![আজওয়া খেজুর খাওয়ার ফজিলত](uploads/2024/05/20/ajwa-1716195354.jpg)
খেজুর আল্লাহতায়ালার অনন্য নেয়ামত। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রিয় ফল ছিল খেজুর। পাকা-তাজা খেজুর নানা পুষ্টিগুণ-সমৃদ্ধ ও সুস্বাদু একটি ফল। পবিত্র কোরআনের নানা জায়গায় খেজুরের আলোচনা এসেছে। আল্লাহ বলেন, ‘তারপর আমি তাতে উৎপন্ন করেছি শস্য, আঙুর, শাক-সবজি, জয়তুন, খেজুর।’ (সুরা আবাসা, আয়াত: ২৭-২৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘এবং খেজুরের ফল ও আঙুর থেকেও (আমি তোমাদের পানীয় দান করি), যা দিয়ে তোমরা মদ বানাও এবং উত্তম খাদ্যও। নিশ্চয়ই এর ভেতরেও সেইসব লোকের জন্য নিদর্শন আছে, যারা বুদ্ধিকে কাজে লাগায়।’ (সুরা নাহল, আয়াত: ৬৭)। তা ছাড়া খেজুরে আছে নানাবিধ রোগের প্রতিষেধকও।
আজওয়া জান্নাতি ফল
পবিত্র মদিনায় নানা জাত ও স্বাদের খেজুর উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে উৎকৃষ্টতম খেজুর আজওয়া। দেখতে জামের মতো কালো রঙের অসাধারণ এই খেজুর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অত্যন্ত প্রিয় ফল। হাদিসে এটিকে জান্নাতের ফল বলা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, “রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কিছু সাহাবি বলেন, ‘মাশরুম হলো জমিনের বসন্ত রোগ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মাশরুম হলো মান্নের অন্তর্ভুক্ত এবং এর পানি চক্ষুরোগের প্রতিষেধক। আজওয়া বেহেশতের খেজুরের অন্তর্ভুক্ত এবং এটা বিষের প্রতিষেধক।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২০৬৮)
জাদুর কবল থেকে বাঁচায় আজওয়া
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে প্রতিদিন সকালবেলা সাতটি আজওয়া (উৎকৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ ও জাদু তার ক্ষতি করবে না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৪৪৫)
হৃদরোগের ওষুধ
আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সাদ (রা.) বলেন, “একবার আমি অসুস্থ হলে রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে দেখতে আসেন। এ সময় তিনি তাঁর হাত আমার বুকের ওপর রাখেন। তাঁর শীতলতা আমার হৃদয়ে অনুভব করি। তিনি বলেন, ‘তুমি হৃদরোগে আক্রান্ত। কাজেই তুমি সাকিফ গোত্রের অধিবাসী হারিসা ইবনে কালদার কাছে যাও। কেননা, সে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। আর সে যেন মদিনার আজওয়া খেজুরের সাতটা খেজুর নিয়ে বিচিসহ চূর্ণ করে তোমার জন্য তা দিয়ে সাতটি বড়ি তৈরি করে দেয়।” (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৩৫)
খেজুর বেশ বরকতপূর্ণ খাবার। যার ঘরে খেজুর আছে সে অনাহারী নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ঘরে খেজুর নেই, সে ঘরের মানুষ যেন অনাহারী।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৭৭৬)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলুম মাদরাসা, মধুপুর