ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সীতাকুণ্ড-সন্দ্বীপ-মিরসরাই জেলার নেতাদের সঙ্গে লড়বেন ইউনিয়নের নেতারা

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২১ পিএম
জেলার নেতাদের সঙ্গে লড়বেন ইউনিয়নের নেতারা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ ও মিরসরাই উপজেলায় জেলা, উপজেলা নেতাদের সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতারা। ফলে সিনিয়র-জুনিয়ররা নির্বাচনের মাঠে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের প্রার্থী না দেওয়ায় লড়াইটা নিজেদের মধ্যেই হচ্ছে আগের মতো। এই তিন উপজেলায় দলটির ২৮ নেতা-নেত্রী চেয়ারম্যান ও পুরুষ-মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। 

সীতাকুণ্ড উপজেলা: বন্দরনগরীর প্রবেশদ্বার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা। ভৌগোলিকভাবে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবেও এর গুরুত্ব বেশ। এই উপজেলায় এবারের নির্বাচনে ২ জন আওয়ামী লীগ নেতা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। একজন ইউনিয়নের নেতা। যিনি গেল ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নৌকার প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন। আরিফুল আলম চৌধুরী রাজু নামের ওই নেতা লড়বেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ৩ বারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও একসময়ের প্রতাপশালী আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর সঙ্গে। আরিফুল আলম চৌধুরী রাজু বর্তমান সংসদ সদস্য এস এম আল মামুনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। গেল ইউপি নির্বাচনের পর তিনি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। তার সঙ্গে থাকা ২ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনিও দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাইরে ছিলেন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের। অনেকটা আড়ালে, নীরবে, নিভৃতে থাকা এই নেতা উপজেলা নির্বাচন ঘনিয়ে এলে আবারও আলোচনায় আসেন। 

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আ ম ম দিলসাদ, বাড়বকুণ্ড ইউপি চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী, সৈয়দপুর ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামীসহ আরও কয়েকজন সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, এমন আলোচনা ছিল। এমনকি গেল দুই সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়েও দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়াও প্রার্থী হবেন বলে গুঞ্জন ছিল। যার নিজস্ব বলয় তথা বিশাল কর্মী বাহিনী আছে। তিনি দীর্ঘ ৩ দশক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। দলে পরীক্ষিত ও ত্যাগী এই নেতার আছে বলার মতো রাজনৈতিক স্বতন্ত্র পরিচয়। কিন্তু তিনিও সবার ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছেন। তার স্ত্রীও আওয়ামী লীগ নেত্রী। এরপরও দুজনের কেউই প্রার্থী হননি। 

আলোচনায় থাকা অন্য সিনিয়র নেতারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঈদের আগেই নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন। এরপরই স্পষ্ট হয়ে ওঠে কনিষ্ঠ নেতা আরিফুল আলম চৌধুরী রাজুর নাম। বর্তমানে এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাই সবচেয়ে বেশি আলোচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু ১৯৯১ সাল থেকে ১৭ বছর সৈয়দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৮২ সালে ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সীতাকুণ্ড ডিগ্রি কলেজের ভিপি। পরে তিনি জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাবা মরহুম মিছির আহমেদও ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রথিতযশা শিক্ষক। ১৯৯৬ সাল থেকে মহিউদ্দিন মঞ্জু প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে দলের মনোনয়ন চেয়ে আসছেন। কিন্তু প্রতিবারই দল সেটার মূল্যায়ন করেনি। এবার তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। 

অপরদিকে আরিফুল আলম চৌধুরী রাজু ১৯৯২ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত তিনি বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৩ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ছিলেন সভাপতি। বর্তমানে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। রাজু চৌধুরীর বাবা মরহুম দিদারুল আলম চৌধুরীও ছিলেন বাঁশবাড়িয়ার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহম্মেদ চৌধুরীর ভাগিনা ও ব্যক্তিগত সহকারী। 

সীতাকুণ্ডের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বয়স ও রাজনীতিতে কনিষ্ঠ হলেও রাজু চৌধুরী বর্তমান সংসদ সদস্যের বিশ্বস্ত হওয়ায় তিনি হতে পারেন উপজেলা চেয়ারম্যান। অপরপক্ষের মত হচ্ছে, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন মঞ্জু দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত সিনিয়র নেতা। নির্বাচনে যেহেতু অন্য দলগুলো অংশ নেয়নি, এখানে ভোট পড়বে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও কিছু ভাসমান ভোটারের। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে যেতে পারেন। কেননা জ্যেষ্ঠতার কারণে দলে বেশির ভাগ নেতাকর্মী তার সঙ্গে থাকবেন। তা ছাড়া দীর্ঘ ১৭ বছর জনপ্রতিনিধি থাকায় তিনি পুরো এলাকায় ব্যাপক পরিচিত। এই উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন গোলাম মহিউদ্দিন ও জালাল আহম্মদ। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জমা দিয়েছেন শাহিনুর আক্তার বিউটি, হামিদা আক্তার ও শামীমা আক্তার লাভলী।

মিরসরাই: একইভাবে মিরসরাইয়েও উপজেলা নির্বাচনে লড়াই করবেন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতারা। মোট ১৩ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। অধিকাংশ পদে জুনিয়র নেতারা সিনিয়র নেতার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন।
 
চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, তার সঙ্গে লড়বেন জুনিয়র নেতা করেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আরিফ, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি উত্তম কুমার শর্মা ও লন্ডনপ্রবাসী সাবেক যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ মোস্তফা। এখানে ৪ জনই শেখ আতাউর রহমানের জুনিয়র। 

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. জালাল উদ্দিন। ভাইস চেয়ারম্যান পদেও সিনিয়র জুনিয়রে লড়াই হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ্ উদ্দিন আহম্মদ লড়বেন বয়সে তার সিনিয়র নেতা করেরহাট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমের সঙ্গে, অপেক্ষাকৃত জুনিয়র মিরসরাই সদর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল আলমও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত আরা ফেন্সি, যিনি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী। তার সঙ্গে লড়বেন জুনিয়র নেত্রী উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি বিবি কুলছুমা চম্পা, অপরজন মীরসরাই উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম মোমিনুল ইসলাম টিপুর সহধর্মিণী ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম কলি। 

সন্দ্বীপ উপজেলা: চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এখানে ৩ পদে মোট ৮ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জন আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা হলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রবীণ নেতা ফোরকান উদ্দিন আহমেদ। তার সঙ্গে লড়বেন তার জুনিয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাঈনউদ্দিন মিশন ও মগধরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আনোয়ার হোসেন। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আনোয়ার হোসেন কিছুদিন আগে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
 
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. নাজিম উদ্দিন প্রকাশ জামশেদ, শেখ মোহাম্মদ জুয়েলও মনোনয়ন দাখিল করেছেন। যারা দলীয় পদ অনুসারে দ্বিতীয় ও তৃতীয় জন থেকে সিনিয়র। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে জমা দিয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ওমর ফারুক। মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জমা দিয়েছেন উপজেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হালিমা বেগম ও নাহিদ তানমী।

চলমান কারফিউ নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:০৬ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:১১ এএম
চলমান কারফিউ নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

চলমান কারফিউ আরও শিথিল করা যায় কিনা সে বিষয় আজ শনিবার নিয়মিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে নিজ বাসভবনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক শেষে এ কথা জানান মন্ত্রী। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হলেই কারফিউ তুলে নেওয়া হবে। বর্তমানে চলমান কারফিউ আরও শিথিল করা যায় কিনা সে বিষয় শনিবার নিয়মিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

আসাদুজ্জামান খান বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অমিয়/

সহিংসতার দায় সরকারকেই নিতে হবে: জামায়াত

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:০৪ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:০৬ এএম
সহিংসতার দায় সরকারকেই নিতে হবে: জামায়াত

জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার সব দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

সারা দেশে গণগ্রেপ্তার, হামলা-মামলা ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন এবং মিথ্যাচার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, হুমকি-ধমকি দিয়ে কোনো লাভ হবে না। সরকারের সব চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গেছে। দেশের জনগণ তাদের প্রতিবাদী কণ্ঠ উচ্চকিত করেছে।’

বিবৃতিতে এ টি এম মা’ছুম বলেন, ‘সরকার নিজেই দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে একটি অরাজনৈতিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমনের জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলকে জড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। সরকার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে দেশে অসংখ্য হত্যা সংঘটিত করেছে। দেশের শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস ও রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে নিহত করে শত শত মায়ের বুক খালি করেছে এবং হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এখনো বহু শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জালিম সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আদালতের হাতে সোপর্দ করুন।’

হত্যার দায় এড়াতে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে সরকার: ছাত্রশিবির
হত্যার দায় এড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সরকার ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। গতকাল এক বিৃবতিতে তারা এ অভিযোগ করেন।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, মূলত আওয়ামী লীগ প্রধান ও তার দলের সিনিয়র নেতাদের উসকানি এবং প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে খুনের হুকুমে এসব হত্যা সংঘটিত হয়েছে। দেশের অরাজক পরিস্থিতির দায়ভার বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দিয়ে এ হত্যার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। মিথ্যা দিয়ে সত্যকে চাপা দেওয়া যায় না।

তারা আরও বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ছাত্রশিবির নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী একটি আদর্শিক সংগঠন। ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই। এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

কারফিউ প্রত্যাহারের আহ্বান জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের 
অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে অনুষ্ঠিত সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং টিমের এক বৈঠকে দলটির নেতারা এ দাবি জানান।

বৈঠকে নেতারা বলেন, জনগণের চলাচলের স্বাধীনতা হরণ করে সরকার দেশে এক অঘোষিত সেনাশাসন জারি করেছে। জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে সরকার সংবাদপত্র ও মিডিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছে। গণগ্রেপ্তার বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। 

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলর সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা অঞ্চলের সংগঠক কাইয়ুম হোসেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন সংগঠক সুমন মল্লিক, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি মিতু সরকার প্রমুখ।

মানুষ হত্যার জবাব জনগণ আদায় করবে একদিন: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৭ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৭ এএম
মানুষ হত্যার জবাব জনগণ আদায় করবে একদিন: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

‘হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন কড়ায় গণ্ডায় আদায় করবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গত কয়েক দিনে কতজন নিরীহ মানুষকে হত্যা ও পঙ্গু করা হয়েছে, জনগণ তার সঠিক পরিসংখ্যান জানতে চায়। জনগণের টাকায় কেনা কি পরিমাণ গোলাবারুদ, টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে, তার হিসাবও জানতে চায়। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) এক বিৃবতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ও বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার, কারান্তরীণ ও জুলুম-নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

অন্যদিকে পৃথক বিবৃতিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমর্থনের কারণ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারি দলের সন্ত্রাসী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে গুলি, টিয়ারশেল, রবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে নিক্ষেপের মাধ্যমে শত শত নিরীহ ছাত্রছাত্রীকে গণহারে হত্যা এবং হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে আহত করেছে, যা দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী অবলোকন করেছে। এই গণহত্যা, নির্যাতন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই নির্মম অত্যাচারে দেশের জনগণ হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছে এবং কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সরকার রাষ্ট্রের সব বাহিনীসহ দলীয় সন্ত্রাসীদের সাধারণ মানুষ, বিএনপি নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে ব্লক রেড দিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জার।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমন করার জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যবহার কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে সান্ধ্য আইন প্রত্যাহার এবং সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজকে গ্রেপ্তার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির গ্রেপ্তারকৃত সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকনকে ৩ দিন পর আদালতে তোলা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর বাসাসহ সিনিয়র নেতাদের বাসায় অব্যাহত গতিতে তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অনেককে গুম করে রেখে নির্যাতন চালিয়ে চার-পাঁচ দিন পর আদালতে হাজির করা হচ্ছে, যা আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যে সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য নির্মমভাবে নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। এই অবৈধ সরকারকে বলব-অবিলম্বে পদত্যাগ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার লক্ষ্যে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন।

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান
এদিকে শুক্রবার রাতে পৃথক এক বিবৃতিতে ন্যূনতম এক দফা, অবৈধ, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের দাবিতে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য ‘জাতীয় ঐক্যের’ আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে, লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, অধিকারহীন জনগণের ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমরা উপরোক্ত ন্যূনতম এক দফার ভিত্তিতে এবং দাবিতে দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।”

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের সব শরিক দল ও জোট, বাম-ডান সব রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সব ইসলামি রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের প্রতিও জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, সময় ও যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কারণে বিবৃতির মাধ্যমে সম্মতি প্রদান করা যেতে পারে। শিগগিরই সম্মতিপ্রাপ্ত সবার স্বাক্ষরে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হবে। জাতীয় ঐক্যের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ও দলিল দেশ ও জাতির মুক্তি ত্বরান্বিত করবে ইনশাআল্লাহ।

পুলিশ হত্যার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২০ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২০ এএম
পুলিশ হত্যার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৬
পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ডেমরা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানাসহ গ্রেপ্তার ছয়জন

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর শনিরা আখড়া ও রায়েরবাগে পিটিয়ে হত্যা করা হয় দুই পুলিশ সদস্যকে। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ডেমরা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

নিহত পুলিশ সদস্যরা হলেন এএসআই মোহাম্মদ মুক্তাদির (৫০) ও নায়েক গিয়াস উদ্দিন (৫৮)।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, মাস্টারমাইন্ড মাসুদ রানার নেতৃত্বে গত ১৯ ও ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগে অগ্নিসংযোগ করে আবু বকর, রবিউল ইসলাম, সৌরভ মিয়া, তারেকসহ ২৫-৩০ জনের একটি দল। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ সদস্যকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন তারা।

পুলিশের মনোবল ভেঙে দিয়ে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতেই পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মিশন বলে দাবি করেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ। তিনি জানান, মেট্রোরেলে হামলাকারীদের তথ্যও বেরিয়ে আসছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক সমঝোতার বিকল্প নেই: ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৭ এএম
সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক সমঝোতার বিকল্প নেই: ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

বর্তমান সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক সমঝোতার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম।

তিনি বলেন, ‘সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। খোদ আওয়ামী লীগের লোকজনই এখন আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি চায়। অবিলম্বে রাজনৈতিক সমাধান না হলে দেশের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। এ জন্য সরকারকেই রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’

শুক্রবার (২৬ জুলাই) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নিয়মিত মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ‘সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বী মূল্য এবং তার ওপর কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যা, দেশের আপামর জনতাকে ভাবিয়ে তুলছে। একটি আন্দোলন দমাতে সরকারের লাশের স্তূপ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার ধ্বংসযজ্ঞগুলো প্রচার করছে। কিন্তু শত শত মানুষ যে লাশ হয়েছে, হাজারখানেক মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করেছে এবং হাজারে হাজারে বন্দি করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে সরকারের কোনোই প্রচারণা নেই। ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম যেমন নিন্দনীয়, তারচেয়ে ভয়াবহ নিন্দনীয় হলো মানুষ হত্যা করা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপতৎপরতার কারণে মানুষ ঘরে ঘুমাতে পারছে না।’

নগর সেক্রেটারি ডা. শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আলহাজ আনোয়ার হোসাইন, আলহাজ আবদুল আউয়াল, নুরুজ্জামান সরকার, কে এম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, মাওলানা নজরুল ইসলাম, এইচ এম রফিকুল ইসলাম, মাওলানা কামাল হোসাইন প্রমুখ।