
নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য পদক্ষেপের বিষয়ে আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্র কিছু বলে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত র্যাবের সদস্যদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
মিলারের কাছে একজন সাংবাদিক জানতে চান- জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেসহ অন্যান্য গণমাধ্যমের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, বাংলাদেশি ডেথ স্কোয়াড- র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক এবং বর্তমান সদস্যরা নিয়মিতভাবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত হন। মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসেছে। র্যাবের অফিসারদের যে জাতিসংঘ মিশনে মোতায়েন করা হচ্ছে- তা নিয়ে আপনি কতটা উদ্বিগ্ন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র সেখানকার উল্লেখযোগ্য তহবিলের জোগানদাতা-যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রায় ২৭ শতাংশ তহবিলই দেশটির করদাতাদের অর্থ থেকে আসে?
জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এই প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে সচেতন। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার উন্নয়নে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। শান্তিরক্ষী কর্মীদের মানবাধিকার রক্ষা করাটা অপরিহার্য। ইউএন ডিউ ডিলিজেন্স নীতি অনুসারে, এ বিষয়টি স্বপ্রত্যায়িত করার জন্য সেনা ও পুলিশ পাঠানো দেশগুলোর ওপর জাতিসংঘ নির্ভর করে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন বা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত সেনা বা পুলিশদের মিশনে পাঠাচ্ছে না।’
আরেকটি প্রশ্ন ছিল যে দুটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত সদ্য সাবেক পুলিশপ্রধানের বাংলাদেশে ব্যাপক দুর্নীতির খবর সম্প্রতি প্রকাশ হওয়ার পর কোনো মার্কিন সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রে বা অন্য কোনো দেশে তার সম্পদের কোনো পরীক্ষা করেছে কি না এবং যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো সম্পদ জব্দ করেছে কি না? একইভাবে আপনার কাছে কি দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ সম্পর্কে কোনো তথ্য আছে, যার বিরুদ্ধে আপনারা সম্প্রতি ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন? আপনারা কি সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন, যে কারণে ওই ব্যক্তিরা সবকিছু করার পরও বিনামূল্যে ছাড় পাচ্ছেন?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘প্রথম প্রশ্নটির বিষয়ে আমার কাছে বলার মতো কিছু নেই। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে বলব, আমি আপনার উল্লেখ করা অভিযোগ এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সম্পর্কে সচেতন। আমরা স্পষ্ট করেই বলেছি, দুর্নীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধা দেয়, উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে, সরকারকে অস্থিতিশীল করে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করে বলে আমাদের বিশ্বাস। বাইডেন প্রশাসন শুরু থেকে দুর্নীতির বিরোধিতা করাকে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মূল স্বার্থে পরিণত করেছে।’