লক্ষ্যটা ১৯২ রানের দেখে অনেকেই ভেবে নিয়েছিল সহজেই জিতে যাবে ভারত। কিন্তু সেই লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে ৫ উইকেট হারাতে হয়েছে ভারতকে। স্পিন সহায়ক উইকেটে ভারতের উইকেট নিয়ে জমিয়ে তুলেছিলেন ম্যাচ। যদিও শেষমেশ একপ্রান্ত আগলে রাখা শুভমান গিলের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ভারত জয় লাভ করে ৫ উইকেটে।

এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই রোহিত শর্মার দল সিরিজ জিতে নিয়েছে ৩-১ ব্যবধানে। 

দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পেয়েছেন ভারতের দুই ওপেনার। অধিনায়ক রোহিতের ৫৫ রানের পাশাপাশি যশস্বী জয়সোয়াল করেছেন ৩৭ রান।

হার্টলি ও রুটের বলে রোহিত ও জয়সোয়াল ধরেন সাজঘরের পথ। এরপর একে একে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রজত পাতিদার, রবীন্দ্র জাদেজা ও সরফরাজ খান।

তবে রাঁচি টেস্টের নায়ক ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটার ধ্রুব জুরেল।  প্রথম ইনিংসে তার খেলা ৯০ রানের ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়েই ভারত জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করেছে।

এর পাশাপাশি নাম নিতে হবে শুভমান গিলের। অফফর্মের সাথে লড়াই করা গিলের ব্যাট হেসেছে হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়ে। 

‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’খ্যাত অলিম্পিকে অংশ নেয় প্রায় বিশ্বের সব দেশ। প্রতিটি অ্যাথলেট প্রতিনিধিত্ব করে নিজ দেশের। তবে একই অ্যাথলেটের দুই দেশের হয়ে খেলার নজির আছে। তবে ব্যতিক্রম ইয়ামিল আলদামার। এই অ্যাথলেট তিন দেশের হয়ে তিনটি অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বয়স আর চোট ঝামেলা না করলে আরও দু-একটি দেশের হয়ে তিনি খেলতে পারতেন। যদিও তা সম্ভব হয়নি।

ইয়ামিল প্রাক্তন ট্রিপল জাম্পার। কীভাবে বার বার দেশ পরিবর্তন করে অলিম্পিকে যোগ দিয়েছিলেন ইয়ামিল, তা এক বড় রহস্যই। লাতিন আমেরিকার দেশ কিউবায় জন্ম ইয়ামিলের। ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে কিউবার হয়ে তিনি প্রথম অংশগ্রহণ করেন। ২০০৪ অ্যাথেন্স অলিম্পিকে খেলেন সুদানের হয়ে। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ইয়ামিলের হাতে ছিল গ্রেট ব্রিটেনের পতাকা। যদিও তিন অলিম্পিকে কোনো পদক জিততে পারেননি। তবে নজর কেড়েছিলেন পারফরম্যান্সে।

ট্রিপল জাম্পার হিসেবে ১৯৯৬ সালের অলিম্পিকেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল ইয়ামিলের। কিন্তু চোটের কারণে অংশ নিতে পারেননি। ২০০০ সালে কিউবার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে ট্রিপল জাম্পে অল্পের জন্য পদক বঞ্চিত হন তিনি। তার যাত্রা শেষ হয় চতুর্থ স্থানে থেমে। ২০০১ সালে স্কটিশ টিভি প্রযোজক অ্যান্ড্রু ডডসকে বিয়ে করেন ইয়ামিল। পরে মাদক সেবনের অভিযোগে অ্যান্ড্রুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০০৪ সালের অলিম্পিকে ব্রিটেনের হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ইয়ামিল। কিন্তু পারেননি।  

স্পেন, ইতালি এবং চেক প্রজাতন্ত্রের তরফে ইয়মিলকে তাদের দেশের হয়ে অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্ব করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ইয়ামিল বেছে নেন সুদানকে। ২০০৪ অ্যাথেন্স অলিম্পিকে উত্তর আফ্রিকার এই দেশের হয়ে খেলতে নেমে খেলা শেষ করেন পঞ্চম স্থানে থেকে। ২০১০ সালে ইয়ামিল পান ব্রিটিশ নাগরিকত্ব। দুই বছর পর লন্ডন অলিম্পিকে যোগ দেওয়ার সময় তার বয়স তখন ৪০। চোট থাকা সত্ত্বেও ট্রিপল জাম্পে তিনি পঞ্চম হয়ে সকলের নজর কাড়েন।

ভুটান সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচেও বড় জয় চায় বাংলাদেশ। থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে আজ (শনিবার) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় মাঠে নামবেন সাবিনা খাতুনরা।

ভুটানের বিপক্ষে এটি হবে বাংলাদেশের ষষ্ঠ দেখা। এর আগের পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতে জিতেছে বাংলাদেশ। গত বুধবার চলতি সফরের প্রথম প্রীতি ম্যাচে ৫-১ গোলে জয় তুলে নিয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে স্বাগতিকরা সেই ম্যাচে প্রথমে গোল আদায় করে প্রথমার্ধজুড়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখে। সেই ম্যাচে যে ভুলগুলো হয়েছে, এ ম্যাচে তা শুধরে নেওয়াই লক্ষ্য বাংলাদেশের।

অক্টোবরের নেপালে হতে যাওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দুটি খেলছে বাংলাদেশ। ভুটান আগে কখনোই বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি। ২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল সাবিনা-সানজিদারা। তবে বর্তমান ভুটান দলকে আগের থেকে আলাদা মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা। গতকাল শুক্রবার বাফুফের পাঠানো ভিডিওতে ভুটান ম্যাচ নিয়ে সাবিনা বলেন,  ‘প্রথম ম্যাচ যদি দেখে থাকেন, ভুটান কিন্তু বেশ ভালো। সাফে আমরা যে ভুটানের বিপক্ষে খেলেছি, তার চেয়ে এই দল এখন তুলনামূলকভাবে ভালো জায়গায় আছে। তবে আমাদের মেয়েরা চেষ্টা করেছে তাদের স্বাভাবিক ফুটবলটা খেলার। ফলও পেয়েছি।’ দ্বিতীয় ম্যাচেও সেই ধারা বজায় রাখার লক্ষ্যের কথাও বলেছেন সাবিনা, ‘গত ম্যাচের যে ছোট ছোট ভুলত্রুটি ছিল, সেগুলো শুধরে নিয়ে পরের ম্যাচেও যেন দেশবাসীকে জয় উপহার দিতে পারি, সে লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব।’

দেশ ছাড়ার আগে সাবিনা বলে গিয়েছিলেন, দুই ম্যাচেই বড় জয় তুলে নেওয়া হবে তাদের মূল লক্ষ্য। প্রথম ম্যাচে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে স্কোরলাইন বিষয়ে সাবিনা কিছু বলেননি। তবে প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক তুলে নেওয়া মোছাম্মৎ সাগরিকার কথায় লক্ষ্যটা স্পষ্ট। ‘প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছি। সামনের ম্যাচে যেন আরও বেশি গোল দিয়ে বাংলাদেশকে আরও বড় ব্যবধানে জেতাতে পারি।’- বলেন সাগরিকা। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক পেয়েছেন সাগরিকা। এই অনুভূতির কথা জানতে চাইলে বলেন, ‘অনেক ভালো অনুভূতি ছিল। কখনো ভাবিনি গোল করতে পারব, সেখানে হ্যাটট্রিক করেছি, অনেক ভালো লাগছে।’

গতকাল প্যারিসে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠেছে প্যারিস অলিম্পিক। আজকের দিনে হবে মোট ১৪ সোনার লড়াই। এবারের আসরে প্রথম স্বর্ণপদক জিতল চীন। আর প্রথম পদক জিতেছে কাজাখাস্তান।

শুটিংয়ের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল দলগত মিশ্র ইভেন্টে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছে চীন। কোরিয়ার জিহিউম কিউম–হাজুন পার্ক জুটিকে ১৬-১২ ব্যবধানে হারায় চীনের হুয়াং ইউতিং এবং শেং লিহাও জুটি।

প্রথম স্বর্ণপদক চীনের হলেও এবারের আসরের প্রথম পদক জিতেছে কাজাখাস্তান। এই ইভেন্টেই ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে কাজাখাস্তান।

জার্মানির ম্যাক্সিমিলিয়ান উলব্রিখ–আনা ইয়ানসেন জুটিকে হারিয়েছে কাজাখস্তানের সাতপায়েভ ইসলাম–লে আলেক্সান্দ্রা জুটি।

সিন নদীতে জাহাজে করে চলছিল প্যারেড। একের পর এক অংশগ্রহণকারী দেশের অ্যাথলেটরা জাতীয় পতাকা হাতে পার হচ্ছিলেন সেই নদী। অন্যান্য দেশগুলোর মতো দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাথলেটরাও পার হয়েছিলেন সেই পানি পথ। বাকিসব দেশের মতো ধারাভাষ্যকাররা পরিচয় করিয়ে দেন দক্ষিণ কোরিয়াকেও। তবে করে বসেন বিরাট এক ভুল। দক্ষিণ কোরিয়ার বদলে বলে ফেলেন উত্তর কোরিয়া।

ফরাসি ভাষায় প্রথমে দক্ষিণ কোরিয়াকে বলা হয়, ‘রিপাবলিকে পপুলাইরে দেমোক্রাতিকে দে কোরে।’ সেখানে ঠিকঠাক বললেও ইংরেজিতে বলার সময় বলেন, ‘ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া।’ এটি মূলত দক্ষিণ নয় উত্তর কোরিয়ার অফিশিয়াল নাম।

দক্ষিণ কোরিয়ার অফিশিয়াল নাম হচ্ছে রিপাবলিক অব কোরিয়া।

এমন এই বিরাট ভুলের পর জন্ম নেয় অনেক আলোচনা ও সমালোচনা। ব্যাথিত হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী এক বিবৃতিতে এ ব্যাপারে ‘দুঃখ’ প্রকাশ করে বলেন, ‘২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘোষণার সময় দক্ষিণ কোরিয়া দলকে উত্তর কোরিয়া দল হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

প্যারেডের সময় ধারাভাষ্যকারদের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে খোদ ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। আইওসির অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে ক্ষমা প্রার্থনা করে কোরিয়ান ভাষাতেই পোস্ট করেছে।

যেখানে তারা বলেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময় দক্ষিণ কোরিয়া দলকে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে যে ভুলটি হয়েছে, এর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

পর্দা উঠেছে প্যারিস অলিম্পিকের। মূল ভেন্যুর বাইরে নদীতে আয়োজিত হয়েছে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সেই আয়োজনে জাহাজে করে নদীতে প্যারেডে অংশ নেওয়ার সময় ব্যতিক্রমী এক ঘটনা ঘটিয়েছেন আলজেরিনা অ্যাথলেটরা। সেসময় তারা সিন নদীতে গোলাপ ফুল ছুড়ে মারেন। এই ফুল ছোড়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে ১৯৬১ সালে প্যারিসে ঘটা গণহত্যায় নিহতদের স্মরণ করেন আলজেরিয়ানরা।

মূলত আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, আলবেনিয়া ও জার্মানি থেকে আসা অ্যাথলেটরা ভাগাভাগি করেন আফ্রিকান অ্যাথলেটদের বোট। আলজেরিয়ান অ্যাথলেটরা সেই বোট থেকেই গোলাপ ছুড়ে মারেন সিন নদীতে।

এই ফুল ছুড়ে তারা সম্মান প্রদর্শণ করেন ১৯৬১ সালের ১৭ অক্টোবরে এই সিন নদীতে ডুবিয়ে হত্যা করা আলজেরিয়ার মানুষকে। যাদেরকে হত্যা করার অভিযোগটা ঔপনিবেশিক ফ্রান্সের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে আলজেরিয়ান অলিম্পিক কমিটি এক বার্তায় জানিয়েছে, ‘আমাদের অধিকার আদায়ের লক্ষে শহীদ হওয়ার হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে অলিম্পিকের উদ্বোধনীতে সিন নদীতে আলজেরিয়ার প্রতিনিধি ফুল নিক্ষেপ করেছে। বিশেষ করে সেই ব্রিজ থেকে আমরা তাদের স্মরণ করেছি যেখানে তারা শহীদ হয়েছিল, সৃষ্টিকর্তা তাদের ক্ষমা করুন।’