![শাস্ত্রীয় সংগীত-নৃত্যের যুগলবন্দিতে শিল্পকলায় ৪ দিনব্যাপী উৎসব](uploads/2024/05/26/Untitled-1716734331.jpg)
গৌড়ীয় নৃত্যে বন্দিত হলেন দেবী সরস্বতী, ভরতনাট্যমে বর্ণিত হলো দ্বাপর যুগ; কথকে চিত্রিত হলো ভারতের লোকজ জীবন। ওড়িশি নৃত্যে স্রষ্টা চরণে শিল্পীর নিজেকে সমর্পণের দৃশ্যও মঞ্চস্থ হলো। একই মঞ্চে রাগ মারু বেহাগ, রাগ বাগ্রেশী, রাগ ইমনের পরিবেশনায় শ্রোতাদের মোহাবিষ্ট করে রাখলেন এই প্রজন্মের শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পীরা।
শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের অপূর্ব যুগলবন্দিতে রবিবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় শুরু হয়েছে ১৬শ শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব।
চার দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনে গতকাল প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক আফতাবউদ্দিন হাবলু।
শুরুতে শিল্পকলা একাডেমির শিশু-কিশোর সংগীত দল পরিবেশন করে। পরে শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদল ও প্রশিক্ষণার্থীরা পরিবেশন করেন সমবেত নৃত্য ‘নৃত্যাঞ্জলি’। নৃত্য পরিচালনা করেন বর্নালী মহন্ত, সাজু আহমেদ, বেনজির সালাম, অমিত চৌধুরী এবং র্যাচেল প্রিয়াঙ্কা প্যারিস।
শাস্ত্রীয় ও নৃত্য উৎসবের প্রথম দিনের আসরে গৌড়ীয় নৃত্যে ‘সরস্বতী বন্দনা’ পরিবেশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক র্যাচেল প্রিয়াঙ্কা প্যারিস। রাগমালা ও তালগুচ্ছতে তিনি বন্দনা করেন জ্ঞানের দেবী সরস্বতীকে। এই নৃত্যে তিনি মাটির সরা ও চামর ব্যবহার করেন। মাটির সরায় বোঝানো হয়েছে ধরিত্রীকে, পঞ্চভূতকে পবিত্র করা হয় চামর দিয়ে।
পাখোয়াজ অঙ্গের ১৪ মাত্রার তাল ধামারে কথক নৃত্য মেলবন্ধন পরিবেশনা করেন শিল্পী এস এম হাসান ইশতিয়াক ইমরান।
রাগ আটানা এবং তাল আদিতে মারিয়া ফারিহ্ উপমা পরিবেশন করেন ভরতনাট্যম ‘কৃত্তানাম’। রাগ ভৈরবী ও তাল একতালিতে তজিম চাকমা পরিবেশন করেন ওড়িশি নৃত্য প্রযোজনা ‘মোক্ষ’। চেম্পাটা, ত্রিপুটা, ঝাম্পা এবং পাঞ্চারী- এই চার তালে কথাকলিতে ‘তোডায়াম’ পরিবেশন করেন মো. রোমন ইসলাম।
মণিপুরী নৃত্যে ‘পুং চলন’ পরিবেশন করে বাংলাদেশ মণিপুরি নটপালা সংগঠন। র্যাচেল প্রিয়াঙ্কা প্যারিসের নৃত্য প্রযোজনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ গৌড়ীয় নৃত্য একাডেমিতে।
আলোচনা পর্বের পরে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। রাগ ইমন পরিবেশন করেন সুপ্রিয়া দাশ। অসিত কুমার দে পরিবেশন করেন রাগ- মারু বেহাগ; কানিজ হুসনা আহম্মাদী পরিবেশন করেন রাগ বাগেশ্রী, খাম্বাজ ঠাটে অনিল কুমার সাহা পরিবেশন করেন রাগেশ্রী। শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশনায় ছিলেন রেজওয়াদুল হক ও ড. প্রদীপ নন্দী।