ঢাকা ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

জনগণ উপজেলা নির্বাচনও প্রত্যাখান করেছে: রিজভী

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
জনগণ উপজেলা নির্বাচনও প্রত্যাখান করেছে: রিজভী
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও অন্যান্যরা

ভোটাররা সর্বান্তকরণে উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী প্রতারণার ফাঁদে পা না দিয়ে দেশের ভোটাররা সর্বান্তকরণে উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের স্বজন ছাড়া অন্য কেউ নির্বাচিত হতে পারে না। ভোটারদের ভোটের প্রয়োজন হয় না। ফলাফল আগেই নির্ধারিত হয়ে আছে, সেটিই ঘোষিত হয়।’

বুধবার (৮ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাচন বর্জন করছে জনগণ, সে কারণ তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘মানবজাতি স্বৈরাচারের দুঃশাসনে বেশিদিন লুকিয়ে থাকতে ও নীরব থাকতে পারে না। অধিকার আদায়ে বুক বেঁধে সাহসের সাথে এগিয়ে যায়। উগ্র রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। নিকৃষ্ট লুণ্ঠনের মাধ্যমে উপজেলা প্রতিষ্ঠানকে করা হয়েছে লুটেরা ও দস্যুদলের আখড়া। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি যতই উচ্চারিত হয় ততই সরকারের কাছে জেল-জুলুমের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। যারা দ্বিতীয়বার প্রার্থী হয়েছেন তাদের আয় বেড়েছে তিন থেকে চার হাজার শতাংশের বেশি। যে দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই সে দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদে ভোটারবিহীন নির্বাচনে কেউ চেয়ারম্যান ঘোষিত হলে হাতিশালে হাতি ও ঘোড়াশালে ঘোড়ার কোনো অভাব হয় না।’

তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর এখন আবার আওয়ামী সাদা পোশাকধারী বাহিনী নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। আবারও নতুন করে গুমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হামলা করে রক্তপাতের ধারা বইছে সর্বত্র। মঙ্গলবার আসরের নামাজের সময় মসজিদে যাওয়ার পথে সিদ্ধেশ্বরী মাঠ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মাহিদুল হাসান হিরুকে সাদা পোশাকধারীরা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। তুলে নেওয়া গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ ৫২-১৪৫০। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দুই নেতা নাফিউল ইসলাম জীবন ও তার বন্ধু ইউনুস খানকে তিন ঘণ্টা ধরে মারধর ও চরম নির্যাতন করা হয়। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ হিংস্র হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছে গণতন্ত্রমনা ছাত্রদের ওপর। এরা হামলা চালাচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপরও। ছাত্রলীগ, যুবলীগ দেশের সবচেয়ে খতরনাক বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’

সত্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করলে গণমাধ্যমের গতি আরও তীব্র হবে, গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

সরকার দেশকে আবারও তলাবিহীন করেছে: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম
সরকার দেশকে আবারও তলাবিহীন করেছে: মির্জা আব্বাস
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তার তিন বছরের শাসনামলে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উঠিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে আবারও তলাবিহীন করেছে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম শুনলেই অনেকের গাত্রদাহ হয়। কারণ যেই কাজটা তাদের করার কথা ছিল, সেটা জিয়াউর রহমান করেছিলেন। 

শুক্রবার (৩১ মে) বাদ জুমা রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণদোয়া অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

এ দেশে লুটেরাদের রাজত্ব কায়েম হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আগে শুনতাম বর্গিরা দেশে এসে লুট করে নিয়ে চলে যেত। এখন বর্গিরাই ক্ষমতায় বসে গেছে। তারা লুট করে চলে যায় না, সম্পদ বিদেশে পাচার করে দেয়।’

তিনি বলেন, ‘ঘুম থেকে উঠেই পত্রিকায় দেখলাম, এক লিটার জ্বালানি তেলের দাম আড়াই টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এক লিটার তেলের দাম যদি আড়াই টাকা বাড়ায়, এমনিতে তো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে, আর লিটারে আড়াই টাকা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর অর্থ হলো সব জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়া। বিদ্যুৎ-তেলের দাম বাড়লে, তা সমাজের শিরায় প্রবেশ করে, প্রতিটি জায়গায় এর অ্যাফেক্ট পড়ে।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যারা একসময় বলেছিল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নাই, বিএনপিও নাই। যারা ভাবে, বিএনপি থাকবে না, তাদের মুখে ছাই দিয়ে বিএনপি আল্লাহর রহমতে টিকে আছে এবং বিএনপি টিকে থাকবে ইন্‌শাআল্লাহ। একমাত্র বিএনপিই একটি দল, যার হাতে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ, অন্য কোনো দলের হাতে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়।’ 

এ কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মির্জা ফখরুল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তিনি দোয়ায় অংশ নিতে পারছেন না। এদিকে বিএনপির এই গণদোয়া কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক বক্তব্য রাখেন।

সবুজ/এমএ/

গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম জোরদার করতে হবে: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম জোরদার করতে হবে: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম আজ লুটেরা সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজ শাসক শ্রেণির শাসন উচ্ছেদের সংগ্রামের সঙ্গে একই সূত্রে গ্রথিত। কোনো প্রকার সংস্কার নয়, জনগণের গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরেই শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম জোরদার করতে হবে।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে তোপখানা রোডস্থ কার্যালয়ে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং টিমের এক বর্ধিত বৈঠক তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন শফী রহমান, হেমন্ত দাস, জিকো ত্রিপুরা, মিতু সরকার, সুমন মল্লিক, রফিক আহমেদ,শামসুল আলম প্রমুখ।

বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমূহে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী, স্বল্প সুদে গৃহঋণ প্রদানসহ পুনর্বাসনের জোর দাবি জানানো হয়।

বৈঠকে ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনে সমাজে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ সংগ্রাম জোরদার করতে শ্রমিক কৃষক নিপীড়িত জাতিসত্তার জনগণের সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বম জাতিসত্তার জনগণের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তা বন্ধের দাবি জানানো হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকদের মালয়েশিয়া প্রবেশে অচলাবস্থা সৃষ্টির জন্য দায়ী ব্যক্তি বা এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

গণতন্ত্রের কথা বলে আ.লীগ দেশে লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে: এবি পার্টি

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
গণতন্ত্রের কথা বলে আ.লীগ দেশে লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে: এবি পার্টি
ছবি : সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর ও সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং তাদের লুটকরা অর্থ উদ্ধার করে ঘূর্ণিদুর্গতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে রাজধানীর পল্টন-বিজয়নগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান। 

তারা বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার কথা বললেও বাস্তবে তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী প্রধান শক্তি। কথায় কথায় গণতন্ত্রের বুলি আওড়িয়ে তারা দেশে একব্যক্তির শাসন ও লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে। 

বিক্ষোভ মিছিল শুরুর আগে বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্ত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। দলের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব এম আমজাদ খান, যুবপার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, আনোয়ার হোসেন ফারুক, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান প্রমুখ। 

সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহম্মেদ পদে থেকে অপরাধ করেছেন তাকে সেনা আইন ও ফৌজদারী দুই আইনেই বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি বেনজীর আহমেদের শুদ্ধাচার সনদ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, অশুদ্ধ ও রং হেডেড সরকার প্রধানের পক্ষেই এরকম চরম দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া সম্ভব। তিনি প্রতিবছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে মন্ত্রী, এমপি, সকল বাহিনী প্রধান, আমলা, শীর্ষ ব্যাবসায়ী ও শিল্পপতির সম্পদের তালিকা শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা জাতীয় রাজস্ববোর্ডের এখতিয়ারে রাখার দাবি জানান। 

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন; আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের একসময় বলেছিলেন বেনজীর-আজিজ কোন দুর্নীতি করেনি এগুলো সব মিথ্যা গুজব। আর এখন তিনি বলছেন দুর্নীতির দায়ে বেনজীর-আজিজের বিচার করা হবে। ওবায়দুল কাদের যখন একথা বলছেন তাহলে বুঝতে হবে এর আড়ালে অনেক বড় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার কয়েক হাজার বেনজীর ও আজিজ তৈরি করেছে। এদেরকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুযোগ দিয়ে তার বিনিময়ে এদের কাছ থেকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ সার্ভিস নিয়েছে সরকার। ফলে দেশের সর্বক্ষেত্রে আজ হাহাকার। তিনি ৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্তি ও অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা লোপাটের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন; আওয়ামী লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার কথা বললেও বাস্তবে তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী প্রধান শক্তি। কথায় কথায় গণতন্ত্রের বুলি আওড়িয়ে তারা দেশে একব্যক্তির শাসন ও লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে। তিনি অবিলম্বে সাবেক আইজি বেনজীর ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদকে গ্রেপ্তার এবং তাদের লুটকরা অর্থ উদ্ধার করে ঘূর্ণিদুর্গতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান। 

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ঘূর্ণিঝড় রিমেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, দেশে আবহাওয়ার এত আগাম সতর্কীকরণ সত্ত্বেও প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ে কেন এত জান মালের ক্ষতি হয় তার কারণ জানতে হবে।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে তা সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, নয়াপল্টন, বিজয়নগর ও পল্টনসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

জনগণ বিচারক হয়ে সরকারের অপকর্মের বিচার করবে: রিজভী

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
জনগণ বিচারক হয়ে সরকারের অপকর্মের বিচার করবে: রিজভী
ছবি : সংগৃহীত

বর্তমান সরকারকে সিন্ডিকেটবান্ধব, মাফিয়াবান্ধব উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রত্যেকটি অপকর্মের দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। একদিন জনগণের আদালতে এদের প্রত্যেকের বিচার হবে। জনগণ বিচারক হয়ে এদের অপকর্মের বিচার করবে। তিনি বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার কোনও অবলম্বনই আওয়ামী লীগ সরকার রাখেনি। তারা জনগণের সঙ্গে ব্যঙ্গ করছে। 

রিজভী বলেন, সরকার পানি, ডিজেল, গ্যাস, অকটেন-পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি করেছে, যাতে জনগণ কষ্ট পায়। জনগণ হচ্ছে সরকারের কাছে পাইলট প্রজেক্ট। তারা মনে করছে, জনগণের রক্ত শোষণ করে করে এমন করবো যাতে বিশ্বের সব স্বৈরাচারদের কাছে দৃষ্টান্ত হয় এই সরকার।

শুক্রবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পানি-বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য অযৌক্তিকভাবে বারবার বৃদ্ধি ও বগুড়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্বোধন করা ‘ম্যুরাল’ ভাঙার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন’।

বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে পুরস্কার হিসেবে বেনজীরকে এসপি থেকে পুলিশ কমিশনার, পুলিশ কমিশনার থেকে আইজিপি করা হয়েছে- এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, সরকার দমন-নিপীড়নের জন্য তাদেরকে পুরস্কৃত করেছে। তারা এদের অপকর্ম দেখেও না দেখার ভান করছে। কারণ সরকার তো অবৈধ। তাদের অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য এই বেনজীর-আজিজরা নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের জনপ্রতিনিধি হতে ভোট লাগে না। দলীয় প্রধান যাকে চাইবেন তিনি নির্বাচিত হন। সোনা চোরাচালানকারী, মাদক সম্রাটরা এমপি হয় কী করে!

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনার তো কষ্ট হয় না। কারণ আপনি বাড়ি গেলে সামনে পুলিশের হুইসেল বাজে। আর সাধারণ যাত্রী যারা ঈদ পালন করতে যায় কষ্ট করে, সে খবর কি রাখেন, আপনি? আপনারা কথায় কথায় জনগণের সঙ্গে ব্যঙ্গ করছেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সবুজ/এমএ/

দেশে পরিবর্তন আনতে ছাত্রসমাজকে রাজপথে নামতে হবে: গয়েশ্বর

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
দেশে পরিবর্তন আনতে ছাত্রসমাজকে রাজপথে নামতে হবে: গয়েশ্বর
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসককে পরাজিত করে দেশে গণতান্ত্রিক ধারায় পরিবর্তন আনতে অতীতের মতো ছাত্রসমাজকে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শিশুরা সুন্দর মাতৃক্রোড়ে, ছাত্ররা সুন্দর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাবা-মা তার সন্তানকে লেখাপড়ার জন্য পাঠিয়েছেন। একজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যাবে, আবাসিক হলে থাকবে, লেখাপড়া-খেলাধুলা করবে, সকল অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ করবে, প্রতিরোধ গড়বে। কিন্তু সেই ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে দেওয়া হয় না, গেলে তাদের রক্তাক্ত হতে হয়। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসন আমলে, অর্থাৎ গত ১৫-১৬ বছরে কত যে সম্ভাবনাময় জীবন শেষ হয়ে গেছে।

শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে রাজপথে নামতে ছাত্র সমাজের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, প্রতিদিন আদালতের বারান্দায় হাজিরা দিতে যেতে হয়। আগ্রাসী শক্তি ছাত্র-যুবকের কন্ঠরোধ করছে। যুবকরা নিজ নিজ স্থান থেকে বিতাড়িত হয়ে রাজপথে ঘুরছে। আজকে ছাত্রদের যুদ্ধ করে প্রতিষ্ঠানে টিকে থাকতে হচ্ছে। এটি একটি অভিশপ্ত জীবন। 

বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠীর পতন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদলকে শেষ পর্যন্ত রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ছাত্ররাই কেবল পরিবর্তন আনতে পারে। 

গয়েশ্বর রায় বলেন, বিএনপিকে শেষ করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়। কিন্তু যারা ভেবেছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে, তাদের মুখে চুনকালি মেখে দিয়ে গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে নেমে এসেছিলেন বেগম জিয়া। তার নেতৃত্বে দেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আবারও বিএনপিকে ধ্বংস করতে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সরকারের সে হীন চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। 

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আবু আফসান ইয়াহিয়া, আমানউল্লাহ আমান, জাহাঙ্গীর আলম, শরিফ প্রধান শুভ প্রমুখ।

সবুজ/এমএ/