প্রভাবশালীদের হয়রানির শিকার হলে পাশে থাকবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

প্রভাবশালীদের হয়রানির শিকার হলে পাশে থাকবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
প্রভাবশালীদের হয়রানির শিকার হলে পাশে থাকবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: খবরের কাগজ

পরিবেশ নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে যদি কোনো সাংবাদিক তথাকথিত প্রভাবশালীর হয়রানির শিকার হন, সরকার সে সাংবাদিকের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

শনিবার (৪ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত ‘জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যদি কোনো রিপোর্টার স্থানীয় কোনও তথাকথিত (সো কলড) প্রভাবশালীর দ্বারা হয়রানির শিকার হন, সেই রিপোার্টারের পাশে দাঁড়াবে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এমন রিপোর্টারদের পূর্ণ সমর্থন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করব। কারণ তাদের এসব রিপোর্টিং সরকারের সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সেইসঙ্গে তথ্য প্রকাশে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য সাহসী সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা আরও জোরদার করা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কার্বন নিঃসরণ বাংলাদেশে জিরো করলেও খুব একটা লাভ নেই। কারণ আমরা কার্বন নিঃসরণ সবচেয়ে কম করি। কিন্তু সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। আমরা শুধু উন্নয়নে নয় বরং টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য কমিশনে আইন আছে। আমি তাদের সাথে বসেছি কয়েকদিন আগে। আমার উপলব্ধি হয়েছে; দুই দিকে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। আমি দেখেছি তথ্য চাইলেই সরকারি অনেক কর্মকর্তা খুব ডিফেন্সিভ হয়ে যান। তথ্য কেন চাইবে এমন একটা বিষয় দাঁড়ায়। আসলে এটা তাদের দোষ নয়। আমাদের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন এবং বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্র নষ্ট হওয়ার প্রভাব এটা। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এ বিষয়টি আরও সহজতর করব।

তাছাড়া তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরাও যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে ফ্যাক্ট চেক নিয়ে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।’

আরাফাত বলেন, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের (আরএসএফ) র‍্যাংকিংয়ের উদ্যোগ খুব ভাল। তবে তাদের কাছে অনুরোধ, পদ্ধতিগত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তারা সবসময় সঠিক তথ্য সরবরাহ করবে। এরপর আমাদের অবস্থান বা র‍্যাংকিং যা হয় হবে। তবে তারা বারবার ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি করলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমে আসবে।

প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এই আলোচনাসভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

অমিয়/

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অষ্টম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি : বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন, সেদিকে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের প্রতি যেকোনো ধরনের বৈষম্য আইনের শাসনের পরিপন্থী। কাজেই কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন।’ 

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অষ্টম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। খবর বাসসের।

তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এবং সর্বস্তরে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ঘাতক দালালদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে, সে লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘এই লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর দর্শন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতার বোধকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ারও তাগিদ দেন।

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মাধ্যমকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করুন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ুন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে জানুন। মননে, বোধে, জীবনাচরণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে লালন করে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন।’

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ২১ বছর পর ১৯৯২ সালে শহিদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে শুরু হয়ে এই আন্দোলনের প্রাজ্ঞ নেতারা প্রায় ৩৩ বছর ধরে নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এই সংগঠনকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, ‘কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারই নয়, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এই মহাসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস পৌঁছে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দীক্ষিত করার ক্ষেত্রেও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

তিনি আশা করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও মানবিক সমাজ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আগামী দিনগুলোতেও ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও ঘাতক দালাল চক্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাসহ আমাদের সাফল্যকে ম্লান করে দিতে অবিরাম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকাজ সম্পন্ন হলেও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কাজ কখনো শেষ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভূমিকা অতীতের মতো ভবিষ্যতে উজ্জ্বলভাবে কার্যকর থাকবে।’

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আর্থসামাজিক ও তথ্যপ্রযুক্তির নানা সূচকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করেছি আমরা। এই অগ্রযাত্রার পথে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মৌলবাদ ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্ব এবং জঙ্গিবাদের প্রতি তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণেই জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও ডিজিটাল বিপ্লবের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। 

তিনি ধর্মীয় ও ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করার আহ্বান জানান।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সম্মেলন-২০২৪-এর সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলিম, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানবাধিকার নেতা নির্মল রোজারিও, আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, ন্যায় অধিকার তৃতীয় লিঙ্গ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান সমাজকর্মী আনোয়ারা ইসলাম রাণী এবং অষ্টম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কাজী মুকুল বক্তব্য রাখেন।

এসি থেকে ব্যাংকে আগুন, ছিল না অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা: ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
এসি থেকে ব্যাংকে আগুন, ছিল না অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা: ফায়ার সার্ভিস
ছবি : খবরের কাগজ

রাজধানীর পুরান ঢাকার ধোলাইখালের মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে এসি থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এবং ব্যাংকে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন সূত্রাপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার হাসান আলী।

শনিবার (১৮ মে) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

হাসান আলী বলেন, ‘ব্যাংকের এসি থেকে আগুন লেগেছে। পরে পাশে থাকা ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ১১টা ৫৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি আমরা। কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ব্যাংকে কোনো অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। এ ছাড়া আবাসিক ভবনে কীভাবে বাণিজ্যিক একটি ব্যাংক কার্যক্রম চালাচ্ছে, আমরা তা খতিয়ে দেখব।’

এর আগে শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ব্যাংকে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের যৌথ চেষ্টায় ১১টা ৫৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

মুজাহিদ/পপি/

একটি জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ : ইসি হাবিব

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
একটি জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ : ইসি হাবিব
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান

কেন্দ্র দখল তো দূরের কথা, একটি জাল ভোট পড়লেও কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।   
 
তিনি বলেন, ‘আমি প্রার্থীদের বলব, গুন্ডা বা পেশীশক্তির ব্যবহার এবং যদি কালোটাকা ছড়ানো হয়, তাহলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ডেকে ব্যবস্থা নেবে। আর যদি তাতেও না হয়, তাহলে ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হবে। কোনো অসুবিধা নেই, প্রয়োজনে এই কেন্দ্রে আবার ভোটগ্রহণ করা হবে, পরিষ্কার কথা কোনো ছাড় নেই।’ 
 
শনিবার (১৮ মে) সকাল ১১টার দিকে ঝালকাঠি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।  

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সব প্রার্থীই নির্বাচন কমিশনের কাছে সমান। যেকোনো মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ বা নির্বাচনি অপরাধ করলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 
 
তিনি আরও বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুষ্ঠু নির্বাচন। আর স্থানীয় সরকারের সাধারণ নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক দলসহ সারা দেশের মানুষের চাওয়া একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। এই গুরুদায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। আমরা জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’ 

একই সঙ্গে তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে নির্দেশ দেন।  

এ সময় ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম, বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক জাহিদুর রহমান ও বরিশাল র‌্যাব ৮-এর অধিনায়ক কর্নেল জুবায়ের আলম শুভ উপস্থিত ছিলেন। 

আল-আমিন/ইসরাত চৈতী/  

১ কোটি দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছি: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
১ কোটি দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছি: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
কুয়াকাটার সিকদার রিসোর্টের সম্মেলন কক্ষে বক্তব্য রাখছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান মুহিব

দেশে এক কোটি দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান মুহিব।

শনিবার (১৮ মে) সকালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার সিকদার রিসোর্টের সম্মেলন কক্ষে অ্যান্টি পার্টিসিপেটরি হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাকশনের দ্বিতীয় বিভাগীয় ডায়লগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মহিববুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দেশে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক, দেশি ও স্থানীয়সহ প্রায় ৪৫ সংস্থার সমন্বয়ে কাজ করছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। ২০১৫ সাল থেকে অ্যান্টি পার্টিসিপেটরি হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাকশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেকসই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনেকটা ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। দেশে বর্তমানে ৭৮ লাখ স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। আমরা আরও বাড়িয়ে এক কোটি দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক তৈরির কাজ হাতে নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভূমিকম্প ঝুঁকির শীর্ষে অবস্থান করছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বিল্ডিং কোডসহ অন্য সব স্থাপনা নির্মাণে দুর্যোগ সহনশীল নীতি মেনে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) নেতৃত্বে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) ও জার্মান রেড ক্রসের কারিগরি সহযোগিতায় দ্বিতীয় সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস)।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোমেনিকো স্কেলপেলি, FbF/A টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ।

এ সময় জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, জেলা-উপজেলা পযার্য়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

পরে একই রিসোর্টে আরেকটি কনফারেন্স কক্ষে আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাসিবুর/পপি/

প্রত্যেক মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম
প্রত্যেক মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে: প্রধান বিচারপতি
ছবি: খবরের কাগজ

দেশের প্রত্যেক মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার মৌলিক অধিকার সংবিধানে রয়েছে। সেটি নিশ্চিতকরণে বিচার বিভাগ সার্বক্ষণিক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

শনিবার (১৮ মে) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য ‘ন্যায়কুঞ্জের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। 

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে এই বিশ্রামের স্থান বিচারপ্রার্থীদের জন্য ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে নারী বিচারপ্রার্থীদের জন্য এটি খুবই কার্যকর। প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে খুবই আন্তরিক। যার কারণে তিনি আমাদের এ প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদন দিয়েছেন।’

ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘প্রত্যেক বিচারপ্রার্থী তার ন্যায়বিচার পাবেন। সেটি বাংলাদেশের সংবিধানে রয়েছে। যার কারণে এই বসার স্থান প্রত্যেক আদালত প্রাঙ্গণে নির্মাণ করা হচ্ছে। ন্যায়কুঞ্জ আজকে কক্সবাজারে প্রতিষ্ঠিত হলো। যার উপকারভোগী কক্সবাজারের মানুষ হবেন। এখানে যে সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা যদি পর্যায়ক্রমে আরও উন্নয়ন করার প্রয়োজন, সেটিও করা হবে।’

অনুষ্ঠান শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি কক্সবাজারে মাদক মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামসহ সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কক্সবাজারের জজ আদালতের বিচারক ও জেলা আইনজীবী সমিতির নেতা-কর্মীরা।

সাদিয়া নাহার/