আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কেউ অসুস্থ হলে আমরা অনেকেই তাদের দেখতে যাই। খোঁজখবর নিই। এই দেখতে যাওয়া ও খোঁজখবর নেওয়ার কিছু সুন্নত পদ্ধতি রয়েছে। এখানে কয়েকটি আলোচনা করা হলো—
অজু অবস্থায় যাওয়া: অজু অবস্থায় অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া মুমিনের বৈশিষ্ট্য। এতে কল্যাণ পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে উত্তমরূপে অজু করে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কোনো অসুস্থ মুসলমান ভাইকে দেখতে যায়, তাকে জাহান্নাম থেকে ষাট বছরের পথ দূরে রাখা হবে।’ (আবু দাউদ, ৩০৯৭)
রোগীর খোঁজখবর নেওয়া: রোগীকে দেখতে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া সুন্নত। অবস্থা বুঝে মাথায় হাত বুলিয়ে কুশল জানা সওয়াবের কাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘শুশ্রুষার পূর্ণতা হলো রোগীর কপালে বা শরীরে হাত রেখে জিজ্ঞেস করা, কেমন আছেন?’ (তিরমিজি, ৪/৩৩৪)
রোগীর কাছে বেশিক্ষণ অবস্থান না করা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোগী দেখার সময় হলো উটের দুধ দোহন পরিমাণ। আরেক বর্ণনায় এসেছে, রোগী দেখার উত্তম পন্থা হলো তাড়াতাড়ি ফিরে আসা।
রোগীকে খেতে দেওয়া: রোগী কিছু খেতে চাইলে এবং তা তার জন্য ক্ষতিকর না হলে খেতে দেওয়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোগী যদি কিছু খেতে চায়, তবে তাকে খেতে দেওয়া উচিত।’ (বুখারি, ১০/১১৮)
উচ্চ আওয়াজে কথা না বলা: ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, সুন্নত হলো রোগীর পাশে কম সময় বসা এবং উঁচু আওয়াজে কথা না বলা।
দোয়া করা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো রোগীর কাছে গিয়ে নিচের দোয়াটি সাতবার পাঠ করলে মৃত্যুরোগ ছাড়া সব রোগ থেকে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। দোয়াটি হলো—বাংলা উচ্চারণ: ‘আস আলুল্লাহাল আজিম, রাব্বাল আরশিল আজিম, আই ইয়াশফিয়াকা।’ বাংলা অর্থ: আমি মহান আরশের প্রভু মহামহিম আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন তোমাকে রোগমুক্তি দেন। (আবু দাউদ, ৩১০৬)
লেখক: মাদরাসা শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক