ঢাকা ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ০১ জুন ২০২৪

পতিসরে রবীন্দ্র জন্মোৎসব উদযাপন

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১২:১৮ পিএম
পতিসরে রবীন্দ্র জন্মোৎসব উদযাপন
ছবি : খবরের কাগজ

নওগাঁর পতিসরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মোৎসব। প্রতি বছরের মতো এবারও দেবেন্দ্র মঞ্চে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল।

বুধবার (৮ মে) বিকেলে কবির নিজস্ব জমিদারি কালীগ্রাম পরগনার কাছারিবাড়ির আঙ্গিনায় দেবেন্দ্র মঞ্চে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে তিনি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন- নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, নওগাঁ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্রুহানী সুলতান, নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব ও আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন রবীন্দ্র গবেষক ড. আশরাফুল ইসলাম।

এ ছাড়া নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম খাঁন, কৃষি অর্থনীতি গবেষক অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন আলোচনায় অংশ নেন।

আলোচকরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মময় জীবনী তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম বাঙালিকে আলোর পথ দেখায়।

আলোচকরা বলেন- বিশ্বকবি পতিসর কাছারিবাড়ির আঙিনায় বসে অসংখ্য সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেছেন। রবীন্দ্রনাথ জমিদার হয়েও সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে নিবেদন করতেন। তৎকালীন সমাজের বৈষম্য ও কুসংস্কার দূর করে স্বনির্ভর সমাজ করে গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছিলেন। নিজস্ব জমিদারি কালীগ্রাম পরগনা থেকেই সে কাজ তিনি শুরু করেছিলেন। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি কবি সকল বঞ্চনার মুক্তির পথ দেখিয়েছেন।

আলোচনা শেষে দেবেন্দ্র মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। শিল্পীরা রবীন্দ্র সৃষ্টিকর্ম থেকে আবৃত্তি, গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

শফিক ছোটন/অমিয়/

খেয়াল, ঠুমরি ও বন্দিশে সুরেলা সন্ধ্যা

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ০১:০৮ এএম
খেয়াল, ঠুমরি ও বন্দিশে সুরেলা সন্ধ্যা
ছবি : সংগৃহীত

রাগ ভূপালি ও কল্যাণ ঠাটে শিল্পী শোনালেন খেয়াল৷ ঠাট মরবায় অপ্রচলিত রাগ রাগ জ্যায়েতও পরিবেশিত হলো সে সন্ধ্যায়৷ সম্মেলক কণ্ঠে তরুণ শিল্পীরা শোনালেন রাগ ইমন৷ পরে শাস্ত্রীয় নৃত্য গৌড়ীয়, ভরতনাট্যম, কথক, ওড়িশিতে স্রষ্টার স্বরূপ অন্বেষণ করলেন নৃত্যশিল্পীরা৷ 

সংগীত এবং নৃত্যের অপূর্ব যুগলবন্দিতে শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে পর্দা নামলো ষোড়শ শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবের৷ 
 
শাস্ত্রীয় সংগীত এবং নৃত্যের প্রসার প্রচার এবং নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের শাস্ত্রীয় সংগীত এবং নৃত্যের চর্চায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে গত ২৬ মে শুরু হয়েছিলো এই নৃত্য উৎসব৷ শুরুতে তিনদিনব্যাপী উৎসব আয়োজনের কথা থাকলেও পরে সময়সীমা আরও দুইদিন বাড়ানো হয়৷ 

সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে শিল্পকলা একাডেমির শাস্ত্রীয় সংগীত কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীরা রাগ ভূপালী ও  কল্যাণ ঠাটে খেয়াল পরিবেশন করেন৷ সংগীত পর্বে অন্তরা মন্ডল পরিবেশন করেন রাগ মধুবন্তীতে পরিবেশন করেন বন্দিশ 'কাহে মান করো সখিরী আব'।  রাগ মধ্যমজান পিলু-মিশ্রতে  উর্বী সোম পরিবেশন করেন ঠুমরি। সম্বাদী স্বর পঞ্চম ও  ষড়জ,  ঠাট মরবায় অপ্রচলিত রাগ রাগ জ্যায়েত পরিবেশন করেন এফ এম রেজোয়ান আলী। ইমামুর রশিদ রাগ ভূপালীতে ধ্রুপদ পরিবেশন করেন৷ ধ্রুপদ পরিবেশন করেন  এ.কে. এম কৌশিক আহমেদ। 

নৃত্য পর্বে দেশ রাগে গৌড়ীয় নৃত্যে মার্গের দ্বিতীয় পর্যায়ের নৃত্য আলাপচারী পরিবেশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক র‍্যাচেল প্যারিস৷ 

ত্রিতালে কথক শুদ্ধ নৃত্য  পরিবেশন করবেন নৃত্যকলা বিভাগের প্রভাষক দীপা সরকার। 

ভরতনাট্যমে জুয়েইরিয়াহ মৌলি এদিন রাগ কল্যানী, তাল আদিতে পরিবেশন করেন 'নৃত্যাঞ্জলি'। স্তুতিমূলক নৃত্যে ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর মাহাত্ম্য উপস্থাপিত হয়৷ পরে 'রাগ মালিকা এবং তাল আদিতে মৌলি পরিবেশন করেন ভরতনাট্যম 'অর্ধনারীশ্বর'। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের আদি পিতা পুরুষ ও আদি মাতা প্রকৃতিকে বন্দনা করা হয় এ নৃত্যে৷ 

ভরতনাট্যমের আঙ্গিক মার্গমের প্রথম পর্যায়ের অভিনয়নির্ভর 'শব্দম' পরিবেশনা করে কল্পতরু। 

রাগ মালিকা এবং তাল মিশ্র চাপুতে নিবদ্ধ এই নৃত্য নির্মিতেতে ভগবান কার্তিকের গুণগান করেন শিল্পীরা৷ 

ভরতনাট্যমে  'নারায়ণ কৌতুভম' পরিবেশন করেন মোহনা মীম।

পরে মনিপুরি নৃত্যে 'লৈমা জাগোয়' পরিবেশন করে সিলেটের একাডেমি ফর মনিপুরী কালচার অ্যান্ড আর্টস। দেবদেবীর সন্তুটি বিধানের এ নৃত্যে ঢোলের তালে শুদ্ধ মনিপুরী নৃত্যের মুদ্রা ফুটিয়ে তুলেন শিল্পীরা৷ 

মনিপুরী নৃত্যের লাস্য ও তান্ডব দুই আঙ্গিকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের স্বরূপ মুদ্রিত হয় নৃত্যদল ভাবনার পরিবেশনায়৷ 

প্রবন্ধ গীতনির্ভর এ নৃত্য নির্মিতিতে মঙ্গলস্তুতি পরিবেশনায় মুগ্ধ করেন সামিনা হোসেন প্রেমা ও তার সহশিল্পীরা৷ এদিন মনিপুরী নৃত্য পরিবেশন করেন সুদেষ্ণা স্বয়ংপ্রভা।

ওডিসি নৃত্যে 'মোক্ষ' পরিবেশন করেন  ফারজানা ইয়াসমিন। কথকে 'শিববন্দনা', 'নৃত্যাঙ্গ' ও 'তারানা' পরিবেশন করেন শেখ আবিদুর রহমান কচি৷ 

শেষে শিল্পকলা একাডেমির তরুণ দলের ইমন রাগ পরিবেশনায় শেষ হয় এ আয়োজন৷ 

সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম এক শতাংশ দাবি উদীচীর

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ১১:০৫ পিএম
সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম এক শতাংশ দাবি উদীচীর
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম এক শতাংশ দাবি করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে ‘জাতীয় বাজেট: সংস্কৃতি খাতে এক শতাংশ বরাদ্দের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক উদীচীর এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 

উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন মামুনুর রশিদ, মফিদুল হক, ম. হামিদ, এম এম আকাশ, ফওজিয়া মোসলেম, মানজারে হাসিন মুরাদ, আসিফ মুনীর তন্ময়সহ বরেণ্য সংস্কৃতিজন এবং সংগঠকরা। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি মাহমুদ সেলিম। 

মূল প্রবন্ধে অমিত রঞ্জন দে বলেন, ‘অর্থনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে বিগত কয়েক বছর ধরে দাবি উঠছে সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম ১ ভাগ বরাদ্দ দেওয়ার। কিন্তু তা শূন্য দশমিক শূন্য ৯ থেকে শূন্য দশমিক ১৬ ভাগের ওপরে উঠেনি কোনোভাবে।’

সংস্কৃতি বাজেটের সিকিভাগ শিল্পকলা একাডেমিতে বরাদ্দ থাকায় তারও সমালোচনা করেন অমিত। তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বাজেটের জন্য বরাদ্দের একটা অংশ শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।  কিন্তু দেখা গেছে, প্রায় সবগুলো অনুষ্ঠানই হয়েছে শিল্পকলার চৌহদ্দিতে মিলনায়তনের ভেতরে হয়, যেখানে সাধারণ মানুষের যাতায়াত নেই বললেই চলে। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ শিল্পকলা একাডেমির দরজায় দাঁড়িয়ে ভেতরে কী হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করে। ভেতরে গিয়ে দেখার সাহস তাদের নেই। অথচ সংবিধানের ২৩ নং অনুচ্ছেদে সর্বস্তরের জনগণ যাতে জাতীয় সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে এবং অংশগ্রহণের সুযোগ পায় সে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।’

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ‘আমরা যদি সংস্কৃতির ক্রমবর্ধমান বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধনে ব্যর্থ হই তাহলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যতই হোক না কেন তা এক সময় বালির বাঁধের মতো ভেঙে পড়বে। সুতরাং সবার আগে এই খাতকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিতে হবে।’

সেমিনারে অন্য বক্তারা বলেন, ‘প্রতিবছর জাতীয় বাজেটের আকার বাড়ছে, কিন্তু সংস্কৃতির কাঠামো-পরিকাঠামো বাড়ছে না। মহান মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনা ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও সমাজতন্ত্র অভিমুখী আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের যে স্বপ্নকল্প তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাজেট প্রণীত হচ্ছে না। যতটুকু যা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে তা অবকাঠামো নির্মাণে সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। সেখানে চলছে অবাধ লুটপাট এবং নির্ধারিত সময়ে কাজটি সম্পন্ন না করতে পারায় প্রাক্কলন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

তারা আরও বলেন, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সংস্কৃতিকর্মীরা সম্মুখসারিতে ছিলেন। কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর রাজনৈতিক ব্যক্তিরা চলে গেলেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে আর সংস্কৃতিকর্মীরা পড়ে থাকলেন রাজপথে। সংস্কৃতি বাজেট যারা করেন তারা সংস্কৃতি বোঝেন কি না সে প্রশ্ন তোলেন বক্তারা। 

সংস্কৃতিজনরা বলেন, ধর্মীয় মৌলবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার মাশুল দিতে হবে রাষ্ট্রকে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে সংস্কৃতি খাতে বাজেট বরাদ্দের দাবি জানান বক্তারা। 

জয়ন্ত/এমএ/

রাজধানীতে বই বিনিময় উৎসব ৭ জুন

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
রাজধানীতে বই বিনিময় উৎসব ৭ জুন

সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সাহিত্যপিডিয়ার প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বই বিনিময় উৎসব।

আগামী শুক্রবার (৭ জুন) সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

যেখানে লোকসংগীত, কাওয়ালি ও ব্যান্ড সংগীতের মনোজ্ঞ পরিবেশন হবে বলে জানা গেছে।

সংগঠনটি ২ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে দিনটি কর্মব্যস্ত হওয়ায় সাহিত্যপিডিয়ার উপদেষ্টারা আগামী ৭ জুন ছুটির দিনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের পরিকল্পনা করেছেন। 

উৎসবে সব শ্রেণির বইপড়ুয়া ব্যক্তিরা নিজের সংগ্রহে থাকা পঠিত বইয়ের পরিবর্তে উৎসবস্থলে সাজিয়ে রাখা গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, জীবনী, ধর্মীয়, মোটিভেশনাল, বিজ্ঞান, শিশুতোষ, একাডেমিক ও ম্যাগাজিনসহ নতুন-পুরোনো বইয়ের মধ্য থেকে কাঙ্ক্ষিত বই নিতে পারবেন। 

এ বিষয়ে সাহিত্যপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ইব্রাহীম নিরব বলেন, ‘আমাদের বই বিনিময়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ হাজারেরও বেশি। এজন্য বই বিনিময় উৎসবের কোনো ধরাবাধা নিয়ম থাকবে না। একজন বইপ্রেমী নিজের নিয়ে আসা সমপরিমাণ বই বিনিময় করতে পারবেন। তবে গণনার সুবিধার্থে উৎসবের এন্ট্রিবুথে একদফায় সর্বোচ্চ ১০টি করে বই এন্ট্রি করে হাজারবার পাঠক তার প্রদত্ত বইয়ের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বই বিনিময় করতে পারবেন। উৎসবের আসল আমেজ দেখা যাবে, যখন পাঠকের দেওয়া বইটি তুলে নেবে অন্য কোনো বইপ্রেমী। মূলত এভাবেই চলবে বই বিনিময় উৎসব। আমরা চাই, বই নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হোক, লেখক পাঠকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ছড়িয়ে পড়ুক বইয়ের কথা।’

বই বিনিময়ের পাশাপাশি দিনটিকে উৎসবমুখর করে রাখার জন্য বইপ্রদর্শনী ও বিক্রয়, লেখক হয়ে ওঠার গল্প, ইন্সট্যান্ট বুক রিভিউ প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, সাহিত্যকুইজ প্রতিযোগিতা, র‍্যাপিড ফায়ার প্রশ্নোত্তর, লেখক-পাঠক আড্ডা এবং সাহিত্য সমালোচনা বক্তব্য থাকবে। 

এ ছাড়া ছবি তোলার জন্য থাকবে ফটোবুথ। উৎসবের বাকি অংশে মানসিক প্রশান্তির জন্য ‘সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’ সেগমেন্টে লোকগান, কাওয়ালি ও ব্যান্ড সংগীতের মনোজ্ঞ পরিবেশনা থাকবে। 

অতিথিদের তালিকায় আছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক সেলিনা হোসেন, কবি ও অধ্যাপক শাহজাহান শাজু এবং লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক ইমরান মাহফুজ, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও কবি মাহমাদুর রহমান মান্না এবং বরেণ্য লেখক, চিন্তাবিদ ও অধ্যাপক আসিফ নজরুল, লেখক ও সংগঠক নাজনীন মোসাব্বের। 

এ ছাড়া অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে থাকবেন বাংলাদেশ পুস্তক সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম। আরও থাকার কথা রয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি, লেখক, সংগঠক ও সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিনের।

শিক্ষক, শিক্ষার্থী, লেখক, প্রকাশক, বিক্রেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ এ উৎসবে উপস্থিত থাকবেন।

পপি/

জন্মদিনে সহকর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত কথাসাহিত্যিক-সম্পাদক মোস্তফা কামাল

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
জন্মদিনে সহকর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত কথাসাহিত্যিক-সম্পাদক মোস্তফা কামাল
দৈনিক খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামাল তার জন্মদিনে অফিস সহকর্মীদের সঙ্গে কেক কাটেন। ছবি : খবরের কাগজ

দৈনিক খবরের কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামালের জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে আজ ৩০ মে। খবরের কাগজের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে সব বিভাগের কর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় সাংবাদিকদের কেউ গান গেয়ে, আবার কেউ আবৃত্তি করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। সহকর্মীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন মোস্তফা কামাল। 

অনুষ্ঠানে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের আন্ধারমানিক গ্রামে জন্ম নেওয়া আলোকিত মানুষ মোস্তফা কামালকে নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পত্রিকার মাল্টিমিডিয়া বিভাগ থেকে প্রস্তুত করা এই প্রামাণ্যচিত্রে তার জন্ম, জন্মভিটা, বেড়ে ওঠা, পিতা-মাতার সান্নিধ্য, পারিবারিক পরিচয়, একাধারে সফল সাংবাদিক ও লেখক হয়ে ওঠার চিত্র তুলে ধরা হয়।

অব্যাহতভাবে সাংবাদিকতায় অবদান রেখে যাওয়া এবং একই সঙ্গে সাহিত্যের নানা শাখা নাটক, উপন্যাস, গল্প, শিশুসাহিত্য, রম্যরচনা, কবিতা, কলাম, সায়েন্স ফিকশন নিয়ে লেখা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মীদের প্রশংসায় ভাসেন মোস্তফা কামাল। জবাবে তিনি বলেন, ‘এর জন্য একসময়ে আমার মায়ের, আর এখন স্ত্রীর বড় ভূমিকা রয়েছে।’

খবরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক তৌফিক মারুফের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কথাসাহিত্যিক ও সম্পাদক মোস্তফা কামালের সহধর্মিণী মিনু আফরোজ ও খবরের কাগজের প্রধান বার্তা সম্পাদক খালেদ ফারুকী। অনুষ্ঠানে মোস্তফা কামালের জন্মদিন উপলক্ষে আজই লেখা পত্রিকার কপি এডিটর ও জাতীয় প্রেসক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কবি হাসান হাফিজের একটি কবিতা আবৃত্তি করেন চন্দনা বিশ্বাস। এ ছাড়া সংগীত পরিবেশ করেন অঞ্জন আচার্য ও শাহনাজ পারভীন এলিস। 

পরে মোস্তফা কামাল জন্মদিনের কেক কাটেন এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে পত্রিকার সব কর্মীর এবং তাদের পরিবারের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করেন। খবরের কাগজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই স্বল্প সময়ে খবরের কাগজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। নতুন পত্রিকাটি এ সময়ে যতখানি এগিয়েছে, আর পিছপা হওয়ার কোনো কারণ নেই।’ এ সময় তিনি পত্রিকার সব কর্মীকে যার যার ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

জন্মদিন উপলক্ষে দিনভর শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনেকে সশরীরে সাক্ষাৎ করে, আবার অনেকে সামাজিকমাধ্যমেও তাকে শুভেচ্ছা জানান। 

সম্পাদকের স্কেচ এঁকে উপহার দেন শিল্পী নিয়াজ চৌধুরী তুলি। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনা এবং তত্বাবধানে ছিলেন ব্র্যান্ড অ্যান্ড অ্যাক্টিভেশন বিভাগের ইনচার্জ আতিয়া সুলতানা।

প্রসঙ্গত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামাল বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও রাজনীতি আশ্রিত উপন্যাস নির্মাণে মোস্তফা কামাল বাংলাদেশে অনন্য ও নিজস্ব জায়গা করে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে লিখেছেন একের পর এক উপন্যাস। বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষে কলকাতার স্বনামধন্য আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার রচিত ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘বঙ্গবন্ধু’। তার বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে অগ্নিকন্যা, অগ্নিপুরুষ ও অগ্নিমানুষ। বাঙালির জীবনে কালো অধ্যায় ১৯৭৫ সালের পটভূমিও তিনি তুলে এনেছেন উপন্যাসে। ব্যতিক্রমী এই উপন্যাসটির নাম ‘১৯৭৫’। গত একুশের বইমেলায় তার লেখা ইতিহাস আশ্রয়ী উপন্যাস ‘কারবালা উপাখ্যান’-এর তিনটি মুদ্রণ প্রকাশিত হয়েছে। 

মোস্তফা কামালের শৈশব-কৈশোর কেটেছে বেশ বৈচিত্র্যময় গ্রামীণ পরিবেশে। দেখেছেন অনেক ভাঙা-গড়া। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের সাক্ষী হয়েছে তার শিশু-কিশোর মন। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইংরেজি সাহিত্য ছিল তার বিষয়।

লেখকের প্রথম উপন্যাসের নাম ‘পাপের অধিকার’। প্রথম গল্প ‘বীরাঙ্গনার লড়াই’। প্রথম বিদ্রুপাত্মক ও রম্য বই ‘পাগল ছাগল ও গাধাসমগ্র’। প্রথম নাটকের নাম ‘প্রতীক্ষার শেষ প্রহর’। প্রথম গবেষণামূলক বই ‘আসাদ থেকে গণ-অভ্যুত্থান’। সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতায় বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

কথাসাহিত্যের পাশাপাশি সাংবাদিকতায়ও বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। এর আগে মোস্তফা কামাল দৈনিক কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাংবাদিক হিসেবে তিনি আফগানিস্তানে যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি, নেপালে রাজতন্ত্রবিরোধী গণ-অভ্যুত্থান, পাকিস্তানে বেনজির ভুট্টো হত্যাকাণ্ড ও শ্রীলঙ্কায় তামিল গেরিলা সংকট কভার করে ব্যাপক আলোচিত ও প্রশংসিত হন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেছেন।

কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামালের জন্মদিন আজ

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ১১:৫১ এএম
কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামালের জন্মদিন আজ
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও দৈনিক খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামাল

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও দৈনিক খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামালের জন্মদিন আজ ৩০ মে। তিনি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামে আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন। প্রায় তিন দশক ধরে লেখালেখিকে ধ্যানজ্ঞান করে নিয়েছেন বেশ কয়েকটি আলোচিত উপন্যাসের এই স্রষ্টা।

সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার স্বচ্ছন্দ বিচরণ। উপন্যাস, গল্প, শিশুসাহিত্য, রম্যরচনা, কবিতা, কলাম, সায়েন্স ফিকশন লিখে চলেছেন দুহাতে। নন-ফিকশন লেখালেখির জগতে গবেষণা ও রাজনৈতিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনায়ও তিনি রেখেছেন মেধা ও মনীষার স্বাক্ষর। শিশু-কিশোরদের উপযোগী গল্প-উপন্যাসও লিখেছেন সাবলীল উপস্থাপনায়। তার লেখা টিভি নাটকও দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও রাজনীতি আশ্রিত উপন্যাস নির্মাণে মোস্তফা কামাল বাংলাদেশে অনন্য ও নিজস্ব জায়গা করে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে লিখেছেন একের পর এক উপন্যাস। বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষে কলকাতার স্বনামধন্য আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার রচিত ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘বঙ্গবন্ধু’। তার বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে অগ্নিকন্যা, অগ্নিপুরুষ ও অগ্নিমানুষ। বাঙালির জীবনে কালো অধ্যায় ১৯৭৫ সালের পটভূমিও তিনি তুলে এনেছেন উপন্যাসে। ব্যতিক্রমী এই উপন্যাসটির নাম ‘১৯৭৫’। গত একুশের বইমেলায় তার লেখা ইতিহাস আশ্রয়ী উপন্যাস ‘কারবালা উপাখ্যান’-এর তিনটি মুদ্রণ প্রকাশিত হয়েছে। 

মোস্তফা কামালের শৈশব-কৈশোর কেটেছে বেশ বৈচিত্র্যময় গ্রামীণ পরিবেশে। দেখতে হয়েছে অনেক ভাঙাগড়া। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের সাক্ষী হয়েছে তার শিশু-কিশোর মন। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইংরেজি সাহিত্য ছিল উচ্চশিক্ষার বিষয়।

লেখকের প্রথম উপন্যাসের নাম ‘পাপের অধিকার’। প্রথম গল্প ‘বীরাঙ্গনার লড়াই’। প্রথম বিদ্রুপাত্মক ও রম্য বই ‘পাগল ছাগল ও গাধাসমগ্র’। প্রথম নাটকের নাম ‘প্রতীক্ষার শেষ প্রহর’। প্রথম গবেষণামূলক বই ‘আসাদ থেকে গণ-অভ্যুত্থান’। সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতায় বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

কথাসাহিত্যের পাশাপাশি সাংবাদিকতায়ও বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি দৈনিক খবরের কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক। এর আগে মোস্তফা কামাল দৈনিক কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাংবাদিক হিসেবে তিনি আফগানিস্তানে যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি, নেপালে রাজতন্ত্রবিরোধী গণ-অভ্যুত্থান, পাকিস্তানে বেনজির ভুট্টো হত্যাকাণ্ড ও শ্রীলঙ্কায় তামিল গেরিলা সংকট কভার করে ব্যাপক আলোচিত ও প্রশংসিত হন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেছেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক।