দ্বিতীয় ধাপে ৬১ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

দ্বিতীয় ধাপে ৬১ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ০৬:০১ পিএম
দ্বিতীয় ধাপে ৬১ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দ্বিতীয় ধাপে আরও ৬১ জন নেতাকে দলের সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিকেলে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের নামের তালিকা প্রকাশ করে দলটি।

বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে ২৬ জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী, ১৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১৬ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দান দিঘী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিব আল আমিন, দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, সৈয়দপুর (সাংগঠনিক জেলা) যুগ্ম সম্পাদক রিয়াদ আরফান সরকার, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম, নাটোরের লালপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি আরিফ, বাঘাতিপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জুলফিকার আলী, দিঘলিয়ায় খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. এনামুল হক, খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, বরগুনা সদরে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার লেয়াকত হোসেন, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় যুবদলের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহবুবুর রহমান, ময়মনসিংহ সদর থানা কৃষক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হোসাইন নূর মোহাম্মদ আনির, নকলায় শেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য মোকসেদুল হক, ধর্মপাশায় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবুল কাশেম, বিশ্বম্ভরপুরে উপজেলা বিএনপির সদস্য হারুনুর রশিদ ও সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মোহন মিয়া, জামালগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল হক আফিন্দি, গোয়াইনঘাটে সিলেট জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম, হবিগঞ্জে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুর রহমান, কক্সবাজারের পেকুয়ায় উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শাফায়েত আজিজ, বান্দরবানের লামায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জাকের হোসেন মজুমদার ও চাঁদপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান।

দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় ১৫৯টি উপজেলায় বিএনপির এই ২৬ জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়ায় ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি।

সবুজ/এম/

গৌরনদীতে আ.লীগ নেতার আয় বেড়ে ৮ গুণ

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১১:০৭ এএম
গৌরনদীতে আ.লীগ নেতার আয় বেড়ে ৮ গুণ
হারিচুর রহমান

বরিশালের গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিচুর রহমানের আয় বেড়ে হয়েছে প্রায় আট গুণ। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তিনি বছরে আয় করেন ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫৪ টাকা। ২০১৫ সালে দাখিল করা আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী হারিচুরের বছরে আয় ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার ২৩৯ টাকা। এ হিসাবে ১৩ বছরের ব্যবধানে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে ৮ গুণ।

এমনকি ওই সময়ে মধ্যে নগদ অর্থও বেড়েছে আট গুণ। ২০১৫ সালে হাতে নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত ছিল ১৮ লাখ ৮ হাজার ৪৪৭ টাকা। এ বছরে তার নগদ টাকার পরিমাণ ২ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ৫৮০ টাকা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্প্রতি জমা দেওয়া হলফনামা এবং ২০১৫ ও ২০২১ সালে গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা ও দুই আয়কর রিটার্নের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব জানা গেছে। 

হারিচুর রহমান গৌরনদী পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল গৌরনদী পৌরসভার মেয়র পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।

মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী হারিচুর রহমানের বিরুদ্ধে আগে দুটি মামলা ছিল। আয়ের উৎস হিসেবে তিনি হলফনামায় মেয়র থাকাকালীন সম্মানী ভাতা, গৃহসম্পদ ও ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছেন। ওই সব খাত থেকে তিনি বছরে আয় করেন ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫৪ টাকা।

এ ছাড়া চাকরিজীবী স্ত্রীর বছরে আয় রয়েছে ৫ লাখ ৫০ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে হারিচের নগদ অর্থ ২ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ৫৮০ টাকা। ৫০ ভরি স্বর্ণ ও ১ লাখ টাকা মূল্যমানের ইলেকট্রনিকসসামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে। স্ত্রীর ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যমানের ইলেকট্রনিকসসামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে। 

স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নিজের নামে ১৪ দশমিক ১২ অযুতাংশ কৃষি এবং ২৫ দশমিক ১২ শতাংশ অকৃষিজমি রয়েছে। এ ছাড়া ৮ শতাংশ জমির মালিক তার স্ত্রী। এর আগে তার ৫০ লাখ টাকা দেনা থাকলেও এ বছর কোনো দেনা নেই। 

২০২০ সালে তার আয়কর বিবরণী অনুযায়ী বছরে ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৩ টাকা আয় করতেন হারিচুর। এর মধ্যে পৌর মেয়র হিসেবে সম্মানী ভাতা বাবদ ৪ লাখ ৮০ টাকা, কৃষি থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার, ব্যবসা থেকে ৪ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ টাকা এবং ব্যবসার মূলধনের লভ্যাংশ থেকে ২৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা আয় করতেন তিনি।

এর আগে ২০১৫ সালের আয়কর বিবরণী অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার ২৩৯ টাকা।

রাশেদ খান মেননের জন্মদিন আজ

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:২৬ এএম
রাশেদ খান মেননের জন্মদিন আজ
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ খান মেনন। ফাইল ছবি

ষাট দশকের তুখোড় ছাত্র নেতা, সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ খান মেনন আজ ৮১তম বর্ষে পদার্পণ করলেন। তার জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ওয়ার্কার্স পার্টির আয়োজনে শনিবার (১৮ মে) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচা সামাজিক অনুষ্ঠানকেন্দ্রে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

রাশেদ খান মেননের জন্ম ১৯৪৩ সনের ১৮ মে। তার পৈতৃক নিবাস বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে। তার পিতা বিচারপতি আব্দুল জব্বার খান একসময় পাকিস্তানের স্পিকারের দায়িত্বও পালন করেছেন। সুপ্রসিদ্ধ পারিবারিক ঐতিহ্যের অধিকারী রাশেদ খান মেননের ভাইবোন হচ্ছেন মরহুম সাদেক খান, কিংবদন্তিতুল্য কবি মরহুম আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান, প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম এনায়েতুল্লাহ খান, বোন সেলিমা রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক শহিদুল্লাহ খান বাদল। 

রাশেদ খান মেনন ১৯৬৩-৬৪ সময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- ডাকসুর ভিপি ও ৬৫-৬৭ সালে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬৭-৬৯ সালে জেলে থাকাকালীন মেনন বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে আসেন। সে সময়ে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তিনি ক্যান্টনমেন্টে বন্দি হওয়ার আগে পর্যন্ত জেলের বাইরে বঙ্গবন্ধুর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ঢাকার অদূরে নরসিংদী শিবপুরকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের কাজ শুরু করেন। পরে প্রবাসে মওলানা ভাসানীকে প্রধান করে জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে আত্মনিয়োগ করেন।

বর্তমানে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও গবেষণার কাজ, প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা, কলাম লেখায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তার ওই কলামগুলো একত্রিত করে এ পর্যন্ত ৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে আত্মজীবনী ‘এক জীবন: স্বাধীনতার সূর্যোদয় (প্রথম পর্ব)।’

জয়ন্ত/এমএ/

নরসিংদীর ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির কমিটি গঠন

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
নরসিংদীর ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির কমিটি গঠন
মো. আব্দুস সাত্তার সভাপতি (বামে) ও মো. দেলোয়ার হোসেন সাধারণ সম্পাদক। ছবি : সংগৃহীত

নরসিংদীর ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে মো. আব্দুস সাত্তার সভাপতি ও মো. দেলোয়ার হোসেন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন। 

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে পলাশ উপজেলা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কাউন্সিল মাধ্যমে নতুন এই কমিটি গঠন করা হয়। 

কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন ঘোড়াশাল পৌর বিএনপি।সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আলম মোল্লা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। এতে বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্য আবদুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন ও নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন জোরদার করতে হবে। এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।

কমিটি অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি মো. আলম মোল্লা, মো. হুমায়ুন কবীর মাস্টার, আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম, ইমরান আহাম্মেদ, প্রফেসর আলতাব হোসেন, মো. শাহরিয়ারুল ইসলাম সাকু, মো.  সামসুল হক সরকার, মো. এনামুল হক এনাম, মো. বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, মো. মহিউদ্দিন চিশতিয়া, মো. সানোয়ার হোসেন মিঞা, কোষাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. ইসমাইল দেওয়ান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাছান সুজন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিউলী বেগম প্রমুখ।

শফিক/এমএ/

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান একচুলও নড়বড় হয়নি: মঈন খান

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান একচুলও নড়বড় হয়নি: মঈন খান
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান একচুলও নড়বড় হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, তারা আগের অবস্থানেই রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে আগে ও পরে সেই কথা বলেছে। সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের পেছনে পেছনে ঘোরে, আবার সমালোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। 

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে কারাবন্দি বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। 

এর আগে সদ কারামুক্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক নবী উল্লাহ নবীর বাসায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। 

মঈন খান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেছে। তাদের স্বার্থে সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারা নির্বাচনের আগে চেয়েছিল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা তৈরি করতে। কিন্তু সরকার আলোচনায় না গিয়ে, বুলেটের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায়। 

অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন চালিয়ে জনগণের মুখ বন্ধ করে তাদের ভোটাধিকার হরণ করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দল দমন করছে সরকার। যদি তারা ভেবে থাকে মহা আনন্দে দেশ পরিচালনা করবে তা হবে ভুল। ভবিষ্যতই সরকারের পরিণতি ঠিক করবে। সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করে আগামীর আন্দোলন পরিচালনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিএনপি। 

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে দেশের অর্থনীতি খারাপ হয়নি। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ও দলীয় নেতাকর্মীদের লুটপাটের কারণের দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। কাজেই দেশের অর্থনীতি নিয়ে সরকারের যুক্তি ভুয়া।

দুষ্টুচক্রের রাজনীতি থেকে সরকারকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মঈন খান বলেন, সরকার এদেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন আছে পরিহিংসার রাজনীতি। সংঘাতের রাজনীতি। আপনারা গণতন্ত্রের পথে হাঁটুন। এটা শুধু আপনাদের জন্যই নয়, জনগণের জন্য মঙ্গলজনক। মানুষের অধিকার যদি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত না হয়, দেশ সৃষ্টির পেছনে যে আদর্শ ও উদ্দেশ্য ছিল তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। 

শফিক/এমএ/

শাসকগোষ্ঠী তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম
শাসকগোষ্ঠী তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে অবৈধ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে। এ মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে শুক্রবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপকৌশলের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল, ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ণ চালানো হচ্ছে অব্যাহতভাবে।

তিনি বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে দখলদার আওয়ামী সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা আওয়ামী জুলুমেরই ধারাবাহিকতা।

সারাদেশে প্রতিনিয়ত সরকারের মদদে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

সবুজ/এমএ/