রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ছবি : খবরের কাগজ
বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ পরগাছায় পরিণত হয়েছে, সে কারণে তারা কাউকে পাত্তা দেয় না, কাউকে হিসেবেও রাখছে না। ফলে দেশ ও জনগণ মহাসংকটে বিরাজ করছে।
রবিবার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।
এসময় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জেলা আহ্বায়ক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্য সচিব হাজি আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফী, নির্বাহী সদস্য লোকমান হোসেন, হাসানুজ্জামান নাজিমসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনদিনের রংপুর সফরে এসে সার্কিট হাউজে উঠেন। সেখান থেকে তিনি তার পৈত্রিকি নিবাস নগরীর সেনপাড়ায় স্কাইভবনে যান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপাকালে জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক এজেন্ডা এবং তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে বৈচিত্র হারিয়েছে। তাদের কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা হিসেবে দেখতে পাই না। দল হিসেবে এখন তারা কিছু পেশাজীবী, সরকারি চাকরিজীবীর সংঘবদ্ধ বলয় তৈরি হয়েছে।
জিএম কাদের বলেন, আগে আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট ছিল তারা জনগণকে ধারণ করতো। এখন তারা জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে। আগে তারা একটা বড় গাছের মতো ছিল। যেখানে সবাই বিশ্রাম নিতে পারতো। এখন সেটা হয়ে গেছে পরগাছা।
জিএম কাদের বলেন, এখন অন্ধ আনুগত্যের কিছু সংঘবদ্ধ গোষ্ঠিতে পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগ। সে কারণে হাস্যকর বিভিন্ন কাহিনী করে যাচ্ছে। সে কারণে তারা পাত্তাও দিচ্ছে না কাউকে। এই দুনিয়াতে তাদের বাইরে আর কোন মানুষ আছে সেটা তারা হিসেব করে না। অত্যন্ত কঠিনভাবে তারা নিয়মবহির্ভূত কাজ করছে। আমার ধারণা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন একটা কাল্টে রূপান্তরিত হয়েছে। এবং তারা সেই বিহেভিয়ার করছেন। তারা দেশ এবং দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আইন করলেও রাইট টু ইনফরমেশন বলতে এখন কোন কিছু নেই। কোন খবরাখবর দেওয়া হচ্ছে না। সব গোপন রাখা হচ্ছে। যে তথ্যই চাওয়া হয়, সেটাই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। সংবিধানের ১৪৫(ক) ধারায় বলা হয়েছে, আমরা বিদেশের সঙ্গে যে চুক্তিই করি না কেন। সেটা প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত যত বিদেশি হাজার হাজার চুক্তি হয়েছে। কোন চুক্তিই আমাদের সংসদে প্লেস করা হচ্ছে না।
আগামী দুই দিন তিনি তার নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সমাবেশ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সাইফুর রহমান রানা/এমএ/