ফসল রক্ষার জন্য কারেন্ট, নাইলনের ছোট ফাঁসের জাল পাতা হচ্ছে। আর তাতে আটকে মারা যাচ্ছে অসংখ্য পাখি। অথচ কারেন্ট জাল ব্যবহার আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। এই জালে কেবল ছোট মাছ নয়, পাখিও মারা পড়ছে। কারেন্ট জালের বিকল্প আছে। যা দিয়ে ফল, ফসল রক্ষা করা সম্ভব। সেটা হলো চটজাল। একবার চটজাল কিনে তা অনেক দিন নানাভাবে ব্যবহার করা যায়। নাইলনের জালে যেটা সম্ভব না।
পাখির স্বভাব হচ্ছে মুক্ত আকাশে ওড়াউড়ি। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মা-পাখি খাবারের সন্ধানে যায়। তখনই জালে আটকে শুধু মা-পাখির জীবনই যায় না, বাচ্চাদের জীবনও বিপন্ন হয়ে পড়ে। হত্যা না করেই আমরা পাখি তাড়াতে পারি। যদি মনে করি, পাখি সত্যিই সব ফসল খেয়ে নিচ্ছে। কারণ একটি ৩০ গ্রাম ওজনের পাখি দিনে সর্বোচ্চ ১০ গ্রাম খাবার খায়। এরা পোকামাকড় ধরে খেতে গিয়ে বাগানে পাতা জালে আটকা পড়ছে।
মানুষের মতো পাখি তো আর এত সতর্ক না। চিকন ফাঁসের জাল কোথাও পাতা হলে রাতবিরাতে পাখি তা এড়িয়ে চলতে পারে না। ঘণ্টা বেঁধে তার সঙ্গে সুতার লাইন বাসার ভেতরে নিয়ে সেটা ধরে টান দিলে ঘণ্টা বাজবে। পাখি ভয়ে পালাবে। একইভাবে আমরা টিন বেঁধে শব্দ করেও পাখি তাড়াতে পারি। জমির মধ্যে পলিথিন ঝুলিয়ে দিলে তা বাতাসে শব্দ করে। এই শব্দ শুনে পাখি চলে যায়। আবার ফসলের খেতে সিডি ঝুলিয়ে দিলেও পাখি দূর হয়। পাখি তো প্রকৃতির অলংকার। এরা ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে।
কেন আমরা জেনেশুনে তাদের হত্যা করব। এ তো অন্যায়। তাই জাল যদি পাততেই হয়, চটজাল দিয়ে গাছ ঘিরে দিন। এতে এক দিকে ফসল রক্ষা হবে, অন্যদিকে পাখিরও ক্ষতি হবে না।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বাড়ি-৭৬/বি, রোড-১১, বনানী, ঢাকা
[email protected]