ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান রিজভীর । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান রিজভীর

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান রিজভীর
উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে কথা বলছেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি : খবরের কাগজ

উপজেলা নির্বাচনের দিন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘উপজেলা নিবার্চনের এই ভোট হচ্ছে ডামি ভোট, এই ভোট হচ্ছে প্রহসনের ভোট, এই ভোট হচ্ছে জালিয়াতির ভোট। এই ভোটে জনগণ অংশ নেবে না।’ এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মী ও তাদের আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান রিজভী।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর বনানীতে মহিলা দলের উদ্যোগে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আগামীকাল থেকে ১৪১টি উপজেলায় আবারও জালিয়াতির, প্রহসনের, ডামি নির্বাচন করছে সরকার। ডা‌মি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যাবে না। যে নির্বাচনে ভোটারদের কোনো অধিকার নেই, সেটি আবারও করতে যাচ্ছে ডামি সরকারের প্রধান।’

অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন উপজেলা চেয়ারম্যান ১০০ বিঘার ওপরে জমি করেছে, মাত্র ২ টার্ম ক্ষমতায় থেকে। নিউজে এসেছে অনেকেই ১২ হাজার গুণ, ১৮ হাজার গুণ সম্পত্তি করেছে। এই কারণে জনগণকে বাদ দিয়ে, বিরোধীদলের অংশগ্রহণকে বাদ দিয়ে পাতানো নির্বাচন করে যাচ্ছে। কিন্তু জনগণ এই নির্বাচন মানে না। জনগণ এই নির্বাচনে অংশ নেবে না। গণতন্ত্রকামী কোনো রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘দেশের জনগণ যেভাবে ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বর্জন করেছে, ঠিক একইভাবে আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া পাতানো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করবে। কারণ, জনগণের ভোট যারা কেড়ে নিয়েছে তাদের অধীনে নির্বাচনগুলো হচ্ছে প্রহসনের, ডামি নির্বাচন।’

নেতা-কর্মী‌দের উদ্দেশ্যে তি‌নি বলেন, ‘যে চার দফায় উপজেলা নির্বাচন হবে, এই নির্বাচনে আপনাদের আত্মীয়-স্বজন যারা যেখানে আছে সবাইকে বর্জনের আহ্বান করবেন।’

লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে বিএনপির সহঅর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সদস্য রেহানা সুলতানা আরজু, পান্না ইয়াসমিন, জান্নাত চৌধুরী, পাপিয়া সরদার, সুমি আক্তার, ছাত্রদল নেতা আশরাফুল আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল/সালমান/

নির্বাচনি সভায় যাওয়ার পথে ২ জনকে হাতুড়ি পেটার অভিযোগ

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১০:১০ এএম
নির্বাচনি সভায় যাওয়ার পথে ২ জনকে হাতুড়ি পেটার অভিযোগ

রাজবাড়ীতে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের বিরুদ্ধে দুজনকে হাতুড়ি পেটা করার অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনি কর্মিসভায় যাওয়ার পথে গত শনিবার রাতে বালিয়াকান্দিতে তাদের আক্রমণ করা হয়। আহতরা হলেন নবাবপুর ইউনিয়নের তেকাটি গ্রামের সালাম মণ্ডল ও জাহাঙ্গীর হোসেন। তাদের বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা আবুল কালাম আজাদের সমর্থক। আগামী ২১ মে বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। আনারস প্রতীকে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও মোটরসাইকেল প্রতীকে এহসানুল হাকিম সাধন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

শনিবার সন্ধ্যার পর সোনাপুর বাজারে আবুল কালাম আজাদের পথসভা ছিল। সেখানে যাচ্ছিলেন আবদুস সালাম ও জাহাঙ্গীর হোসেন। বেরুলি বাজার কবরস্থানের পাশে পৌঁছালে হামলাকারীরা আবদুস সালাম ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পালিয়ে যান। 

বালিয়াকান্দি হাসপাতালের চিকিৎসক সৌরভ শিকদার বলেন, ‘আহত দুজনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে একজনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আরেকজনের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’ 

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করতে আমার কর্মীদের ওপর বারবার হামলা করা হচ্ছে।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে এহসানুল হাকিমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।  

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, পথসভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকের ওপর হামলা করা হয়েছে। আহতরা হামলাকারীদের চিনতে পারেননি। হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি মামলা

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি মামলা

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঢাকার ধামরাইয়ে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে থানায় মামলা করেছেন। গত শনিবার ওই দুই প্রার্থী থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের চর সুঙ্গর এলাকায় আনারসের প্রার্থী আব্দুল লতিফের ক্যাম্প ভেঙে ক্যাম্পে তালা ঝুলিয়ে দেয় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর কর্মী-সমর্থকরা। 

গত ১৪ মে মঙ্গলবার প্রথমে মোটরসাইকেলের কর্মী-সমর্থকরা আনারসের লোকজনকে মারধর করে। ওই দিনই আনারসের প্রার্থী আব্দুল লতিফ তার নির্বাচনি প্রচারের ক্যাম্প দেখতে গেলে খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর লোকজন তাদের ওপর চড়াও হয়। দেশীয় অস্ত্র, বাঁশের লাঠি, গাছের লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। এতে আনারসের সমর্থক ছামের আলীকে ধাওয়া করলে তিনি নিজের বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়েই হামলা চালায় মোটরসাইকেলের লোকজন। এ সময় ছামের আলীর অন্তঃসত্ত্বা বোন সানজিদা আক্তার বাধা দিলে তাকেও মারধর করে মোটরসাইকেলের কর্মীরা। সানজিদা আহত হয়ে বর্তমানে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

অপরদিকে মোটরসাইকেলের প্রার্থী খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর লোকজনও ওই দিন হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন। এ ঘটনার ৫ দিন পর ধামরাই থানায় উভয় পক্ষই মামলা করে।

আনারসের প্রার্থী ঢাকা উত্তরের সাবেক যুবলীগের সদস্য আব্দুল লতিফ নিজে বাদী হয়ে মাহবুবুর রহমান মনি, ইউপি সদস্য সাহাবুর রহমান, আব্দুল হালিম, আব্দুল করিমসহ মোট ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। 

আব্দুল লতিফ মামলায় উল্লেখ করেছেন, ‘আমার নির্বাচনি ক্যাম্পে মোটরসাইকেলের প্রার্থী খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর লোকজন হামলা করে আমার কর্মীদের মারধর করেছে। অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও বাদ দেয়নি। অপরদিকে ক্যাম্প ভেঙে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি করেছে এবং ৭৫ লাখ টাকার আসবাবপত্র নিয়ে গেছে মোটরসাইকেলের সন্ত্রাসী বাহিনীরা।’ 

অপরদিকে মোটরসাইকেলের প্রার্থী ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর সমর্থক সাহাবুর রহমান বাদী হয়ে সেলিম খান, শুকুর আলী, মাহবুব, ইসলাম মিয়াসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

দুই প্রার্থীর মামলাই ঘটনার ৫ দিন পর গত শনিবার ধামরাই থানায় রেকর্ড হয়েছে। উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে হামলার ঘটনায় এলাকায় সাধারণ ভোটারের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

হামলার ঘটনায় আনারসের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বলেন, ‘প্রতিবাদ আমরা করতে পারি। কিন্তু আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কোনো ঝগড়ায় যাব না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য মোটরসাইকেলের প্রার্থী খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর লোকজন এমন কাজ করেছে।’

এ বিষয়ে মোটরসাইকেলের প্রার্থী খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর সমর্থক সাহাবুর রহমান বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ আনারসের প্রার্থী আব্দুল লতিফের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বসে নির্বাচনি কাজ করছিলাম। তখন আনারসের লোকজন এসে আমাদের  ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহতও হয়েছে।’  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতাউল বাবু বলেন, ‘আনারস ও মোটরসাইকেলের দুই প্রার্থীই মামলা করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ভাইয়ের প্রচারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ট্রাকের বহর নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৯:০৪ এএম
ভাইয়ের প্রচারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ট্রাকের বহর নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ
ছবি : সংগৃহীত

ট্রাকের বহর নিয়ে মিছিল করে ভাইয়ের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকনের বিরুদ্ধে। 

রবিবার (১৯ মে) বিকেলে আব্দুর রহিম পাকন তার আপন ছোট ভাই ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মেছবাহুর রহমান রোজকে সঙ্গে নিয়ে ট্রাকের বহরসহ উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

মেছবাহুর রহমান রোজ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া মার্কা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে মেছবাহুর রহমানের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে ধারণ করা ভিডিওসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনাইন রাসেল।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে মেছবাহুর রহমান রোজকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম পাকন বলেন, ‘আচরণবিধিতে নিষেধ থাকলেও মিছিল তো করতেই হয়। হেঁটে তো আর মিছিল করা যায় না। তাই ট্রাক নিয়ে মিছিল করেছি। আর মন্ত্রী-এমপি ছাড়া অন্য সবাই নির্বাচনি প্রচার চালাতে পারবেন। তাই আমিও চালাচ্ছি।’

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নাজমুন্নাহার বলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ট্রাকের বহরের মিছিলের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এটা সুস্পষ্ট আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য বিদায়ী মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল (মোটরসাইকেল), জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাকিবিল্লাহ (আনারস) ও জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি মেছবাহুর রহমান রোজ (ঘোড়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার শুরু করেন প্রার্থীরা। তবে বাকিবিল্লাহ অন্য প্রার্থীর প্রভাবে কর্মী সংকটের অভিযোগ তুলে প্রচার বন্ধ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এতে বাকিবিল্লাহর কর্মী-সমর্থকরা মেছবাহুর রহমান রোজকে সমর্থন দেন। এরপর থেকেই বাকিবিল্লাহ ও মেছবাহুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা একাট্টা হয়ে গোলাম হাসনাইন রাসেলের বিপক্ষে ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেন।

এ অবস্থায় মেছবাহুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা প্রতিদিনই নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রার্থী ও প্রতীকের ছবি সম্মিলিত টি-শার্ট পরে প্রচার চালাচ্ছেন। গতকাল রবিবার দুপুরেও কয়েক শ কর্মী-সমর্থক ১০-১৫টি ট্রাকে চড়ে শোডাউন ও মিছিল করেন। এতে নেতৃত্ব দেন মেছবাহুর রহমানের বড় ভাই ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম পাকন।

দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও রিজার্ভ সংকট অশনিসংকেত: ১২ দলীয় জোট

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:০৭ এএম
দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও রিজার্ভ সংকট অশনিসংকেত: ১২ দলীয় জোট
ছবি : সংগৃহীত

দেশের চলমান অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও রিজার্ভসংকট জাতির জন্য অশনিসংকেত বলে মন্তব্য করেছেন ১২-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলছেন, দেশের আর্থিক খাতে তাণ্ডব চালাচ্ছে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার। বাংলাদেশের রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। বিদেশি সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের নিশ্চুপ ভূমিকা জনগণের কাছে রহস্যজনক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদকর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা একই সূত্রে গাঁথা। 

রবিবার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁও জোটপ্রধান মোস্তফা জামাল হায়দারের কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের চলমান সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা করণীয় নির্ধারণে ১২-দলীয় জোটের গুরুত্বপূর্ণ সভায় তারা এসব কথা বলেন। 

সভায় নেতারা বলেন, অনির্বাচিত ও তাঁবেদার সরকার দেশকে লুটতরাজের আখড়া বানিয়েছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে নাভিশ্বাস সৃষ্টি করেছে। জনগণকে অবিলম্বে এই অবৈধ সরকারের অপশাসন ও লুটতরাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। 

তারা আরও বলেন, আগামীতে বিএনপির সঙ্গে যেকোনো কর্মসূচি তারা ঐক্যবদ্ধভাবে পালন করবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ত্বরান্বিত করা হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন জোটের নেতারা। 

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আলী আব্বাস খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপা সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ প্রমুখ। 

শফিক/এমএ/

বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো সরকারের প্রধান কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম
বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো সরকারের প্রধান কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো ‘ফ্যাসিস্ট’ আওয়ামী সরকারের প্রধান কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) পল্টন থানার একটি মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশব্যাপী প্রতিদিনই বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নানা নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু করেছে। আর এ ধরনের অপকর্মের উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের বিরোধী দলগুলো যেন সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করতে না পারে। ইশরাক হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো সরকারের ওই কর্মসূচির অংশ।

এ ধরনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারসহ তার নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।