চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলেই দাম কমবে : খাদ্যমন্ত্রী । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলেই দাম কমবে : খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম
চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলেই দাম কমবে : খাদ্যমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলেই দাম কমবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলেই চালের দাম কমে যাবে। গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) এক কেজি চালও আমদানি করতে হয়নি। চালের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হয়েছিল গত অর্থবছরে। এখন আমরা অনায়াসে পাঁচ থেকে সাত লাখ টন চাল রপ্তানি করতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের শুধু পলিশ করে যে চাল নষ্ট হচ্ছে সেটা অর্ধেক রপ্তানি করলেই হবে। কারণ উৎপাদিত প্রায় চার কোটি টনের মধ্যে তিন শতাংশ হারে প্রায় ১২ লাখ টন চাল পলিশ করার কারণে অপচয় হচ্ছে। আমাদের চাল পাঁচ দফা পলিশ করে চকচকে করা হচ্ছে। দুবার পলিশ করলেও পাঁচ থেকে সাত লাখ টন চাল বাড়বে।’

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘দফায় দফায় পলিশ করার পর চালের মধ্যে শুধু কার্বোহাইড্রেট ছাড়া অন্য কোনো পুষ্টি থাকছে না। এতে খরচ হচ্ছে বিদ্যুৎ ও শ্রমিকের মজুরি। ফলে চালের দাম প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত প্রায় ৪ টাকা বেড়ে যাচ্ছে। এই অতিরিক্ত খরচের ভার ভোক্তাকে বহন করতে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নতুন আইন করে এ পলিশ বন্ধ করছি। মিনিকেট বা বিভিন্ন নামে চাল বাজারজাত করাও বন্ধ করেছি। ভোক্তাদের আমি বলব, আপনারা চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করুন। তাহলে চালের দাম যেমন কমবে, আমরা চাল রপ্তানি করতেও সফল হব। এ আইন কার্যকর হওয়ার পর আগামী আমন মৌসুম থেকে চাল পলিশ করলে মিলমালিকরা জরিমানার শিকার হবে।’ সূত্র : বাসস

পপি/

সাগরে লঘুচাপ ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
সাগরে লঘুচাপ ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ২২ মের পর লঘুচাপের সৃষ্টি হলে, তা পর্যায়ক্রমে ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে রবিবার (১৯ মে) চার জেলা ও দুই বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আজও অব্যাহত থাকতে পারে। অন্যদিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি ২২ বা ২৩ মের দিকে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে আরও ঘনীভূত হতে পারে। কয়েক দিনের মধ্যে তা আরও স্পষ্ট হবে। আমরা পর্যায়ক্রমে জানাব, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে কি না।’

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মোংলায় ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় ছিল ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি। তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির ওপরে থাকায় রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়ার ৪৪ স্টেশনের মধ্যে ২৩ স্থানে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। তবে তেঁতুলিয়ায় ১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা অতি ভারী বৃষ্টিপাতের শ্রেণি ধরা হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে রেকর্ড করা হয় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি।

রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-একস্থানে অস্থায়ী দমকা-ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহের এলাকায় তা অব্যাহত থাকতে পারে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা-ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আজ বিশ্ব মৌমাছি দিবস

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০২:১০ পিএম
আজ বিশ্ব মৌমাছি দিবস
মৌমাছি

মৌমাছি, মৌমাছি/কোথা যাও নাচি নাচি/ দাঁড়াও না একবার ভাই।/ওই ফুল ফোটে বনে/ যাই মধু আহরণে/ দাঁড়াবার সময় তো নাই। 

ছোটবেলায় নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের ‘কাজের আনন্দ’ কবিতাটি আমরা প্রায় সবাই পড়েছি। মৌমাছির নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কর্মচঞ্চল, চটপটে ছোট এই পতঙ্গটি। এর সঙ্গে ছোটবেলায় যারা মৌমাছির কামড় খেয়েছেন, তাদের স্মৃতি তো আরও ভোলার নয়। কবিতাটি পড়লেই বোঝা যায় ছোট এ পতঙ্গটি কত বেশি কর্মঠ। শুধু কর্মঠই নয়, পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যও ছোট এই পতঙ্গটির ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

আজ ২০ মে আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রে বড় ভূমিকা রাখা ছোট এই পতঙ্গটির  জন্য বিশেষ দিবস। প্রতিবছর এই দিনে পালন করা হয় বিশ্ব মৌমাছি দিবস। এই দিবস পালন করার উদ্দেশ্য হলো, পৃথিবীতে মৌমাছিসহ অন্য যেসব পতঙ্গ পরাগায়নে ভূমিকা রাখছে, সেসব প্রাণীকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। 

১৭৩৪ সালের ২০ মে স্লোভেনিয়ার ব্রেঞ্জিকা গ্রামে অ্যান্টন জনসা নামের একজন মৌমাছি বিশারদ জন্মগ্রহণ করেন। স্লোভেনীয় মৌমাছি পালক অ্যান্টন জনসাকে আধুনিক মৌমাছি পালনের জনক বলা হয়। তার জন্মদিনেই দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে প্রথম মৌমাছি দিবস উদযাপন করা হয়। এরপর ২০১৬ সালে স্লোভেনিয়া সরকার ২০ মে বিশ্ব মৌমাছি দিবস হিসেবে উদযাপনের ধারণাটি প্রস্তাব করেছিল এবং এটি ২০১৭ সালে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল।  ২০১৮ সাল থেকে জাতিসংঘ এ দিনটি উৎসর্গ করেছে মৌমাছিদের জন্য। 

ফুলে ফুলে বিচরণ করে ফুলের রেণু ও মিষ্টি রস সংগ্রহ করে মৌমাছিরা। রস সংগ্রহের পর তা পাকস্থলীতে জমা রাখে। তারপর সেই রসের সঙ্গে মৌমাছির মুখনিঃসৃত লালা মিশ্রিত হয়ে রাসায়নিক জটিল বিক্রিয়ায় মধু তৈরি হয়। এরপর মুখ থেকে সে মধু তারা জমা রাখে মৌচাকে। ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ানোর সময় মৌমাছিরা তাদের পা এবং বুকের লোমে ফুলের অসংখ্য পরাগরেণু বয়ে বেড়ায়। এক ফুলের পরাগরেণু অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়লে পরাগায়ন ঘটে, তাতে উৎপন্ন হয় ফল। এভাবে মৌমাছিরা পরাগায়নের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে ফল ও ফসলের উৎপাদন বাড়ায়। 

পৃথিবীতে ৯টি স্বীকৃত গোত্রের অধীনে প্রায় ২০ হাজার মৌমাছি প্রজাতি আছে। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া পৃথিবীর সকল মহাদেশে যেখানেই পতঙ্গ-পরাগায়িত সপুষ্পক উদ্ভিদ আছে, সেখানেই মৌমাছি আছে। আমাদের দেশে সাধারণত পাঁচ রকম মৌমাছির দেখা মেলে। সারা দেশে এদের দেখা মিললেও সুন্দরবনে মাত্র দুটি প্রজাতি-এপিস ডরসেটা ও স্টিং-লেস মৌমাছির দেখা পাওয়া যায়।

মধু সংগ্রহে বের হলে একটি মৌমাছি প্রতি সেকেন্ডে ২০০ বার পাখা ঝাপটিয়ে ঘুরে আসে ৫০ থেকে ১০০০ ফুল। এক কেজি মধু উৎপাদনে কম করে হলেও ছয় হাজার মৌমাছির বিশাল কর্মযজ্ঞের প্রয়োজন হয়। মৌমাছি ক্ষুধার্ত থাকলে দিনে ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে। তবে সাধারণত এরা মৌচাকের ৩ কিলোমিটারের মধ্যেই থাকে। প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। মৌমাছির প্রায় ১৭০টি গন্ধ নেওয়ার রিসেপ্টর আছে। গন্ধ শুঁকে তারা বাসায় ফিরতে পারে। খাবারের সন্ধানে গিয়ে ফুল চিনতেও সাহায্য করে এই রিসেপ্টর। 

বাংলাদেশে আকতার হামিদ খান ১৯৬১ সালে কুমিল্লার পল্লি উন্নয়ন একাডেমিতে প্রথম মৌচাষ শুরু করেন। এরপর ১৯৬৩ সালে সাতক্ষীরাতে বিসিক প্রথম মৌচাষের উদ্যোগ নেয় এবং অদ্যাবধি বিসিকের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে ও সারা দেশে বিস্তৃত হয়েছে। বিসিকের প্রচেষ্টার সঙ্গে পরবর্তীকালে ৮০-এর দশকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সম্পৃক্ত হয় এবং এর মাধ্যমে বর্তমানে মৌপালন সম্প্রসারণে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। 

উদ্বেগের ব্যাপার হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে মৌমাছির সংখ্যা। মধু আহরণ করার সময় মৌয়ালরা চাকে আগুন ও ধোঁয়া দিয়ে মৌমাছি তাড়িয়ে মধু আহরণ করেন। এই পদ্ধতিতে মধু আহরণ করায় প্রচুর মৌমাছি ও ডিম পুড়ে যায়। এ ছাড়া অতিমাত্রায় কীটনাশকের ব্যবহার, বন-জঙ্গল কেটে ফেলা, পরিবেশ দূষণ প্রভৃতি কারণে মৌমাছির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। 

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নির্বাচন স্থগিত

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০১:২১ পিএম
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নির্বাচন স্থগিত
ছবি: খবরের কাগজ

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রবিবার (১৯ মে) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আপিল বিভাগের আদেশ পালনের সুবিধার্থে দ্বিতীয় ধাপে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নির্বাচন সাত দিনের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেন। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

জানা গেছে, মৌলভীবাজার সদরের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ও মোস্তাফাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ গত ২১ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেন। দুই দিন পর মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই শেষে ২৩ এপ্রিল তাজের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার আব্দুস সালাম। কিন্তু পাঁচ দিন পর ২৮ এপ্রিল চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী তাজের মনোনয়নপত্র আপিল শুনানিতে বাতিল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও আপিল কর্তৃপক্ষ ড. উর্মি বিনতে সালাম।

এরপর তাজ মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন। 

গত ৯ মে তাজের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. আখতারুজ্জামানের যৌথ বেঞ্চ এবং রুলসহ আদেশ দেন। একই সঙ্গে দ্রুত প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়ে নির্বাচন করার জন্য রুল জারি করেন যৌথ বেঞ্চ। 

রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে তাদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি রুল জারি করেন।

পুলক পুরকায়স্থ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আচরণবিধির খসড়া প্রস্তুত

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০১:০১ পিএম
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আচরণবিধির খসড়া প্রস্তুত
শিক্ষা মন্ত্রণালয়

দেশের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য ‘সরকারি চাকরি বিধিমালা-২০১৮’ এবং ‘সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯’ থাকলেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোনো আচরণবিধি নেই। এবার প্রায় পাঁচ লাখ এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য আচরণবিধি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গেল বছর ক্লাস ফেলে জাতীয়করণ নিয়ে রাজধানীতে আন্দোলনে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের বারবার সতর্ক করা হলেও তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি। অনেক শিক্ষক তাদের কোচিংয়ে প্রাইভেট পড়তে যেতে বাধ্য করেন শিক্ষার্থীদের। ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনও করেন অনেকে। এ পরিস্থিতিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য আচরণবিধি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

এরই মধ্যে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আচরণবিধি ও শৃঙ্খলা বিধিমালা’র খসড়াও প্রস্তুত করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

গত ৫ মে এ খসড়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক শাখার অতিরিক্ত সচিব, মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, পরিচালক (মাধ্যমিক) সৈয়দ জাফর আলী ও পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবির চৌধুরী অংশ নেন।

সভায় অংশ নেওয়া মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) সৈয়দ জাফর আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মচারীর জন্য আলাদা একটি আচরণ বিধিমালা করতে যাচ্ছে সরকার। কী অপরাধের জন্য কেমন শাস্তি হতে পারে, এসব নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও পর্যালোচনা হবে। সবার মতামত নিয়েই বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে।’

খসড়ায় যা আছে
খসড়া বিধিমালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা শিরোনামে ১০টি বিধি রয়েছে।

প্রথমত, ‘কোনো রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশ নেবেন না, এর সাহায্যে চাঁদা দেওয়া বা অন্য কোনো উপায়ে এর সহায়তা করবেন না এবং প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপে নিজেকে জড়াবেন না।’

দ্বিতীয়ত, ‘কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ বা প্রস্তাব নিয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো সংসদ সদস্য বা অন্য কোনো বেসরকারি ব্যক্তির দ্বারস্থ হতে পারবেন না।’ 

অনুমোদন ছাড়া টিউশনি নিষিদ্ধের কথাও খসড়ায় বলা হয়েছে।

কোনো শিক্ষক নিজ নামে প্রকাশিত কোনো লেখায় অথবা জনসমক্ষে দেওয়া বক্তব্যে অথবা পত্রিকায় এমন কোনো বিবৃতি বা মতামত প্রকাশ করতে পারবেন না, যা সরকারকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলতে পারে। 

একইসঙ্গে সাধারণ জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি হতে পারে, এমন বিতর্কিত ধর্মীয় বিষয়ে অংশ না নিতেও বলা হয়েছে।

এ ছাড়া অদক্ষতা, পেশাগত অসদাচরণ, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অপরাধে তিরস্কার, ইনক্রিমেন্ট স্থগিত, চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্ত ইত্যাদি শাস্তি হতে পারে বলেও খসড়ায় উল্লেখ করা আছে।

কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে কারণ দর্শাতে খসড়ায় বলা হয়েছে। জবাবে সন্তুষ্ট না হলে কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করবে। কমিটিতে জেলা সদরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা তার প্রতিনিধি, উপজেলার ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বা তার প্রতিনিধি, অভিভাবক প্রতিনিধি এবং একজন শিক্ষককে রাখতে হবে।

এ ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বা দেওয়ানি মামলা হলে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে। সাময়িক বরখাস্তকালীন বেতনের অর্ধেক খোরপোশ পাবেন। এ ছাড়া কোনো অভিযোগ আদালতের রায়ে মিথ্যা প্রমাণিত হলে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিকে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. রবিউল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আচরণ বিধিমালাটি এখনও আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে। চূড়ান্ত করতে আরও কয়েকটি ধাপ পার হতে হবে। 

তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করেই বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে।

অমিয়/

এনজিও সিসিডিবির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৯:২৮ এএম
এনজিও সিসিডিবির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি)

মাত্র তিন কর্মকর্তাকে দিয়ে সরকারের একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিযোগ উঠেছে ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) নামে একটি এনজিওর বিরুদ্ধে। এভাবে সরকারের নীতিমালা লঙ্ঘন করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

অভিযোগ রয়েছে, এই তিন কর্মকর্তার টিম লিডার হিসেবে কাজ করার যথেষ্ট যোগ্যতা নেই। তারা জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণপত্র দাখিল করেছেন। ওই তিন কর্মকর্তা হলেন আতিকুর রহমান খান (প্রকল্প টিম লিডার), তার দুই সহযোগী লিয়াকত আলী ও হাবিবুল্লাহ মণ্ডল। তারাও প্রকল্প টিম লিডার হিসেবে কাজ করছেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে (সওজ) জামিল নামে এক সাবেক কর্মচারী অভিযোগটি করেছেন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ, প্রদান ও তাদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের জন্য এনজিও নিয়োগ করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও সওজের যত এনজিওসংশ্লিষ্ট কাজ রয়েছে, তার ৯৯ শতাংশ কাজই সিসিডিবির দখলে রয়েছে। সিসিডিবিকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ দেওয়ার ফলে দক্ষ ও যোগ্য অনেক এনজিও ওই দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

বিভিন্ন এনজিওর একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, সরকারি ক্রয়নীতি অনুযায়ী একটি প্রকল্পে টিম লিডার হিসেবে একজন ব্যক্তি কাজ করতে পারবেন। তবে একটি প্রকল্পের জন্য সিসিডিবি একই ব্যক্তিকে একই সময়ে তাদের চলমান একাধিক সরকারি প্রকল্পের বিভিন্ন পদে দেখিয়ে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এই সঙ্গে একটি প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে কমপক্ষে ৩০ জন লোকের প্রয়োজন হলেও মাত্র চারজন নিয়োগ করে কাজ দেখিয়ে বিল তুলে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া স্নাতক পাসের জাল সার্টিফিকেট ও ভুয়া অভিজ্ঞতা দেখিয়ে একই প্রকল্প টিম লিডার দিয়ে একাধিক প্রকল্পের কাজ উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। 

যেসব প্রকল্পে কাজ করছেন সিসিডিবির এই তিন টিম লিডার
আতিকুর রহমান খান (একই সময়ে চলমান পাঁচটি প্রকল্পের টিম লিডার)। এগুলো হলো ‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প (সওজ অংশ), ময়মনসিংহে কেওয়াটখালী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের আওতাধীন সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রজেক্ট ও সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প (ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক) সদ্য সমাপ্ত।

হাবিবুল্লাহ মণ্ডল (একই সময়ে চলমান পাঁচটি প্রকল্পের টিম লিডার)। এগুলো হলো ‘সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প, ডেপুটি টিম লিডার, সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের আওতাধীন ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, সিলেট সড়ক জোনের আওতাধীন ‘ভূমি অধিগ্রহণ এবং ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প; ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প (সাপোর্ট প্রকল্প) ও নলুয়া বাহারচর প্রকল্প (সওজ)।

লিয়াকত আলী (একই সময়ে চলমান ছয়টি প্রকল্পের টিম লিডার)। এগুলো হলো আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়কে চার লেনে মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্প, সাপোর্ট টু জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক (ঢাকা বাইপাস) পিপিপি প্রকল্প, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (ভিত্তিতে), হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য সহায়ক প্রকল্প, কুমিল্লা (ময়নামতি)-ব্রাহ্মণবাড়িয়া (ধরখার) জাতীয় মহাসড়ককে (এন-১০২) চার লেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্প, চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন (বন্দর অংশ) ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের আওতাধীন ঢাকা মাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট।

এসব অভিযোগের বিষয়ে সিসিডিবির প্রকল্প টিম লিডার আতিকুর রহমান খান খবরের কাগজকে বলেন, ‘কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি দুই প্রতিষ্ঠান থেকে যাচাই-বাছাই ও যোগ্যতার ভিত্তিকে আমরা কাজ পাই।’ তিনি বলেন, ‘সিসিডিবি পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ শেষ করেছে। এ ছাড়া ঢাকা ও সাভারে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কাজ করছে। এ কাজও ছয় মাসের বেশি হবে না। আমাদের হাতে তেমন কোনো কাজ এখন নেই।’

জাল সার্টিফিকেট ও একজন লিডার একাধিক প্রকল্পে কাজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিসিডিবি বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি এনজিও। এখানে জাল সার্টিফিকেটে কাজ করার সুযোগ নেই। এ ছাড়া একজন একাধিক প্রকল্পে কাজ করার বিষয়টিও ভিত্তিহীন। আমাদের হাতে এখন সরকারি তেমন কোনো প্রকল্প নেই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বেশ কয়েকটি এনজিও যারা কাজ পায় না তারা আমাদের পেছনে লেগেছে। মানহানির চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আমরা মামলা করব বলে অফিসে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ 

এসব বিষয়ে সিসিডিবির আরও দুই টিম লিডার হাবিবুল্লাহ মণ্ডল ও লিয়াকত আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘জাল সার্টিফিকেট ও একাধিক প্রকল্পে কাজ করার যে অভিযোগ উঠেছে তা অসত্য। সিসিডিবিকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি চক্র এ ধরনের মিথ্যাচার করেছে। এ ছাড়া একাধিক প্রকল্প বলতে কে কয়টা দায়িত্ব পালন করবে সেটা অফিসের সিদ্ধান্ত। অফিসে যেভাবে দায়িত্ব দেয় আমরা সেভাবে পালন করি।’ 

বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বেশ কয়েকজন অসাধু প্রকৌশলী সিসিডিবির দুর্নীতি-অনিয়মে সহযোগিতা করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সওজের অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘কোনো প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আমরা তা তদন্ত করি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আমাদের জানান। আমরা ব্যবস্থা নেব।’