টাকা লোপাট করতেই ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্যোগ : এবি পার্টি । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

টাকা লোপাট করতেই ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্যোগ : এবি পার্টি

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
টাকা লোপাট করতেই ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্যোগ : এবি পার্টি
ছবি : সংগৃহীত

জনগণের টাকা নতুন করে লোপাটের পরিকল্পনা থেকে ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। দলটির নেতারা বলছেন, গত ১৬ বছরে দেশের সব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। যার ফলশ্রুতিতে আজ ৩৮টি ব্যাংক রেড জোনে রয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে।

বুধবার (৮ মে) অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মাধ্যমে ব্যাংক ও আর্থিক খাত ধ্বংসের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির নেতারা এ দাবি করেন।

দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল ও সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘খারাপ ব্যাংকগুলোর দায়-দেনা বাজেট থেকে দেওয়ার উদ্যোগের কথা শোনা যাচ্ছে। তার মানে সরকারি দলের কিছু দুর্বৃত্তের লুটপাটের দায়-দেনা দেশের জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশ লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। ২০০৮ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন যে ব্যক্তির লাখ টাকা সঞ্চয় ছিল আজ তার হাত কপর্দকহীন শূন্য। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পুরো ব্যাংকিং খাতকে কয়েকটি পরিবারের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দিয়ে সরকারি দলের লোকেরা অর্থ লুট ও পাচার করে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।’

তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির ফলে আজ দেশের ৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে ঋণ করে বাজার করতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই শুধুমাত্র দলীয় বিবেচনায় ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়। যে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা হরণ করে পরিকল্পিতভাবে লুটপাট করার উদ্দেশ্যেই সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল করে দিয়েছে। এমনকি লুটপাট অব্যাহত রাখতে খেলাপিঋণের সংজ্ঞা পর্যন্ত বদলে ফেলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে সরকার যে ঋণ নিয়েছে তার কিস্তি পরিশোধের জন্য আবার ঋণ নিতে চাচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ বন্ধ না করে বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি বন্ধ করতে চাইছে সরকার। ফলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি খাত।’

বিএম নাজমুল হক বলেন, ‘এই সরকার শুধু অর্থিক খাত নয়, সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ বিচার বিভাগের কাছে মজলুমরা বিচার পায় না, কোনো একটি সাধারণ নির্বাচনও নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে করতে পারে না।’ জনগণকে এই সরকার পতনের আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারী সদস্যসচিব এম আমজাদ খান, হাদিউজ্জামান খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, আমেনা বেগম, মশিউল আজম সাকিব, যুবপার্টি মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব শাহীনুর আক্তার শীলা, পল্টন থানার সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা প্রমুখ।

শফিকুল/সালমান/

ভাইয়ের প্রচারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ট্রাকের বহর নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৯:০৪ এএম
ভাইয়ের প্রচারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ট্রাকের বহর নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ
ছবি : সংগৃহীত

ট্রাকের বহর নিয়ে মিছিল করে ভাইয়ের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকনের বিরুদ্ধে। 

রবিবার (১৯ মে) বিকেলে আব্দুর রহিম পাকন তার আপন ছোট ভাই ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মেছবাহুর রহমান রোজকে সঙ্গে নিয়ে ট্রাকের বহরসহ উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

মেছবাহুর রহমান রোজ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া মার্কা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে মেছবাহুর রহমানের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে ধারণ করা ভিডিওসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনাইন রাসেল।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে মেছবাহুর রহমান রোজকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম পাকন বলেন, ‘আচরণবিধিতে নিষেধ থাকলেও মিছিল তো করতেই হয়। হেঁটে তো আর মিছিল করা যায় না। তাই ট্রাক নিয়ে মিছিল করেছি। আর মন্ত্রী-এমপি ছাড়া অন্য সবাই নির্বাচনি প্রচার চালাতে পারবেন। তাই আমিও চালাচ্ছি।’

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নাজমুন্নাহার বলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ট্রাকের বহরের মিছিলের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এটা সুস্পষ্ট আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য বিদায়ী মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল (মোটরসাইকেল), জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাকিবিল্লাহ (আনারস) ও জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি মেছবাহুর রহমান রোজ (ঘোড়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার শুরু করেন প্রার্থীরা। তবে বাকিবিল্লাহ অন্য প্রার্থীর প্রভাবে কর্মী সংকটের অভিযোগ তুলে প্রচার বন্ধ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এতে বাকিবিল্লাহর কর্মী-সমর্থকরা মেছবাহুর রহমান রোজকে সমর্থন দেন। এরপর থেকেই বাকিবিল্লাহ ও মেছবাহুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা একাট্টা হয়ে গোলাম হাসনাইন রাসেলের বিপক্ষে ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেন।

এ অবস্থায় মেছবাহুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা প্রতিদিনই নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রার্থী ও প্রতীকের ছবি সম্মিলিত টি-শার্ট পরে প্রচার চালাচ্ছেন। গতকাল রবিবার দুপুরেও কয়েক শ কর্মী-সমর্থক ১০-১৫টি ট্রাকে চড়ে শোডাউন ও মিছিল করেন। এতে নেতৃত্ব দেন মেছবাহুর রহমানের বড় ভাই ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম পাকন।

দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও রিজার্ভ সংকট অশনিসংকেত: ১২ দলীয় জোট

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:০৭ এএম
দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও রিজার্ভ সংকট অশনিসংকেত: ১২ দলীয় জোট
ছবি : সংগৃহীত

দেশের চলমান অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও রিজার্ভসংকট জাতির জন্য অশনিসংকেত বলে মন্তব্য করেছেন ১২-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলছেন, দেশের আর্থিক খাতে তাণ্ডব চালাচ্ছে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার। বাংলাদেশের রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। বিদেশি সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের নিশ্চুপ ভূমিকা জনগণের কাছে রহস্যজনক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদকর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা একই সূত্রে গাঁথা। 

রবিবার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁও জোটপ্রধান মোস্তফা জামাল হায়দারের কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের চলমান সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা করণীয় নির্ধারণে ১২-দলীয় জোটের গুরুত্বপূর্ণ সভায় তারা এসব কথা বলেন। 

সভায় নেতারা বলেন, অনির্বাচিত ও তাঁবেদার সরকার দেশকে লুটতরাজের আখড়া বানিয়েছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে নাভিশ্বাস সৃষ্টি করেছে। জনগণকে অবিলম্বে এই অবৈধ সরকারের অপশাসন ও লুটতরাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। 

তারা আরও বলেন, আগামীতে বিএনপির সঙ্গে যেকোনো কর্মসূচি তারা ঐক্যবদ্ধভাবে পালন করবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ত্বরান্বিত করা হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন জোটের নেতারা। 

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আলী আব্বাস খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপা সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ প্রমুখ। 

শফিক/এমএ/

বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো সরকারের প্রধান কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম
বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো সরকারের প্রধান কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো ‘ফ্যাসিস্ট’ আওয়ামী সরকারের প্রধান কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) পল্টন থানার একটি মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশব্যাপী প্রতিদিনই বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নানা নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু করেছে। আর এ ধরনের অপকর্মের উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের বিরোধী দলগুলো যেন সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করতে না পারে। ইশরাক হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো সরকারের ওই কর্মসূচির অংশ।

এ ধরনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারসহ তার নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
 

 

 

আওয়ামী লীগ পরগাছায় পরিণত হয়েছে: জিএম কাদের

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
আওয়ামী লীগ পরগাছায় পরিণত হয়েছে: জিএম কাদের
রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ছবি : খবরের কাগজ

বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ পরগাছায় পরিণত হয়েছে, সে কারণে তারা কাউকে পাত্তা দেয় না, কাউকে হিসেবেও রাখছে না। ফলে দেশ ও জনগণ মহাসংকটে বিরাজ করছে।

রবিবার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।

এসময় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জেলা আহ্বায়ক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্য সচিব হাজি আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফী, নির্বাহী সদস্য লোকমান হোসেন, হাসানুজ্জামান নাজিমসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে তিনদিনের রংপুর সফরে এসে সার্কিট হাউজে উঠেন। সেখান থেকে তিনি তার পৈত্রিকি নিবাস নগরীর সেনপাড়ায় স্কাইভবনে যান।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপাকালে জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক এজেন্ডা এবং তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে বৈচিত্র হারিয়েছে। তাদের কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা হিসেবে দেখতে পাই না। দল হিসেবে এখন তারা কিছু পেশাজীবী, সরকারি চাকরিজীবীর সংঘবদ্ধ বলয় তৈরি হয়েছে।

জিএম কাদের বলেন, আগে আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট ছিল তারা জনগণকে ধারণ করতো। এখন তারা জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে। আগে তারা একটা বড় গাছের মতো ছিল। যেখানে সবাই বিশ্রাম নিতে পারতো। এখন সেটা হয়ে গেছে পরগাছা।

জিএম কাদের বলেন, এখন অন্ধ আনুগত্যের কিছু সংঘবদ্ধ গোষ্ঠিতে পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগ। সে কারণে হাস্যকর বিভিন্ন কাহিনী করে যাচ্ছে। সে কারণে তারা পাত্তাও দিচ্ছে না কাউকে। এই দুনিয়াতে তাদের বাইরে আর কোন মানুষ আছে সেটা তারা হিসেব করে না। অত্যন্ত কঠিনভাবে তারা নিয়মবহির্ভূত কাজ করছে। আমার ধারণা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন একটা কাল্টে রূপান্তরিত হয়েছে। এবং তারা সেই বিহেভিয়ার করছেন। তারা দেশ এবং দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আইন করলেও রাইট টু ইনফরমেশন বলতে এখন কোন কিছু নেই। কোন খবরাখবর দেওয়া হচ্ছে না। সব গোপন রাখা হচ্ছে। যে তথ্যই চাওয়া হয়, সেটাই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। সংবিধানের ১৪৫(ক) ধারায় বলা হয়েছে, আমরা বিদেশের সঙ্গে যে চুক্তিই করি না কেন। সেটা প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত যত বিদেশি হাজার হাজার চুক্তি হয়েছে। কোন চুক্তিই আমাদের সংসদে প্লেস করা হচ্ছে না।

আগামী দুই দিন তিনি তার নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সমাবেশ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

সাইফুর রহমান রানা/এমএ/

বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে কারাগারে ইশরাক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম
বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে কারাগারে ইশরাক
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানায় করা মামলায় রবিবার (১৯ মে) এই নির্দেশ দেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন এই নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত থেকে বের হওয়ার পর খবরের কাগজকে তিনি বলেন, ‘এ মামলায় ইশরাক হোসেন হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। রবিবার আদালতে হাজির হয়ে তিনি স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদও জানিয়েছেন, এ মামলাসহ মোট ১২ মামলায় স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন ইশরাক। এর মধ্যে ১১ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে করা মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচনের আগে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশের পরদিন ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে পল্টন থানায় এ মামলা করেন। মামলায় বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীসহ চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়।

এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারা দেশ থেকে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীরা ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা ও গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেন তারা। এতে পুলিশের এক সদস্য নিহত ও ৪১ সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিএনপির ওই কর্মকাণ্ডের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামি জাহিদুল ইসলাম আরেফী (মিয়া আরেফী), চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতা-কর্মী কিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। এ সময় ১ নম্বর আসামি মিয়া আরেফী নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন বলে বক্তব্য দেন তিনি।

সেখানে মিয়া আরেফী দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দিনে ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয় এবং মার্কিন সরকারের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। এই আসামি আরও দাবি করেন, তিনি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, মিয়া আরেফীকে হাসান সারওয়ার্দী ও ইশরাক হোসেন মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে উসকানি দেন। ১ নম্বর আসামি অন্য আসামিদের সহায়তায় সরকারের প্রতি বিদ্বেষ তৈরি করে সারা দেশে নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।