মানুষের কর্মসংস্থানের অধিকার হরণ করছে সরকার : সেলিম । খবরের কাগজ
ঢাকা ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

মানুষের কর্মসংস্থানের অধিকার হরণ করছে সরকার : সেলিম

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০২ পিএম
মানুষের কর্মসংস্থানের অধিকার হরণ করছে সরকার : সেলিম
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। ছবি : সংগৃহীত

সংবিধানের ঘোষণা বাস্তবায়নে জীবিকা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বিকল্প ব্যবস্থা না করে কোনো ব্যক্তির ন্যায়সংগত কর্মসংস্থানের অধিকার হরণ করা চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকার জনসাধারণের কর্মসংস্থানের মৌলিক অধিকারকে সংকুচিত করে চলেছে। চরম কর্মহীনতা বর্তমানে দেশের প্রধান সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে হকারদের কেন্দ্রীয় সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের বংশাল, কোতোয়ালি, সূত্রাপুর ও সদরঘাট এলাকায় নির্বিচারে হকার উচ্ছেদ ও মালামাল ধ্বংসের প্রতিবাদে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতাসীন সরকার মানুষের জীবিকা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখলে দেশের জনগণও তাদের ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের চূড়ান্ত সংগ্রাম শুরু করবে।’ অবিলম্বে বিকল্প ব্যবস্থা না করে হকারসহ শ্রমজীবী মানুষের ওপর বলপ্রয়োগ ও উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল হাশিম কবীরের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, কার্যকরী সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। তারা জীবিকা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ না করার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম ঘোষণা করেন। সমাবেশ থেকে বলা হয়, মহান মে দিবসের পূর্বে হকারদের ওপর জলুম-নির্যাতন বন্ধ না হলে আগামী মে দিবসের কেন্দ্রীয় সমাবেশ থেকে আন্দোলনের বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ১০:০৪ এএম
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩

ঝালকাঠি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উঠান বৈঠকে ‘দোয়াত-কলম’ প্রতীকের প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ‘আনারস’ প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমানসহ ১৭ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। 

বুধবার (১৫ মে) সকালে সুলতান হোসেন খানের ছোট ভাই হেমায়েত উদ্দিন খান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। হামলার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন জেলা ছাত্রলীগ নেতা আলফি শাহরুন শুভ, ইশতিয়াক আহমেদ শোভন ও তুহিন হাওলাদার। এ ছাড়া মামলায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ মধু এবং সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজকে আসামি করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে উঠান বৈঠকের আয়োজন করে ‘দোয়াত-কলম’ প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান। সভার শেষ দিকে তিনি বক্তব্য শুরু করলে ‘আনারস’ প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী খান আরিফুর রহমানের সমর্থকরা হামলা চালায়। এতে সুলতান হোসেন খানসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। 

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হামলায় আহত অন্যদেরও উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠনো হয়েছে।

এ বিষয়ে ‘আনারস’ প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান বলেন, ‘তার (সুলতান হোসেন খান) সভায় কে বা কারা হামলা করেছে, তা আমি কিছুই জানি না। তবে ‘দোয়াত-কলম’ প্রতীকের সমর্থকরা আমার ‘আনারস’ প্রতীকের অফিস ভাঙচুর করেছে।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সুলতান হোসেন খানের নির্বাচনি সভায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত করে বাকিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

খুলনায় উপজেলা ভোটে নানা নাটকীয়তা

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৯:২৯ এএম
খুলনায় উপজেলা ভোটে নানা নাটকীয়তা

খুলনায় উপজেলা পরিষদ ভোটে নানা নাটকীয়তায় উত্তাপ বাড়ছে। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের ব্যস্ততাও তত বাড়ছে। বিএনপি দলীয়ভাবে ভোট বর্জন করায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যেই ভোটযুদ্ধ হচ্ছে। তবে প্রার্থীদের সমর্থন নিয়ে এরই মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগে দ্বিধাবিভক্তি তৈরি হয়েছে। এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রতীকনির্ভর প্রার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। তৃণমূলের কর্মীরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। 

জানা গেছে, খুলনার তেরখাদা উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চুকে সমর্থন দিলেও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সালাম মূর্শেদী জেলা মৎস্যজীবী লীগের সহসভাপতি শেখ আবুল হাসানের পক্ষ নিয়েছেন। 

একইভাবে রূপসা উপজেলা নির্বাচনে প্রভাবশালী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা প্রকাশ্যে চেয়ারম্যান পদে সাবেক অধ্যক্ষ সরদার ফেরদৌস আহমেদকে সমর্থন দিচ্ছেন। আর সংসদ সদস্য সালাম মূর্শেদী সমর্থন দিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম হাবিবকে। উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন বাদশা দলীয় বিভক্তির মুখে ভরসা রাখছেন সাধারণ ভোটারদের ওপরেই।    

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় আপন ভাইপো যুবলীগ নেতা নোমান ওসমানী রিচির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী। নিজের ফেসবুক আইডিতে সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে নির্বাচনি আচরণবিধি পালনে সচেষ্ট রয়েছি। আমার ভ্রাতুষ্পুত্র চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় আমি দুঃখিত। তার নৈতিকস্খলন ও অসৎ মানসিকতার কারণে তাকে পরিত্যাগ করেছি।’ 

জানা যায়, ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকরাম হোসেন। এবার তিনি আবারও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। ঋণ খেলাপির দায়ে বাতিল হওয়ার পর আপিলে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। সংসদ নির্বাচনকালে খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের অনুসারী সমর্থকদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় এখানে ভোটের মাঠে চলছে নতুন হিসাব-নিকাশ।

তেরখাদা ও পাইকগাছায় বর্তমান দুই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে এবার প্রার্থী হননি। পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইকবাল মন্টু পারিবারিক সিদ্ধান্তের কথা বলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। 

এদিকে অনলাইনে মনোনয়ন ফরম পূরণ করলেও দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বটিয়াঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম খান জনি। তবে ফুলতলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কয়রা উপজেলা বিএনপির সদস্য শেখ আব্দুর রশিদ ও জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. মনিবুর রহমান নয়নকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারাই অংশ নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে ভোটকেন্দ্রে না যেতে তৃণমূল পর্যায়ে লিফলেট বিতরণ চলছে।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫ জুন খুলনার ৯টি উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সাবেক মন্ত্রীর ভাই ও ছেলের দ্বন্দ্ব পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৯:০৮ এএম
সাবেক মন্ত্রীর ভাই ও ছেলের দ্বন্দ্ব পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

লালমনিরহাট কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ভাই ও ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দ্বন্দ্বে রূপ নিয়েছে। চাচা মাহবুবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে সমর্থককে মারধর, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও নারী কর্মীদের সঙ্গে অশোভন আচরণের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভাতিজা রাকিবুজ্জামান আহমেদ। 

অভিযোগে রাকিবুজ্জামান উল্লেখ করেন, নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তার কর্মী-সমর্থকরা প্রচার চালিয়ে গেলেও শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহবুবুজ্জামান আহমেদ নির্বাচনি বিধিমালা লঙ্ঘন করে চলেছেন। সামনা সামনি কিংবা ফোনে তার কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার বিকেলে কাশিরাম গ্রামে জনসংযোগে যাওয়া একটি দলকে মাহবুবুজ্জামান আমমেদ ও তার দুই ছেলেসহ কয়েকজন বাধা দেন। এ সময় মেহরাবুর রহমান ওরফে কাজী আদেলকে চড় মারেন মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। একইসঙ্গে ওই দলে থাকা রাকিবুজ্জামান আহমেদের স্ত্রী ও ফুফুসহ বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গে অশালীন ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন। পাশাপাশি নানা ধরনের হুমকি দেন। 

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, সংবাদ পেয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

ভুক্তভোগী মেহরাবুর রহমান বলেন, ‘রাকিবুজ্জামান আহমেদের নির্বাচনি কাজ করায় মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ আমাকে সবার সামনে থাপ্পড় মেরেছেন। এ সময় নারীকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং হুমকি দেন।’

রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনের শুরু থেকে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ উগ্র আচরণ করে আসছেন। আমার কর্মীর ওপর হাত তুলেছেন। নারীকর্মীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’ ‌
অভিযোগের বিষয়ে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘নুরুজ্জামান আহমেদের বোন চায়না চৌধুরী এলাকায় এসে ভোট চাইছেন। এ বিষয়ে নিষেধ করতে গিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তারা যে অভিযোগ করছেন সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জহির ইমাম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।’

নির্বাচনে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ ‘ঘোড়া’ এবং রাকিবুজ্জামান আহমেদ ‘আনারস’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বানারীপাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
বানারীপাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
গোলাম ফারুক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলাদ হোসেন সানা। 

মঙ্গলবার (১৫ মে) জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ অভিযোগ জমা দেন তিনি।

অভিযোগপত্রে জানা যায়, বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. গোলাম ফারুক গত ৯ মে উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ফকির বাড়িতে এক কর্মী সভায় বক্তব্যে বলেছেন, ‘আমার চেয়ে বড় মাস্তান কিন্তু বানারীপাড়ায় নাই, আমার চেয়ে বড় গুন্ডা কিন্তু বানারীপাড়ায় নাই।’

মুহূর্তেই এই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফলে নষ্ট হচ্ছে নির্বাচনের পরিবেশ। পাশাপাশি ভোটাররা অনেকটা ভীত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই আবার ভোট না দিতে যাওয়ার কথা বলছেন। এমন অবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বীমূলক নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে বলে অভিযোগ করা হয়।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলাদ হোসেন সানা জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন জনগণকে উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বানারীপাড়ায় তা বাস্তবায়ন করতে হলে গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। তা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে। 

বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোস্তফা ফেরদৌস বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলাদ হোসেন সানা তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

ভয়ংকর পরিস্থিতি বাংলাদেশ ব্যাংকে : রিজভী

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৯:৫২ পিএম
ভয়ংকর পরিস্থিতি বাংলাদেশ ব্যাংকে : রিজভী
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের থলের বিড়াল এখন আস্তে আস্তে বের হতে শুরু করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা হ্যাক করে অন্য দেশে নিয়ে গেছে- এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‌‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে কোনো ঘটনা ঘটেছে।’ সেটা আস্তে আস্তে প্রতিদিন ফুটে উঠছে। ভয়ংকর পরিস্থিতি বাংলাদেশ ব্যাংকে।”

বুধবার (১৫ মে) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সমর্থনে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

রিজভী বলেন, ‘সাংবাদিকরা যেন জানতে না পারেন, সে জন্য তাদের ঢুকতে বিধিনিষেধ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন বোঝা যাচ্ছে কী ধরনের সর্বনাশ হয়েছে। যে ব্যাংকে দেশের মানুষের আমানত সঞ্চয় নিরাপত্তায় থাকে, আজ সেই ব্যাংকে কী ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের ব্যাংকের রিজার্ভ এসে দাঁড়িয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার। এসব গোপন করতেই বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদের সাহেবরা।’ 

আওয়ামী লীগ ভেতরে ভেতরে এক কাজ করে, আর জনগণকে অন্য কথা শোনায়- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড লু মার্কিন কোম্পানিগুলোর ঋণ পরিশোধ করার জন্য চাপ দিয়েছেন। সুতরাং ডোনাল্ড লুর কাছে অনুনয়-বিনয় করছেন সরকারের লোকজন। এ ধরনের দ্বিচারিতা আর ভণ্ডামি করেই সরকার জোর করে ক্ষমতায় আছে।’ 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, অর্থনৈতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।