ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

চার্জিং বা রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া ৫০ বছর চলবে পারমাণবিক ব্যাটারি

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৮ পিএম
চার্জিং বা রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া ৫০ বছর চলবে পারমাণবিক ব্যাটারি

চীনা নতুন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বেটাভোল্ট সর্ব সাধারণের ব্যবহার উপযোগী পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি উদ্ভাবন করেছে। পারমাণবিক শক্তির এই ব্যাটারি মডেল ‘বিভি১০০’। বেইজিংভিত্তিক কোম্পানিটি দাবি করেছে, পারমাণবিক শক্তির এই ব্যাটারি কোনো পরিবর্তন ছাড়া একইভাবে নিজেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। এতে ৫০ বছর কোনো ধরনের চার্জিং বা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন লাগবে না। অর্থাৎ এই ব্যাটারি চার্জিং বা রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া একটানা ৫০ বছর ব্যবহার করা যাবে। এই যুগান্তকারী উদ্ভাবন এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। তবে বাজারজাত করা জন্য এটি ব্যাপক উৎপাদন করা হবে।

এই ব্যাটারিগুলো মহাকাশ, এআই ডিভাইস, চিকিৎসা সরঞ্জাম, এমইএমএস সিস্টেম, উন্নত সেন্সর, ছোট ড্রোন ও মাইক্রো রোবটের মতো ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের চাহিদা মেটাতে পারবে। আশা করা যাচ্ছে, এই নতুন শক্তির উদ্ভাবন চীনকে এআই প্রযুক্তিগত বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে সাহায্য করবে।

বেটাভোল্ট নিউ এনার্জি টেকনোলজি 
কোম্পানিটি গত 8 জানুয়ারি সফলভাবে এই ক্ষুদ্রাকৃতির পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। যাতে ব্যবহার করা হয়েছে, নিকেল-৬৩ আইসোটোপ এবং চতুর্থ প্রজন্মের হিরার সেমিকন্ডাক্টর উপাদান। কোম্পানিটি এই ব্যাটারির মডুলারাইজেশন ও কম খরচে সবার ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে। চীন একই সঙ্গে পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি ও চতুর্থ প্রজন্মের হিরার সেমিকন্ডাক্টরের মতো দুটি উচ্চ প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছে। যা ইউরোপীয় ও আমেরিকান বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও কার্যক্রম থেকে রেখেছে।

এ ধরনের ব্যাটারি পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি, পারমাণবিক ব্যাটারি বা রেডিও আইসোটোপ ব্যাটারি নামেও পরিচিত। যা পারমাণবিক আইসোটোপের ক্ষয় থেকে উৎপন্ন শক্তিকে ব্যবহার ও অর্ধ পরিবাহীর রূপান্তরকারীর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করার নীতিতে কাজ করে।

১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া) এই উচ্চ প্রযুক্তির পারমাণবিক ব্যাটারি বানিয়েছিল। তা বেটাভোল্টের থেকে বেশ ভিন্ন ধাঁচের ছিল। বর্তমানে মহাকাশে শুধু থার্মোনিউক্লিয়ার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের ব্যাটারি ব্যয়বহুল, আকারে বড় ও বেশি ওজনের হয়। এর অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রাও উচ্চ হয়ে থাকে। যা সাধারণ কোনো কাজে ব্যবহার করা যায় না। সাম্প্রতিক সময়ে পারমাণবিক ব্যাটারির ক্ষুদ্রকরণ, মডুলারাইজেশন এবং সাধারণ কাজের ব্যবহারে ইউরোপীয় ও আমেরিকান দেশগুলো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিটাভোল্ট পারমাণবিক ব্যাটারির সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রযুক্তিগত পদ্ধতির বিকাশ ঘটিয়েছে। তেজস্ক্রিয় উৎস নিকেল-৬৩ থেকে নির্গত বিটা কণা (ইলেকট্রন) অর্ধ পরিবাহিতে প্রবাহের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহ তৈরি করে। এটির জন্য বেটাভোল্টের বিজ্ঞানীরা একটি অনন্য একক-ক্রিস্টাল প্রযুক্তিতে সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করেছে। এই সেমিকন্ডাক্টর মাত্র ১০ মাইক্রন পুরু। যাতে দুটি হীরার সেমিকন্ডাক্টরের মাঝে একটি দুই মাইক্রন পুরু নিকেল– ৬৩ পাতলা শিট রাখা হয়েছে।

বেটাভোল্টের চেয়ারম্যান ও সিইও ঝাং ওয়েই বলেছেন, কোম্পানিটি প্রথমে বিভি১০০ মডেলের পণ্য চালু করবে। যা বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক ব্যাটারি ব্যাপকভাবে উৎপাদিত হবে। ৩ ভোল্টের এ ব্যাটারি ১০০ মাইক্রোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে। ঘন আকারে এটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হবে ১৫ মিলিমিটার এবং পুরুত্ব পাঁচ মিলিমিটার, যা একটি মুদ্রার চেয়ে ছোট।

এই ব্যাটারি প্রতি মিনিটে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। এটি প্রতিদিন মোট ৮.৬৪ জুল ও বছরে ৩ হাজার ১৫৩ জুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। বেশি শক্তির জন্য এই ধরনের একাধিক ব্যাটারি সিরিজ এবং সমান্তরালভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কোম্পানিটি ২০২৫ সাল নাগাদ ১ ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি তৈরির করার পরিকল্পনা করেছে। যদি এটি বাজারে আসে তাহলে ফোনে আর চার্জ দিতে হবে না এমনকি ড্রোনগুলো অবিরাম আকাশে উড়তে পারবে।

প্রতিষ্ঠানটি তথ্য মতে, এটি ইলেকট্রোকেমিক্যাল ব্যাটারি নয়। এর শক্তির ঘনত্ব টারনারি লিথিয়াম ব্যাটারির চেয়ে ১০ গুণ বেশি হবে। এটির একটি এক গ্রামের ব্যাটারি ৩ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ সঞ্চয় করতে পারে। যেকোনো ধরনের আঘাতে বা বন্দুকের গুলিতেও ব্যাটারিতে বিস্ফোরণ বা আগুন ধরবে না। এটির বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থিতিশীল, জটিল পরিবেশ বা লোডের কারণে তা পরিবর্তন হবে না। এটি সাধারণত মাইনাস ৬০ ডিগ্রি থেকে ১২০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সচল থাকবে।

বেটাভোল্টের দাবি, তাদের তৈরি পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি সম্পূর্ণ নিরাপদ। এতে কোনো বাহ্যিক বিকিরণ নেই। এটি মানবদেহে পেসমেকার, কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড ও কক্লিয়াসের মতো চিকিৎসার ডিভাইসে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। এটি পরিবেশের জন্য ঝুঁকিমুক্ত। এর আয়ুষ্কাল শেষ হলে, তেজস্ক্রিয় উৎস হিসেবে নিকেল-৬৩ আইসোটোপ একটি স্থিতিশীল তামার আইসোটোপে পরিণত হয়। যা তেজস্ক্রিয় নয় এবং পরিবেশের জন্য কোনো হুমকি বা দূষণ সৃষ্টি করবে না।

বর্তমানে বেটাভোল্ট বেইজিংয়ে একটি পেটেন্ট নিবন্ধন করেছে। খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বব্যাপী পিটিসি পেটেন্ট নিবন্ধন করতে শুরু করবে। ২০২৩ সালে চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার করপোরেশন আয়োজিত উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় বেটাভোল্ট তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল।

বেটাভোল্ট চীনের পেশাদার পারমাণবিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। যেন ২ থেকে ৩০ বছর ব্যবহারযোগ্য ও উচ্চ শক্তির পারমাণবিক ব্যাটারির বিকাশ করা যায়। এর জন্য স্ট্রন্টিয়াম-৯০, প্রোমিথিয়াম-১৪৭ এবং ডিউটেরিয়ামের মতো আইসোটোপ ব্যবহার করার বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

ঝাং ওয়েই বলেছেন, বিটাভোল্ট বর্তমানে বিশ্বের একমাত্র কোম্পানি যেটি বড় আকারের হীরার সেমিকন্ডাক্টর উপকরণ তৈরি করতে পারে। এটি শুধু একটি নতুন শক্তি কোম্পানি নয়, এটি একটি চতুর্থ প্রজন্মের সেমিকন্ডাক্টর ও অতি দীর্ঘ কার্বন ন্যানোটিউব উপাদান তৈরির কোম্পানি।

কোম্পানিটি পারমাণবিক ব্যাটারি, ডায়মন্ড সেমিকন্ডাক্টর এবং সুপার ক্যাপাসিটরের মতো তিনটি প্রধান প্রযুক্তি ও উপকরণ সংযুক্ত এবং একীভূত করেছে। এর মাধ্যমে বিটাভোল্টের মূল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে।

জাহ্নবী

ইউটিউবে ৭৫টির বেশি বিনামূল্যে গেমসসহ ‘প্লেঅ্যাবলস’ ফিচার

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম
ইউটিউবে ৭৫টির বেশি বিনামূল্যে গেমসসহ ‘প্লেঅ্যাবলস’ ফিচার

জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব ভিডিও গেমপ্রেমীদের জন্য দারুণ একটি ফিচার নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি ইউটিউব গেম খেলার জন্য ‘প্লেঅ্যাবলস’ নামের ফিচার সবার জন্য উন্মুক্ত করেছে। এই ফিচারের মাধ্যমে ইউটিউবে ভিডিও দেখার পাশাপাশি এখন সরাসরি প্ল্যাটফর্মের মধ্যেই বিভিন্ন গেম খেলা যাবে। এর জন্য গেমগুলো ডাউনলোডের প্রয়োজন হবে না। ইউটিউবে প্লেঅ্যাবলস ফিচারের মাধ্যমে বিনামূল্যে ৭৫টির বেশি গেমস উপভোগ করতে পারবে এর সব ব্যবহারকারী।

এর আগে প্লেঅ্যাবলস ফিচারটি প্রথমে ২০২৩ সালের নভেম্বরে সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে। সে সময় মাত্র ৩০টি আর্কেড ধারার গেম নিয়ে নির্বাচিত কিছু দেশে ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবাররাই এটি খেলতে পারতেন। তবে বর্তমানে এর জন্য প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের দরকার নেই।

সব ইউটিউব ব্যবহারকারী প্লেঅ্যাবলস ফিচারের মাধ্যমে ‘অ্যাংরি  বার্ডস শোডাউন’, ‘ট্রিভিয়া ক্র্যাক’, ‘কাট দ্য রোপ’ ও ‘টম্ব অব দ্য মাস্ক’-এর মতো জনপ্রিয় গেমসসহ আরও ৭৫টিরও বেশি গেম খেলতে পারবেন।

ইউটিউবের ব্লগ পোস্ট অনুযায়ী,  হোমপেজের ‘প্লেঅ্যাবলস’ অপশনে ক্লিক করলে বিভিন্ন গেমের নাম দেখা যাবে। এসব গেম খেলার জন্য বাড়তি কোনো ঝামেলাও পোহাতে হবে না। ইউটিউবের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপ ব্যবহার করেও এসব গেম খেলা যাবে। পর্যায়ক্রমে সব দেশের ব্যবহারকারী অনলাইনে গেম খেলতে পারবেন। ব্যবহারকারীরা প্লেঅ্যাবলসে গেম যত লেভেল পর্যন্ত খেলবেন, সে ডেটা সেভ করে রাখতে পারবেন।

ইউটিউব জানিয়েছে, প্লেঅ্যাবলস ডাউনলোড করতে গ্রাহককে যেহেতু কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না; ফলে তাদের এ পরিষেবার কারণে অ্যাপল বা অ্যাপ স্টোরের কোনো নিয়ম লঙ্ঘন হবে না। তবে গুগলের প্লে স্টোর ও অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে থাকা বিনামূল্যের অন্যান্য গেম ‘প্লেঅ্যাবলস’-এর কারণে আরও প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে। যেহেতু সেগুলো মূলত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অর্থ আয় করে থাকে।

/আবরার জাহিন

ক্যাস্পারস্কি সিকিউরিটি সল্যুশন ব্লক করেছে ৭ লাখের বেশি ওয়েব থ্রেটস

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৭:৪৭ পিএম
ক্যাস্পারস্কি সিকিউরিটি সল্যুশন ব্লক করেছে ৭ লাখের বেশি ওয়েব থ্রেটস
ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রতিনিয়ত জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে সাইবার হামলার সংখ্যা। আর এ ধরনের সাইবার হামলা থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে অ্যান্টি-ভাইরাস। এ ধরনের সেবা দিয়ে থাকে রাশিয়ান সাইবার নিরাপত্তা ক্যাস্পারস্কি। বাংলাদেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে সাত লাখের বেশি ওয়েব থ্রেটস শনাক্ত ও ব্লক করেছে ক্যাস্পারস্কি সিকিউরিটি সল্যুশন। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে থ্রেটস শনাক্তের পরিমাণ ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত বছর দেশের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে দৈনিক গড়ে দুই হাজারের বেশি অনলাইন হামলা চালিয়েছেন সাইবার অপরাধীরা। অনলাইন থ্রেটস এক প্রকার সাইবার নিরাপত্তাঝুঁকি, যার ফলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত অ্যাক্টিভিটি বা ঘটনা সংঘটিত হতে পারে।  ইউজারের অসতর্কতা, ওয়েব সার্ভিস ডেভেলপার, অপারেটর বা ওয়েব পরিষেবা থেকে এমনটা হতে পারে। ওয়েব থ্রেটস ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয়েরই ক্ষতি করতে পারে। ওয়েব থ্রেটসের এই সংখ্যা বিভিন্ন আকারের ব্যবসায় ইনস্টল করা ক্যাস্পারস্কির বিটুবি পণ্যগুলোর ভিত্তিতে হিসাব করা হয়েছে।

ক্যাস্পারস্কির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার জেনারেল ম্যানেজার ইয়েও সিয়াং টিয়ং সম্প্রতি বলেছেন, ‘অর্থনীতিবিদরা এ বছর বাংলাদেশে ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক সুযোগ তৈরি করছে। ডিজিটাল অর্থনীতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে স্থানীয় সরকারের প্রচেষ্টা সফল করতে অনলাইনের গোপনীয় হুমকি থেকে রক্ষা পেতে ব্যবসাগুলোর সাইবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এগুলো ডিজিটালাইজেশনের সুফলকে কাজে লাগানোর প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনলাইন থ্রেটস ঠেকাতে বেসিক ফায়ারওয়াল ও এন্ড পয়েন্ট সল্যুশন এখন আর যথেষ্ট নয়। তাই ২০২৪ সালে সাইবার সিকিউরিটিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে সব ধরনের ব্যবসার বিস্তৃত ডেটাগুলো পরিচালনা এবং সাইবার হামলার ফলে প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম ও আর্থিক ক্ষতি ঠেকাতে অ্যাডাপ্টিভ ও ইন্টেলিজেন্স লেড সিকিউরিটি সল্যুশন অ্যান্ড সার্ভিসেস পোর্টফোলিও তৈরির এখনই সময়।’

/আবরার জাহিন

ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার গ্রহণ করলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার গ্রহণ করলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার ২০২৪ গ্রহণ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।

চলতি বছর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সিকিউর ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম (বৈঠক) তৈরির জন্য বিল্ডিং কনফিডেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ইন ইউস অব আইসিটি’স ক্যাটেগরিতে উইনার হিসেবে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

বৈঠক অ্যাপ তৈরিতে যুক্ত বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রোগ্রামারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারি কর্তৃক সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করার জন্য বিসিসি উদ্ভাবিত ‘বৈঠক’ আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক দিক-নির্দেশনায় খুব অল্প সময়ে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন করতে পেরেছি এবং এর ফলে আমাদের তরুণ উদ্ভাবকরা তথ্য প্রযুক্তির সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জমা দেওয়া এক হাজার ৪৯টি প্রকল্প বা উদ্যোগ থেকে বাছাই করে ৩৬০টি প্রকল্পকে ভোটাভুটির জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার নির্ধারণে প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে একাধিক উদ্যোগ বা প্রোজেক্টকে ভোটের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে থেকে একটিকে উইনার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এবছর ১৮টি প্রোজেক্টকে উইনার ও ৭২টি প্রোজেক্টকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।
 
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ডব্লিউএসআইএস+২০ ফোরামে ডিপিআই হাই-লেভেল সেশন এবং মিনিস্ট্রিয়াল রাউন্ডটেবিলে অংশ নেন। সূত্র: বাসস

অমিয়/

নকিয়া ফাইভ-জি রেডিও সরঞ্জাম সরবরাহ করবে এমইও-কে

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
নকিয়া ফাইভ-জি রেডিও সরঞ্জাম সরবরাহ করবে এমইও-কে
ছবি: সংগৃহীত


পর্তুগালের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর এমইও-এর সঙ্গে ফাইভ-জি রেডিও সরঞ্জাম সরবরাহের চুক্তি করছে ফিনল্যান্ডের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান নকিয়া। আগামী মাসেই এ চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে। ফিনল্যান্ডের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটির এক ব্লগ পোস্টের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এর আগে পর্তুগালের মোবাইল অপারেটরের কাছে টু-জি, থ্রি-জি ও ফোর-জি রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক (আরএএন) সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। এমইও ফ্রান্সের আলটিসের মালিকানাধীন, এটি আগে ‘টেলিকম পর্তুগাল’ নামে পরিচিত ছিল।

নকিয়ার মোবাইল নেটওয়ার্ক বিভাগের প্রেসিডেন্ট টমি উইটো এক ব্লগে লিখেছেন, ‘গত কয়েক বছরে এমইও শুধু রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম কিনেছে হুয়াওয়ের কাছ থেকে। চীনা প্রতিষ্ঠানটি টু-জি, থ্রি-জি ও ফোর-জি নেটওয়ার্ক সরঞ্জামের শতভাগ বাজার দখল করেছে। বর্তমানে পর্তুগালের বাজারে হুয়াওয়ের জায়গাগুলো দখলে আমরা কাজ করছি।’

এ বাজারে টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম সিংহভাগ সরবরাহ করে নকিয়া, হুয়াওয়ে ও সুইডিশ প্রতিষ্ঠান এরিকসন। তবে গত বছর থেকে টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোর নতুন সরঞ্জামের চাহিদা কমে যাওয়ায় নকিয়া ও এরিকসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে।

গবেষণা সংস্থা ডেল-ওরো জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক সরঞ্জামের বাজারের আকার ৫ থেকে ৮ শতাংশ কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। 
যদিও নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এখনো ইউরোপে কিছু দেশে চীনা প্রতিষ্ঠানটি এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।

অনেক বছর আগে হুয়াওয়ের কাছে এই বাজার হারিয়েছিল নকিয়া। এরপর থেকে পর্তুগালের কোনো টেলিযোগাযোগ সেবাদাতাকে এ ধরনের সরঞ্জাম সরবরাহ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। অবশ্য সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নতুন এই চুক্তির মাধ্যমে নকিয়া আবার পর্তুগালের রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক বাজার ফিরে পাবে।

/আবরার জাহিন

মেটার স্মার্ট চশমা দিয়ে ছবি পোস্ট করা যাবে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
মেটার স্মার্ট চশমা দিয়ে ছবি পোস্ট করা যাবে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটার তৈরি স্মার্ট চশমা ‘রে-ব্যান মেটা স্মার্ট গ্লাস’ দিয়ে সরাসরি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ছবি পোস্ট করা যাবে। স্মার্ট চশমাটিতে বেশ কিছু ‘হ্যান্ড ফ্রি’ ফিচার যুক্ত করার কথা জানিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ এসব ফিচার চালানোর জন্য হাতের ব্যবহার করতে হবে না। গত সপ্তাহে মেটা এ ঘোষণা দিয়েছে।

ব্যবহারকারীরা এখন থেকে ফোন না বের করেই এই স্মার্ট চশমা দিয়ে সরাসরি ছবির ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করতে পারবেন। স্মার্ট গ্লাস দিয়ে ছবি তোলার পর ‘হেই মেটা, শেয়ার মাই লাস্ট ফটো টু ইনস্টাগ্রাম’ এই কথা বলে নির্দেশ দিতে হবে। অথবা ‘হেই মেটা, পোস্ট আ ফটো টু ইনস্টাগ্রাম’ বলেও নির্দেশ দেওয়া যাবে। নির্দেশ দেওয়ার পর রে-ব্যান স্মার্ট চশমা থেকে সরাসরি ইনস্টাগ্রামে স্টোরি পোস্ট হয়ে যাবে।

স্ন্যাপচ্যাটেও ২০১৬ সালে এমন ধরনের ফিচার চালু করা হয়েছে। ‘স্ন্যাপ স্পেকট্যাকলস’ নামের ফিচার ব্যবহার করে ব্যবহারকারী তার স্মার্ট চশমা দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে স্ন্যাপচ্যাট স্টোরি দিতে পারেন। 

হ্যান্ড ফ্রি ফিচারের মাধ্যমে ফোন ব্যবহার না করেই রে-ব্যান ব্যবহারকারীরা অ্যামাজন মিউজিকে ভয়েস কমান্ড দিয়ে গান বাজাতে পারবেন। এ জন্য ‘হেই মেটা, প্লে অ্যামাজন মিউজিক’ এই ভয়েস কমান্ড দিতে হবে। ফোন পকেটে থাকাকালীন টাচ বা ভয়েস কন্ট্রোল দিয়ে অডিও প্লেব্যাক নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। মেডিটেশন অ্যাপ ‘কাম’ এ রে-ব্যান স্মার্ট চশমা যুক্ত করা যাবে, যা ‘হেই মেটা, প্লে দ্য ডেইলি কাম’ বললেই চালু হয়ে যাবে। স্মার্ট চশমাগুলোয় এআই আপডেট দেওয়ার এক মাস পর এসব নতুন ফিচার চালু করা হলো। 

এই এআই আপডেটে মেটা স্মার্ট চশমায় মাল্টিমোডাল এআই যুক্ত করেছে। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যা দেখছেন, সে সম্পর্কে প্রশ্ন করে জানতে পারবেন। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

/আবরার জাহিন