মেডিকেল ট্যুরিজমে প্রি-পেইড কার্ড চালু করলো ইবিএল ও মাস্টারকার্ড । খবরের কাগজ
ঢাকা ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

মেডিকেল ট্যুরিজমে প্রি-পেইড কার্ড চালু করলো ইবিএল ও মাস্টারকার্ড

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৮ এএম
মেডিকেল ট্যুরিজমে প্রি-পেইড কার্ড চালু করলো ইবিএল ও মাস্টারকার্ড
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মেডিক্যাল ট্যুরিজমের জন্য যৌথভাবে প্রি-পেইড কার্ড চালু করেছে ইস্টার্ন ব্যাংক ও মাস্টারকার্ড।

মেডিকেল ট্যুরিজমে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে মাস্টারকার্ডের সহাযোগিতায় ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি (ইবিএল) দেশে প্রথমবারের মতো একটি প্রি-পেইড কার্ড প্রবর্তন করেছে। ভারতে চিকিৎসা প্রত্যাশী বাংলাদেশী নাগরিকরা এই কার্ড ব্যবহারে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দ্বৈত কারেন্সীর এই কার্ডটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাস্টারকার্ড দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ভিকাশ ভার্মা, বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এবং ইস্টার্ন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ শাহীনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নতুন এই দ্বৈত কারেন্সী কার্ডধারীরা ভারতের দিল্লী, চেন্নাই, মুম্বাই, বেঙ্গালুর, পুনে, আহমেদাবাদ, জয়পুর ও লক্ষ্ণৌ এর ১২০টির অধিক হাসপাতালে যেকোন পরিমাণ হসপিটাল বিলের ওপর ১০ শতাংশ মূল্যছাড় সুবিধা লাভ করবেন।

উপরন্তু, কার্ডধারীরা সৌজন্যমূলক দাঁত ও চোখ চেকআপ, ভারতে অবস্থানকালে এক দিনের জন্য আগ্রার তাজমহল ভ্রমণ অথবা সিটি ট্যুর সুবিধা পাবেন।

নির্বিঘ্নে ভ্রমণকে নিশ্চিত করার মাধ্যমে নতুন এই কার্ড ব্যবহারকারীদের মেডিকেল ট্যুরিজম অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। কার্ডধারীরা ভারতে সৌজন্যমূলক এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার এবং মাস্টারকার্ড ‘ফ্লাইট ডীলে পাস’ এর সুবিধা পাবেন।

অফারগুলো পেতে হলে কার্ডধারীদের নির্দিষ্ট ইবিএল ওয়েবপেইজে একটি ট্রিটমেন্ট ইনকোয়ারি জমা দিতে হবে এবং বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃক অফারকৃত ট্রিটমেন্ট অপশন ও কস্ট এস্টিমেট থেকে নিজের জন্য সবচেয়ে উপযোগী অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। কার্ডধারী রোগীদের মেডিকেল ভিসা, হোটেল বুকিং, ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ অন্যান্য সেবা প্রদান করা হবে।

কার্ডে অন্যান্য যেসব সুবিধা অন্তর্ভুক্ত তার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের অন্যান্য স্থানে ২৪/৭ নগদ উত্তোলন, বাংলাদেশ ইস্টার্ন ব্যাংকের শত শত এবং মাস্টারকার্ডের সাত হাজারের অধিক পার্টনার মার্চেন্ট আউটলেটে বিশেষ মূল্যছাড়।

অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে মাস্টারকার্ড দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ভিকাশ ভার্মা বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে দেশীয় ও আন্তঃসীমান্ত পেমেন্টকে স্ট্রীমলাইন করতে মাস্টারকার্ডের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত হয়েছে এই সহযোগিতার মধ্য দিয়ে। এর মাধ্যমে, উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে কোনও নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদানে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ভিশনও প্রতিফলন হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এই ক্ষেত্রে যারা স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে ট্যুরিজিমকে যুক্ত করতে চান আমরা তাদের সহায়তা প্রদান করবো। বাংলাদেশের কার্ডধারীদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা ও সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নতুন এই কার্ডটি ভারতে মেডিকেল ট্যুরিজম উন্নয়নে অবদান রাখবে।’

ইবিএল অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ শাহীন বলেন, ‘মাস্টারকার্ডের সহযোগিতায় প্রথম প্রি-পেইড মেডিকেল ট্যুরিজিম কার্ড প্রবর্তন করতে পেরে আমরা গর্বিত, যা আমাদের গ্রাহকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিপ্লব বয়ে আনবে। হসপিটাল বিলের ওপর ছাড়, সৌজন্যমূলক হেলথ চেকআপ, উপভোগ্য ভ্রমণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন এবং উপভোগ্য মেডিক্যাল ট্যুরিজিম অভিজ্ঞতা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গ্রাহককেন্দ্রিক পন্য ও সেবা প্রদানে লিডার হিসেবে আমাদের অবস্থান পুনঃরায় নিশ্চিত হয়েছে এই উদ্যোগের মাধ্যমে।’

বিজ্ঞপ্তি/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগের মাধ্যম বন্ড

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১২:০৪ পিএম
নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগের মাধ্যম বন্ড
প্রতীকী ছবি

আর্থিক খাতে বিনিয়োগের জন্য অন্যতম মাধ্যম বন্ড। যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে। ব্যাংকে আমানত বা ডিপোজিট হিসেবে অর্থ রেখে যে সুদ পাওয়া যায়, সাধারণত বন্ডের মুনাফার হার তার চেয়ে কিছুটা বেশি হয়। এ কারণে বন্ডে বিনিয়োগ তুলনামূলকভাবে আকর্ষণীয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বন্ড হচ্ছে এক ধরনের ঋণপত্র। এ বন্ড বিক্রি করে সাধারণ মানুষ বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মূলধন বা অর্থ সংগ্রহ করে ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান। সরকার থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যায়ের কোম্পানি, যে কেউ বাজারে বন্ড ইস্যু বা ছাড়তে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণত ট্রেজারি বন্ড ছেড়ে মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। 

সাধারণত সরকারের হয়ে ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর সরকারের বাইরে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি যে বন্ড ইস্যু করে, তার অনুমোদন দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বা বিএসইসি। 

তবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বন্ড ছাড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও অনুমতির দরকার হয়।

দেশে এরইমধ্যে বেশ কয়েক ধরণের বন্ড চালু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে লভ্যাংশের বিচারে দুই ধরনের বন্ড - কুপনযুক্ত ও জিরো কুপন। 

কুপন বন্ড সাধারণত মুনাফার বা সুদের হার নির্দিষ্ট করে ইস্যু করা হয় এবং জিরো কুপন বন্ড অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু থেকে কম মূল্যে বা ডিসকাউন্ট রেটে ইস্যু করা হয়। এই ডিসকাউন্ট রেট বা কম অভিহিত মূল্যই বন্ড হোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ বা সুদ হিসেবে গণ্য হয়। 

জামানত রেখে বা না রেখে দুই ভাবেই বন্ড ইস্যু করা যায়। জামানত ছাড়া যে বন্ড ইস্যু করা হয় তা আনসিকিউরড বা জামানতবিহীন বন্ড নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা বন্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের সুনাম বা ব্র্যান্ডভ্যালুকে বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগ করেন। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন বা অগ্রগতির সঙ্গে সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং তা ওই বন্ডের ট্রাস্টির কাছে জমা রাখা হয় বিনিয়োগকারীর সম্পদের নিরাপত্তার জন্য।

সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ বেক্সিমকো গ্রুপ আনসিকিউরড জিরো কুপন বন্ড বাজারে ছেড়ে অর্থ সংগ্রহ করছে। এই বন্ডে বিনিয়োগ বর্তমানে তুলনামূলক লাভজনক। এখানে প্রতিমাসে মুনাফার হার ১৫ শতাংশ। বেক্সিমকো এই অর্থের অধিকাংশ ঢাকা ইপিজেড সংলগ্ন মায়ানগর নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে বিনিয়োগ করবে। 

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ৬৫০ একর অনাবাদী জমিতে স্থাপিত ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র দেশের সবচেয়ে বড় সোলার প্রকল্প। তিন হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত তিস্তা সোলার প্রকল্পে বেক্সিমকো সুকুক বন্ডের মাধ্যমে দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। 

উদ্যোক্তারা বলছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের বিনিয়োগের পুরো অর্থ উঠে আসবে। মুনাফা ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয়সহ পুরো ব্যয় উঠে আসতে আরও ৩-৪ বছর সময় লাগতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা, যা এর আগের বছর ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় ৩৯ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা বেশি। 

এর বাইরেও বন্ড মার্কেটে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১১৮ কোটি, বিমা তহবিলের ১০ হাজার ৬৪২ কোটি, সাধারণ বীমা কোম্পানির ৩০২ কোটি, জীবন বীমার ১৮ হাজার ৬৬৬ কোটি, বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানির ১ হাজার ৮৫ কোটি, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের ২৭ কোটি, প্রোভিডেন্ট ফান্ডের ৮ হাজার ৭২৬ কোটি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ২৫১ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। 

২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ স্থিতি ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। 

২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ট্রেজারি বিল ও বন্ডে মোট বিনিয়োগ ছিল ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা।

বিজ্ঞপ্তি/অমিয়/

সিএসইতে পেপার প্রোসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড-এর লেনদেন শুরু

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১১:১৮ এএম
সিএসইতে পেপার প্রোসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড-এর লেনদেন শুরু
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

সিএসইতে পেপার প্রোসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের লেনদেন শুরু হয়েছে। 

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ মে) চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসিয়ের (সিএসই) ঢাকার অফিসে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ; এফসিএমএ পেপার প্রোসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের সম্মানিত অতিথিদেরকে স্বাগত জানান।

সফলভাবে লিস্টিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সিএসইতে লিস্টিং হওয়ার জন্য তিনি পেপার প্রোসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডে ব্যবস্থাপনা পর্ষদকে অভিনন্দন জানান।

পেপার প্রোসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং সিএসইর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হাসনাইন বারী স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

এ সময় পেপার প্রোসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের সিনিয়র ডিরেক্টর মো. রেজাউল ইসলাম, চীফ ফিনান্সিয়াল অফিসার নাইমুল ইসলাম এবং সিএসইর অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএফআইসি দ্বিতীয় ও তৃতীয় কনভার্টেবল, রিডিমেবল, আনসিকিউরড, ফ্লোটিং রেট সাবঅরডিনারি বন্ড-এর লিস্টিং এগ্রিমেন্ট সম্পন্ন

চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই), আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির মধ্যে আইএফআইসি দ্বিতীয় ও তৃতীয় কনভার্টেবল, রিডিমেবল, আনসিকিউরড, ফ্লোটিং রেট সাবঅরডিনারি বন্ড-এর লিস্টিং এগ্রিমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে।

এতে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ; এফসিএম আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সম্মানিত অতিথিদেরকে স্বাগত জানান।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ বিজনেস অফিসার মো. নুরুল হাসনাত এবং সিএসইর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হাসনাইন বারী  স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। 

এ সময় আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির চীফ ফিনান্সিয়াল অফিসার দিলিপ কুমার মন্ডল,  আইএফআইসি সিকিউরিটিজ এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. মাকসুদুর রহমান খান এবং সিএসইর অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তি/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃডিপার্টমেন্ট টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১০:৫২ এএম
সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃডিপার্টমেন্ট টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

দেশের অন্যতম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী আন্তঃডিপার্টমেন্ট টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট-২০২৪ এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর শামীম আরা হাসান উক্ত খেলায় উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন এবং বিজয়ী খেলোয়াড়দের মেডেল ও ট্রফি বিতরণ করেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ একরামুল ইসলাম, ট্রেজারার; প্রফেসর হাবিবুর রহমান কামাল, ডীন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ; প্রফেসর মো. আল আমিন মোল্লা, ডীন, ব্যবসায় অনুষদ; প্রফেসর ডক্টর খবিরুল হক চৌধুরী, বিভাগীয় প্রধান নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট; এস এম নূরুল হুদা, রেজিস্ট্রার; কাজী জুলকারনাইন সুলতান আলম, পরিচালক ছাত্র কল্যাণ দপ্তর; স্পোর্টস কো-অর্ডিনেটর মেহেরাব হোসেন জসি এবং দপ্তর প্রধানরা।

উক্ত টেবিল টেনিস টুর্নামেন্টে ৩টি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত খেলায় পুরুষ (একক) ক্যাটাগরিতে জয় লাভ করে নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী রুহুল আমীন ফাহিম, নারী (একক) ক্যাটাগরিতে জয় লাভ করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী নাঈমা আফরোজ এবং পুরুষ (দৈত) ক্যাটাগরিতে জয় লাভ করে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবু সালিম তৌহিদ ও নাজমুস সাকিব।

বিজ্ঞপ্তি/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

এসবিএসি ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং সার্ভিস উদ্বোধন

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম
এসবিএসি ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং সার্ভিস উদ্বোধন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

এসবিএসি ব্যাংক পিএলসির ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ডিজিটাল প্রডাক্টস প্লাটফরম ‘এসবিএসি স্মার্ট ব্যাংকিং সার্ভিসেস’ উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। 

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবু জাফর মোহাম্মদ শফিউদ্দিন (শামীম) এমপি এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান একেএম নুরুল ফজল বুলবুল। 

এ সময়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল হক, হাফিজুর রহমান বাবু, মোহাম্মদ নাওয়াজ, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সোহেল আহমেদ মো. এমদাদুল হক, স্বতন্ত্র পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়া ও জিয়াউর রহমান জিয়া এফসিএ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নূরুল আজীম। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী, শাখা প্রধান, সম্মানিত গ্রাহকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার জনগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে ব্যাংকের পক্ষ থেকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তি/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিবেট ফেস্ট অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিবেট ফেস্ট অনুষ্ঠিত
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ডিবেটিং ক্লাব কর্তৃক অনুষ্ঠিত হলো ডিবেট ফেস্ট-২০২৪।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে এই ফেস্ট অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবলিক স্পিকার, অভিনয় শিল্পী, আইনজীবী, সমাজসেবী এবং সফল উদ্যোক্তা জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। 

এ ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ফাদার চার্লস, বি গডন, সিএসসি, ট্রেজারার ড. ফাদার আদম এস, পেরেরা, সিএসসি, রেজিস্ট্রার ড. ফাদার লেনার্ড শংকর রোজারিও, সিএসসি, ক্লাব কো-অর্ডিনেটর সিস্টার সাগরিকা মারীয়া গমেজ, সিএসসি, অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষক, স্টাফ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিরা আসন অলংকৃত করেন এবং তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়

স্বাগত বক্তব্যে ফাদার চার্লস বি, গডন, সিএসসি বাক স্বাধীনতার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। 

এরপর ট্রেজারার ড. ফাদার আদম এস, পেরেরা, সিএসসি বলেন, ‘নটর ডেম কলেজ থেকেই বাংলাদেশে বিতর্কের জন্ম হয়েছে। নটর ডেম কলেজের ৬ষ্ঠ অধ্যক্ষ ফাদার রিচার্ড ডব্লিউ টিম, সিএসসির হাত ধরে বাংলাদেশে প্রথম বিতর্ক প্রতিযোগিতার শুরু হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতা আজও সারাদেশে চলমান। শিক্ষার্থীরা যাতে কোন বিষয়ে সূক্ষভাবে জ্ঞান লাভ ও বিশ্লেষণ করতে পারে সে লক্ষ্যেই বিতর্ক প্রতিযোগিতার সূচনা হয়েছিল।’

রেজিস্ট্রার ড. ফাদার লেনার্ড শংকর রোজারিও, সিএসসি বলেন, ‘‘একজন বিতার্কিকের প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো যোগাযোগের সক্ষমতা। এই সক্ষমতা ছাড়া একজন বিতার্কিত সফল হতে পারে না। এরপর তমা চৌধুরী তুলি, জিহাদ আল মেহেদী ও চন্দ্রিকা ম-ল বারোয়ারি বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বিভাগ থেকে ‘নটর ডেমে আমরাই সেরা’ শীর্ষক রম্য বিতর্কে চারজন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।’’

উক্ত অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়ার এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ। উক্ত সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে তিনি শিক্ষার্থীদের কিভাবে গড়ে উঠতে হবে সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। 

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক আইন বিভাগের শিক্ষার্থীর ব্যারিস্টারি পড়ার একটা স্বপ্ন থাকে। তবে ব্যারিস্টারি পড়ার পর অনেকে ক্যারিয়ারে সফল হতে না পেরে হতাশায় ভোগেন। কারণ ব্যরিস্টারি পড়াশুনা অনেক ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই নিজেকে আগে যোগ্য করে ও নিজ খরচে ব্যারিস্টারি অধ্যয়নের পরামর্শ প্রদান করেন। এ ছাড়াও সাক্ষাৎকারে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনের অনেক অভিজ্ঞতা সহভাগিতা করেন।’

ডিবেটিং ক্লাবে অনবদ্য অবদানের জন্য ক্লাবের তৃতীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন অতিথিরা। সব শেষে ক্লাব মডারেটর সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ডিবেটিং ক্লাব প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এর মধ্যে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়, রম্য বিতর্ক, বারোয়ারি বিতর্ক ও পার্লামেন্টারি বিতর্ক উল্লেখযোগ্য। দেশের প্রতিটি জায়গায় যুক্তিভিত্তিক চিন্তা-চেতনা পৌঁছে দেওয়াই এবারের ‘ডিবেট ফেস্ট-২০২৪’ আয়োজনের মূল লক্ষ্য।

বিজ্ঞপ্তি/সাদিয়া নাহার/অমিয়/