ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

সেরেলাকে চিনি মেশায় নেসলে: গবেষণা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৬ এএম
সেরেলাকে চিনি মেশায় নেসলে: গবেষণা প্রতিবেদন
ছবি : সংগৃহীত

বহুজাতিক খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক বিক্রি হয় বিশ্বের বহু দেশে। এবার সে খাদ্য নিয়েই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বলা হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশ ও দরিদ্র দেশগুলোতে সেরেলাকে চিনি মেশায় প্রস্তুতকারী সংস্থা নেসলে। তবে উন্নত দেশে এমনটা করে না তারা।

সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণায় ওঠে এসেছে বিষয়টি। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুদের জন্য নেসলের ব্র্যান্ড নিডোর যেসব পণ্য আছে তার সবকয়টিতেই বাড়তি চিনি আছে।

যুক্তরাজ্যসহ নেসলের প্রধান ইউরোপীয় বাজারগুলোতে সেরেলাকে কোনো চিনি ব্যবহার করা হয়নি। তবে সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল কিংবা দরিদ্র দেশগুলোতে সেরেলাকের পণ্যতে চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। 

যেমন- সুইজারল্যান্ডে নেসলে নিজেদের বিস্কুট ফ্লেভারের সেরেলাকে কোনো চিনি মেশায় না। অথচ ওই একই ফ্লেভারের সেরেলাক যেটি সেনেগাল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় বিক্রি হচ্ছে, সেগুলোতে চিনি মেশানো হচ্ছে। গবেষণায় ৬ গ্রাম করে বাড়তি চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। 

একইভাবে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের বাজারে নেসলে ১২ থেকে ৩৬ মাস বয়সীদের জন্য যেসব পণ্য বিক্রি করে, সেগুলোর কোনোটিতেই কোনো বাড়তি চিনি নেই। ছয় মাস বয়সী শিশুদের জন্য তৈরি সিরিয়ালেও কোনো চিনি নেই। একই চিত্র গমভিত্তিক সেরেলাকেরও। সেটি ছয় মাস বয়সী শিশুদের জন্য তৈরি করে নেসলে। জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের বাজারে ওই পণ্যে কোনো চিনি নেই। কিন্তু ইথিওপিয়া ও থাইল্যান্ডের বাজারে ওই একই পণ্যগুলোতে যথাক্রমে ৫ গ্রামের বেশি করে চিনি পাওয়া গেছে।   

সেরেলাকে চিনি ব্যবহার করে বিক্রি করা হয় যেসব দেশে, সেসব দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নামও। এ ছাড়া ভারত, পাকিস্তানের বাজারেও চিনি মিশ্রিত পণ্য বিক্রি করে তারা। পাবলিক আইয়ের প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে এ তথ্য।

নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে স্থূলতা ক্রমবর্ধমান একটি সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আফ্রিকায় ২০০০ সাল থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সী অতিরিক্ত ওজনের শিশুদের সংখ্যা প্রায় ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র: পাবলিক আই

 

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম বর্ষ উদযাপিত

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম বর্ষ উদযাপিত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ২৮তম বর্ষ উদযাপিত হয়েছে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা ওড়ানো, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, গবেষণা মঞ্জুরি প্রদান, পূবালী ব্যাংকের সৌজন্যে দুটি নতুন স্টাফ বাসের উদ্বোধন, আলোচনা সভা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ইত্যাদি নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বুধবার (৩০ এপ্রিল) দিবসটি উদযাপিত হয়। 

দিবসটির থিম ছিল ‘ইনোভেট-এডুকেট-এলিভেট ড্রিমস টু দ্য রিয়েলিটি।’ এই উদযাপনের অংশ হিসেবে ৫৬ শিক্ষক-চিকিৎসককে গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়।

এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীরা তাদের জন্য আপ্যায়ন বাবদ বরাদ্দ করা অর্থ সাধারণ রোগী ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উৎসর্গ করেন। এই অর্থ দিয়ে গণ-অভ্যুত্থানে আহত রোগীদের মধ্যে যারা বিএমইউতে চিকিৎসাধীন এবং সাধারণ রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। 

দিবসটি উপলক্ষে দুপুরের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘গবেষণার জন্য শুধু গবেষণা নয়, গবেষণাকে হতে হবে জনকল্যাণ ও উদ্ভাবনমূলক। নিত্যনতুন জ্ঞানের সৃষ্টি, ওষুধ আবিষ্কার, ভ্যাকসিন আবিষ্কারে অবদান রাখতে হবে। উচ্চতর চিকিৎসাশিক্ষাসহ স্বাস্থ্য খাতে সঠিক নীতিনির্ধারণে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে বিএমইউকে ভূমিকা রাখতে হবে; যা কেবল গবেষণার মাধ্যমেই সম্ভব। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাস্থ্য খাতে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ জনবল তৈরিতে নেতৃত্ব দেওয়ারও আহ্বান জানা তিনি।

ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমইউর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার প্রমুখ।

 

ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম
ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে এক নারীর (৪০) মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৯ জন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্টোল রুম ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এই ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে বরিশালে ২২, চট্টগ্রামে ১, ঢাকা বিভাগে ১, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৩, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১ এবং ময়মনসিংহে একজন ভর্তি হয়েছেন।

কন্ট্রোল রুম জানায়, চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ২ হাজার ৫৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩ এবং এপ্রিলে ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

আরিফ সাওন/এমএ/

শ্রম আইন শিগগিরই সংশোধন করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম
শ্রম আইন শিগগিরই সংশোধন করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা
সচিবালয়ে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: পিআইডি

শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে শিগগিরই শ্রম আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

শ্রম উপদেষ্টা জানান, শ্রম আইনে অনেক কিছু পরিবর্তন আসছে। এখনো চূড়ান্ত না হলেও অনেক পরিবর্তন আসছে। কবে নাগাদ আইনের সংশোধনী চূড়ান্ত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি থাকতে থাকতে একটা শ্রম আইন পাকাপোক্ত করে দিতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে দেখেছি, শ্রমিকদের সঙ্গে সরকারের ও মালিকদের একটা গ্যাপ ছিল এবং আছে। এই গ্যাপ আমরা কমাতে চাচ্ছি। সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে, এর ৯৯ শতাংশ শ্রমিকদের পক্ষেই গেছে। স্টেটমেন্টগুলা শ্রমিকদের পক্ষে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো ভালো মালিক আছেন। না হলে আমাদের দেশের শিল্পগুলো এগোত না। সবাই এক রকম না।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের অনেক কিছুই করতে পারিনি। যেমন তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয়, তাদের আবাসিক এলাকার বিষয়, যেগুলো হওয়া উচিত, আমরা এখনো করতে পারিনি। তা ছাড়া শ্রম সংস্কার কমিশন কতগুলো প্রস্তাব দিয়েছে, সেগুলোও দেখা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে হিউম্যান রাইটস এবং ওয়ার্কার রাইটস যেন সমানভাবে থাকে। শ্রমিক এবং শ্রম আইন নিয়ে প্রতিদিন কাজ করছি। এ জন্য শ্রমিকদের সহযোগিতা দরকার, মালিকদের সহযোগিতা দরকার। সরকারের পক্ষ থেকে শুধু শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাজ না এটা। বেশ কিছু মিনিস্ট্রি আছে। সেখানে কমার্স মিনিস্ট্রি আছে, বিডা আছে, সবাই মিলে কন্ট্রিবিউট করলে শ্রমিকদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বড় প্রশ্ন আসছে অপ্রচলিত শ্রমের কিছু ক্ষেত্রের বিষয়ে। অপ্রচলিত শ্রমিকদের বেশির ভাগ নির্মাণশ্রমিক। এর মধ্যে শিপ বিল্ডিংও আছে, রিয়েল এস্টেটের লোকজন আছে। সরকার সবাইকে একই ফোল্ডের মধ্যে নিয়ে আসতে চাইছে।’

আধুনিক বিমানবাহিনী গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
আধুনিক বিমানবাহিনী গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা
রাজধানীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত আধুনিক বিমানবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

দেশপ্রেম ও পেশাদারত্ব আগামী দিনের নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার মূল ভিত্তি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বিমানবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিমানবাহিনীর সকল সদস্যের প্রতি যুগোপযোগী ক্ষমতা ও দক্ষতা অর্জন এবং পেশাগত ও কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি অব্যাহত মনোযোগ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা একটা নিরাপদ, উন্নত ও শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।’

তিনি বলেন, বিমানবাহিনীতে ভবিষ্যতে অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার পরিবহন বিমান, রাডার সংযোজনের জন্য সরকার বিমানবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে তালমিলিয়ে চলার জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যগণ নিয়মিতভাবে বহুমাত্রিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও অনুশীলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞান দক্ষতাকে যুগোপযোগী করতে সদা সচেষ্ট রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা স্বাধীনতা যুদ্ধে বিমানবাহিনীর অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। একইসঙ্গে তিনি ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের শহিদদের কথা স্মরণ করে বলেন, শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণী এবং সাধারণ জনগণ যারা দেশের অধিকারের প্রশ্নে জীবন ও রক্ত দিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তাদেরকে স্মরণ করছি।

তিনি দেশের বিমান বন্দরসমূহের সুষ্ঠু পরিচালনা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিমানবাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।

মহড়া কেবল একটি সাময়িক অনুশীলনই নয় উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটি আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিমানবাহিনীর পেশাদারি ও দক্ষতার পরিচয় বহন করে। নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা ও পেশাগত উৎকর্ষের জন্য মহড়ায় অংশগ্রহণকারীদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আজকের এই অনুশীলন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর আত্মবিশ্বাস, প্রস্তুতি এবং অর্পিত দায়িত্ববোধের বাস্তব রূপায়ণ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সময়োপযোগী পরিকল্পনা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কার্যকর আকাশ প্রতিরক্ষার পাশাপাশি বিস্তীর্ণ সমুদ্র এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিমানবাহিনীর সদস্যদের প্রতি জাতির আস্থা ও ভালবাসা অটুট থাকুক-এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এর আগে বিমান ঘাঁটিতে এসে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। অনুষ্ঠানস্থলে বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল প্রধান উপদেষ্টাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এসময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। সূত্র: বাসস

এমএ/

আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সরকারকে পাঠানো হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সরকারকে পাঠানো হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ

নির্বাচনের আগেই সংস্কার করা সম্ভব- এমন আশু বাস্তবায়নযোগ্য অন্তত ১০-১২টি সুপারিশ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সরকারকে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

বুধবার নির্বাচন ভবনে ‘চতুর্থ কমিশন সভা’ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সেজন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদের ৫৬টি এলাকা ধরে বিশেষ ব‍্যবস্থা নিয়েছে ইসি। এ ছাড়া সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যাদের দুটি ভোটার আইডিকার্ড রয়েছে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তাদের একটি কার্ড বাতিল করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আইনি বাধ্যবাধকতায় ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে তাদের গেজেট প্রকাশ করতে হয়েছে। কারণ নির্ধারিত সময়ে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে তারা মতামত পাননি। এরপর কমিশন বৈঠক করে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাস্তবায়নে গেজেট প্রকাশ করা হয়।’

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের বাধ্যবাধকতা ছিল ১০ দিনের মধ্যে এটার নিষ্পত্তি করার, আমরা নিষ্পত্তি করেছি। আমরা দ্রুত আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিলাম। গত ২৭ এপ্রিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করি, রিপ্লাই না পেয়ে আমরা কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়ে এটা করেছি। আদালতের আদেশের যেন ব্যত্যয় না ঘটে সেটা (গেজেট প্রকাশ) বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’ 

ইসি কেন আপিল করেনি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন সংক্ষুব্ধ ‘পার্টি’ না হওয়ায় আপিলেও যায়নি। এর আগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় ইসি।”

এ সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। দেশে কোভিড মহামারি শুরুর পর ১৬ মে দায়িত্ব নেন তাপস। জুনের প্রথম সপ্তাহে প্রথম সভা হয়। সে হিসেবে এই সিটি করপোরেশনের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের জুনে।

এলিস/পপি/