
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস আজ (২০ ডিসেম্বর)। সোয়া দুই শ বছরেরও বেশি পুরোনো এই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রতিবছরের মতো এবারও বিজিবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ চারটি ক্যাটাগরিতে পদক দেবে সরকার। এবার পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের ৭২ জন সদস্য।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম খবরের কাগজকে জানান, ২০ ডিসেম্বর বিজিবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে যেসব আয়োজন, সেগুলো অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর। সেদিন পিলখানায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের ঊর্ধ্বতনরা আসবেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে, এবার চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ৭২ জন পদক পাচ্ছেন। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম) পাচ্ছেন বাহিনীর ডিজিসহ ১২ জন। প্রেসিডেন্ট বর্ডার গার্ড পদক (পিবিজিএম) পাচ্ছেন ২৪ জন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (সেবা) পদক (বিজিবিএমএস) পাচ্ছেন ১২ জন এবং প্রেসিডেন্ট বর্ডার গার্ড (সেবা) পদক (পিবিজিএমএস) পাচ্ছেন ২৪ জন।
১৭৯৫ সালের ২৯ জুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের গোড়াপত্তন হয়েছিল। তখন বাহিনীর নাম ছিল রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন। সৈন্যসংখ্যা ছিল ৪৪৮। ছয় পাউন্ড গোলা, চারটি কামান এবং দুটি অনিয়মিত অশ্বারোহী দল নিয়ে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়। সীমান্ত এলাকায় সমস্যা বৃদ্ধির কারণে এ বাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের অভিযানে অংশ নেয়। দেশের আধা সামরিক বাহিনী বিজিবির বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের আগে নাম ছিল ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর)। স্বাধীনতা-পরবর্তী ১৯৭২ সালে এর নামকরণ হয় বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)। ২০১১ সালে পিলখানায় বিডিআর হত্যাযজ্ঞের পর নাম রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।