![টাকা না নেওয়ায় পোলিং অফিসারকে পেটালেন প্রার্থীর সমর্থকরা](uploads/2024/05/21/shariatpur-vote-1716261705.jpg)
চেয়ারম্যান প্রার্থীর টাকা নিতে রাজি না হওয়ায় এক পোলিং অফিসারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজি মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির সমর্থকদের বিরুদ্ধে উঠেছে এ অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে জাজিরার শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত রবিবার মধ্যরাতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিকে নগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ (মঙ্গলবার) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে জাজিরা উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ২৫নং বিকে নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর আবু সাইদ পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। রবিবার রাতে মীর আবু সাইদ বাড়ির পাশে বিকে নগর বাজারে যান। রাত ১১টার দিকে অজ্ঞাত এক তরুণ মীর আবু সাইদকে বাজারের এক পাশে ডেকে বিকে নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সরদার, আব্দুল আলী সরদার ও মজিবুর বানিয়ার কাছে নিয়ে যান। এ সময় সাইদুর রহমান সরদারসহ অন্যরা মীর ইমরান আলীকে নির্বাচনের দিন মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজি মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির পক্ষে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন। বিনিময়ে তাকে মোটা অঙ্কের টাকাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু মীর আবু সাইদ এমন প্রস্তাবে রাজি হননি। এরপর সাইদুর রহমান সরদার, আব্দুল আলী সরদারসহ অন্যরা মীর আবু সাইদকে মারধর করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এখন তিনি বাড়িতে অবস্থান করছেন।
পোলিং অফিসার ও শিক্ষক মীর আবু সাইদ বলেন, তারা আমাকে টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে কাজ করার জন্য প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি হইনি। তাই তারা আমাকে মারধর করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তিত। আমি আমার সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট অভিযোগ দেব।
অভিযুক্ত মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক ও বিকে নগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সরদার বলেন, ‘মীর আবু সাইদ এমন কোনো বংশের ছেলে নয় যে, তাকে ম্যানেজ করতে পারলে ১০০ ভোট পাওয়া যাবে। হতে পারে সে সরকারি চাকরিজীবী ও পোলিং অফিসার। তার সঙ্গে আমাদের কারও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
বিষয়টি নিয়ে জানার জন্য মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজি মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। যদি লিখিত অভিযোগ পাই, তাহলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’