ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

পুনর্বাসন গৃহহীনদের আত্মমর্যাদা এনে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
আপডেট: ১১ জুন ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
পুনর্বাসন গৃহহীনদের আত্মমর্যাদা এনে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পুনর্বাসন গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা এনে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে বিনামূল্যে ঘর দিয়ে পুনর্বাসন করেছি। এতে তাদের জীবনে পরিবর্তন এসেছে। আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাবোধ ফিরে এসেছে। একটি দেশকে উন্নত করতে হলে এর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’

মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় দেশের ১৮ হাজার ৫৬৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘আমরা ঈদ উপহার হিসেবে ঘরগুলো দিয়েছি। সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশবাসীর সেবা করা। কারণ, আওয়ামী লীগের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা থাকায় তারা বার বার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে।’

২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এককভাবে ২৩৩টি আসনপ্রাপ্তির বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষ আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছিল আমাদের ওপর। কাজেই যে মানুষগুলো আমাদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে তাদের সেবা করাই আমাদের দায়িত্ব।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘ঠিক আমার বাবা যেভাবে নিজেকে দেশের জনগণের সেবক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেভাবেই তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের মানুষের সেবা করাকেই আমি কর্তব্য বলে মনে করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত এই বাংলাদেশ কখনো পিছিয়ে থাকতে পারে না। এই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই হবে। দেশের মানুষ ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাবে। প্রতিটি মানুষের জীবন সুন্দর হবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। যে লক্ষ্য বাস্তবায়নেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে যে ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস (রিমেল) হয়ে গেল, সেখানে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমেধ্যেই আমরা তালিকা করেছি কোন কোন এলাকায় কতগুলো ঘর সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। কতগুলো ‘আংশিক বিধস্ত’ হয়েছে। যেগুলো সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত আমরা তাদের ঘর তৈরি করে দেব। আর ক্ষতিগ্রস্তদেরও আমরা ঘর পুনর্নির্মাণে সহায়তা করব।”

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমরা তাদের পাশে আছি। প্রাথমিকভাবে যা যা প্রয়োজন তা করে যাচ্ছি এবং যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমি তাদের এটুকু বলতে চাই, আপনাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রত্যেকেই যাতে নতুন ঘর পান, সেই ব্যবস্থা ইনশাআল্লাহ করে দেব এবং সেভাবেই ইতোমধ্যে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রত্যেক এলাকা থেকেই আমরা তথ্য সংগ্রহ করেছি এবং সে অনুযায়ী এই সহায়তা পাঠাব।’

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পঞ্চম পর্বের দ্বিতীয় ধাপে এদিন ১৮ হাজার ৫৬৬টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি ২৬ জেলার সব উপজেলাসহ আরও ৭০টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

নতুন ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা ও উপজেলা নিয়ে দেশে মোট জেলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮টি এবং উপজেলা হয়েছে ৪৬৪টি।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি এবং চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণ করেন।

প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে দুই দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিকানা দিয়ে একটি আধা-পাকা বাড়ি দেওয়া হচ্ছে, যা স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই নামে হবে। প্রতিটি বাড়িতে দুটি বেডরুম, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং বারান্দা রয়েছে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম পর্যায়ের প্রথম ধাপে মোট ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

বাসস/সালমান/

মোবাইলে ডেটা চালুর সিদ্ধান্ত রবিবারের বৈঠকে: পলক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
মোবাইলে ডেটা চালুর সিদ্ধান্ত রবিবারের বৈঠকে: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

অপারেটরদের সঙ্গে আগামীকাল রবিবার বৈঠকে মোবাইলে ডেটা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সকাল ৯টায় মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর ডাক ভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে গাছের চারা রোপণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রবিবার বৈঠকে ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালুর বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর সোম বা মঙ্গলবার মোবাইলে ইন্টারনেট চালু হতে পারে। 

তিনি বলেন, এবারের হামলায় আইএসপির ৭০ শতাংশ ধ্বংস হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা বন্ধ নয়, হামলায় বন্ধ হয়ে গেছে।

এ ছাড়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতে হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান জুনাইদ আহমেদ পলক। 

পরে তিনি বলেন, গত ১৯ জুলাই হামলার আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করে। এদের সিমকার্ড পরীক্ষা করে দেখা গেছে বেশিরভাগই বিএনপিপন্থী।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে টানা পাঁচ দিন সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়। পরে রাজধানীতে বাসাবাড়ির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাও চালু হয়।

অমিয়/

মেট্রোরেল কবে চালু হবে তা বলা যাচ্ছে না: সেতুমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
মেট্রোরেল কবে চালু হবে তা বলা যাচ্ছে না: সেতুমন্ত্রী
ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

মেট্রোরেল কবে নাগাদ চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর মহাখালীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন পরিদর্শনে যান। পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেল না থাকায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। ৩০ মিনিটের পথ দুই ঘণ্টায়ও যেতে পারছেন না। মেট্রোরেল কবে নাগাদ চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। 

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে যারা সহিংসতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।  প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যখন যেখানে যা করার তা করব। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সব ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় গিয়েছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, হামলাকারীদের যে ফুটেজ ছিল তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। তারা পরপর দুইবার পদ্মা সেতুতে আগুন লাগাতে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার যা অর্জন তা ধ্বংস করতে চায় তারা।

তিনি বলেন, এটা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ না। বিএনপি-জামায়াত এই আন্দোলনে ওপর ভর করেছে। তাদের দীর্ঘ দিনের ব্যর্থতার জন্য এমন হামলা। তারা গণতন্ত্র মানে না। আগুন, অস্ত্র নিয়ে নেমেছে তারা। কত মানুষের প্রাণ প্রদীপ নিভে গেছে। মর্মান্তিক দৃশ্যপট, সাংবাদিকও নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয় সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা, এলইডি মনিটর, টিকিট কাটার মেশিনসহ বিভিন্ন জায়গায়। লুট করা হয় মূল্যবান অনেক জিনিস। পরে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয়ে কমিটি করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।

ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন চালু হতে কমপক্ষে এক বছর লাগতে পারে বলে জানায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। 

অমিয়/

সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রাজধানীর মহাখালীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে সেতু ভবনের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

গেল ১৮ জুলাই কয়েক শ দুষ্কৃতিকারী সেতু ভবনে ঢুকে ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তারা ভবন থেকে সরকারি সম্পত্তি লুট করে। তারা অনেক যানবাহন ও মোটরবাইক ভাঙচুর, বিভিন্ন শেড ও কক্ষ তছনছ করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া তারা সেতু ভবনের অনেক কর্মচারীকে মারধর করে।

প্রধানমন্ত্রী পরে মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং ১৮ জুলাই সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার বিভিন্ন অংশ ঘুরে ঘুরে দেখেন।

সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভবন দুটির ধ্বংসযজ্ঞের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্র সারাদেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।

পরে সরকারপ্রধান এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজার ধ্বংসযজ্ঞও পরিদর্শন করেন।

অমিয়/

ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত করার ষড়যন্ত্র থেকেই এই তাণ্ডব: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:৩২ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম
ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত করার ষড়যন্ত্র থেকেই এই তাণ্ডব: প্রধানমন্ত্রী
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটোর পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে আবার ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত করার ষড়যন্ত্র থেকেই এই তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে ঘটা সহিংসতায় আহতদের দেখতে আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করতেই এই ষড়যন্ত্র করেছে বিএনপি-জামায়াত। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, এবারও একইভাবে তাণ্ডব করেছে।’

এ সময় শেখ হাসিনা আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলেন।

হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলে আহতদের সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

অমিয়/

আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৮ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:২৩ পিএম
আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় আহতদের দেখতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন (নিটর) পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরকারপ্রধান রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। 

এ সময় চিকিৎসাধীন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

নিটর পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী শামীম উজ্জামান আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান।

এর আগে শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসিএইচ) হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সন্ত্রাসী হামলায় আহতদের খোঁজখবর নেন সরকারপ্রধান।

ইসরাত চৈতী/অমিয়/