
বহুজাতিক খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক বিক্রি হয় বিশ্বের বহু দেশে। এবার সে খাদ্য নিয়েই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বলা হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশ ও দরিদ্র দেশগুলোতে সেরেলাকে চিনি মেশায় প্রস্তুতকারী সংস্থা নেসলে। তবে উন্নত দেশে এমনটা করে না তারা।
সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণায় ওঠে এসেছে বিষয়টি। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুদের জন্য নেসলের ব্র্যান্ড নিডোর যেসব পণ্য আছে তার সবকয়টিতেই বাড়তি চিনি আছে।
যুক্তরাজ্যসহ নেসলের প্রধান ইউরোপীয় বাজারগুলোতে সেরেলাকে কোনো চিনি ব্যবহার করা হয়নি। তবে সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল কিংবা দরিদ্র দেশগুলোতে সেরেলাকের পণ্যতে চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
যেমন- সুইজারল্যান্ডে নেসলে নিজেদের বিস্কুট ফ্লেভারের সেরেলাকে কোনো চিনি মেশায় না। অথচ ওই একই ফ্লেভারের সেরেলাক যেটি সেনেগাল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় বিক্রি হচ্ছে, সেগুলোতে চিনি মেশানো হচ্ছে। গবেষণায় ৬ গ্রাম করে বাড়তি চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
একইভাবে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের বাজারে নেসলে ১২ থেকে ৩৬ মাস বয়সীদের জন্য যেসব পণ্য বিক্রি করে, সেগুলোর কোনোটিতেই কোনো বাড়তি চিনি নেই। ছয় মাস বয়সী শিশুদের জন্য তৈরি সিরিয়ালেও কোনো চিনি নেই। একই চিত্র গমভিত্তিক সেরেলাকেরও। সেটি ছয় মাস বয়সী শিশুদের জন্য তৈরি করে নেসলে। জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের বাজারে ওই পণ্যে কোনো চিনি নেই। কিন্তু ইথিওপিয়া ও থাইল্যান্ডের বাজারে ওই একই পণ্যগুলোতে যথাক্রমে ৫ গ্রামের বেশি করে চিনি পাওয়া গেছে।
সেরেলাকে চিনি ব্যবহার করে বিক্রি করা হয় যেসব দেশে, সেসব দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নামও। এ ছাড়া ভারত, পাকিস্তানের বাজারেও চিনি মিশ্রিত পণ্য বিক্রি করে তারা। পাবলিক আইয়ের প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে এ তথ্য।
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে স্থূলতা ক্রমবর্ধমান একটি সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আফ্রিকায় ২০০০ সাল থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সী অতিরিক্ত ওজনের শিশুদের সংখ্যা প্রায় ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র: পাবলিক আই