ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

প্রবীণদের স্বাস্থ্যবিমায় জোর দিন

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ১০:৪৩ এএম
আপডেট: ২৫ মে ২০২৪, ১০:৪৩ এএম
প্রবীণদের স্বাস্থ্যবিমায় জোর দিন

এ দেশে জনসংখ্যার মধ্যে প্রবীণদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু তাদের অনেককেই সুরক্ষিত জীবনযাপনের ভরসা দেওয়া হচ্ছে না। বিশেষত স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে। অন্যদের তুলনায় তাদের চিকিৎসার খরচও অনেকটা বেশি। অনেকেরই সামর্থ্য থাকে না। তাই প্রবীণ নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা কেনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বয়স্কদের স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম পিছিয়ে পড়া দেশ হলো বাংলাদেশ। যেখানে বড় অংশের মানুষের পেনশনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার মতো নিশ্চিত আয় নেই। ফলে চিকিৎসার খরচ বহন করা কঠিন। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া এবং থাইল্যান্ডে সবাই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আছে। কিন্তু বাংলাদেশসহ এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো তার ধারেকাছে নেই। বাংলাদেশে সামান্য কিছু লোক মাসিক পেনশন ভাতা পান, যা কিনা মাসের সাত দিন যেতে না যেতেই ফুরিয়ে যায়। 

দক্ষিণ কোরিয়া বা থাইল্যান্ড ছোট দেশ হলেও জনসংখ্যা কম। বাংলাদেশ ছোট দেশ হলেও বিপুল জনসংখ্যার দেশ বলে তা হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু এখন যে অবস্থায় আছে, সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এর থেকে অনেক ভালো জায়গায় যাওয়া তো সম্ভব। এদিকে জাপানে নিয়মিত বয়স্কদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। এখানে অন্তত সেটা করা সম্ভব। সরকারকেই দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু সরকারের কি সেই সদিচ্ছা আছে? 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected] 

টাকা যখন অসুখের কারণ

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:১৪ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:১৪ এএম
টাকা যখন অসুখের কারণ

যতগুলো মাধ্যমে মানুষের সংক্রামক রোগ হয়, জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, টাকা তার মধ্যে অন্যতম। ময়লা টাকায় প্রচুর প্রাণঘাতী জীবাণু থাকে। টাকা স্পর্শ করে আবার খাবার ধরা হয়। ফুটপাত, হোটেল-রেস্তোরাঁয় এমনটা দেখা যায়। হাতের জীবাণু খাবারে যায়। খাবার হয় দূষিত। এই খাবার খেয়ে মারাত্মক সংক্রামক রোগ হতে পারে। কাগজের টাকায় গ্রাম পজিটিভ ও  গ্রাম নেগেটিভ জীবাণু থাকে।

টাকায় আরও থাকে ই-কোলাই, টিউবারকোলোসিস, ডিবরিওকলেরি, মাইক্রোকক্কাস, ক্লেবসিলা, সালমোনেলা, সিওডোমোলাস, বেসিলাস ইত্যাদি। এসব ক্ষতিকর জীবাণুর কারণে খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডায়রিয়া, আমাশয়, চর্মের সংক্রামণ, শ্বাস-প্রশ্বাস ও পরিপাকতন্ত্রের সমস্যাসহ মরণব্যাধি মেনিনজাইটিস, সেন্টেসেমিয়া সৃষ্টি হতে পারে। তাই টাকা স্পর্শের পর হাত জীবাণুমুক্ত করে খাবার খেতে হবে। খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্তু ময়লা টাকায় বিদ্যমান আছে মারাত্মক প্রাণহারী জীবাণু। তাই এ বিষয়ে সবার সচেতনতা কাম্য।  

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বানারীপাড়া, বরিশাল-৮৫৩০
[email protected]

বর্ষার জলে আড়িয়ল বিলের প্রাণবৈচিত্র্য

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:১২ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:১২ এএম
বর্ষার জলে আড়িয়ল বিলের প্রাণবৈচিত্র্য

বর্ষার বৃষ্টিধারায় আড়িয়ল বিলের জলাধার এখন কানায় কানায় ভরে উঠেছে। আড়িয়ল বিলের বুকে চলছে খেটে খাওয়া নিরন্ন মানুষের শাপলা তোলার হিড়িক। বর্ষায় আড়িয়ল বিলের জল বাড়ে। সেই জলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে শাপলা। বিলপাড়ের মানুষ এখন শাপলা তুলে তা শহরে পাঠিয়ে প্রচুর রোজগার করছে। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আড়িয়ল বিল এখন প্রাণবৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ। 

বর্ষার টলটলা পানিতে পুঁটি, শিং, কই, রুই, কাতলা মাছের খেলা চলছে। বিলে ভেসাল জাল দিয়ে মৎস্য শিকারিরা মাছ ধরায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ ধরছেন নিষিদ্ধ দোয়ারি জাল দিয়ে। কেউ আবার কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরছেন। এ বিলের হলুদ কই মাছের স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো। আরও আছে বড় বড় সাইজের রুই, কাতলা, বোয়াল- যা অনন্য স্বাদে ভরপুর। পদ্মা, ধলেশ্বরীর মিঠাপানির কারণে এ বিলের মাছের এত স্বাদ। 

বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিলের সব মাছ খাড়িতে নেমে আসবে। তখন বিলজুড়ে চলবে মাছ শিকারের মহোৎব। বর্ষা শেষে শুকনো মৌসুমে আড়িয়ল বিলে শস্যের পসরা রোপিত হবে। প্রাকৃতিক জলাধারে বর্ষায় পলি পড়ে উর্বরতা নিয়ে আসবে। সেখানেই ফলবে ধান, সরিষা, মিষ্টিকুমড়া। এমন প্রাণ-প্রকৃতির জলাধার রক্ষায় নেই কোনো সুষ্ঠু পরিকল্পনা। বিলের মধ্য দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে সড়ক তৈরির কারণে পানি ও মাছ প্রবেশের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। আর তাতেই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে এ বিলের জলাধার।  

অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপাড়া, পো. রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

মোবাইল নেটওয়ার্ক দেওয়াটা জরুরি

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪২ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪২ এএম
মোবাইল নেটওয়ার্ক দেওয়াটা জরুরি

কোটা সংস্কারের রায় হয়েছে। দেশে কারফিউ শিথিল হয়েছে। পেটের দায়ে মানুষ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। কিন্তু মোবাইল নেটওয়ার্ক কেন দেওয়া হচ্ছে না। মানুষের স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। মানুষ সেই আদিম যুগে নেই। নেট ছাড়া মানুষ এখন আর চলতে পারে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মতো মোবাইল নেটও এখন বিশেষ দরকার। 

দেশে অনেক ফ্রিল্যান্সার আছেন, যারা বিদেশ থেকে কাজের অর্ডার নিয়ে থাকেন। একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের অর্ডারের কাজ জমা দিতে হয়। আবার বায়ারদের কাছ থেকে কাজ নিতে হয়। দেশে গত এক সপ্তাহ নেট না থাকায় বিপাকে পড়েছেন ফ্রিল্যান্সাররা। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় তারা কোনো কাজের অর্ডার নিতে পারছেন না। তাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

তা ছাড়া যারা উবারের মাধ্যমে গাড়ি চালান বা বিভিন্ন আপসের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন, তাদের আয় একদম বন্ধ। যারা অনলাইন ব্যবসা করেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় দেশের বহু মানুষের আয়ের পথ বন্ধ রয়েছে। সরকার ইচ্ছা করলে মোবাইল নেটওয়ার্ক ছেড়ে দিতে পারে। মানুষ আর ভোগান্তি চায় না। তাই সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, মোবাইল নেটওয়ার্ক অতি দ্রুত চালু করুন। 

অনুপম সারজিল
ধানমন্ডি, ঢাকা

অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্মারকপত্রটি বাতিল করা হোক

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪১ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪১ এএম
অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্মারকপত্রটি বাতিল করা হোক

অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্মারক নম্বর-০৭.০০.০০০০.১৬৫.০৭.০০২.১২-৬০, তারিখ: ০৯ আগস্ট, ২০২১-এ বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, একই পদে কোন কর্মচারীর উন্নীতকরণ প্রক্রিয়ায় কোন উচ্চতর বেতন গ্রেড পেয়ে থাকলে উন্নীতকরণের তারিখ হতে ১০ বছর পূর্তিতে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর ৭(১) অনুচ্ছেদ মোতাবেক পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য।’ 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বর্ণিত এই বিধিটি বিএসআর কিংবা উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতার কোন বিধি থেকে উদ্ভব হয়েছে, স্মারকপত্রে স্পষ্টভাবে তার উল্লেখ নেই। এই স্মারকপত্রটির কারণে সরকারি চাকরিজীবীদের ১০ ও ১৬ বছরে প্রাপ্য উচ্চতর গ্রেড নিয়ে নানা বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে। 

সহকারী সচিব মো. সামীম আহসান স্বাক্ষরিত ২১-০৯-২০২৬ তারিখের স্মারক নং-০৭.০০.০০০০.১৬১.০০.০০২.১৬ (অংশ-১)-২৩২ জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ স্পষ্টীকরণ পরিপত্রেও যা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে তার প্রাসঙ্গিক বক্তব্য হলো: ‘(গ) উচ্চতর গ্রেডের প্রাপ্যতা: (৩) একই পদে কর্মরত কোন কর্মচারী কোন প্রকার উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অভিহিত হউক) না পাইয়া থাকিলে সন্তোষজনক চাকরির শর্তে তিনি ১০ (দশ) বৎসর চাকরিপূর্তিতে ১১তম বৎসরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড এবং পরবর্তী ৬ বছরে পদোন্নতি না পাইলে ৭ম বছর পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হইবে না।’ 

এখানে উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড) ব্রাকেটবন্দি করা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো কর্মচারী টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড না পেয়ে থাকলে সন্তোষজনক চাকরির শর্তে ১০ বছর চাকরিপূর্তিতে ১১তম বছরে তিনি পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড পাবেন। স্মারকপত্রটি ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে বিধায় বাতিল করা হোক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
[email protected]

শান্তি ফিরে আসুক দেশে

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৬ এএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৬ এএম
শান্তি ফিরে আসুক দেশে

গত এক সপ্তাহ দেশজুড়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। দেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ অবস্থা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সফলতা এসেছে। দেশের চাকরিতে এখন ৯৩ শতাংশ মেধা কোটায় চাকরি হবে। কোটা সংস্কারের রায়ের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। 

দেশ এখন কিছুটা শান্ত। এখন ব্যাংকসহ সব সরকারি অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হয়েছে। মানুষ রাস্তায় বের হতে শুরু করেছে। ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে। দেশে আর কোনো সহিংসতা না হলে সব সামাজিক মাধ্যম খুলে দেওয়া হবে। দেশ কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে একটু বেঁচে থাকতে চায়। দেশে কারফিউ জারি থাকায় সাধারণ মানুষ না খেয়ে মরার উপক্রম। 

মানুষ সহিংসতা চায় না। শান্তি চায়। সবাই রাজনীতি বুঝতে চায় না। দুবেলা মুখে দুমুঠো ভাত চায়। দেশ স্বাভাবিক হলে সব শ্রেণির মানুষ একটু খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারবে। গত কয়েক দিনের পরিস্থিতি মানুষকে করেছে মর্মাহত। তার পরও মানুষ শান্তি চায়। সব শোক ভুলে গিয়ে নতুনভাবে কর্মস্থলে ফিরে যেতে যায়। সরকারের উচিত জনগণের স্বার্থে শান্তির দুয়ার খুলে দেওয়া। 

মেহেদী হাসান 
আমলাপাড়া, কুষ্টিয়া