![বন কমছে, সমস্যা বাড়ছে](uploads/2024/04/04/1712205645.postoffice.gif)
চাষের জমি কমছে, সেই সঙ্গে কমছে বনজঙ্গল। ফলে মানুষের খাদ্যের অভাব দেখা দিচ্ছে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে। বনজঙ্গলের জন্য খানিকটা জায়গা ছেড়ে রাখা দরকার প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্যই। কারণ সেটি ব্যতীত মানবসভ্যতা থাকবে না- এমন তথ্য দেড় শ বছরের বেশি আগে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ হিসেবে পশ্চিম ইউরোপের শাসকদের হাতে পৌঁছায়। তারপরও তারা কোনো সদুপদেশে কর্ণপাত না করে একটানা বনভূমি লোপাটের কারবার চালিয়েছে, চালাচ্ছে। সেই ঔপনিবেশিক মডেল এই উন্নয়ন নগরায়নের শরিক উন্নয়নশীল দেশগুলোও, যাদের কাছে আধুনিকতা ঔপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গির ফসল। ফলে উষ্ণায়নের মতো সমস্যা তৈরির পাশাপাশি মরুভল্লুকের মতো বড় প্রাণী থেকে অতি ক্ষুদ্র পোকামাকড়ও মানুষের ঘরে ঢুকতে শুরু করেছে বহুদিন আগে থেকেই।
আজকাল প্রায়ই খবর হয়ে আসে, খাদ্যের খোঁজে বন্যপ্রাণী জনপদে ঢুকে পড়ায় মানুষ পদপিষ্ট হয়েছে বা আক্রান্তের শিকার হয়েছে। বনভূমি ধ্বংস করলে হাতিসহ অন্যান্য জন্তুর জনপদ ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না। অথচ এ দেশে জমির ভাগ সহজেই সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়া যেত জঙ্গল কেটে সাফ করার বদলে। মানুষের খাদ্যের অভাব খুব একটা না থাকলেও প্রকট হচ্ছে বন্যপ্রাণীর বিচরণের ক্ষেত্র। এই বাস্তবিক অবস্থাটি মানুষ বুঝেও ব্যবস্থা না পাল্টালে মৃত্যু ঠেকানো যাবে না।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]