ঢাকা ১০ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
English

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বিএনপির শোক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম
আপডেট: ২০ মে ২০২৪, ০৭:১৮ পিএম
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বিএনপির শোক

বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএনপি।

সোমবার (২০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনাকে মর্মস্পর্শী উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ শোক প্রকাশ করেন।

শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, গতকাল ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে পাহাড়ি তুষারাবৃত এলাকায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিহত হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের মানুষকে ব্যথিত করেছে। ইবরাহিম রাইসির মৃত্যু মুসলিম বিশ্বের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি একজন অসাধারণ রাষ্ট্রনায়ক। ভ্রাতৃপ্রতিম দেশটির এই দুঃখের দিনে আল্লাহতাআলা যেন তাদের ধৈর্য ধারণের শক্তি দান করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ইরানের রাষ্ট্রপতিসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকাহত পরিবারবর্গ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। মহান আল্লাহতাআলা ইরানের জনগণ এবং প্রেসিডেন্ট রাইসিসহ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের যেন এই অপূরণীয় ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার শক্তি দেন। পাশাপাশি যারা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের আশু সুস্থতা কামনা করেন তিনি।

সবুজ/এমএ/

চীন বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০১:১৬ পিএম
চীন বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছে: মির্জা ফখরুল
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের সঙ্গে করমর্দন করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  ছবি: সংগৃহীত

চীন সরকার বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে অপেক্ষায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেইজিং শহরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করা হয়েছে। তারা নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’ 

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃষি, শিল্প, গার্মেন্টস, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের সহায়তা অব্যাহত রাখা ও বাণিজ্য অসমতা দূরীকরণে পদক্ষেপ গ্রহণসহ আধুনিক প্রযুক্তি, কর্মদক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাঈল জবিউল্লাহ্, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আহমেদ পাভেল এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।

শফিকুল/পপি/

আপস করবেন না জিএম কাদের

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১১:১২ এএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০১:২২ পিএম
আপস করবেন না জিএম কাদের
জি এম কাদের

চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে দলের একাংশের তৎপরতায় জাতীয় পার্টিতে (জাপায়) সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। তবে জি এম কাদের তার অবস্থান থেকে সরে আসছেন না।

তিনি বলছেন, অপতৎপরতার সঙ্গে তিনি কোনো আপস করবেন না। যারা দলের গঠনতন্ত্রের নীতির বিরোধিতা করে ভাঙার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন তাদের সঙ্গে তিনি কোনো সমঝোতায় বসবেন না। 

গতকাল রবিবার খবরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে এমন কঠোর অবস্থানের কথা জানান জি এম কাদের। তিনি জানান, নীতির সঙ্গে তিনি কোনোদিন আপস করেননি, করবেনও না। তবে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এর চেয়ে বেশি কথা বলতে রাজি হননি তিনি। 

এদিকে, আগামী ২৮ জুন রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাপার দশম কাউন্সিল আয়োজনের চেষ্টা করছেন দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মো. মুজিবুল হক চুন্নু। তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বিতীয় সারির কয়েকজন নেতা ও দু-তিনটি জেলার নিষ্ক্রি‌য় কয়েক নেতা এই কাউন্সিল আয়োজনের কথা বলে দলকে অস্থিতিশীল করছেন বলে দলে অভিযোগ উঠেছে। তবে জাতীয় পার্টির দপ্তর ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা খবরের কাগজকে জানিয়েছেন, দলের প্রেসিডিয়াম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও তৃণমূলের নেতারা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে অকুণ্ঠ সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন। বারবার দলকে অস্থিতিশীল করার দায়ে তারা দলটির তিন শীর্ষস্থানীয় নেতার পদ ত্যাগের দাবিও তুলেছেন। 

জাপার কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, জি এম কাদেরের অবস্থান স্পষ্ট । তিন শীর্ষ নেতার কারও সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসবেন না; কথাও বলবেন না। এ ছাড়া দল ছেড়ে চলে যাওয়া ও বহিষ্কৃত নেতাদের আবারও দলে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রেসিডিয়াম সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষপাতী তিনি। পার্টি ফোরাম সর্বসম্মতভাবে মতামত জানালে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। দলছুট বা বহিষ্কৃত নেতাদের দলে ফেরাতে জি এম কাদের এককভাবে কোনো উদ্যোগ নেবেন না বলে খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেন জাপা নেতারা। 

জাপা চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠরা জানান, যেসব নেতা চেয়ারম্যানের ক্ষমতা খর্ব করার নামে তৎপরতা চালাচ্ছেন, তারা মূলত সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে চলছেন। এই নেতারা আওয়ামী লীগের আমলেও সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছেন, তাকে বিপদে ফেলেছেন। এখনো একই ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তারা কখনো রওশন এরশাদকে সামনে রেখে, আবার কখনো বা বহিষ্কৃতদের সঙ্গে আঁতাত করে জি এম কাদেরকে চাপে রেখেছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও জি এম কাদেরকে বাদ রেখেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দল অংশ নিয়েছিল। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে পুরো সময়টাই তারা নানামুখী তৎপরতা চালিয়ে জি এম কাদেরকে চাপে রেখেছেন। বর্তমান তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত নেতারা ওই সময়ই গোপনে শেখ হাসিনা ও রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। এ কারণে শেখ হাসিনার সরকার ইচ্ছামতো জাতীয় পার্টিকে ব্যবহার করতে পেরেছে। ফলে নির্বাচনের আগে জি এম কাদের সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েও শেষ পর্যন্ত সরকারের চাপে নির্বাচনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ ওই নেতারা তখন সরকার ও রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। জি এম কাদের নির্বাচনে না গেলে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে ওই নেতারা তখন নির্বাচনে অংশ নিতেন। আর এর ফলে জাতীয় পার্টি আরেক দফা ভাঙনের মুখে পড়ত বলে রাজনীতিতে আলোচনা ছিল।

জাপার সূত্রগুলো জানাচ্ছে, গত ১৭ বছর যাবৎই ওই নেতারা ক্ষমতার সুবিধাভোগী ছিলেন। আবার এখনো তারা ক্ষমতার সঙ্গে থাকতেই কাদেরবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। কারণ কাদের সরকারের বিরুদ্ধে কিছুটা কঠোর অবস্থানে আছেন। জাপা নেতারা বলছেন, সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে জাতীয় পার্টিকে ওই নেতারা বিপদে ফেলার চেষ্টা করছেন। তাদের মূল টার্গেট জি এম কাদের ও জাপাকে ধ্বংস করা। 

জি এম কাদের খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি আমার নীতি ও আদর্শে অটল আছি। আমি দলের কোনো নেতার বিরুদ্ধে অবিচার করিনি। নেতিবাচক অবস্থান নিইনি। পুরো দল আমার সঙ্গে আছে। দুয়েকজন নেতা যা বলছেন, যা করছেন সেটি তাদের ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধাপ্রসূত। কারও কাছে আমি নতি স্বীকার করব না।’ 

গত ২০ মে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভার পরে দলে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়। দলের শীর্ষ তিন নেতা এবং প্রেসিডিয়ামের জনাতিনেক নেতা জাপা চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা রহিত করার পক্ষে মত দেন। এ নিয়ে দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে সভায় বাদানুবাদ হয়। 

জানা গেছে, জাতীয় কাউন্সিল করার উদ্যোগ হিসেবে আগামী ২৮ জুনের জন্য রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই জাপা চেয়ারম্যান কাউন্সিল অধিবেশন আয়োজনে কিছুদিন সময় চেয়ে নেন পার্টি ফোরামে। তবে দলের তিন শীর্ষ নেতার দাবি ছিল, তারা কাকরাইলেই এই কাউন্সিল অধিবেশন আয়োজন করতে চান। এ নিয়ে জি এম কাদেরকে চাপ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। জি এম কাদের নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে জানান, জাপা ২৮ জুন কাউন্সিল অধিবেশন করবে না। 
এ দুই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন জাপার তিন নেতা। তারা যেকোনো মূল্যে ২৮ জুন কাউন্সিল অধিবেশন আয়োজন করতে চেষ্টা করছেন। 

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ রবিবার খবরের কাগজকে বলেন, ‘তিনি (জি এম কাদের) কাউন্সিল অধিবেশনের ডাক দিয়ে এখন আবার তা বাতিল করতে চাইছেন। এটি তো হতে পারে না। চেয়ারম্যান জি এম কাদের যে কাউন্সিল ডেকেছেন আগামী ২৮ জুন, আমরা সেই কাউন্সিলে যাচ্ছি।’ 

জি এম কাদের সেই সম্মেলনে যেতে সম্মত হবেন কি না জানতে চাইলে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ কোনো মন্তব্য করেননি। তবে দলের চেয়ারম্যান সেই কাউন্সিলে না গেলে তা ‘আইনগতভাবে ত্রুটিযুক্ত’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। 

তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘দলের সংবিধানের ১২ ধারায় বলা আছে, কাউন্সিল করতে গেলে সম্মতি লাগবে প্রেসিডিয়ামের। প্রেসিডিয়ামের সভাপতি হিসেবে চেয়ারম্যান যদি অনুপস্থিত থাকেন তাহলে সেই কাউন্সিল গ্রহণযোগ্য হবে না।’

দলে এই অস্থিরতায় জাপায় সপ্তম দফায় ভাঙনের প্রশ্ন জোরদার হয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘ভাঙন কীভাবে হয়? ভাঙন তো তখনই হয় যখন আলাদাভাবে কেউ দল থেকে বের হয়ে যাবে। আমরা তো তা করছি না। চেয়ারম্যান কাউন্সিল ডেকেছিলেন, আমরা সেই কাউন্সিলে যাচ্ছি।’

জাপার দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম বলেন, ‘অতীতে কাজী জাফর, মিজানুর রহমান চৌধুরী, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের মতো জনপ্রিয় নেতারা দল ভেঙে নতুন দল গঠন করেছিলেন। কিন্তু হেভিওয়েট সেই নেতারাও তো সুবিধা করতে পারেননি। যতবার জাপায় দল ভেঙে নতুন কিছু করার চেষ্টা করা হয়েছে, ততবারই ব্যর্থ হতে হয়েছে। সুতরাং ভাঙনের চেষ্টা করে লাভ নাই। দলের চার-পাঁচজন নেতা ছাড়া সবাই জি এম কাদেরের পক্ষে আছেন।’

ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘যাদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে এখন, সেই তিনজন নেতা অনেক বড় মাপের নেতা। তারা অনেকবার মন্ত্রী বা এমপি ছিলেন। তারা অনেকবার জাতীয় পার্টির হাল ধরেছেন। আমার ধারণা তারা চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব মেনে নেবেন। যেকোনো পার্টির চেয়ারম্যান থাকেন একজনই। তার নেতৃত্বে দল চলে। এটা তো মেনে নিতে হবে। তারা যদি জাতীয় পার্টিকে ভালোবাসেন, ধারণ করেন তবে সবাই মিলে একসঙ্গে থাকব। একসঙ্গে সবকিছু মোকাবিলা করব, একসঙ্গে নির্যাতিত হব।’

চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা খর্ব করতে দলের শীর্ষ নেতারা যে ফাটলের সূত্রপাত ঘটিয়েছেন তা যেকোনো মূল্যে বন্ধ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। 

তিনি বলেন, ‘সিনিয়র কো চেয়ারম্যান, কো চেয়ারম্যানরা প্রেসিডিয়াম সভাতে বলতে পারতেন এই ধারাটি আমরা বাতিল চাই। সেখানে প্রেসিডিয়াম যদি বলত বাতিল; তাহলে বাতিল হয়ে যেত। এটা আসলে বাইরে আলোচনা করা, আন্দোলন করা বা সেপারেট কাউন্সিল করে এটা বাতিল করার দরকার ছিল না। এটার ফোরাম আছে। এখনো আলোচনার সুযোগ আছে।’ 

নতুন আরেক ফ্যাসিস্ট জন্মগ্রহণ করেছে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
নতুন আরেক ফ্যাসিস্ট জন্মগ্রহণ করেছে: চরমোনাই পীর
ছবি: খবরের কাগজ

এক ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করে জিতেছি কিন্তু নতুন আরেক ফ্যাসিস্ট জন্মগ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে নীলফামারী বড় মাঠে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গরিবের রিলিফের চাল একটি দলের নেতার গুদামে পাওয়া যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, 'গরীব, দু:খী ও মেহনতি মানুষের মুখের খাবার যারা কেড়ে নেয় এদেশের জনগণ তাদের ক্ষমতায় যেতে দেবে না'।

এ সময় প্রতিবেশী দেশ ভারতকে উদ্দেশ্য করে ফয়জুল করীম বলেন,'বাংলাদেশিরা বীরের জাতী কারও রাঙ্গা চক্ষুকে ভয় পায় না। বাংলাদেশ বন্দর বন্ধ বা সেভেন সিস্টার নিয়ে রাজনীতি শুরু করলে ভারতের পেটে ভাত থাকবেনা। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকবে, তবে কোনো গোলামি করা চলবে না'।

বক্তব্য শেষে নীলফামারী-২ আসনে অ্যাডভোকেট এম. হাছিবুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ আসনে আলহাজ আমজাদ সরকার ও নীলফামারী-৪ আসনে আলহাজ্ব শহীদুল ইসলামকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন মুফতি ফয়জুল করীম।

দলটির জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ ইয়াসীন আলীর সভাপতিত্বে দলের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম. হাছিবুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মুহাম্মাদ আবু তালহা ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারসহ অন্যান্যরা এ সময় বক্তৃতা দেন।

মেহেদী/

রাজশাহীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
রাজশাহীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য হাসিনুর ইসলাম সজল

রাজশাহীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য হাসিনুর ইসলাম সজলকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রকিবুল হাসান ইবনে রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রবিবার (২২ জুন) রাতে নগরের শাহমখদুম থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার সজল রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। ছাত্রলীগের পদ পাওয়ার আগেই তিনি শাহরিয়ারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং পরে তার বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হন।

নগরের দক্ষিণ নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সজল রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। পুলিশের ভাষ্য, তার বিরুদ্ধে নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত অনিয়ম ও প্রভাব খাটিয়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান জানান, গ্রেপ্তার সজলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এনায়েত/মেহেদী/

তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৬:০১ পিএম
তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির
তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চীন সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)। 

সোমবার (২৩ জুন) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের পিপলস গ্রেট হলে আয়োজিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারেক রহমানকে দেশটিতে সফরের আমন্ত্রণ জানান সিপিসির পলিটব্যুরো সদস্য এবং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের ডেপুটি চেয়ারম্যান লি হংঝং। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের পিপলস গ্রেট হলে আয়োজিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান সিপিসির পলিটব্যুরো সদস্য এবং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের ডেপুটি চেয়ারম্যান লি হংঝং। বিএনপি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাঈল জবিউল্লাহ্, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আহমেদ পাভেল এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।

জানা গেছে, বৈঠকে দুই দলের মধ্যে পারস্পরিক রাজনৈতিক বোঝাপড়া ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। সিপিসির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই দলের রাজনৈতিক সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হলো।

বৈঠকে মির্জা ফখরুল আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের নেতৃত্বের ভূমিকাকে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে আখ্যা দেন। এ ধরনের উদ্যোগকে বহুপক্ষীয় করে তোলার আহ্বান জানান।

বৈঠকে উপস্থিত নেতারা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন কৌশলগত সংলাপ আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

শফিকুল/সালমান/