ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

কারেন্ট জালে পাখি নিধন বন্ধ হোক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১০:১২ এএম
কারেন্ট জালে পাখি নিধন বন্ধ হোক

ফসল রক্ষার জন্য কারেন্ট, নাইলনের ছোট ফাঁসের জাল পাতা হচ্ছে। আর তাতে আটকে মারা যাচ্ছে অসংখ্য পাখি। অথচ কারেন্ট জাল ব্যবহার আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। এই জালে কেবল ছোট মাছ নয়, পাখিও মারা পড়ছে। কারেন্ট জালের বিকল্প আছে। যা দিয়ে ফল, ফসল রক্ষা করা সম্ভব। সেটা হলো চটজাল। একবার চটজাল কিনে তা অনেক দিন নানাভাবে ব্যবহার করা যায়। নাইলনের জালে যেটা সম্ভব না। 

পাখির স্বভাব হচ্ছে মুক্ত আকাশে ওড়াউড়ি। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মা-পাখি খাবারের সন্ধানে যায়। তখনই জালে আটকে শুধু মা-পাখির জীবনই যায় না, বাচ্চাদের জীবনও বিপন্ন হয়ে পড়ে। হত্যা না করেই আমরা পাখি তাড়াতে পারি। যদি মনে করি, পাখি সত্যিই সব ফসল খেয়ে নিচ্ছে। কারণ একটি ৩০ গ্রাম ওজনের পাখি দিনে সর্বোচ্চ ১০ গ্রাম খাবার খায়। এরা পোকামাকড় ধরে খেতে গিয়ে বাগানে পাতা জালে আটকা পড়ছে। 

মানুষের মতো পাখি তো আর এত সতর্ক না। চিকন ফাঁসের জাল কোথাও পাতা হলে রাতবিরাতে পাখি তা এড়িয়ে চলতে পারে না। ঘণ্টা বেঁধে তার সঙ্গে সুতার লাইন বাসার ভেতরে নিয়ে সেটা ধরে টান দিলে ঘণ্টা বাজবে। পাখি ভয়ে পালাবে। একইভাবে আমরা টিন বেঁধে শব্দ করেও পাখি তাড়াতে পারি। জমির মধ্যে পলিথিন ঝুলিয়ে দিলে তা বাতাসে শব্দ করে। এই শব্দ শুনে পাখি চলে যায়। আবার ফসলের খেতে সিডি ঝুলিয়ে দিলেও পাখি দূর হয়। পাখি তো প্রকৃতির অলংকার। এরা ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে। 

কেন আমরা জেনেশুনে তাদের হত্যা করব। এ তো অন্যায়। তাই জাল যদি পাততেই হয়, চটজাল দিয়ে গাছ ঘিরে দিন। এতে এক দিকে ফসল রক্ষা হবে, অন্যদিকে পাখিরও ক্ষতি হবে না।

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বাড়ি-৭৬/বি, রোড-১১, বনানী, ঢাকা
[email protected] 

রাস্তার ধারের গাছগুলোর দেখভাল জরুরি

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১১:০৭ এএম
রাস্তার ধারের গাছগুলোর দেখভাল জরুরি

গাছ লাগালেই হবে না। তা পরিচর্যা, দেখভালের মাধ্যমে বড় করে তুলতে হবে। গাছ যদি বড়ই হতে না পারে, তাহলে সময়, অর্থ সবই তো লস। সরকার ঢাকা শহরের সড়কের দুই পাশে প্রচুর গাছ লাগিয়েছে। জানা যায়, এক-একটি গাছের পেছনে ১ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়েছে। অথচ দেখাশোনার অভাবে গাছগুলো মরে যাচ্ছে। ছিন্নমূল মানুষ নষ্ট করে ফেলছে। সরকারি সংস্থা দিয়ে হাজার হাজার গাছ দেখাশোনা সম্ভব নয়। 

সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, আমাদের যার যার বাসার পাশে যে কয়টি গাছ আছে, সেগুলো দেখাশোনা করলেই হয়। গাছের ডালপালা কেউ ছিঁড়ল কি না, খাঁচাটা ঠিকমতো আছে কি না- এসবই হলো দেখভাল করা। মুখে গাছ গাছ বলে খই ফোটালেও এতটুকু কাজ কি আমরা করতে পারি না? যারা পথের ধারে মাটির চুলায় রান্না করে, মূলত তারা খাঁচা ভেঙে নিয়ে যায়। এটা ঠেকাতে হবে। গাছ লাগানো যেমন দরকার, তেমনি লাগানো গাছ রক্ষা করাও দরকার। তবেই সবুজে ভরে উঠবে আমাদের প্রিয় এই ঢাকা।

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
মিরপুর-১২, ঢাকা
[email protected] 

গাছ হোক আমাদের বড় বন্ধু

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ১০:৪৯ এএম
গাছ হোক আমাদের বড় বন্ধু

ঢাকাসহ বড় বড় নগরীর অলিতে-গলিতে, আনাচে-কানাচে এখন ফ্ল্যাটের রমরমা। বছরখানেক পর কোনো চেনা জায়গায় গেলে বিশাল পরিবর্তনের হাতছানি। সুউচ্চ বহুতলের ছড়াছড়ি! যত লাখো কোটি টাকার হোক না কেন, বিক্রি হতে সময় লাগছে না। জমি কিনে ঘরবাড়ি তৈরির ঝামেলায় অনেকেই জড়াতে চাইছে না, তাই একবারে রেডিমেড ফ্ল্যাট। এই ফ্ল্যাট সংস্কৃতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে টবসহ গাছের ব্যবহার। অধিকাংশই ফ্ল্যাট কেনার পর নানা ধরনের ডিজাইনের টবে সুদৃশ্য গাছ দিয়ে ব্যালকনি, জানালায় কিংবা ঘরের ভেতর সাজিয়ে তুলছে। 

নিজের বাড়ির প্রবেশপথের দুই ধারে বাগান কিংবা ছাদবাগান! সত্যি কথা বলতে কী, এমন প্রবণতা গ্রামবাংলার মানুষের রুটি-রোজগারের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বহু জায়গায় টবগাছের দোকান, সারসহ কীটনাশক ওষুধের দোকান বেশ রমরমিয়ে চলছে। মালীর চাহিদা বাড়ছে। তবে বহুতলের কার্নিশে টব সাজিয়ে রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যাতে পথচলতি মানুষের কোনো ক্ষতি না হয়। শুধু তা-ই নয়, অনেক রক্তদান-উৎসবে রক্তদাতাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে চারাগাছ। এমনকি বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানেও উপহার হিসেবে চারাগাছ দেওয়ার প্রবণতা শুরু হয়েছে। এই চারাগাছ উপহার বা স্মারক হিসেবে হাতে তুলে দেওয়ার সুস্থ চিন্তাধারা আরও বাড়ুক। সবচেয়ে বড় কথা, বর্তমান সময়ের এই তপ্ত, অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে রেহাই পেতে হলে গাছের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা খুবই জরুরি। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected] 

মানবদেহে টিস্যু ও কোষ কর্মক্ষম রাখে দুধ

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ১০:৪৮ এএম
মানবদেহে টিস্যু ও কোষ কর্মক্ষম রাখে দুধ

জাতীয় অর্থনীতিতে দুগ্ধশিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। দুধ আমাদের সবার পরিচিত। দুধের উপকারিতা যেমন আছে, তেমনি অপকারিতাও আছে। আমরা অনেকেই দুধ খেতে পছন্দ করি; আবার অনেকের কাছে এটি অপছন্দ একটি খাবার। দুধের মধ্যে আছে অনেক পুষ্টিগুণ, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। 

দুধ পুষ্টিগুণে ভরপুর। শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক ও বৃদ্ধ– সবারই প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করা উচিত। দুধ ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের উৎস। দুধে আছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি, ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্সসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। দুধকে বলা হয় সুপার ফুড। এতে আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ, যা শরীরের জন্য জরুরি। এতে প্রচুর ভিটামিন বি-১২ আছে, যা মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজন। দুধ শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া দেহের টিস্যু ও কোষ মেরামতের জন্য দারুণ উপকারী।

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
[email protected] 

আবর্জনামুক্ত করা হোক

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ১১:২২ এএম
আবর্জনামুক্ত করা হোক

ঢাকার রূপনগর আবাসিক এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম, রাস্তার অনেকটা অংশজুড়ে নোংরা, ময়লা, আবর্জনায় ভর্তি। মানুষ রাস্তার ওপরের এই জায়গাটায় আবর্জনা ফেলার কেন্দ্রস্থলে পরিণত করেছে। এর ফলে যেমন দৃশ্যদূষণ ঘটছে, তেমনি দুর্গন্ধে আশপাশের এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। 

বর্ষার সময় দুর্গন্ধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পাশ দিয়ে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। এখনই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে রূপনগরের প্রধান এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মুশকিল হবে। তাই রূপনগরের সড়কের ওপর জমা আবর্জনামুক্ত করা হোক। পাশাপাশি রাস্তার ওপর আবর্জনা না ফেলার সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি লাগানো দরকার। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected] 

মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ১১:২০ এএম
মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন

সমাজে মাদকের আগ্রাসন দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশ ও সমাজে যেভাবে প্রকাশ্যে মাদকের ক্রয়-বিক্রয় চলছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। মাদকসেবী আর মাদক কারবারিদের অনৈতিক বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে হেন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করছে না। দেশে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি থাকার পরও কীভাবে দেশে মাদকের বিস্তার ঘটে? গাঁজা, মদ, হেরোইন, আফিম, চরস, মরফিন, কোকেন, প্যাথেডিন, মারিজুয়ানা, এলএসডি, ইলেক্সার, ফেনসিডিল ইত্যাদিকে ছাড়িয়ে এখন এই জগতে ছড়ি ঘোরাচ্ছে ইয়াবা। 

নতুন আরেকটি মাদকের নাম আইস। ইয়াবার তুলনায় অন্তত চার-পাঁচ গুণ বেশি মেথঅ্যামফিটামিন থাকায় এটি অনেক বেশি বিষাক্ত। এসব মাদকের ভয়াল থাবায় পারিবারিক অশান্তি, সামাজিক অস্থিরতা ইত্যাদি লেগেই রয়েছে। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয়, মানুষের নৈতিক উন্নয়নের প্রতিও নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আগামীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন।

মেহেদী হাসানুল হক
মোহাম্মদপুর, ঢাকা
[email protected]