরবর্তী সময়ে সেটি আমাদের হাতে থাকেনি। যখনই আমি ব্যবসা খাতের জন্য একটি সম্ভাবনা খুঁজে বের করলাম, সেটি পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চলে যায়। কাজেই আমি মনে করি একটি সংস্থা দরকার, যেটি সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করবে, যার মাধ্যমে যেটি অর্জন করা হয়েছে, সেটি হারিয়ে যাবে না এবং এর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ঠিক করবে।’
এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “আজ একজন বন্ধু আছে কিন্তু কাল সে বন্ধু না-ও থাকতে পারে। জাতীয় স্বার্থ ও মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে। পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এবং সামরিক বাহিনী পররাষ্ট্রনীতির উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সবকিছু করছে।”
সেমিনারে চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার উজ্জামান বলেন, ‘অনেকের হয়তো প্রতিরক্ষা কূটনীতি নিয়ে ভুল ধারণা আছে। কিন্তু আমাদের কূটনীতিকরা এটির প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি খুব ভালোমতো বোঝেন।’
সভাপতির বক্তব্যে বিসের চেয়ারম্যান এফ এম গওসুল আজম সরকার বৃহৎ পররাষ্ট্রনীতির পরিসরে প্রতিরক্ষা কূটনীতি কাজ করে বলে মন্তব্য করেন।