চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে বলাৎকার, গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে বলাৎকার, গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৪৬ এএম
চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে বলাৎকার, গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে চার শিশুকে বলাৎকার করায় মো. ওমর ফারুক (২১) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে বন্দর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে পরদিন (মঙ্গলবার) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠায়।

গ্রেপ্তার ফারুক বন্দর থানার ২নং মাইলের মাথা কলসিদিঘীরপাড় বাদামতলা এলাকার মারকাজুল হুফফাজ মাদ্রাসার শিক্ষক।

জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মাদ্রাসা চার শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করে ওই শিক্ষক। এর মধ্যে এক শিশু বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরে শিশুটির বাবা মাদ্রাসার পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিনকে বিষয়টি জানায়। মাদ্রাসার পরিচালক অভিযুক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে অপরাধের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে ওই শিক্ষককে পুলিশের হাতে তুলে দেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনজয় কুমার সিনহা বলেন, গত সোমবার রাতে শিশুটির বাবা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।

তারেক/জোবাইদা/অমিয়/

ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনি সরঞ্জাম নিতে অবৈধ যানবাহন ব্যবহার

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনি সরঞ্জাম নিতে অবৈধ যানবাহন ব্যবহার
ছবি : খবরের কাগজ

ট্রাক্টর এবং নসিমন যানবাহন হিসেবে অবৈধ। এসবের নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন। কোনো প্রশিক্ষণ বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই এসব গাড়ি চালাচ্ছেন অধিকাংশ চালক। নির্বাচনি সরঞ্জাম আনা নেওয়ার কাজে এসব অবৈধ যানবাহনের উপর নির্ভর করতে দেখা গেলো ঠাকুরগাঁওয়ে। 

আগামীকাল (২১ মে) দ্বিতীয় ধাপে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ও রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাচন। এ উপলক্ষে সোমবার (২০ মে) নির্বাচনি এলাকায় পাঠানো হচ্ছে ব্যালট পেপার, বক্সসহ বিভিন্ন সামগ্রী। তবে এসব সামগ্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে জেলা নির্বাচন অফিসের এখন প্রধান ভরসা অবৈধ যানবাহন ট্রাক্টর এবং নসিমন।

ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অবৈধ এসব যানে রওনা দিচ্ছেন তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোটকেন্দ্রে।

ঠাকুরগাঁওয়ের দুটি উপজেলার ২৫১টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের ব্যালট বাক্স থেকে শুরু করে অন্যান্য সরঞ্জামের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে পাঠাতে প্রায় ২৫০টি ট্রাক্টর ও নসিমন নেওয়া হয়েছে। খোলা এসব যানবাহনে অস্ত্র ও সরঞ্জাম আনা নেওয়া করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন আনসার সদস্যরা।

নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আনসার সদস্য বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নির্বাচন অফিস যদি আমাদের জন্য ভাল কোনো যানবাহনের ব্যবস্থা করত তাহলে আমাদের জন্য নিরাপদ হতো। যেসব গাড়িতে আমরা যাচ্ছি সেসব গাড়ির নেই কোনো ফিটনেস, চালকদের নেই কোনো লাইসেন্স। সরকারের এ রকম গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমাদের পাঠানো হচ্ছে এসব অবৈধ যানে। এসব যানে আমাদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। ঘটতে পারে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা।’

অন্য এক আনসার সদস্য বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে নিজস্ব অস্ত্র, ব্যালট বক্সসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকে। অবৈধ ট্রাক্টর এবং নসিমন পুরো খোলা থাকে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

এ বিষয়ে সাংবাদিক মজিবর রহমান খান বলেন, ‘মহাসড়কে নসিমন করিমন ট্রাক্টর চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু ভোট এলেই আমরা দেখি, ভোটের মালামাল পরিবহন করার জন্য এসব যানবাহনই ব্যবহার করা হয়। ভোট এলেই এসব অবৈধ যানবাহন বৈধ হয়ে যায়। এসব যানবাহন যদি অবৈধই হবে সব ক্ষেত্রেই অবৈধ হবে। সরকারি কাজে এসব যানবাহন ব্যবহার করে এসব যানবাহনকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এসব যানবাহন ঠিকমতো ব্রেক হয় না। যারা চালাচ্ছে তাদের দক্ষতাও নেই। আর চালকদের লাইসেন্সতো নেই-ই। সে ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। যারা দায়িত্বে আছেন তাদের প্রাণহানি ঘটতেই পারে।’

লাইসেন্সবিহীন এইসব যান এখানে কেন নিয়ে এসেছেন? এমন প্রশ্নে ট্রাক্টরচালক মতি রহমান বলেন, ‘আমাদের গাড়ির লাইসেন্স হয় না। আর আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচনের সরঞ্জাম আনা নেওয়ার কাজে আমাদের এসব গাড়ি ব্যবহার করা হয়। প্রশাসন থেকে আমাদের ডাকা হয়েছে তাই আমরা আসতে বাধ্য।’
 
সরকারি কাজে এ ধরনের যানবাহন ব্যবহারের বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনজুরুল হাসান খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের প্রায় পাঁচ শ’র বেশি গাড়ি লাগবে। ঠাকুরগাঁওয়ে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য যে গাড়ি রয়েছে সেগুলো দিয়ে আমরা নির্বাচন করতে পারব না। তাই বাস্তবতায় আমাদের অনেক কিছু মানতে হয়। এ বিষয়গুলো এখন আমাদের সাবজেক্ট না। এ বিষয়গুলো নিয়ে এখন কথা বলার সুযোগ নেই। একটি ইলেকশনের জন্য তো আমরা গাড়ি সরবরাহ করতে পারব না প্রত্যেকটা সেন্টারের জন্য। এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না।’

নবীন হাসান/অমিয়/

আমে রাসায়নিক দিয়ে বাজারজাত করলে কঠোর ব্যবস্থা: রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম
আমে রাসায়নিক দিয়ে বাজারজাত করলে কঠোর ব্যবস্থা: রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার
ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, অপরিপক্ব আম গাছ থেকে নামিয়ে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করে বাজারজাত করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২০ মে) বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আজকের পরিমাপ’। সারা দেশের মতো রাজশাহীতে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকালে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, আম পরিপক্ব হওয়ার আগে নামিয়ে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করে বাজারজাত হয়। এতে মানুষের চরম ক্ষতি হচ্ছে। এটা বিএসটিআই বা প্রশাসনের পক্ষে একা নির্মূল করা সম্ভব না। আপনাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আপনাদের বাড়ির আশেপাশে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে তবে আমাদের জানান, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

তিনি আরও বলেন, ফলে বা খাবারে রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে যিনি ব্যবহার করছেন তার ইহকাল পরকাল সবই নষ্ট হচ্ছে। এ থেকে আমাদের সবাইকে বিরত থাকতে হবে।

ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, পৃথিবীতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময় এবং মানুষের সেবা করা। সব ধর্মেই এর গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা সেবা করতে গিয়ে অনেক সময় অধিক মুনাফার আশায় মানুষকে ওজন বা পরিমাপে কম দেই, যেটা চরম অপরাধ। মানুষ অনেক কষ্ট করে টাকা উপার্জন করেন। সেই কষ্টের টাকা আমরা কোনোভাবেই বিনষ্ট হতে দেব না।

এ সময় সভায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন অভিযোগ সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন বিভাগীয় কমিশনার।

বিএসটিআই এরর উপপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম নাহিদ বক্তৃতা দেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এনায়েত করিম/এমএ/

কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৫:৪৬ পিএম
কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
শাহরিয়ার হাসান সানি। ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় শাহরিয়ার হাসান সানি নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে করিমগঞ্জ পৌর এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনের সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।

নিহত শাহরিয়ার হাসান সানি করিমগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আশুতিয়াপাড়া এলাকার আসাব উদ্দীনের ছেলে। এছাড়াও সে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস এন্ড সিরামিকস (তেজগাঁও, ঢাকা) পাবলিক পলিটেকনিকের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিল।

পুলিশ ও  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মধ্যরাতে দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাসার দিকে যাওয়ার সময় রাস্তায় স্লিপ কেটে পড়ে যায়। পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের পিলারে গিয়ে চাপ লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

করিমগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম মানিক খবরের কাগজকে বলেন, আমার চাচতো ভাই খুবই মেধাবী ছিল। হঠাৎ করে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা সবকিছু কেড়ে নিলো। সাবধানে গাড়ি চালালে হয়তো অকালে এভাবে মৃত্যু হতো না। আমার ভাই আর এক সেমিস্টার পরীক্ষা দিলেই ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হইতো। সানির বাবা-মায়ের সব স্বপ্ন শেষ। 

পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও নিহত সানির চাচা বজলু খবরের কাগজকে বলেন, আমার ভাতিজার মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। সে খুবই মেধাবী ছিল। হঠাৎ কী থেকে কী হয়ে গেল কিছুই বুঝলাম না। মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

দুর্ঘটনার বিষয়ে করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বিকেলে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মিতু/এমএ/ 

 

গাড়িতে সরকারি লোগো সাঁটিয়ে ইয়াবা পাচারের সময় গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
গাড়িতে সরকারি লোগো সাঁটিয়ে ইয়াবা পাচারের সময় গ্রেপ্তার ৪
ছবি: খবরের কাগজ

কক্সবাজারে বিলাসবহুল পাজেরো গাড়িতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের লোগো ব্যবহার করে সাত লাখ ইয়াবা পাচারের সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। 

সোমবার (২০ মে) রাতে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে ইয়াবাগুলো কক্সবাজারে পাচারের সময় পাটুয়ারটেক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১৫। 

এ সময় গাড়ির পেছনে রাখা সাত লাখ ইয়াবাও জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি আবদুল আমিন (৪০), মো. আবদুল্লাহ (৩৫), তার বোনের স্বামী নুরুল আবসার (২৮) ও জাফর আলম (২৬)।

সোমবার দুপুরে র‍্যাব-১৫ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানায় র‍্যাব-১৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর শরিফুল আহসান।

তিনি জানান, আটক আবদুল্লাহর বাবা আবু সৈয়দের মালিকানাধীন বিলাসবহুল গাড়িটিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের লোগো লাগানো ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতেই ইয়াবা কারবারিরা এই পন্থা অবলম্বন করেছিল।

র‍্যাব জানায়, মায়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো বাংলাদেশ সরবরাহ করছিল সে দেশের বাসিন্দা বার্মাইয়া সিরাজ। এই বার্মায়া সিরাজের মাধ্যমেই বেশিরভাগ ইয়াবা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন বাংলাদেশের মাদক কারবারিরা।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

চাঁদপুরে ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই: ডিসি

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
চাঁদপুরে ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই: ডিসি
ছবি: খবরের কাগজ

নির্বাচন কমিশনকে চাঁদপুরে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।

সোমবার (২০ মে) বেলা ১১টায় চাঁদপুর শহরের স্টেডিয়াম মাঠে চাঁদপুর জেলা পুলিশ আয়োজিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত ব্রিফিং প্যারেড তিনি এ কথা বলেন। 

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান। 

তিনি বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশ কর্মকর্তারা কাজ করবেন। কেন্দ্রে গিয়ে কোনো ধরনের ত্রুটি থাকলে সেগুলো সমাধান করবেন। ইভিএমসহ সরকারি যত সম্পদ আছে সবকিছুর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে ভোটারদের কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার শেষ পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্য দেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করার বিষয়ে আপনাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা আছে এবং ইতোপূর্বে আপনাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আমরা খুবই নিরাপদ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই। এ ক্ষেত্রে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তাহলে আপনারা সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আপনাদের বিষয়গুলো আমরা সার্বিকভাবে দেখব। কোন সমস্যা হলে আপনাদের হয়ে আমরা কথা বলব। কোনভাবেই বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না।’

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাতের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন ও জেলা আনসার ভিডিপির কমান্ডার উজ্জ্বল কুমার পাল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসিন আলম, চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরীসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।

শরীফুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/