আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারের ভূমিকা পালন করতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেসক্লাব ও পল্টন এলাকায় নির্বাচন বাতিল, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জোট নেতারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই ভারতীয়রা খুব তৎপর হয়ে ওঠে। আন্তর্জাতিক মহলে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক দেখাতে ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা আবারও সক্রিয় হচ্ছে। দেশবাসী সতর্ক থাকুন।’
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি দেখাতে ইতোমধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দিনমজুর ও কাজের লোকদের একদিনের সমান কাজের টাকা দিয়ে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাই দেশবাসী মনে করে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হয় না, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়। দেশ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবিলম্বে নির্বাচন স্থগিত করে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করা জরুরি।’
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যা দিবসে অবৈধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আমার বোন ফেলানীকে দিল্লি যেভাবে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছে, ঠিক একইভাবে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশকে দিল্লির দাদাবাবুরা ঝুলিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে।’
তিনি বলেন, ‘দিল্লির প্রেসক্রিপশনে আগামী ৭ জানুয়ারি পুতুল খেলার নির্বাচন বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। গণ-কারফিউর মাধ্যমে এই নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে এবং শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করা হবে ইনশাআল্লাহ।’
এদিকে নির্বাচন বাতিল, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও ভোট বর্জনের দাবিতে আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি সারা দেশে সর্বাত্মক হরতাল এবং ৭ জানুয়ারি সকাল-সন্ধ্যা গণ-কারফিউ ঘোষণা করেছে ১২ দলীয় জোট। এ সময় জোট নেতারা ৭ জানুয়ারি জনগণকে ঘর থেকে বাইরে বের না হয়ে ‘ভোট বর্জনের’ আহ্বান জানান।
গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু, আবদুল হাই নোমান, গোলাম মুর্তুজা মানিক, মো. ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী, মুফতি আতাউর রহমান খান, মাওলানা এমএ কাসেম ইসলামাবাদী, সৈয়দ তালহা আলম, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, মো. লিটন খান রাজু, হাবিবুর রহমান, মো. আসাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ইমরান হোসেন,বিল্লাল হোসেন, ইসলামী ঐক্য জোটের, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, রানা হোসেন, যুব সংহতির নিজাম উদ্দিন সরকার, ছাত্রসমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মো. ফাহিম হোসেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।
শফিকুল/সাদিয়া/