বোয়িং ৭৩৭ যখন ‘বিলাসবহুল ভিলা’ । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

বোয়িং ৭৩৭ যখন ‘বিলাসবহুল ভিলা’

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
বোয়িং ৭৩৭ যখন ‘বিলাসবহুল ভিলা’
ছবি : সংগৃহীত

মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো উড়োজাহাজের কথা ভাবলে, তা ভেঙে যন্ত্রাংশগুলো পুনর্ব্যবহার ছাড়া উড়োজাহাজটির তেমন কোনো উপযোগিতার কথা সাধারণত আমাদের মাথায় আসে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই ভিন্ন।

বোয়িং কোম্পানির উড়োজাহাজগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হলে সেগুলো রেস্টুরেন্ট, জাদুঘর, ক্যাফে, এমনকি পার্টি ভেন্যু হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

এভাবেই ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ন্যাং-ন্যাং সমুদ্রসৈকতের পাশে পাহাড়ের কোলে বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজকে বিলাসবহুল ব্যক্তিগত ভিলায় রূপান্তির করেছেন রাশিয়ান উদ্যোক্তা ফেলিক্স ডেমিন।

ফেলিক্স সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও পোস্টে ভিলাটি ঘুরে দেখালে এ নিয়ে আলোচনা করেন ভারতীয় শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা।

ফেলিক্স জানান, এ উড়োজাহাজটিকে নতুন রূপ দিয়ে দুই বেডরুমের ভিলায় পরিণত করেছেন তিনি। এ ভিলায় থাকার ন্যূনতম খরচ সাত হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাত লাখ ৬৯ হাজার টাকা।

ভিডিওতে দেখা যায়, ধাপে ধাপে সিঁড়ি উঠে গেছে ভিলার দরজায়। দরজা খুলে ভিলার অন্দরমহলে ঢুকলেই চোখে পড়বে ডাইনিং রুম এবং অতিথিদের বসার জায়গা। সামনে দেওয়াল জুড়ে কাঁচের দরজা দিয়ে দেখা যায় সমুদ্রের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।

কাঁচের দরজা ঠেলে ওপারে গেলেই খোলা বারান্দা। বারান্দায় রয়েছে বসার জায়গা। 

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০ মিটার উপরে থাকা এই উড়োজাহাজ-ভিলায় রয়েছে জাকুজি ও সুইমিংপুল।

ভিলার ভেতরে সরু প্যাসেজ ধরে ভেতরে যাওয়ার সময় দুইদিকে পড়বে দুটি বাথরুম। তার মধ্যে একটি বাথরুমে শুধু গোসল করা যাবে।

ভেতরে আলমারির পাশাপাশি আলাদা ভাবে তৈরি করা হয়েছে ঘর। সেখানে মুখ ধোওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তার সামনে দিয়ে যাওয়া যায় একটি বেডরুমে। বেডরুমে রয়েছে একটি ছোট বাথটাব। বাথটাবের সামনের কাঁচের জানালা দিয়েও সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

ভিলায় একটি স্মার্ট বেডরুমও রয়েছে। সেখানে স্মার্ট ভয়েস পদ্ধতির মাধ্যমে ঘরের আলোর তীব্রতা বাড়ানো-কমানো যায়। এই বেডরুমটির সঙ্গেও রয়েছে একটি বাথটাব। তবে এই বাথটাবটি বেশ বড়।

উড়োজাহাজের ব্যবহৃত দরজার মতো একই ধরনের দরজা রয়েছে বেডরুমে। দরজা খুললেই তলায় দড়ি দিয়ে তৈরি জাল চোখে পড়ে। যেন অতিথিরা জালের উপর বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

উড়োজাহাজ-ভিলার ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ফেলিক্স লেখেন, ‘যারা নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করতে পারেন তারা ভাগ্যবান। আমি বুঝতে পারছি না এখানে কোনদিন থাকার কথা পরিকল্পনা করে আনন্দ পাবো, নাকি জেট ল্যাগের (জেট ল্যাগ হলো এক ধরনের ক্লান্তি, যা ভ্রমণের কারণে হয়) ফলে যে ক্লান্তি হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবো।’

পপি/অমিয়/

মোস্তাফিজের ভুয়া ভিডিওটির ভিউ দেড় কোটির বেশি

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০৬:৪৩ পিএম
মোস্তাফিজের ভুয়া ভিডিওটির ভিউ দেড় কোটির বেশি
মোস্তাফিজুর রহমান

যেখানে ভিডিওটি প্রথমে আপলোড হয়েছিল, অর্থাৎ ভিডিওটি যারা ধারণ করেছিলেন সেই চ্যানেলে এটির ভিউ হয়েছিল আট হাজার। কিন্তু অন্য ভাষার ওই ভিডিওটি যখন প্ল্যাটফর্ম বদলে অন্য রঙ ধারণ করল, তখন ঘটে গেল বিস্ফোরণ। এই ভিডিওটির ভিউ বেড়ে গেল ৯২ গুণ। কী ভিডিও ছিল এটি!

তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ এমনই একটি তথ্য প্রকাশ করেছে।

সংস্থাটি বলছে- চলতি বছরের ২ জানুয়ারি টিকটকে আরজে জিন্নাত ইসলাম নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটার, ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনির একটি বক্তব্যের ভিডিও আপলোড করা হয়। ভিডিওর ওপর “সংবাদ সম্মেলনে এসে মুস্তাফিজুর রহমানকে অপমান করলো মাইনন্দ্রো ছীন ধনি” এই লাইন লিখে ভিডিওটিতে উপস্থাপক দাবি করেন, “এখানে ধোনি বলেছেন, ‘মোস্তাফিজকে নিয়ে বড় ভুল করেছি। সাম্প্রতিক সময়ে মোস্তাফিজ ফর্মহীনতায় ভুগছেন। এমন মুহূর্তে আমরা না বুঝতে পেরেই তাকে দলে নিয়েছি। আসলে মোস্তাফিজকে দলে নেওয়া আমাদের ঠিক হয়নি।” 

রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ বলছে, ক্রিকেট সমঝদার যে কেউ বুঝতে পারবেন যে, ধোনির এমন মন্তব্য করার কথা নয়৷ ‘আমরাও ১ মিনিট ৭ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে ধোনিকে তার নিজের মুখে এমন মন্তব্য করতে দেখিনি। কিন্তু এই বিষয়টি যখন আমরা যাচাই করছি, সে সময়ের মধ্যে ভিডিওটি প্রায় ৭ লাখ ৩৩ হাজার বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটি নেওয়া হয়েছে ইউটিউবে Desi Cricket News নামে একটি চ্যানেল থেকে। এই চ্যানেলে এক দিন আগে ভিডিওটি আপলোড করা হলেও সেখান থেকে ভিডিওটি দেখেছেন মাত্র আট হাজার মানুষ। কিন্তু টিকটকে গিয়ে একই ভিডিও প্রায় ৯২ গুণ বেশি দেখা হয়েছে।’

আইপিএলে চলতি বছরের একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে চেন্নাই সুপার কিংসে খেলেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু বিসিবির পক্ষ থেকে পুরো মৌসুম খেলার অনুমতি না মেলায় গত ২ মে দেশে ফিরে আসেন তিনি।

রিউমর স্ক্যানার দেখেছে, আইপিএল-এ বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা খেলতে গেলে সাধারণত সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মৌসুমজুড়ে আলোচনা চলে, শেয়ার হয় ছবি-ভিডিও আর নানা তথ্য। এসবের অবাধ প্রবাহের মধ্যেই ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতাও গেল কয়েক বছর ধরেই দেখে এসেছে রিউমর স্ক্যানার। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে ভুয়া তথ্যের ছড়িয়ে পড়া আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। 

মোস্তাফিজের এবারের আইপিএল জার্নির পুরোটা সময় পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট অন্তত ১০টি টিকটিক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে। যেগুলোতে কমপক্ষে এক লাখ বার দেখা হয়েছে এমন ৪০টি ভুয়া তথ্যের ভিডিও ভিউ হয়েছে প্রায় দেড় কোটি বার। এসব ভিডিওর সবগুলোই নেওয়া হয়েছে ইউটিউবের একাধিক চ্যানেল থেকে, যারা নিয়মিতই খেলা নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে৷ 

রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট মোস্তাফিজের এবারের আইপিএল মিশনকে ঘিরে ভাইরাল ৪০টি ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখেছে, এসব ভিডিওতে পুরোনো কায়দাতেই ভুয়া তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পুরোনো কিংবা ভিন্ন ঘটনার সাম্প্রতিক ভিডিওকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এসব ক্ষেত্রে চেন্নাইয়ের ক্রিকেটারদের পুরোনো ভিডিও যেমন ব্যবহার করা হয়েছে তেমনি আইপিএলের অন্যান্য দলের মালিকসহ দলগুলোর ক্রিকেটারদের বিভিন্ন সময়ের মন্তব্যের ফুটেজও ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি আইপিএলের সঙ্গে এখন সংশ্লিষ্টতা নেই এমন সাবেক ক্রিকেটারের পুরোনো ভিডিওকেও মোস্তাফিজের বিষয়ে মন্তব্যের সাম্প্রতিক ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

তাছাড়া, দেখা গেছে চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং কোচ ডোয়াইন ব্রাভোর একটি ডায়মন্ড আউটলেট উদ্বোধন এবং দলটির অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের নির্দিষ্ট ম্যাচের বিষয়ে করা মন্তব্যের সাম্প্রতিক ভিডিও ব্যবহার করেও ভুয়া তথ্যের প্রচার করা হয়েছে। এসব ভিডিওতে তারা মোস্তাফিজের বিষয়ে কথা বলেছেন বলে দাবি করা হলেও আসলে এর কিছুই ঘটেনি। 

ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাইরে মোস্তাফিজ নিয়ে এসব ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুরোনো সাক্ষাৎকারের ভিডিও যুক্ত করতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট।  

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেসময় ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। 

এই এক ভিডিওই দুই বার ব্যবহার করে একবার দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনা ফিজকে পুরো আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছেন। আরেকবার দাবি করা হয়েছে, তিনি আইপিএলে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে তাকে গাড়ি-বাড়িসহ পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অথচ শেখ হাসিনা এ যাবতকালে কাটার মাস্টারকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করেছেন, এমন তথ্য মেলেনি গণমাধ্যমে।

মোস্তাফিজকে নিয়ে প্রচারিত ভিডিওগুলো বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট দেখেছে, ধোনির পুরোনো চারটি ভিডিও (১, ২, ৩, ৪) ব্যবহার করে দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি মোস্তাফিজকে নিয়ে এসব ভিডিওতে কথা বলেছেন। কিন্তু ধোনিকে প্রকাশ্যে এখন পর্যন্ত মোস্তাফিজ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করার খবর গণমাধ্যমে আসেনি। এমনকী মাহেন্দ্র সিং ধোনি চলতি বছরের আইপিএলের কোনো ম্যাচেই এখনো সংবাদ সম্মেলনে আসেননি।

তবে শুধু যে পুরোনো ভিডিওকেই এসব ভুয়া ভিডিওকে বিশ্বাসযোগ্য করতে হাতিয়ার বানানো হচ্ছে, তা নয়। অন্যের মুখমণ্ডলের ওপর আরেকজনের মুখমণ্ডল বসিয়ে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর সহায়তা নিয়েও এসব ভুয়া ভিডিও প্রচার হচ্ছে।

এমন বিষয়ও লক্ষ্য করা গেছে, এ বছর মোস্তাফিজ আইপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে সেরা হলেও সে ম্যাচ বা এরপরের কোনো ম্যাচেই তাকে ইন্টারভিউ বা সংবাদ সম্মেলনে আসতে দেখা যায়নি। কিন্তু ফিজ আইপিএলে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন এমন একটি ভিডিও এআই-এর মাধ্যমে বানিয়ে ভুয়া তথ্যের প্রচার করা হয়েছে।

রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট মোস্তাফিজের এবারের আইপিএল মিশন নিয়ে যে ৪০টি ভিডিও বিশ্লেষণ করেছে তার মধ্যে ৩৯টিরই মূল উৎস ইউটিউব। বাকি একটি ভিডিওর উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম ইউটিউবের ১১টি চ্যানেল থেকে এসব ভিডিও সংগ্রহ করে টিকটকে প্রকাশ করা হয়েছে৷ 

এসব ভিডিও প্রথম প্রকাশের পর ইউটিউবে সর্বমোট ২৫ লাখ ৮৫ হাজারের কিছু বেশিবার দেখা হলেও টিকটকে গিয়ে এসব ভিডিও দেখার হার প্রায় ছয় গুণ বেড়ে হয়েছে এক কোটি ৫১ লাখ ১৫ হাজারের কিছু বেশি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্লাটফর্মগুলোর কারিগররা সবসময়ই সচেষ্ট বলে দাবি করলেও সেটা ঠিক কতটুকু কার্যকর ভূমিকা রাখছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে৷ কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এই প্লাটফর্মে যে পরিমাণ ব্যবহারকারী বেড়েছে সে তুলনায় ভুয়া তথ্যের প্রবাহ বন্ধের কার্যক্রম একেবারেই কম।

অমিয়/

সৌভাগ্যের জন্য বিমানের ইঞ্জিনে কয়েন নিক্ষেপ, ৪ ঘন্টা দেরিতে ছাড়লো ফ্লাইট

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
সৌভাগ্যের জন্য বিমানের ইঞ্জিনে কয়েন নিক্ষেপ, ৪ ঘন্টা দেরিতে ছাড়লো ফ্লাইট

সানিয়া থেকে বেইজিংগামী চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে চার ঘণ্টা দেরি হয়েছে।

সিএনএনের তথ্যানুসারে, বুধবার (৬ মার্চ) চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের বেইজিংগামী ফ্লাইট সিজেড ৮৮০৫ সকাল ১০টায় উড্ডয়নের কথা থাকলেও এক যাত্রীর বিমানের ইঞ্জিনের কয়েন ফেলার কারণে ফ্লাইটটি চার ঘণ্টা দেরি হয়।

চীনের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন কেবিন ক্রু কয়েন নিক্ষেপের সন্দেহে এক যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। সেই যাত্রী সৌভাগ্যের জন্য তিন থেকে পাঁচটি কয়েন নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেন। তবে সেই ভিডিওতে সেই যাত্রী পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এই ঘটনায় চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স সেই যাত্রীকে পুলিশে সোপর্দ করে এই কুসংস্কারের কাজের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। 

এর আগে ২০২১ সালে চীনেই আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। ওয়াং নামে এক যাত্রী বিমানের ইঞ্জিনে কয়েন নিক্ষেপ করলে সৌভাগ্য আসবে, এই বিশ্বাসে লাল কাগজে মোড়ানো কয়েকটি কয়েন ছুড়েছিলেন। সৌভাগ্যবশত, বিমানবন্দরের কর্মীরা বিমানটি উড্ডয়নের আগে রানওয়েতে কিছু কয়েন দেখে তারা ক্রুদের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। যার ফলে ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছিল। সূত্র: এনডিটিভি

ম্যানহোলের ইতিহাস জানেন? কেন এর নাম ম্যানহোল?

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:২৭ পিএম
ম্যানহোলের ইতিহাস জানেন? কেন এর নাম ম্যানহোল?
ম্যানহোল

রাস্তায় ম্যানহোলের ঢাকনা না থাকলে প্রথমেই আমরা ভাবি কেউ এর ঢাকনা চুরি করে নিয়ে গেছে। কিংবা খোলা দেখলে মনে করি এর ভেতরে ঢুকে ড্রেন পরিষ্কার করা হবে।

যে বিষয়টির দিকে আমরা তেমন মনোযোগ দিই না তা হলো, ম্যানহোলের ঢাকনাগুলো গোলাকার কেন? কেন সেগুলো বর্গাকার বা ত্রিভুজাকার নয়? এর নামই বা ‘ম্যানহোল’ রাখা হলো কেন?

লাইভ সায়েন্স অ্যাটলাস অবসকুরা ওয়েবসাইটকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ১৯ শতকে শহরগুলোতে ভূগর্ভস্থ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরির করা শুরু হয়। সে যুগের প্রকৌশলীরা বুঝতে পেরেছিলেন, বারবার ভেতরে গিয়ে তাদের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পরীক্ষা করতে হবে।

পরে শহরগুলোতে গর্ত খোঁড়া শুরু হয় যেন লোকেরা ভেতরে যেতে পারেন। সেই সময়ে এই কাজ শুধু পুরুষরাই করত। তাই এই গর্তগুলোর নাম হয়ে যায় ‘ম্যানহোল’।

এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোসে স্টেট ইউনিভার্সিটি ডিজাইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জোশ নেলসন বলেছেন, ম্যানহোল গোল করার জন্য ব্যবহারিক, কার্যকরী, প্রকৌশল এবং অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের মতো অনেক কারণ দায়ী।

ম্যানহোলের গোল ঢাকনাগুলো গোলাকার হওয়ার কারণ সম্পর্কে যা জানা যায় তা হলো-

ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে সারাবিশ্বেই ম্যানহোলের ঢাকনা সাধারণত গোল হয়। ঢাকনার এই আকার কিছুটা ঐতিহ্যগত। কারণ যেসব সমস্যার সমাধানের জন্য আগে গোলাকার ঢাকনা ব্যবহার করা হতো, তার অনেকগুলোই এখন খুব সহজেই সমাধান করা সম্ভব। তবু এখনো রীতির ব্যাপারটিই বড়।

তা ছাড়া, বর্গাকার, ত্রিভুজাকার কিংবা আয়তাকার ঢাকনার চেয়ে গোলাকার ঢাকনা তৈরি করা সহজ। ঢাকনাগুলো বেশ ভারী ও গোলাকার হওয়ায় খুব সহজেই রোল করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়া যায়। তবে অন্য কোনো আকৃতির হলে প্রতিবারই এটিকে কোনো কিছুর সাহায্যে তুলে পরিবহন করতে হতো। 

এ ছাড়া ঢাকনা গোল হওয়ার আরেকটি সুবিধা হচ্ছে ম্যানহোলের মুখে এই ঢাকনা লাগানো খুব সহজ। এই কাজে একজনের বেশি মানুষের প্রয়োজন হয় না। চতুষ্কোণ আকৃতির হলে চার কোনায় চারজনকে থেকে ঢাকনাটিকে কোনা বরাবর ফিটিং করতে হতো।

আর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, ঢাকনা গোলাকার হওয়াতে এটি কোনো অবস্থাতেই ম্যানহোলের ভেতরে পড়ে যাবে না। সাধারণত ম্যানহোলের মুখের চেয়ে ঢাকনার আকার সামান্য বড় থাকে। তাই মুখে ঠিকমতো ফিটিং না হলেও ঢাকনাটি কোনোভাবে ম্যানহোলের ভেতরে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে অন্য যেকোনো আকৃতির ঢাকনার ক্ষেত্রে তা সম্ভব।

পপি/অমিয়/

রোগীর নাক থেকে বেরোল দেড় শতাধিক জীবন্ত পোকা

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম
রোগীর নাক থেকে বেরোল দেড় শতাধিক জীবন্ত পোকা
ছবি : সংগৃহীত

রোগীর নাকের ভেতরে দেড় শতাধিক জীবন্ত পোকা দেখে চমকে গেলেন চিকিৎসকরা। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়।

জানা যায়, গত বছরের অক্টোবর থেকেই শরীর ভাল ছিল না ওই রোগীর। চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। রোগীর মুখ ফুলে যায়, নাক থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়। অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে এইচসিএ ফ্লোরিডা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি।

এরপর হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার শারীরিক পরীক্ষা করে হতবাক হয়ে যান।

হাসপাতালের চিকিৎসক ডেভিড কার্লসন বলেন, ‘রোগীর নাকের ভেতরে লার্ভার ঝাঁক দেখতে পাই আমরা। শুধু তাই নয়, হালকা গোলাপী রঙের আঙুলের মতো বড় বড় পোকাও বেরিয়ে আসতে তাকে নাক থেকে। পোকাগুলো নাসিকাগহ্বরে বংশবিস্তার করে ফেলেছিল। এই পোকাগুলো ইতোমধ্যেই রোগীর মস্তিষ্কের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। কান, চোখের মতো বিভিন্ন অঙ্গেও তাদের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটা একটা করে পোকা বের করেছি। যদি পোকাগুলো মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তো তাহলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারতো। তবে সফলভাবে অস্ত্রোপচার করতে পেরে আমরা খুশি।’

এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রোগী। তবে রোগীর নাকে পোকার কী ভাবে বাসা বাঁধলো তার কারণ এখনও জানা যায়নি। 

এই রোগী পেশায় মাছ বিক্রেতা। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, মরা মাছ ধরে ভালো করে হাত না ধুয়ে সেই হাত হয়তো নাকে দিয়েছিলেন তিনি। সে কারণেই হতে পারে এমন পরিণতি।

সাদিয়া নাহার/অমিয়/