![দেড় হাজার একর সংরক্ষিত বন উজাড় করে কাসাভা চাষ](uploads/2024/05/17/Casava-1715927726.jpg)
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর ইউনিয়নের উত্তর কাঞ্চননগরের হাতিভাঙ্গা ছাইল্যের ছোর এলাকায় সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জাতের গাছ লাগিয়েছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য বাবুল। প্রায় এক যুগ আগে লাগানো এসব গাছ বেশ বড় হয়ে উঠেছিল। বছর দুয়েক আগে প্রকাশ্য দিবালোকে গাছগুলো কেটে লাগানো হয়েছে কাসাভা। বাবুল মেম্বার আক্ষেপ করে বললেন, তার ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যানের সহায়তায় বন বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করে সামাজিক বনায়নের আওতায় তিনিসহ ১৬ জন ২৫ একর টিলায় বাগান করেন। নিয়মিত পরিচর্যা করে ও সার দিয়ে গাছ বড় হওয়ার পর প্রকাশ্য দিবালোকে গাছগুলো কেটে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি স্থানীয় বিট কর্মকর্তাকে জানানোর পরও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি। শুধু সামাজিক বনায়ন নয়, এই এলাকার প্রায় দেড় হাজার একর সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে কাসাভার চাষ করছেন স্থানীয় ও পাশের উপজেলা মানিকছড়ির কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের কাছ থেকে পাইকারি দামে কাসাভা কিনে নিয়ে যায় প্রাণ গ্রুপ।
বন বিভাগ বন উজাড়ের দায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করলেও সরেজমিন পরিদর্শন এবং খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, পাহাড়ি, বাঙালি এবং বন বিভাগের লোকজন মিলেমিশে বন উজাড় করেছেন।
উত্তর কাঞ্চননগরের মান রাজার রাস্তা পার হলেই সামনে পড়ে ধুরুং খাল। একসময়ের খরস্রোতা এই খাল ভরাট হয়ে এখন এর মধ্য দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল করে। খাল পরিণত হয়েছে গবাদিপশুর চারণভূমিতে। খাল পার হলেই চোখে পড়ে সংলগ্ন ফরেস্ট অফিস। ২০০৭ সালের দিকে অফিসটি গুটিয়ে নেওয়া হয়। এই অফিসের পর থেকে উত্তরকূল, ভিলেজার পাড়া, ভুতাইছড়ি, ধুইল্ল্যাছড়ি, হাতিভাঙ্গা, বটতলী, কাউয়াকাটা, ছাইল্যের ছোর, ঘিলাবনিয়া, চিকনছড়া ইত্যাদিসহ উত্তর কাঞ্চননগরে সংরক্ষিত বন প্রথম দিকে রাতের আঁধারে কাটলেও এখন দিনের বেলায়ই কাটা হচ্ছে। উঁচু-নিচু টিলার ওপর দিয়ে বনের কাঠ এবং কাসাভাবাহী চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেল চলাচল করে। টিলার পর টিলার বন জ্বালিয়ে দিয়ে ধ্বংস করে লাগানো হচ্ছে কাসাভা।
কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের নারায়ণহাট রেঞ্জের আওতায় উত্তর কাঞ্চননগর মৌজায় বন বিভাগের ৩ হাজার ৭০৭ একর সংরক্ষিত বন রয়েছে। এর মধ্যে দেড় হাজার একরের বেশি টিলায় কাসাভা চাষ হয়েছে।
সংরক্ষিত বনে যেভাবে শুরু কাসাভা চাষ
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১০ সালের দিকে ছাইল্যের ছোর এলাকায় প্রায় ১০০ একর সংরক্ষিত বন কেটে কাসাভা চাষ করেন আক্কাস নামের এক ব্যক্তি। ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বন উজাড় এবং কাসাভা চাষ শুরু হয়। ২০২২ ও ২০২৩ সালে প্রায় শতবছরের পুরোনো শত শত একর সেগুন, আকাশমনি, গামারি, বহেড়া বাগান উজাড় করে সেখানে ব্যাপকভাবে কাসাভা চাষ করা হয়।
সরেজমিন পরিদর্শনের সময় বিস্তীর্ণ কাসাভা খেতের মাঝে ২৫ একর করে মোট ৫০ একর ভূমিতে বনায়নের সাইনবোর্ড চোখে পড়ে। সাইনবোর্ডের তথ্য থেকে জানা যায়, ‘ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট পার্টিসিপেটরি রিফরেস্ট্রেশন অ্যান্ড এফরেস্ট্রেশন’ প্রকল্পের আওতায় ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে ‘কোর প্ল্যান্টেশন’সহ প্রায় ৬০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছিল। একদম অপরিণত বয়সে শেষ করে দেওয়া হয়েছে বাগানটি।
স্থানীয় বাসিন্দা জামালউদ্দিন জানান, তিনি তিন দশক ধরে সেখানে বসবাস করছেন। আগে এই বন গাছে ভরপুর ছিল। এখন ঘরে খুঁটি দেওয়ার জন্যও একটি গাছ পাওয়া যায় না। সর্বশেষ তিনি নিজে চোখে দেখেছেন ২৫ একরের একটি জাম বাগান দিনদুপুরে কেটে ফটিকছড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বার্ষিক ভাড়া নেয় বন বিভাগ
ঘিলাবনিয়া বুথাইছড়ির দক্ষিণ পাশের কাসাভা চাষি মো. আলম খবরের কাগজকে জানান, তারা বন বিভাগ থেকে একর হিসাবে ভাড়া নিয়ে কাসাভা চাষ করেছেন। প্রাণ গ্রুপ থেকে চাষের খরচ পান। ফসল তোলার পর কেজি ১০ টাকা করে প্রাণ গ্রুপ কিনে নিয়ে যায়। বন বিভাগকে একরপ্রতি কত টাকা দিতে হয় জানতে চাইলে তিনি জানান, বন বিভাগের বিষয়টি তার বাবা দেখেন। আলমের বাবা নাছির সর্দার বলেন, তার প্রায় ১০ একর ভূমিতে কাসাভা চাষ রয়েছে। যেহেতু বিক্রির দুশ্চিন্তা নেই, তাই সবাই কাসাভা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। বন বিভাগও কোনো ঝামেলা করে না। বন বিভাগকে প্রতিবছর কানিপ্রতি (৪০ শতক) ২ হাজার টাকা দিতে হয়। তবে বন বিভাগের লোকজন টাকা নিতে সেখানে যায় না। সবাই মিলে টাকা তুলে দিয়ে আসতে হয়। গাছ কাটার জন্য তিনি ওই এলাকার সাবেক হেডম্যান উলা প্রু মারমাকে দায়ী করেন। তার মৃত্যুর পর বর্তমানে তার ছোট ভাই থোয়াই সি প্রু মারমা হেডম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
থোয়াই সি মারমা খবরের কাগজকে বলেন, ‘কেউ বিনামূল্যে কাসাভা চাষ করছে না। বন বিভাগ একরপ্রতি হিসাব করে প্রতিবছর টাকা নিয়ে যায়।’ গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
কাসাভা চাষে সরকারি কর্মকর্তাও
কাসাভা চাষি নাছির সর্দার বলেন, তার পাশে টিএনও জাফরের (কক্সবাজারের সাবেক এডিসি জাফর আলম) প্রায় ৪০ একর টিলা রয়েছে। তিনি কাসাভা চাষের জন্য তা ভাড়া দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এডিসি জাফর আলম খবরের কাগজকে বলেন, তার ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০ একরের মতো জমি সেখানে রয়েছে। তিনি তাতে কাসাভা চাষ করেননি। যেহেতু পাহাড়ি জায়গা, দখলে একটু বেশি থাকতে পারে। তিনি বন বিভাগের কোনো গাছ কর্তন বা জমি দখল করেননি বলে দাবি করেন। ভূমি রেকর্ড যাচাই করে দেখা গেছে, ওই এলাকায় বন বিভাগের ভূমি ব্যতীত ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো ভূমি সেখানে নেই।
গাছ কাটায় যারা জড়িত
বন বিভাগের কর্মচারী, এলাকার সর্দার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, উলা প্রুর সহযোগী হিসেবে যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মানিকছড়ির কামাল, তিন টহরির ইউনুচ মেম্বার, বর্তমান মেম্বার আব্দুল মতিন, কুমারী এলাকার হানিফ, শিরু, আবুল হোসেন, শালম, মফিজ, সেলিম, আমান, ওসমান। তারা সবাই পাশের মানিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। মানিকছড়ি উপজেলার সাবেক এসি ল্যান্ড এবং ইউএনও জাফর আলমের (এডিসি জাফর নামেই বেশি পরিচিত) নামও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এ ছাড়া ফটিকছড়ির একসময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবুলসহ আরও অনেকেই গাছ কাটেন বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিরু, আবুল হোসেন, শালম, নাছির সর্দার ও তার ছেলেরা, আমান, দেলোয়ার প্রকাশ ওরফে দেলোয়ার হুজুর, বাহাদুরসহ অনেকেই কাসাভা চাষ করেন।
ধ্বংস জীববৈচিত্র্য, মরছে গবাদিপশু
এই বন একসময় হরিণ, বন্য শূকর, গুইসাপ, বনরুই, অজগরসহ বিভিন্ন ধরনের সাপ, বেজি, বাগডাস, মেছোবাঘ, ভালুক, লম্বালেজি বানর, উল্টো লেজি বানর, হনুমান, উল্লুক নানা জাতের পাখিসহ বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য ছিল, যা এখন বিপন্ন হয়ে গেছে। এখন সেখানে আর পাখিরা উড়ে বেড়ায় না বললেই চলে। বানরের পাল খাবার না পেয়ে কৃষকের ধানসহ বিভিন্ন শাকসবজির খেতে হামলা চালায়। আবাস নষ্ট হওয়ায় বন্য প্রাণী খুবই ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। প্রাকৃতিক ইকোসিস্টেম বলতে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। প্রাণ-প্রকৃতি সবই বিলুপ্ত।
কাসাভা বাগানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে এবং হেঁটে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে কোথাও কোনো গরু-ছাগল চোখে পড়েনি। একসময় এই এলাকায় গরু-ছাগলের পাল চরে বেড়াত। গরু-ছাগলের খাবার ঘাস, গুল্ম, লতা-পাতা এখন নেই বললেই চলে। একসময় আশপাশের মানুষ বন থেকে জ্বালানি কাঠ, বাঁশ, পাহাড়ি বিভিন্ন শাকসবজি, কলা ইত্যাদি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করতেন। এখন চারদিকে শুধু কাসাভা আর কাসাভা।
কাসাভা চাষি আলম জানান, শুরুর দিকে তারা লাল রঙের দেশীয় জাতের কাসাভা চাষ করতেন। ওই জাতের কাসাভা মানুষ তুলে নিয়ে রান্না করে খেয়ে ফেলত। গবাদিপশু অনিষ্ট করত। এখন তারা হাইব্রিড কাসাভার চাষ করেন। সাদা রঙের এই কাসাভার স্বাদ তেতো। এমনকি গরু-ছাগলও এই জাতের কাসাভাগাছের পাতা খেলে মরে যায়। স্থানীয় জামালের চারটি গরু কাসাভার পাতা খেয়ে মরে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, সামশু নামে এক কৃষকেরও দুটি গরু মরে গেছে। স্থানীয়রা জানান, গত তিন বছরে অন্তত ২৫টি গরু এবং ১৫টি ছাগল কাসাভা পাতা খেয়ে মারা পড়েছে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওলজি বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, কাসাভা একদিকে ওষুধ। আবার কিছু ক্ষেত্রে এর পাতা গবাদিপশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তীব্র গরমে অতিরিক্ত কাসাভা পাতা গরুর জন্য ক্ষতিকর। এমনকি বেশি খেলে পশুর মৃত্যুও হতে পারে। তবে আসল কারণ বের করার জন্য কাসাভা এবং ওই গাছের পাতা পরীক্ষা করা জরুরি।
শুকিয়ে যাচ্ছে হালদার পানির উৎস
কাসাভা আহরণের জন্য বছরে একবার টপ সয়েল খুঁড়তে হয়। এই মাটি বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে খালে পড়েছে। ভরাট হয়ে যাচ্ছে খাল, ঝিরি, ছড়া এবং ঝরনা।
বন উজাড় করে মরুকরণের কারণে প্রাকৃতিক পানির উৎসগুলো শুকিয়ে গেছে। গত ২৭ এপ্রিল ঘুরে দেখা গেছে, ছোট পাহাড়ি ছড়াগুলোতে এখন আর পানি নেই। চাষাবাদেও বিঘ্ন ঘটছে। প্রাকৃতিক মাছ প্রজননক্ষেত্র হালদায় উজান থেকে কালাপানিয়া খাল ও ধুরুং খালের মাধ্যমে পানি নামে। যার শাখা খাল হলো কুমারী খাল। কুমারী ও ধুরুং খাল ইদানীং পরিণত হয়েছে গোচারণ ভূমিতে।
হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, বনের সঙ্গে পানির সম্পর্ক আছে। যে পাহাড়ে যত বেশি গাছ থাকে, পাহাড় তত বেশি পানি সংরক্ষণ বা ধারণ করবে। তা ছোট ঝরনার মাধ্যমে খালে এসে পড়ে। বন ধ্বংসের কারণে ঝিরি, ঝরনা, খাল শুকিয়ে যাবে। এটাই স্বাভাবিক। দেশের রুইজাতীয় মাছের একমাত্র প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতেও পানি নেই। কারণ পানির উৎসগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
কাঞ্চননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খবরের কাগজকে বলেন, বন বিভাগ সরকারের সম্পত্তি রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। অথচ এই বনের ওপর নির্ভর করে অসংখ্য পরিবার সারা বছর আয়-রোজগার করত। এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে।
নারায়ণহাট রেঞ্জের রেঞ্জার ইলিছুর রহমান খবরের কাগজকে প্রথমে বলেন, বন উজাড় করে কাসাভা চাষের বিষয়টি তার জানা নেই। চাষিদের কাছ থেকে বছরভিত্তিক টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, গত বছর সেখানে তদন্ত করতে গিয়েছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা না পাওয়ায় বাইন্যাছোলা আর্মি ক্যাম্পের পর আর যেতে পারেননি। চলতি বছরে সেখানে প্রায় এক হাজার হেক্টর জায়গায় বাগান করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে সেখানে নতুন বাগান হবে। বন উজাড়ের জন্য তিনি পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের দায়ী করে বলেন, বন বিভাগের জায়গায় বন কর্মকর্তারা প্রবেশ করতে পারেন না। বিট কর্মকর্তা অবনী ভূষণ রায়ের দাবিও একই। তিনি দাবি করেন, এলাকাটি পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা নিয়ন্ত্রণ করে। বিষয়টি তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
এসিএফ (নারায়ণহাট) হারুন অর রশীদ বলেন, এখানে তিনি যোগদান করেছেন বেশি দিন হয়নি। গাছ কাটা ও কাসাভা চাষে প্রভাবশালীরা জড়িত থাকায় বন বিভাগের পক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয় না। কাসাভা চাষিদের কাছ থেকে প্রতিবছর একরপ্রতি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হবে টাকা কার পকেটে যায়। তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিভাগীয় কর্মকর্তা (চট্টগ্রাম উত্তর) এস এম কায়চার প্রতিবেদককে প্রথমে বিট কর্মকর্তা, রেঞ্জার এবং এসিএফের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি জানালে তিনি জানান, বন উজাড় কিংবা সেখানে কাসাভা চাষের বিষয়টি তার জানা নেই। দায়িত্বশীলরা সন্ত্রাসী এবং প্রভাবশালীদের যে দোহাই দিয়েছেন, সে বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন কেটে দেন।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস খবরের কাগজকে বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে কেউ যদি বন এবং মাটি ধ্বংস করে, তার কোনো ছাড় নেই।