নেত্রীর জন্য জান দেবেন আর সিদ্ধান্ত মানবেন না, সেটা উচিত না: দীপু মনি । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

নেত্রীর জন্য জান দেবেন আর সিদ্ধান্ত মানবেন না, সেটা উচিত না: দীপু মনি

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
নেত্রীর জন্য জান দেবেন আর সিদ্ধান্ত মানবেন না, সেটা উচিত না: দীপু মনি
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন দীপু মনি। ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নেত্রীর জন্য জানও দিয়ে দেবেন বলেন, কিন্তু নেত্রীর নেতৃত্বে দলের যে সিদ্ধান্ত সেটা মানবেন না, নিজেরা নিজের মতো চলবেন, এটা তো আসলে হওয়া উচিত না।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) ‘১/১১-এর সময়ে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে ২৫ লাখ গণস্বাক্ষর জমা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী একটি গণতান্ত্রিক দল। এর সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াও গণতান্ত্রিক। নেত্রী কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিচ্ছেন না। প্রত্যেকের সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মূল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের মত থাকতে পারে। কিন্তু যখন সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, তখন সেটা দলীয় সিদ্ধান্ত। হয় আমি সেই সিদ্ধান্ত মানি, না হয় আমি দল করব না। সেই স্বাধীনতা আপনার আছে।’

তিনি বলেন, “২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগকে ভাঙতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ১১ জুন জনতার চাপে বাধ্য হয়েছিল শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে। মাত্র ১৫ দিনে ২৫ লাখ স্বাক্ষর সেই সময় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল। আরেকটি ভূমিকা রেখেছিল আমাদের বর্ধিত সভা। যেখানে সারা দেশ থেকে নেতারা এসে সারা দেশকে জানিয়ে দিল ‘নো শেখ হাসিনা, নো ইলেকশন’।”

সাপ্তাহিক গণবাংলার প্রধান উপদেষ্টা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা চন্দন কুমার ঘোষের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ড. আওলাদ হোসেন এমপি, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) আফিজুর রহমান রক্তিম, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান বুলু, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু প্রমুখ।

বিএনপির বিদ্রোহীরা হতাশা নিয়ে ভোটে

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১১:৪৭ এএম
বিএনপির বিদ্রোহীরা হতাশা নিয়ে ভোটে
বিএনপি

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ফলাফলে অনেকটা হতাশ ভোটের মাঠে থেকে যাওয়া বিএনপি নেতারা। বিশেষ করে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে যারা এখনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন, তাদের অনেকের মধ্যে ভর করেছে বাড়তি টেনশন। কারণ যে আশা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, বেশির ভাগেরই কপালে তা জোটেনি। বরং একদিকে দল থেকে বহিষ্কার, অন্যদিকে নির্বাচনে হেরে যেন কপাল পুড়েছে তাদের। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়েও দুশ্চিন্তায় তারা। এমন বাস্তবতায় দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অনেকটা একূল-ওকূল হারানোর শঙ্কায় এসব নেতা। যদিও ভোট থেকে পিছু্ও হটতে পারছেন না তাদের অনেকেই। 

৮ মে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপির ৮০ জন বর্তমান ও সাবেক নেতা। তাদের মধ্যে ২৮ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ২৮ জন নেতা। শেষ পর্যন্ত জয় পান মাত্র ৭ জন। পরাজিত হন ২১ প্রার্থী। যদিও তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ও এলাকার নানা রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে এগিয়ে থেকেও জিততে পারেননি। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানরাও হেরে যান। প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল করতে পারেননি অনেক ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। যার প্রভাব দেখা দিয়েছে দ্বিতীয় ধাপে লড়াইয়ে থাকা একাধিক প্রার্থীর মাঝে। 

দ্বিতীয় ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন নাটোরের লালপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি আরিফ। খবরের কাগজকে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ ভরসা। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো দেখছি। তবে দল থেকেও বহিষ্কার হয়েছি। সব মিলিয়ে প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে সবকিছু ওভারকাম করার চেষ্টা করছি। স্থানীয় নেতারা বিপক্ষে থাকলেও আমি আমার নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ নিয়ে সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছি।’ 

অনেকটা একই বক্তব্য কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী, উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ইন্দোনেশিয়া শিতুর। এর আগে দুবার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনকারী এই নারী নেত্রী বলেন, ‘আপনারা দোয়া করবেন, যা হয় কপালে। এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আমি আশাবাদী। একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছি, আল্লাহ যা করেন।’ 

বিএনপির পাঠানো বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দলীয় সিদ্ধান্ত না মানায় দ্বিতীয় ধাপে ৬৪ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষ্কৃতদের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১৬ জন। 

দলের ১০ সাংগঠনিক বিভাগের মধ্যে সিলেটের সর্বোচ্চ ১৫ জন, রংপুরে ১২ জন, ঢাকার ৭ জন, ময়মনসিংহের ৭ জন, খুলনা বিভাগের ৬ জন, রাজশাহীর ৫ জন, চট্টগ্রামের ৫ জন, বরিশালের ৩ জন, ফরিদপুরের ২ জন, কুমিল্লার ২ জন রয়েছেন। 

দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে ২১ মে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ঘিওরে নির্বাচন করছেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কৃত মো. আবদুল মান্নান। 

খবরের কাগজকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করছি চ্যালেঞ্জ নিয়েই। জন্ম থেকেই স্থানীয় রাজনীতি করে কেন্দ্র পর্যন্ত এসেছি।’ 

বহিষ্কার নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘বারবার ভোট বর্জন করা ঠিক নয়। জনগণের তাগিদে ভোটে আসছি।’ 

যোগ্য হওয়া সত্ত্বে বিএনপির যেসব প্রার্থী ভোটে জিততে পারেননি তাদের বিষয়ে এই নেতা মনে করেন, তারা ঠিকভাবে মানুষের কাছে যেতে পারেননি। 

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পৌর বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কৃত আবদুল আলিম ইয়াছিন জানান, প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনি। ভালো সাড়াও পাচ্ছেন। 

দল থেকে বহিষ্কার সত্ত্বেও নির্বাচনের মাঠে জেতার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে মানুষ পছন্দ করে না। তাই ধানের শীষকে বেছে নেবেন।’ 

বিএনপির হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন দাবি করে সিলেটের স্থানীয় এই নেতা জানান, মরলেও বিএনপি, বাঁচলেও বিএনপি করবেন তিনি। দল রাখলেও আছেন, না রাখলেও থাকবেন। 

এদিকে দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপেও প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বিএনপি পদধারী ও সাবেক নেতারা। রংপুরের গঙ্গাচড়ায় প্রার্থী রয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য মোকাররম হোসেন সুজন এবং গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লিপ্টন। 

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা মোকারম হোসেন। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হক শাহীন শিকদার। খুলনার ডুমুরিয়ায় চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মনিমুর রহমান নয়ন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গাজী আবদুল হালিম ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহিনুর রহমান শাহিন। 

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ত্রিশালে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জুয়েল ও বিএনপির সাবেক এমপি আবদুল খালেকের ছেলে আনোয়ার সাদাত ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন। 

এ ছাড়া সিলেট, কুমিল্লা ও নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে একজন করে প্রার্থী নির্বাচন করছেন। 

অন্যদিকে নরসিংদী, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দুই বিএনপি প্রার্থী। 

তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গত রবিবার। সোমবার (১৩ মে) প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এ ধাপে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক প্রচার। ২৯ মে হবে ভোট।

উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগের গুরুত্ব ৫ বিষয়ে

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১১:৩৮ এএম
আওয়ামী লীগের গুরুত্ব ৫ বিষয়ে
আওয়ামী লীগ

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ শেষ। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আরও বেশি চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগ ও দলের তৃণমূল নেতাদের জন্য। স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই দলটির নেতা-কর্মীদের আশঙ্কা, তৃণমূলের প্রার্থীদের মধ্যে সহিংসতা বাড়বে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রে বেশিসংখ্যক ভোটার আনা কঠিন হয়ে পড়বে।

কারণ উপজেলার প্রথম ধাপের নির্বাচনে এবার ভোটার উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে কম। এই নির্বাচনে ১৩৯টি উপজেলার মধ্যে ৮১টিতেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নির্বাচনি এলাকার মোট ভোটারের ২০ শতাংশের কম ভোট পেয়ে। আর নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। এই ঘটনায় জনগণ কিছুটা নির্বাচনবিমুখ হচ্ছেন বলে খোদ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই মনে করছেন। তারা বলছেন, নির্বাচনের প্রতি জনগণের অনাগ্রহ সরকারের জন্য ভালো নয়। তাই পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ দ্বিতীয় এবং পরের ধাপগুলোর নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে। যদিও বিষয়টি নিয়ে দলের কেন্দ্র উদ্বিগ্ন। তাই ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট তৃণমূল নেতাদের তাগিদ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড।

এমন প্রেক্ষাপটে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের অনাগ্রহের কারণ খুঁজে পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা শনিবার খুলনায় এক মতবিনিময় সভায় উপজেলার প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। সেই সঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, পরবর্তী ধাপের নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে কাজ করছে কমিশন। রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রার্থীদের দায়িত্ব ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসা। আর নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ভোটারদের নিরাপত্তা বিধান ও নির্বিঘ্নে ভোটদানের পরিবেশ সৃষ্টি করা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ১৩৯টি উপজেলায় অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির ১৭ জন স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন ১২ জন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে একাধিকবার স্বজনদের বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও পার পেয়ে যাবেন মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা। জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলায় প্রায় মন্ত্রী-এমপির ১৮ জন স্বজন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মন্ত্রী-এমপির স্বজন হওয়ার কারণে তারা দলীয়, এমনকি প্রশাসনিকভাবেও বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন। যার ফলে প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তাদের সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রায় ৫০টি উপজেলায় সহিংস ঘটনা ঘটেছে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যেই।

গত বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মাদারীপুর সদর, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, সুনামগঞ্জের শাল্লা, নোয়াখালীর সুবর্ণচরের কিছু কেন্দ্রে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই সব এলাকায় বোমাবাজি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। 

এদিকে ভোটে অনিয়মের অভিযোগে বগুড়ায় দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওই জেলার আরেক কেন্দ্রে আটক করা হয় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ দুজনকে।

যদিও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে শাস্তি পেতেই হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৩ জন এমপি মনোনয়ন পাননি, ২৫ জন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন। শাস্তিটা অনেকভাবেই আসতে পারে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে এবং সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ঐকমত্য এবং ভিন্নমতও হয়। তবে কেউ যেন কোন্দলে না জড়ায়। দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যারা ভালো করে দল তাদের পুরস্কৃত করে আবার অন্যায় করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক খবরের কাগজকে বলেন, ‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে আমরা তৃণমূলে বার্তা দিচ্ছি। কেউ যেন প্রভাব বিস্তার না করে, সেদিকেও লক্ষ রয়েছে। ভোটাররা যেন নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারেন আমরা সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই।’ 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পরবর্তী ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিতর্ক এড়াতে অন্তত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর দিয়েছে আওয়ামী লীগ। 

ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো: 
প্রথম ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রত্যাশার চেয়ে ভোট কম পড়েছে। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৬৮ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল। দ্বিতীয় দফায় ৬১ শতাংশ ভোটার উপজেলা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন। ২০১৯ সালে এই হার ছিল ৪০ শতাংশের বেশি। এবারের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে, যা নিয়ে আওয়ামী লীগের মাঝে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের ভোটারদের ‘ডোর টু ডোর’ গিয়ে ভোট চাইতে বলা হয়েছে। 

তৃণমূলে কোন্দল নিয়ন্ত্রণ: 
গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ও দলীয় স্বতন্ত্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখনো নিরসন হয়নি। এর মধ্যে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল দেখা দিয়েছে। কারণ একাধিক প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এর ফলে কর্মীরাও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন, যা নিয়ন্ত্রণ করে দলের ঐক্যের বার্তা দিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। 

মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের দলীয় নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য করা:
প্রথম ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্য করে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন। তা সত্ত্বেও তৃণমূলে বিশৃঙ্খলা রোধে এখনই স্বজনদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। ফলে বিপাকে পড়েছেন দলের প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীরা। কারণ এমপি-মন্ত্রীর ইমেজ কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে সুবিধা করে যাচ্ছেন স্বজনরা। তাই পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে স্বজনদের বুঝিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চেষ্টা করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

স্থানীয় পর্যায়ে আধিপত্য নিয়ন্ত্রণ: 
উপজেলা নির্বাচনে একাধিক স্থানে প্রভাবশালীদের আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতারা। একাধিক উপজেলায় সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে। পরবর্তী ধাপের নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতে পরিবারতন্ত্র বা আধিপত্য বিস্তার করলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করা: 
বিএনপিবিহীন উপজেলা নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে চায় আওয়ামী লীগ। কারণ স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। সেই লক্ষ্যে এবার প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে প্রার্থিতা উন্মুক্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার নেতা-কর্মীদের বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করার বার্তা দিয়েছেন। কেউ প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

যশোরে প্রার্থীরা মাঠ দাপালেও ভোটারদের আগ্রহ কম

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
যশোরে প্রার্থীরা মাঠ দাপালেও ভোটারদের আগ্রহ কম
যশোর শহরের দড়াটানায় নির্বাচনি প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করেছেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুল

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এ ধাপে যশোরের দুটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আর দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে ও তৃতীয় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে আরও ছয়টি উপজেলায়। কিন্তু ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ নেই বললেই চলে। তার প্রমাণ পাওয়া গেছে অনুষ্ঠিত দুই উপজেলার ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে। প্রার্থী ও তার কর্মীরা ভোটের দিন বাড়ি বাড়ি গিয়েও ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে পারেননি। ওই দুই উপজেলায় ৩০ ভাগ ভোটও পড়েনি।

তবে পিছিয়ে নেই প্রার্থীরা। উপজেলাগুলো পোস্টারে ছেয়ে গেছে। প্রতীক বরাদ্দের পর চলছে সুর ও ছন্দে মাইকে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার। ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে কর্মীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। দিচ্ছেন লিফলেট, চাচ্ছেন ভোট। প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসছেন প্রচারে। প্রায় প্রতিদিন সকাল, বিকেলে ও সন্ধ্যায় ইউনিয়ন অথবা পৌরসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বৈঠক করছেন। আবার কোথাও কোথাও প্রার্থীরা নির্বাচনি পথসভা করছেন। ভোটারদের আস্থা অর্জনে দিচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। প্রার্থীরা সাধারণ ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি মেলাচ্ছেন রাজনৈতিক নানা সমীকরণ।

সব মিলিয়ে যশোরের ছয় উপজেলায় অর্ধশতাধিক প্রার্থী মাঠ দাপিয়ে বেড়ালেও ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। তারা বলছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় পরিচয় ও নৌকা প্রতীক না থাকলেও মূলত আওয়ামী লীগের গ্রুপ ও উপ-গ্রুপের নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। বড় দল বিএনপি সরাসরি এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। যশোরে দলীয় সিদ্ধান্ত কেউ অমান্যও করেনি। আবার এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলো কোনো প্রার্থী দেয়নি। ফলে নির্বাচনে একদলের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। এসব কারণে সাধারণ মানুষের আগ্রহ নেই বলে জানান তারা।

কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেখা গেছে, এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে মাত্র ৬২ হাজার ৮১টি। শতকরা মাত্র ২৮ দশমিক ১০ ভাগ। ভোটাররা উপস্থিত না হওয়ায় তিনজন চেয়ারম্যানসহ ছয় প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। অন্য তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনটি পদে মোট ১৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

একই অবস্থা অন্য ছয় উপজেলাতেও হবে বলে জানান যশোর সদর উপজেলার ভোটার বামনেতা জিল্লুর রহমান ভিটু। তিনি বলেন, ‘‘ঘরের মধ্যে ভোট হচ্ছে। তাও আবার ওই দলের অনুসারীদের মধ্যে ত্যাগী আদর্শবান নেতা-কর্মীরা বিমুখ হয়ে আছেন। আর সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূলের লাগাম ছাড়া ঘোড়ার কারণে জীবনই চালাতে পারছেন না। ভোট নিয়ে তাদের ভাবার সময় কোথায়? ‘নিজেরা করির’ মধ্যে লড়াই হয় না। মহাজোটের শরিক দলের প্রার্থীরাও অংশ নিলে ভোটার উপস্থিতি হয়তো একটু বাড়ত।’’

ঝিকরগাছা উপজেলার কায়েমকোলা গ্রামের চা দোকানি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দোকান না খুললে সংসার চলে না। ভোটের ব্যাপারে আমার কোনো আগ্রহ নেই। প্রার্থীরা আসেন-যান। আর তাদের সঙ্গে থাকেন দলের সুবিধাভোগীরা। আমাদের ভোট দিয়েই বা কি, আর না দিয়েই বা কি। আমার সংসার আমাকেই চালাতে হবে।’

বাঘারপাড়া উপজেলার নারকেলবাড়িয়া গ্রামের ভোটার দীপংকর বিশ্বাস বলেন, ‘যিনি জনপ্রতিনিধি হন তিনিসহ তার কিছু সাগরেত লাভবান হন। সাধারণ মানুষ ও সমাজের উন্নয়ন কতটুকু হয়? তাহলে ভোট দিয়ে লাভ কি, আপনিই বলেন। কাজ বাদ দিয়ে ভোট দেওয়ার কোনো আগ্রহ নেই।’

এদিকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা বিএনপি ভোট বর্জনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় সভা করছে। এরই মধ্যে মণিরামপুর এবং কেশবপুরে সাধারণ মানুষের মাঝে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিলি করা হয়েছিল হ্যান্ডবিল। জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও সাধারণ মানুষ ভোটের ময়দানে যাবেন না। পাশাপাশি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যশোরের যেসকল নেতা-কর্মী কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন বয়কটের বিষয়ে দল যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে আমরা মাঠ পর্যায়ে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছি। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে বিএনপি এই নির্বাচনে কোনো প্রার্থী দেয়নি, এমনকি দলের নেতা-কর্মীরাও নির্বাচনের মাঠে নেই। এক দলের প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে। জনগণ এসব নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই নির্বাচনে কোনো আমেজ নেই, নেই কোনো উৎসব।’

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের মধ্যাহ্নভোজ

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১২:৩১ এএম
ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের মধ্যাহ্নভোজ

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। 

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির গুলশানের বাসভবনে এ মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে ওই সময়ে তাদের মধ্যে কী নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

সবুজ/এমএ/

 

আ স ম রবের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
আ স ম রবের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন মির্জা ফখরুল
আ স ম আবদুর রবের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে তার বাসায় মির্জা ফখরুল

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে তার বাসায় গিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর উত্তরায় আবদুর রবের বাসায় যান তিনি। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আ স ম রবের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই তার বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব। 

এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।