১৫ বছর ধরে একটা জালিম সরকার ক্ষমতায় বসে আছে মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এই সরকার নির্বাচনের নামে ভণ্ডামি করছে। ১৫ বছরে তারা একটা ফেয়ার নির্বাচন দিতে পারেনি। দেশের সব মানুষ তাদের বিপক্ষে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিরোধী দলের ভোট বর্জনের ডাকে সাড়া দিয়ে ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে যায়নি।
সোমবার (৬ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি আয়োজিত ‘ভারতের লোকসভা ও বাংলাদেশের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রতিবেশী দেশ বলেছে তাদের সিকিউরিটির বিষয়। রাজনৈতিক মাঠে হিংসা-উত্তেজনা থাকবে কিন্তু খুনি-লুটেরা তাদের আমরা ঘৃণা করি। ১৫ বছর ধরে বর্তমান সরকারকে অবৈধ নির্বাচনে সহায়তা করে আসছে দেশটি।’
তিনি বলেন, ‘যুগপৎ আন্দোলনে যারা আছি, সবাই সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে আছি। আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সর্বাত্মক ঐক্য দরকার। এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব। সে জন্য রাজপথে মিছিলে মিছিলে সব দলের মধ্যে ঐক্য হবে বলে বিশ্বাস করি।’
সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মান্না বলেন, ‘আমাদের লড়াইটা আমাদেরই লড়তে হবে, শক্তিশালীভাবে রাজপথে নামতে হবে। ভারত বা আমেরিকা এসে আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে না। ভারতে মোদি সরকার আসুক বা অন্য কেউ আসুক বাংলাদেশের পরিস্থিতি একই থাকবে। তাই ভারতের বড় প্রোডাক্ট আওয়ামী লীগকে আগে বর্জন করতে হবে।’
ব্যারিস্টার সারওয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন, বিচার ব্যবস্থা, অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সবকিছুর সিস্টেম ধ্বংস করে দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ। আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, তাদের পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে দেশপ্রেমিক সকল ও বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ রুখে দাঁড়াতে হবে।
আয়োজক দলের সভাপতি মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহসিন রশীদ, ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল আউয়াল ঠাকুর প্রমুখ।
শফিক/এমএ/