![উপজেলা নির্বাচন : ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা, আহত ১৩, আটক ১৪](uploads/2024/05/29/Election-1716999148.jpg)
ভোটার উপস্থিতি কম এবং সংঘাত-সহিংসতাসহ বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ। বুধবার (২৯ মে) ভোট গ্রহণের সময় অন্তত সাতটি উপজেলায় কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘাত, সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। সংষর্ঘ, সহিংসতা, ব্যালট ছিনতাই ও কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসারসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলা ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের দায়ে চার সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ভোটে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে দুই উপজেলায় পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। এদিকে নির্বাচনের পরিবেশ বিবেচনায় বেশির ভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। অনেক কেন্দ্র ছিল প্রায় ফাঁকা। কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল অতি নগণ্য। তবে কোথাও কোথাও উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ফেনীতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ আটক ১০
ফেনী: ফেনী সদর, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে জাল ভোট দিতে গিয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্টসহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সকালের দিকে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে সদর উপজেলার ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ছয়জন, পিটিআই কেন্দ্র থেকে একজন পোলিং এজেন্ট ও একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, দাগনভূঞা উপজেলার গজারিয়া কেন্দ্রে একজন এবং সোনাগাজী উপজেলার রাজাপুর মাস্টার মুজিবুল হক একাডেমি কেন্দ্র থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে।
অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (কুমিল্লা অঞ্চল) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করায় তাদের আটক করা হয়েছে।’
কোম্পানীগঞ্জে ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর ভোট বর্জন
নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনসহ (টেলিফোন) দুই চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল (দোয়াত-কলম), ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. মামুন হোসেন (তালা) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ফাতেমা আক্তার পারুল (প্রজাপ্রতি)। ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, জাল ভোটসহ এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে একযোগে ভোট বর্জন করেন। ফলে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সমর্থিত প্রার্থীরা অনায়াসে জয়লাভ করেন।
শ্রীমঙ্গলে ৪ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শ্রীমঙ্গলে চারজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি দিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু তালেব। বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন ভোটকেন্দ্র ও হাউজিং স্টেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন ভোটকেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মীরা শীল, অঞ্জন দেব, সিরাজুন নেহার চৌধুরী ও হাউজিং স্টেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার প্রশান্ত কুমার দেব।
রাজশাহীর দুই উপজেলায় হামলা-সংঘর্ষ, আহত ১৩
রাজশাহী: রাজশাহীর দুই উপজেলা পবা ও মোহনপুরে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। দুই উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন কেন্দ্রে সংঘর্ষে জড়ালে এ আহতের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মোহনপুরে ১২ জন ও পবায় একজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের পারিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ফারুক হোসেন ডাবলু ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হকের সমর্থকদের মধ্যে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন ছুরিকাহত হলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল মোমিন (৩০)। তিনি পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের মো. শুকটার ছেলে। আব্দুল মোমিন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এমদাদুল হকের সমর্থক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর কয়েকজন কর্মী-সমর্থক অটোরিকশায় চড়ে ভোটকেন্দ্রে আসেন। এ সময় ভোটকেন্দ্রের সামনে আনারস প্রতীকের সমর্থক পাভেল, পুলক, স্বদেশ, সাইম, শাওন, ফরহাদুল, সাগর, হৃদয়, জাকির, মনি, মোসাব্বির, সোহানসহ প্রায় ২০-২৫ জন মোমিনকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়।
এ বিষয়ে ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘কেন্দ্রের বাইরে কী হয়েছে, তা আমার জানা নেই। কেন্দ্রের ভেতর কিছু হয়নি।’
অন্যদিকে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার সিংহমারা, হাটরা, মহিশকুণ্ডি কেন্দ্রের বাইরে আনারস ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হন। তবে এসব ঘটনার পরও নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রায় প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রেই ভোট গ্রহণ চলে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কেন্দ্রের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ জানান, তারা সকাল থেকেই পবা-মোহনপুর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখছেন। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই নির্বাচন হয়েছে। তবে কয়েকটি এলাকায় কিছু অতি উৎসাহী মানুষ গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সমন্বয়ের মাধ্যমে ঘটনাগুলো প্রতিহত করছেন।
কলারোয়ায় সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগে আটক ৪
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নির্বাচনি সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বেলা ১টার দিকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন কলারোয়া উপজেলার বয়ারডাঙ্গা গ্রামের সাঈদ হোসেন, সুলতানপুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম, বাঁধন হোসেন ও আকাশ হোসেন। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান জানান, আমিনুল ইসলাম লাল্টুর ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক নজরুল ইসলাম সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে বসেছিলেন। এ সময় এস এম আলতাফ হোসেন লাল্টুর আনারস প্রতীকের সমর্থক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন যুবক পুলিশের কাছে তাদের বিরুদ্ধে নালিশের অভিযোগ এনে নজরুল ইসলামের ওপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। এ সময় সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে আরিফুল ইসলামসহ তিনজনকে আটক করা হয়। অন্যদিকে বয়ারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্রে দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগে পুলিশ সাঈদ হোসেন নামের একজনকে আটক করেছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রামে ব্যালট ছিনতাই, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, কেন্দ্র স্থগিত
চট্টগ্রাম: কম ভোটারের উপস্থিতি, ব্যালট পেপার ছিনতাই, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনার মধ্যে চট্টগ্রামে তৃতীয় ধাপে চার উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগে পটিয়ায় একটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ রেখেছে নির্বাচন কমিশন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব পিংগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৯টি ব্যালট বই, ৫৫১টি ব্যালট পেপার, মার্কিং সিল ও অফিশিয়াল সিল ছিনতাই হয়। একসঙ্গে আড়াই শ লোক হামলা চালিয়েছিল। এতজনকে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়নি। ফলে এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন।
বোয়ালখালী উপজেলায় ভোটকেন্দ্রে ছুরি নিয়ে প্রবেশ করায় এক যুবককে আটক করে পুলিশ। সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চরণদ্বীপ রজভিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে রেজাউল নামের ওই যুবককে আটক করা হয়। তিনি কধুরখীল ইউনিয়নের নুরুল আলমের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালখালী থানার ওসি আছহাব উদ্দিন।
পটিয়া বাহুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম। সকাল থেকে ধীরগতিতে চলে ভোট গ্রহণ।
আনোয়ারায় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির জেরে হাইলধর ইউনিয়নের বশিরুজ্জামান স্মৃতি শিক্ষা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল দেড় ঘণ্টা। এ কেন্দ্রে প্রার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় কেন্দ্রটি। দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এহসানুল হক বলেন, প্রার্থীর সমর্থকরা পরস্পর বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়। এতে ভোট গ্রহণ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছিল।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের চার উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। পটিয়ায় একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।’
দেবিদ্বারে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন
কুমিল্লা: শতাধিক কেন্দ্রে জাল ভোটের অভিযোগ করে কুমিল্লার দেবিদ্বারে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিদা আক্তার। বুধবার বিকেলে ভোটের শেষ মুহূর্তে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। তার অভিযোগ, প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশিদের সমর্থকরা বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানের মাধ্যমে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করেছেন। শাহিদা আক্তার কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের সহধর্মিণী। অপর প্রার্থী মামুনুর রশিদ মামুন দেবিদ্বার আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই।
ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে শাহিদা আক্তার বলেন, ‘ভোট চলাকালে উপজেলার শতাধিক কেন্দ্রে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে জাল ভোট দিয়েছেন। আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমার মেয়ের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রশাসন তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ দেবিদ্বারে ছিল না। তাই আমি এই নির্বাচন বর্জন করলাম।’