![রুট পারমিট ও লাইসেন্স প্রদানসহ ৪ দফা দাবি রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের](uploads/2024/05/21/878787kk-1716292677.jpg)
ব্যাটারিচালিত যানবাহন ও চালকদের লাইসেন্স প্রদান করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। দাবি জানিয়ে তারা বলেছেন, লাইসেন্স প্রদান সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত যানবাহন আটক বন্ধে নির্বাহী আদেশ জারি করতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে 'ব্যাটারিচালিত যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে চলাচলের অনুমতি, শ্রমিক আন্দোলনের বিজয়' শীর্ষক বিজয় মিছিল ও সমাবেশে এসব দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। সমাবেশটি আয়োজন করে রিকশা -ভ্যান- ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন।
রিকশা-ভ্যান- ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিম মাইজভান্ডারির সভাপতিত্বে এসময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রিকশা-ভ্যান- ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা কাফি রতন, ডাকসুর সাবেক ভিপি রাগীব আহমেদ মুন্না, রিকশা-ভ্যান- ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক উপদেষ্টা জলি তালুকদার, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম প্রমুখ।
সমাবেশে সংগঠনের নেতারা বলেন, বিভিন্ন রাস্তায় রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার ভিত্তিতে রাস্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও ব্যাটারিচালিত যানের জন্য র্যাকার বিল কমিয়ে যৌক্তিক করতে হবে।
রিকশা-ভ্যানচালকরা বলেন, কার্ড-টোকেনের নামে চলমান অবৈধ চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত ব্যক্তি ও তাদের প্রশ্রয়দাতা পুলিশ-ট্রাফিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের বিষয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির পরে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি উঠে এই সমাবেশে। একইসঙ্গে আটক হওয়া সব রিকশা ও ব্যাটারি প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তারা।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান চলাচলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা আমাদের প্রাথমিক বিজয়। চূড়ান্ত জয়ের জন্য বিআরটিএ’র লাইসেন্স ও সাম্যের রাষ্ট্র না পাওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
গবেষক মাহা মির্জা বলেন, নগরের ৭৫ শতাংশ সড়ক প্রাইভেট কারের দখলে, অথচ যানজটের দায় চাপানো হচ্ছে গরীবের বাহন রিকশার ওপর। এই সকল ব্যাটারিচালিত যানবাহন শ্রমিকদের জীবিকা নিরাপদ করতে অবিলম্বে এই ধরনের যানবাহনকে বিআরটিএ কর্তৃক নিবন্ধন দেওয়ার বিকল্প নেই।
সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে সচিবালয় অভিমুখে শ্রমিকরা বিজয় মিছিল করে এবং ব্যাটারিচালিত যানবাহনে বিআরটিএ কর্তৃক লাইসেন্স প্রদান ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
জয়ন্ত/এমএ/