বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আরও ৫০১ একর জমি পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। যার প্রতীকী মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ৩ কোটি ৩ টাকা।
বে-টার্মিনাল বাস্তবায়নের জন্য জেলার দক্ষিণ কাট্টলী, উত্তর হালিশহর ও হালিশহর এই তিন মৌজায় মিলছে ৫০১ একর জমি। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার বন্দর কর্তৃপক্ষকে তিনটি পৃথক চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। চিঠিতে পৃথক তিনটি চালানে ১ কোটি ১ টাকা করে ৩ কোটি ৩ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে জমির অর্থ পরিশোধ করতে হবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ টাকা জমা দেওয়ার পর দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত দলিল হবে। এরপর জেলা প্রশাসক ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দলিলে স্বাক্ষর করবে।
চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা-হালিশহর সমুদ্র উপকূলে প্রায় ২ হাজার ৫০০ একর ভূমিতে বাস্তবায়ন করা হবে বে-টার্মিনাল প্রকল্প। এর মধ্যে স্থলভাগের জন্য মোট ৮৭০ একর জমি প্রয়োজন। ২০১৭ সালে প্রথম দফায় ৬৮ একর জমি অধিগ্রহণ করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। এখন পর্যন্ত ৫৬৯ একর জমির বরাদ্দ পেয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে ৫০১ একর জমি বরাদ্দের জন্য তিনটি পৃথক ডিমান্ড নোট পাঠানো হয়েছে। এই জমির বিপরীতে ৩ কোটি ৩ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে।
২০২৬ সালের দিকে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর বছরে ৩২ লাখ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। কিন্তু বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ৫০ লাখ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে পারবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।